কাশ্মীরে সন্ত্রাস মোকাবিলায় দক্ষ! আগামী ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী আসলে কে?

New Indian Army chief Upendra Dwivedi: চিনের সঙ্গে ক্রমশ বাড়তে থাকা উদ্বেগজনক সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আলোচনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

দেশের পরবর্তী সেনা প্রধান হতে চলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি অনুসারে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী আগামী ৩০ জুন নতুন দায়িত্ব নেবেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ. ভারত ভূষণ বাবু এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন, বর্তমানে উপেন্দ্র দ্বিবেদী সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত। রেওয়ারর সৈনিক স্কুলের প্রাক্তনী আগামী সেনা প্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী ১৯৮৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলে যোগ দেন। পরে তিনি ওই একই ইউনিটের কমান্ডার হিসেবেও কাজ করেন।

সামরিক বাহিনীতে জীবনের ৩৯ বছরেরও বেশি কাটিয়েছেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী কাশ্মীর উপত্যকার পাশাপাশি রাজস্থান সেক্টরের ইউনিটের নেতৃত্বও দিয়েছেন। দেশের উত্তর-পূর্ব সেক্টরে অসম রাইফেলসের সেক্টর কমান্ডার এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

দ্বিবেদী ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজেরও প্রাক্তন ছাত্র। ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন এবং আর্মি ওয়ার কলেজেও পড়াশোনা করেছেন। প্রতিরক্ষা এবং ব্যবস্থাপনায় এম ফিলও করেছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী সেনা সদর দফতরের উপপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং হিমাচল প্রদেশের নবম কর্পসের প্রধান ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতার পর এই প্রথম! দেশের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হল না একজন মুসলিম সাংসদেরও

দেশের ৩০ তম সেনাপ্রধান হতে চলেছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পরম বিশিষ্ট সেবা পদক, অতি বিশিষ্ট সেবা পদক এবং তিনটি জিওসি-ইন-সি কম্যান্ডেশন কার্ড অর্জন করেছেন। সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ, নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার (২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত), ডিজি ইনফ্যান্ট্রি এবং বাহিনীতে অন্যান্য অনেক দায়িত্বপালনের পর প্রধান হিসেবে বিপুল দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি।

উত্তর সেনা কমান্ডার হিসাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অভিযানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা করেছেন। গোটা পরিকল্পনার তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনিই। চিনের সঙ্গে ক্রমশ বাড়তে থাকা উদ্বেগজনক সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আলোচনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্ববৃহৎ সেনা কমান্ডের আধুনিকীকরণ ও ঢেলে সাজানোর নেপথ্যেও রিয়েছেন তিনি। আত্মনির্ভর ভারত-এর অংশ হিসাবে দেশিয় সরঞ্জাম ইত্যাদি আনার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট দ্বিবেদী।

More Articles