বিজেপিতে গেলেই ফাঁড়ামুক্তি! দেশের ২৩ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে যেভাবে বাঁচিয়েছে মোদি সরকার

BJP and ED: কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তাধীন থাকা মোট ২৫ জন বিরোধী দলনেতা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে যুক্ত হওয়ার পর, ২৩ জনই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন।

লোকসভা ভোটের বহু আগে থেকেই বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলেছে যে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধীশূন্য ভোট করাতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হাতিয়ার করে বিরোধী নেতাদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের' একটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তাধীন থাকা মোট ২৫ জন বিরোধী দলনেতা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে যুক্ত হওয়ার পর, ২৩ জনই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন। দেখা গেছে, ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মামলাগুলি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। বিরোধীরা গেরুয়া শিবিরের এই পদ্ধতিকে 'ওয়াশিং মেশিন' রাজনীতি বলে ডাকে। বিরোধী দলগুলির যুক্তি, বিজেপিতে যুক্ত হলেই কালিমালিপ্ত নেতারা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যান, তাঁদের আর কোনও জেরার সম্মুখীনও হতে হয় না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ জন বিরোধী দলনেতার মধ্যে কংগ্রেস থেকে ১০ জনের, এনসিপি এবং শিবসেনা থেকে ৪ জনের, তৃণমূল থেকে ৩ জনের, টিডিপি থেকে ২ জনের, এসপি এবং ওয়াইএসআরসিপি থেকে ১ জনের নাম রয়েছে। এই বিরোধী দলনেতাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আছে?

শুভেন্দু অধিকারী

এপ্রিল ২০১৭ : নারদা মামলায় সিবিআই এফআইআর দায়ের করে।

এপ্রিল ২০১৯ : সিবিআই লোকসভা স্পিকারের থেকে তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়েছিল।

ডিসেম্বর ২০২০ : তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : নারদা মামলায় অভিযুক্ত।


তাপস রায়

জানুয়ারি ২০২৪ : বাড়ি তল্লাশি হয়।

মার্চ ২০২৪ : তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

মার্চ ২০২৪ : উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন।

বর্তমান : তদন্তাধীন।

অভিযোগ : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত।

 

শোভন চট্টোপাধ্যায়

এপ্রিল ২০১৭ : সিবিআই এফআইআর দায়ের করে

নভেম্বর ২০১৮ : কলকাতা মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অগাস্ট ২০১৯ : তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

মার্চ ২০২১ : বিজেপির টিকিট প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিজেপি ছেড়ে দেন।

মে ২০২১ : সিবিআই গ্রেফতার করে।

বর্তমান : মামলা বিচারাধীন, জামিনে আছেন।

অভিযোগ: নারদা - সারদা মামলায় অভিযুক্ত।

 

অজিত পাওয়ার

অগাস্ট ২০১৯ : মুম্বই পুলিশ EOW এফআইআর দায়ের করে।

সেপ্টেম্বর ২০১৯ : ইডি এফআইআরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালায়।

অক্টোবর ২০২০ : EOW মামলা বন্ধ করতে চায়, ইডি তাও তদন্ত চালায়।

এপ্রিল ২০২২ : পাওয়ারের নাম ছাড়াই ইডি চার্জশিট তৈরি করে।

অক্টোবর ২০২২ : মুম্বই EOW, ইডির প্রমাণের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার তদন্ত করতে চায়।

জুলাই ২০২৩ : এনসিপি থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

জানুয়ারি ২০২৪ : EOW দ্বিতীয়বার মামলা বন্ধ করতে চায়।

বর্তমান: EOW মামলা তুলে নেওয়ায়, ইডির পক্ষে তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ : মহারাষ্ট্র স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক কারচুপির মামলায় অজিত পাওয়ার এবং আরও কিছুজনের বিরুদ্ধে ইকোনমিক অফেন্স উইংস (EOW) এফআইআর দায়ের করেছিল।

আরও পড়ুন- সত্যিই বিজেপির পুতুল হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর? ফলবে সব ভবিষ্যদ্বাণী?

প্রফুল্ল পটেল

মে ২০১৭ : ইডি তল্লাশি চালায় এয়ার ইন্ডিয়ায়।

মে ২০১৯ : চার্জশিটে পটেলের নাম উল্লেখ করা হয়।

জুন ২০২৩ : এনসিপি থেকে বিজেপি যোগ দেন।

মার্চ ২০২৪ : সিবিআই এই মামলায় ক্লিনচিট দেয়।

বর্তমান : মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযোগ : অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী থাকাকালীন বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সে আর্থিক তছরুপ। এয়ার ইন্ডিয়ার লাভজনক রুট বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।


প্রতাপ সারনায়েক

নভেম্বর ২০২২ : EOW-র এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি অভিযান চালায়।

জানুয়ারি ২০২১ : EOW মামলা বন্ধ করার রিপোর্ট করে।

জুন ২০২২ : শিবসেনা ছেড়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দেন।

সেপ্টেম্বর ২০২২ : কোর্ট মামলা বন্ধের আর্জি মেনে নেয়।

বর্তমান : মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযোগ : প্রতাপের ছেলের কোম্পানি Tops Group-এর বিরুদ্ধে ১৭৫ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ ওঠে।


হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

অগাস্ট ২০১৪ : বাসভবনে ও অফিসে সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায়।

নভেম্বর ২০১৪ : সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে।

অগাস্ট ২০১৫ : কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন এবং লুইস বার্জার মামলাতেও অভিযুক্ত।


হাসান মুশরিফ

ফেব্রুয়ারি - মার্চ ২০২৩ : তাঁর ফ্যাক্টরি SSSGSF-এ তিনবার অভিযান হয়।

জুলাই ২০২৩ : এনসিপি থেকে এনডিএ-তে যোগ দেন।

বর্তমান : তারপর থেকে মামলার তদন্ত হয়নি।

অভিযোগ : মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে তাঁর ফ্যাক্টরি Sar Senapati Santaji Ghorpade Sugar-এর জন্য ৪০,০০০ কৃষকের কাছ থেকে শেয়ারে টাকা নিয়ে তাঁদের শেয়ারের কাগজপত্র দেননি।


ভাবনা গাওলি

অগাস্ট ২০২১ : ইডি তল্লাশি চালায়।

সেপ্টেম্বর ২০২১ : ইডির হাতে গ্রেফতার হন।

নভেম্বর ২০২১ : ইডি চার্জশিট ফাইল করে।

জুন ২০২২ : শিবসেনা থেকে এনডিএ-তে যোগদান করেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : পাবলিক ট্রাস্ট থেকে ১৭ কোটি টাকা অপব্যবহার।


যামিনী এবং যশবন্ত যাদব

ফেব্রুয়ারি ২০২২ : ইডি অভিযান চালায়।

মে ২০২২: ইডি মামলা নথিভুক্ত করে যশবন্তকে তলব করে।

জুন ২০২২: শিবসেনা থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন। তাঁদের কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। ২০২০ সালে কর-রাজস্ব বিভাগের অভিযোগ, ৪০টিরও বেশি বেআইনি সম্পত্তির সঙ্গে তাঁরা যুক্ত।


সিএম রমেশ

অক্টোবর ২০১৮ : তল্লাশি হয়।

জুন ২০১৯ : টিডিপি থেকে বিজেপিতে যোগ দান করেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ছিল।


রনিন্দর সিং (কংগ্রেস, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের ছেলে)

মার্চ ২০১৮ : বাবা অমরিন্দরকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে।

নভেম্বর ২০২০ : ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে।

নভেম্বর ২০২১ : বাবা অমরিন্দর কংগ্রেস ছাড়েন।

সেপ্টেম্বর ২০২২: অমরিন্দর কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : বিদেশি মুদ্রা পরিচালনা আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগ। ৯৪ কোটি টাকা ঋণের জালিয়াতি।


সঞ্জয় শেঠ

জুন ২০১৫ : তল্লাশি হয়।

অগাস্ট ২০১৯ : এসপি থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

জুলাই ২০২৩ : টিমের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : বিজেপি উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য করে।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : তাঁর সঙ্গে সংযুক্ত কোম্পানি শালিমার কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

 

কে গীতা

জুন ২০১৫ : চার্জশিট দেয় সিবিআই।

জুলাই ২০১৯ : ওয়াইএসআরসিপি থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

সেপ্টেম্বর ২০২২: বিশেষ আদালত ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

সেপ্টেম্বর ২০২২ : তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট সাজা স্থগিত করে, জামিন দেয়।

মার্চ ২০২৪ : তেলঙ্গানা হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন।

মার্চ ২০২৪ : বিজেপি লোকসভা ভোটের প্রার্থী করে।

বর্তমান : মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

অভিযোগ : তাঁদের Visweswara Infrastructure Pvt Ltd কোম্পানি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ভুল তথ্য দিয়ে ৪২ কোটি টাকার ঋণ করেছিল।

 

ছগন ভুজবল

মার্চ ২০১৬ : ইডির হাতে গ্রেফতার হন।

এপ্রিল ২০১৬ : ইডি চার্জশিট ফাইল করে।

মে ২০১৮ : দু'বছর জেলেবন্দি থাকার পর জামিন হয়।

সেপ্টেম্বর ২০২১ : বিশেষ আদালতে খালাস পান।

জুলাই ২০২৩ : এনসিপি থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

ডিসেম্বর ২০২৩ : ইডি পিটিশন তুলে নিয়ে আদালতের কাছে তাঁর বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি চায়।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : পিডব্লিউডি মন্ত্রী থাকাকালীন ১০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক তছরুপ।


কৃপাশঙ্কর সিং

ফেব্রুয়ারি ২০১২ : মহারাষ্ট্রের পুলিশ মামলা করে।

এপ্রিল ২০১৫ : চার্জশিট তৈরি হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০১৮ : আদালতের রায়ে খালাস হন।

সেপ্টেম্বর ২০১৯ : কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন।

জুলাই ২০২১ : কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ: বেআইনি সম্পত্তি এবং অর্থনৈতিক কারচুপি।

 

দিগম্বর কামথ

অগাস্ট ২০১৫ : বাড়িতে তল্লাশি হয়।

মার্চ ২০১৭ : দ্বিতীয়বার তল্লাশি করে ইডি।

জুলাই ২০২১ : কোর্টে চার্জশিট পেশ।

এপ্রিল ২০২২: সুপ্রিম কোর্ট বম্বে হাইকোর্টের রায়ে সমর্থন করে ইডিকে মামলা থেকে সরিয়ে দেয়।

সেপ্টেম্বর ২০২২: কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তমান : বিচারাধীন।

অভিযোগ: লুইস বার্জার কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন- অপরিপক্ক নৌশাদের হাতে কীভাবে ঘোল খেয়ে গেলেন পক্ককেশ বামেরা?

অশোক চহ্বান

ডিসেম্বর ২০১১: অশোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের।

জুলাই ২০১২ : সিবিআই চার্জশিট বানায়।

জানুয়ারি ২০১৮ : সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার বিচার স্থগিত করে।

ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

 অভিযোগ : আদর্শ হাউজিং মামলায় মূল অভিযুক্তদের মধ্যে একজন।


নবীন জিন্দল

জুন ২০১৩ : জিন্দলের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে।

২০১৬/২০১৭ : চার্জশিট তৈরি করে।

এপ্রিল ২০২২ : নতুন মামলায় ইডির অভিযানের মুখোমুখি হন।

মার্চ ২০২৪ : কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তমান : মামলা চললেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না।

অভিযোগ : কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত।


অর্চনা পাটিল

এপ্রিল ২০১৭: তাঁর স্বামীর কোম্পানিতে তল্লাশি।

মার্চ ২০২৪: কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন ।

বর্তমান : আইটি ট্রাইব্যুনাল বলছে কোনও মামলা নেই।

অভিযোগ : তাঁর স্বামীর NV Group কোম্পানির ডিরেক্টর। কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়েছে।

 

গীতা কোড়া

সেপ্টেম্বর ২০১২ : সিবিআই মামলা করে।

ডিসেম্বর ২০১৪ : চার্জশিট দেয় সিবিআই।

ডিসেম্বর ২০১৭: সাজা ঘোষণা হয়।

ডিসেম্বর ২০১৮: সাজায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তমান: তদন্তাধীন।

অভিযোগ : কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত।

 

বাবা সিদ্দিকি

মে ২০১৭ : তল্লাশি হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : কংগ্রেস থেকে বিজেপি যোগদান

বর্তমান অবস্থা : তদন্তাধীন

 অভিযোগ: বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৫০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ।

 

জ্যোতি মির্ধা

মার্চ ২০২০ : তাঁর আত্মীয়দের তলব হয়।

এপ্রিল ২০২১ : ইডি তল্লাশি চালায়।

ফেব্রুয়ারি ২০২২ : Indiabulls কোম্পানিতে তল্লাশি অভিযান চালায়।

সেপ্টেম্বর ২০২২ : মামলা বাতিল হয়।

এপ্রিল ২০২৩ : ইডি Indiabulls-এর বিরুদ্ধে নতুন মামলা শুরু করে।

সেপ্টেম্বর ২০২৩ : কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।

ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : ইডি তল্লাশি চালায়।

মার্চ ২০২৪ : বিজেপির লোকসভা প্রার্থী।

বর্তমান : তদন্তাধীন।

অভিযোগ: Indiabulls কোম্পানির বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগ ছিল। তার মধ্যে একটি হল- শেয়ারের দরে প্রতারণা। এই কোম্পানির প্রোমোটার জ্যোতি মির্ধার স্বামীর ভাই।


সুজনা চৌধুরী

এপ্রিল ২০১৬ : ইডি তল্লাশি করে।

অক্টোবর ২০১৮ : দ্বিতীয়বার ইডি তল্লাশি চালায়।

এপ্রিল ২০১৯ : ৩১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ তোলে ইডি

জুন ২০১৯ : টিডিপি থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।

বর্তামন : তদন্তাধীন।

অভিযোগ : তাঁর কোম্পানি Best and Crompton Engineering Project Ltd (BCEPL) বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৩৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ করেনি।

উল্লেখ্য, দল বদল করে ২৫ জন নেতার মধ্যে ২৩ জন নেতা যেমন কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি থেকে আপাতত রেহাই পেয়েছেন, ৩ জন নেতার (অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল পটেল, প্রতাপ সারনায়েক) বিরুদ্ধে আবার মামলা বন্ধও হয়ে গিয়েছে। ২০ জন নেতার মামলা তদন্তাধীন হলেও, তা এখন হিমঘরে। পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে দেখতে গেলে, অভিযুক্ত তিন দলনেতার দু'জন এখনও পদ্ম শিবিরেই রয়েছেন। ২০১৮ সালে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিজেপি ছাড়ার পরই গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। এদিকে ২০১৬ সালে একই মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার হতে হয়নি। আবার, এবছর জানুয়ারিতে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে ইডির গোয়েন্দারা তল্লাশি চালিয়েছিলেন। দু'মাসের মধ্যেই দল বদল করে, বিজেপির উত্তর কলকাতার প্রার্থী হন তিনি। বিরোধীদের দাবি কি তাহলে ঠিক? পদ্মশিবির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করেই তবে দল ভারী করছে?

More Articles