হার্ডকভার মস্তিষ্ক, হৃদয় পেপারব্যাক! দু'য়ে মিলেই গড়াচ্ছে ফরাসি বইবাজারের চাকা
Paperback Books of France: পেপারব্যাক বইয়ের শিরদাঁড়া দুমড়ে মুচড়ে পড়া যায়, পাতাভাঁজ করা যায়। পছন্দের জায়গায় পেন পেন্সিল বুলিয়ে দাগও কেটে রাখা যায় চাইলে।
বইপ্রেমীদের ব্যক্তিত্ব যে তাঁদের সংগ্রহের বইয়ের বাহ্যিক চেহারার সঙ্গে অনেকটাই জড়িয়ে, তা কি মানেন? ফ্রান্সে কিন্তু এমনটাই মনে করা হয়। বাঁধাইয়ের রকমফেরে বইয়ের দাম ওঠেপড়ে, অর্থাৎ ক্রেতার আর্থসামাজিক অবস্থান বই কেনার সিদ্ধান্তে যেমন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পাঠকের মূল্যবোধও কিন্তু তার চেয়ে কোনও অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ব্যক্তিগত নস্টালজিয়া, বইয়ের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক, এমনকি ব্যক্তিগত রাজনীতি- সবটাই নিয়ন্ত্রণ করছে কোন ধরণের বই কেনা হবে তার উপরে, পেপারব্যাক না হার্ডকভার?
কথা চলছে ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রী-গবেষকদের সঙ্গে। সকলেরই বয়স একুশ থেকে মধ্য-তিরিশের মধ্যে। আলোচনার বিষয়: পেপারব্যাক না হার্ডকভার, বই কেনার সময়ে ফরাসি পক্ষপাতিত্ব কোন দিকে ঝুঁকে?
ক্যাসন্দ্র নিজে কোনওদিন বাঁধানো বই কিনতে চায়না, উত্তরাধিকার সূত্রে বা উপহার পেলে অবশ্যই সংগ্রহে রাখে। তবে নিজে কিনলে পেপারব্যাক। মূল কারণ, সঙ্গে নিয়ে চলার সুবিধা। এমনকি কোটের পকেটেও রাখা যায় সহজেই। বাঁধানো বই পড়ার জন্য আলাদা করে সময় বের করতে হয়, বাড়িতে বসে পড়ার অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে বাড়িতে আজকাল পড়ার সময় হয় না বললেই চলে। রাস্তাঘাটে, মেট্রো কিংবা বাসে, অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে বাড়তি সময় কুড়িয়ে-বাড়িয়ে বই পড়ার সুযোগ মেলে। যার জন্য পেপারব্যাকই ভরসা। তাছাড়া পেপারব্যাক নিয়ে অতিরিক্ত আতুপুতু করারও প্রয়োজন হয় না। বইয়ের শিরদাঁড়া দুমড়ে মুচড়ে পড়া যায়, পাতাভাঁজ করা যায়। পছন্দের জায়গায় পেন পেন্সিল বুলিয়ে দাগও কেটে রাখা যায় চাইলে, পৃষ্ঠার ধার বরাবর ফাঁকা জায়গায় নোটস লেখা যায়, এমনকী ছবি আঁকতেও হাত কাঁপে না। বাঁধানো বইয়ের সঙ্গে এত নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে না ক্যাসন্দ্র-র। বরং হার্ডকভারের সঙ্গে সম্পর্কটা খানিক সম্ভ্রমের, ভয়ের। দূর থেকে তারিফের সম্পর্ক, দেখা হলে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আদর করা যায় না তাকে।
আরও পড়ুন: পেপারব্যাকের ভাঁজে ভাঁজে গহন কস্তুরী
লেওনার্দো সাধারণত পেপারব্যাকই কিনে থাকেন। যদিও হার্ডব্যাক বইয়ের উপর ডিসকাউন্ট কবে শুরু হচ্ছে, সেদিকে তাঁর বরাবরের নজর। মরশুমি ছাড়ের সময়ে পছন্দের হার্ডব্যাক পেলে কিনে রাখে। পাশাপাশি গবেষণার বইয়ের ক্ষেত্রেও ওর ঝোঁক বরাবর হার্ডব্যাকের প্রতি । অর্থাৎ, হার্ডব্যাকের সঙ্গে বিষয়বস্তুর গুরুত্বের সহজ সমীকরণ করে ফেলেছে লেওনার্দোর অবচেতন।
লর-এর আবার দুর্বলতা হার্ডব্যাকের প্রতি। তাঁর মতে, যতদিন প্রকাশকেরা হার্ডকভার বানাচ্ছেন, সেগুলোই কেনা উচিত। শক্ত কভারের বইয়ের যে এসথেটিক্স, লর-এর মতে বই-নস্টালজিয়ার অংশ। অবশ্য লম্বা সফরের আগে লর পেপারব্যাক কিনতেই বেশি পছন্দ করেন। কারণ পেপারব্যাক বইগুলি ওজনে হাল্কা, প্লেনে, লে-ওভারে বা দীর্ঘ ট্রেন যাত্রায় পড়ার ক্ষেত্রে বেশ সুবিধা।
জঁ-বাতিস্ত আর গিয়মের সোজাসাপটা মত- নস্টালজিয়া, রোমান্টিকতা সব একদিকে, পকেটের ক্ষমতা অন্যদিকে। কম দামের জন্য ওরা সাধারণত পেপারব্যাক কিনতেই উৎসাহী।
জঁ-প্যাত্রিস অনেকক্ষণ চুপ করে ছিলেন। রসিকতার ছলে বলে উঠল, "Livre de poche uniquement !!!! Parce que c'est de gauche !" অর্থাৎ, সে সবসময়ে পেপারব্যাকের পক্ষে কারণ পেপারব্যাক বাম-দরদী বই! হার্ডব্যাকে পছন্দের বই পেলেও তিনি কেনেন না কারণ হার্ডব্যাক ওর রাজনীতির পরিপন্থী। শুনে লর পালটা রসিকতা করে বলেন, তাহলে এরিক জেমুরের লেখা পেপারব্যাক ছাপা হলে জেমুরকে আর কড়া দক্ষিণপন্থী বলা যাবে না?
জঁ-প্যাত্রিসের কথার সূত্র ধরে ফিরে দেখা যেতে পারে ফ্রান্সে পেপারব্যাকের উত্থানের সঙ্গে প্রচ্ছদ শিল্পের বিবর্তনের আড়ালে বই-বাজারে বিপ্লব। কীভাবে চিরাচরিত গোঁড়ামির মোড়ক ছিঁড়ে পরীক্ষামূলক প্রচ্ছদের দিকে হাত বাড়িয়েছিল ফরাসি সাহিত্যের মুখ। যুক্তরাষ্ট্র বা মার্কিন মুলুকের মত ফ্রান্সেও পেপারব্যাকের দৌলতে বইয়ের মত একদা দুর্লভ সামগ্রী এসে গিয়েছিল জনসাধারণের আওতার মধ্যে। 'আঁতেলেকচুয়াল'-দের প্রসারের সুযোগ করে দেয় পেপারব্যাক, পাঠকের গণতন্ত্রীকরণ। ফরাসি 'সাদা' সাহিত্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বিশ শতকের গোড়ায় গায়িমার প্রকাশনা সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ফরাসি সাহিত্যের প্রচ্ছদ হবে সাদা। শুভ্র স্নিগ্ধ বইয়ের কভারে অভিজাত দিদো টাইপফেসে লেখা থাকবে বই এবং লেখকের নাম। যে টাইপফেস উনিশ শতক অবধি ফরাসি রাজপরিবারের একচেটিয়া ছিল। অর্থাৎ যেমনটা হয় আর কী! বিপ্লবের পরে বহু বছর কেটে গেলেও রাজসম্পত্তির প্রতি মোহ কাটেনি আম জনতার। রাজার ঘরে যে ধন ছিল, সবার ঘরে সে ধন পৌঁছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গায়িমার। আর সেই যাত্রার শুরু হয়েছিল আন্দ্রে গিদে-র 'clean up literature' -এর হাত ধরে। বলা যেতে পারে, চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের থেকে হার্ডকভারের উপর পাতলা কাগজ পরানো ইস্তক ফরাসি বইয়ের চেহারায় তেমন কোনও আমূল পরিবর্তন আসেনি। ক্লাসিক স্টাইল ধরে রাখার খাতিরে দিব্যি বেঁচেবর্তে ছিল ফরাসি রক্ষণশীলতা। বারক স্টাইলের প্রচ্ছদে রঙের বাহার এবং সাজসজ্জার আতিশয্যের উল্টোপিঠে থাকতে চেয়েছিল ফরাসি বিশুদ্ধ ছিমছাম ব্যুর্জোয়াজি। এর থেকে প্রায় একশো বছর পরে গায়িমার-এর বইগুলির প্রচ্ছদের দেখা যাবে দিদো-র বদলে রোম্যান টাইপফেস, যদিও পুরনো চেহারার থেকে তাকে আলাদা করা মুশকিল।
বইয়ের সনাতনী চেহারা ধরে রাখার মানসিকতার আড়ালে আসলে লুকিয়ে রয়েছে আরেক ধরণের ইনারশিয়া। এই সাদা-সাহিত্যের বিষয়বস্তুও ক্লাসিকের বাইরে বেরোতে পারে না। প্রুস্ত, কাম্যু, সার্ত্র, মারলো-পোন্টি ইত্যাদি লেখকের কাজ ছাপানোতেই সীমাবদ্ধ থাকে গাইমারের মতো প্রকাশনা সংস্থা। ঐতিহাসিক ফ্রঁসোয়া ভিনিয়ালের মতে, গাইমার প্রকাশনা ব্যবসায় এক রেফারেন্স হয়ে ওঠে। এদের উত্তরসূরি, যেমন আলবিন মিশেল বা গ্রাসে, গাইমার প্রবর্তিত প্রচ্ছদের বাইরে বেরোতে পারে না কিছুতেই। এমনকী ২০০০ সালেও গ্রাসে-র বইগুলির প্রচ্ছদ সলিড রঙের উপর বোল্ড টাইপফেসের ফরম্যাটে আবদ্ধ। রঙ নিয়ে খানিক খেলা চলে, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের বদলে নীল-হলুদ-সবুজ কাগজে লেখা হয় নাম। তবে মানসিকতা কিন্তু সেই শতবর্ষ পুরনো। বইয়ের পরিচয় কেবল শিরোনাম আর লেখকের নাম। এর বেশি অলঙ্করণ নিষ্প্রয়োজন। বরং চাকচিক্য বেশি হলে মনে হতে পারে, বইয়ের সারমর্ম ভোঁতা, সেটা ঢাকার চেষ্টাতেই বাকি আয়োজন।
১৯৮০-র শুরু থেকে, যখন পেপারব্যাক ফরাসি বাজারে ভালোই চলছে, অ্যাক্ট স্যুদ কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে অলঙ্করণের কাজ নিয়ে আসে। ছবি না থাকলেও নিত্যনতুন টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ধরা পড়ে। যদিও, বর্তমানে ফরাসি বইবাজারে প্রাচীনপ্রথার নমুনা যত্রতত্র। সাদা বা ঘিয়ে রঙের কভারের উপর লাল-কালো ছাপাই অক্ষর- ফরাসি বইবাজারে চলছে, চলবে।
সাদা সাহিত্যের অন্য প্রান্তে নতুন লেখকদের বই বা হালকা চালের গল্প-উপন্যাস স্বাভাবিকভাবেই হয়ে দাঁড়ায় কালো-সাহিত্য, সাদা মলাটের আভিজাত্যে যাদের জায়গা হয়না। ১৯৫৩ সালে অঁরি ফিলিপাচ্চি আমেরিকান সংস্থা হাশেট-এর হাত ধরে ফ্রান্সে প্রথম প্রবর্তন করল পেপারব্যাক। ছাপাই কাজের নতুন কৌশল বইয়ের দাম রাতারাতি কমিয়ে নিয়ে এল সর্বসাধারণের আয়ত্তে। প্রচ্ছদের কাজ আরও আকর্ষণীয় করে তোলা জরুরি হয়ে পড়ল বাজারের স্বার্থেই। খোঁজ পড়ে পোস্টার ডিজাইনার, গ্রাফিক শিল্পীদের। অন্যতম প্রচ্ছদ শিল্পী মাসাঁ-র মতে, তাঁর সময়ের দাবিই ছিল 'anarchy of presentation'। এলোমেলো শিরোনাম, অক্ষরের মিলমিশ, নানা রঙের ব্যাবহার- এইসব হয়ে ওঠে পেপারব্যাকের পরিচয়। একই সঙ্গে এমন অর্বাচীন আচরণ ফরাসি বইবাজারে ছিল বিরল। আমেরিকার মতো এ কেবল নৈতিকতার প্রশ্ন নয়, ফরাসি সমাজে বইয়ের রূপবদল হয়ে উঠল বুদ্ধিজীবীদের অস্তিত্ব সঙ্কট। বিশুদ্ধবাদীরা বলে উঠলেন, যাঁদের বই পড়ার কথাই ছিল না কোনওদিন, সে সব মূর্খদের হাতে বই তুলে দিতে গিয়ে বইয়ের এ হেন মুখবদলের এমন প্রয়োজন সত্যিই কি ছিল!
ফরাসি বইয়ের জগতে এ হেন বিপ্লবের প্রবক্তা পিয়ের ফাশো। যার উত্তরসুরী মাসাঁ পরবর্তীতে পেপারব্যাক জগতে আলোড়ন তুলবেন। ফাশো কাজ শুরুই করেছিলেন ক্লাসিকের মুখ বদল দিয়ে। আন্দ্রএ ব্রেতোঁ-র নাদিয়া বইয়ের কভারে স্পষ্ট ছিল দাদাইসম-এর প্রভাব। কেবল পুরনো কায়দার গ্রাফিক্সে লিখলেন বইয়ের শিরোনাম। অর্থাৎ শম্বুকগতিতে ফরাসি বইয়ের সাজ বদলাতে থাকল নতুন নিয়মে। জার্মান এবং ইংরেজ বুক-ক্লাবের অনুপ্রেরণায় ফরাসি বই-বাজারেও আর্টিস্টিক-ডিরেক্টরের পেশা তৈরি করলেন ফাশো। বুক-ক্লাবের মাধ্যমে পাঠকের হাতে সরাসরি বই পৌঁছে দেওয়া হয়। দরকার কেবল সাবস্ক্রিপশন। বই হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত সংগ্রহের বস্তু। যে বিষয়বস্তু দু'মলাটের ভিতরে থাকবে, তাকে হয়ে উঠতে হবে আকর্ষণীয়। সে নিজেই বলবে নতুন গল্প। অর্থাৎ বইয়ের শিল্প নির্দেশকের দায়িত্ত্ব ভিন্ন বইয়ের আলাদা সত্ত্বা তৈরি করা। গাইমারের জমানায় কমেডি-ট্রাজেডি কবিতা, প্রবন্ধ- সব বইয়ের একচেটিয়া সাদা-কালো-লাল প্রচ্ছদের দিন শেষ। ফাশো এরপর তৈরি করবেন প্রায় ৭০০টি প্রচ্ছদ, যেখানে গ্রাফিক্সের খেলায় ক্লাসিক ফরাসি বইয়ের সভ্যভদ্র মুখোশ খুলে পড়বে। পেশায় আর্কিটেক্ট পিয়ের ফাশো এক একটি বইয়ের প্রচ্ছদ গড়েন মনুমেন্টের মত। কার প্রয়োজন টেক্সচার, কার চাই ভল্যুম, কে আবার খানিক অ্যাবস্ট্র্যাক্টের দিকে ঝুঁকে, এসবের দিকে মন দিলেন ফাশো। স্যুরিয়ালিজম এবং ডাডাইজম এর প্রভাব পড়ল ফাশো-র কাজে। ১৯৩৮ সালে প্যারিস শহরে অনুষ্ঠিত স্যুরিয়ালিজম প্রদর্শনীতে ফাশো-র কাজ সম্পর্কে বলা হল 'the absolute gap'। ম্যাক্সিমিলিয়াঁ দ্য রোবস্পিয়ারের ভাষা ধার করে ফাশো-কে বলা হল ভাব এবং ভাবনার চিরন্তন এক শূন্যস্থান পরিপূরক, যা পিয়ের ফাশো-র নিজের জবানিতেও ধরা পড়ে : " To fulfill your mission you must do exactly the opposite of what existed before you."
আরও পড়ুন: পেপারব্যাক : বিদেশে ও স্বদেশে
পেপারব্যাক প্রচ্ছদের বিবর্তনে যেন ফরাসি সমাজে এলিট বনাম সাধারণের টানাপড়েনের মুখে ধরা আয়না। গায়িমার-এর যুগের রক্ষণশীল ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা থেকে শুরু করে ফাশো-মাসাঁ, এরপর স্কর্পিওন এডিশনের থ্রিলার সিরিজে প্রায় পর্নোগ্রাফিক প্রচ্ছদ (ফরাসি নিরিখে) থেকে মুখ সরিয়ে, বর্তমানে ফরাসি প্রকাশনা জগতে চলছে এক মিশ্র নীতি। তারা বাজারে আনছে যেমন আনছে কফি-টেবিল বই, তেমন থাকছে হার্ডব্যাক বাঁধাইও। গাইমারের থেকে ধার করা সাদা কাগজের প্রচ্ছদের পাশাপাশি ফাশো-র সময়ের রঙবেরঙের ছবি, কায়দার টাইপফেসে লেখা নামও জায়গা করে নিচ্ছে প্রচ্ছদে। যার মাধ্যমে যেমন ধরা থাকছে ফরাসি ক্লাসিজম, সঙ্গে রাখা থাকছে বিপ্লবের সাক্ষীবাহী আধুনিকতার আস্ফালনও। আর এই দুই মিলেই বইপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি করছে নিত্যনতুন কফিটেবিল বই সংগ্রহের অদম্য এক আকাঙ্খা। ড্রয়িংরুমের আড্ডায় বা কনফারেন্স হলের ওয়েটিংরুমে এইসব বই যোগ করছে ফরাসি এলিটিজমের ছোঁয়া। আর দৈনন্দিন ফরাসির হাতের তালুতে, কোটের পকেটে দেখা যাচ্ছে পকেটফ্রেন্ডলি প্রিয় পেপারব্যাকের রমরমা।