নিছকই দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র! ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসির মৃত্যুতে কার লাভ, কার ক্ষতি?

Ebrahim Raisi: রইসির মৃত্যু যে শুধু ইরানেই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতেও অস্থিরতা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, সে নিয়ে প্রমাদ গুনেছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।

ইজরায়েল-ইরান সংঘাত ঘনিয়ে ওঠার মাঝখানেই বড়সড় দুর্ঘটনা। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এবং সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। সূত্রের খবর, আজারবাইজান সফরে যাওয়ার পথে একটি পার্বত্য এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারায় রইসির চপারটি। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, 'হার্ড ল্যান্ডিং' করেছে রইসির চপার। স্থানীয় অন্য একটি সংবাদমাধ্যম অবশ্য জানিয়েছিল, ভেঙে পড়েছিল রইসিদের চপারটি। আর তাতেই প্রাণ হারান ইরানের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সফরসঙ্গী ইরানের বিদেশমন্ত্রী। সত্যিই কি দুর্ঘটনা, নাকি এর নেপথ্য রয়েছে অন্য কোনও ষড়যন্ত্রের গন্ধ? উস্কে উঠেছে জল্পনা।

ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের দ্বন্দ্ব আজকের নয়। মধ্যিখানে চরমে পৌঁছেছিল সেই সংঘাত। বড়সড় যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনাও তীব্র হয়ে উঠেছিল। ইজরায়েলের হামলার জবাবে হামলা চালায় ইরান। তার উত্তর দিয়েছিল ইজরায়েলও। এমনকী ইরানকে তারা কোনও ভাবে ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঙ্কার দিয়েছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। তার পর জল গড়িয়েছে বহু দূর। আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইজরায়েল-ইরান সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়লেও সবার অলক্ষ্যে ছোট ছোট হামলা-প্রতিহামলা চলছেই দু-পক্ষের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে রইসির চপার দুর্ঘটনাকে মোটেই সাদা চোখে দেখতে পারছে না কূটনীতিক মহল। জানা গিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট, বিদেশমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন আট শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, পূর্ব আজারবাইজানের যে জায়গায় রইসির চপারটি ভেঙে পড়ে, সেটি ইরানের রাজধানী থেকে অন্তত ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। সেখানে সেদিন তীব্র ঠান্ডা, ভারী বৃষ্টি ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ছিল বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে দৃশ্যমানতা কমে যায় অনেকটাই। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় রইসিদের কপ্টার।

দীর্ঘদিন ধরেই প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের উপর ক্ষুব্ধ ছিল ইরান। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রতিও তাদের সমর্থন ছিল। একই সঙ্গে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হাউথি ও লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহরাও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সঙ্গে ছিল ইরানের। সে নিয়ে বৈরিতা গড়িয়েছিল বহু দূর। ওয়াকিবহাল মহলের কারওর কারওর সন্দেহ, রইসির মৃত্যুর নেপথ্যে হাত রয়েছে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের। যারা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী গুপ্তচর সংস্থা হিসেবেও পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই ইজরায়েল অভিযোগ করে আসছে, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের মতো একাধিক দেশকে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে তেহরান প্রশাসন।

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর হুমকির পরেই ইরানে জারি রেড অ্যালার্ট! কোন দিকে যাচ্ছে ইজরায়েল-ইরান অশান্তি?

তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোসাদ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, অতীতে তারা কখনও কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের উপর এ ভাবে সরাসরি হামলা চালায়নি। বরং বরাবরই চোরাগোপ্তা পথে হামলা চালাতেই বেশি সিদ্ধহস্ত তারা। বিপক্ষদেশের সামরিক বা আর্থিক পরিকাঠামো নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষেত্রেই বিশেষ ব্যুৎপত্তি রয়েছে। ফলে রইসির মৃত্য়ুর সঙ্গে আদৌ মোসাদের তেমন যোগ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।

সোমবার সকালে আজারবাইজানের পূর্ব দিকের একটি এলাকা থেকে রইসির কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় তল্লাশিকারীরা। যেভাবে চপারটি মিলেছে, তাতে আর কারওর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে তারা। গোটা হেলিকপ্টারটিই ভস্মীভূত হয়ে যায়। ইব্রাহিম রইসি মার্কিন সংস্থার তৈরি বেল ২১২ হেলিকপ্টারে সওয়ার ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। রেড ক্রিসেন্ট আর্মি এবং উদ্ধারকারী দল প্রেসিডেন্ট রইসি সহ হেলিকপ্টারের সমস্ত যাত্রীর দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর দুর্গম পাহাড়ের কোল থেকে প্রেসিডেন্ট-সহ ৯ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। সমস্ত মৃতদেহ উদ্ধার হতে তল্লাশি অভিযান সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।

হঠাৎ করেই রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যুতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ইরান জুড়ে। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে বড়সড় কোনও হামলা চালাতে পারে শত্রুদেশের সেনা, এমন আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইব্রাহিম রইসি-সহ ইরানের বিদেশমন্ত্রী ও আমাত্যদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন বিশ্বনেতারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন থেকে শুরু করে চিনের প্রেসিডেন্টে শি চিনপিং, তুর্কির প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়েপ এর্দোয়ান, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ-সহ বহু রাষ্ট্রনেতাই শোকজ্ঞাপন করেছেন। ইরানের সঙ্গে বিশেষ মিত্রতা ছিল ভারতের। শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

রইসির মৃত্যু যে শুধু ইরানেই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতেও অস্থিরতা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, সে নিয়ে প্রমাদ গুনেছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। ধর্মগুরু থেকে সোজা দেশের প্রেসিডেন্ট, ধূমকেতু বেগেই উত্থান হয়েছিল রইসির। প্রজাতোষণকারী রাষ্ট্রনায়ক কোনওদিনই ছিলেন না তিনি। বরং ইরানের একাধিক কালো অধ্যায়ের রচয়িতা নিহত প্রেসিডেন্ট। ইরানের কট্টরপন্থী নেতা হিসেবে তাঁর নাম যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ১৯৮৮ সালে ইরানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ডের নেপথ্যে যেমন ছিলেন তিনিই, তেমনই ইউরেনিয়ামে সমৃদ্ধ ইরানের অর্থনীতিতে সোনালি দিন ফেরানোতেও অবদান তাঁর। একবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসলামদের ধর্মগ্রন্থ কোরানে চুম্বন করে বসেন তিনি। বলেছিলেন, কোনও রাষ্ট্রনেতা নয়, তিনি ধর্মপ্রচারক মাত্র। সে নিয়ে কম বিতর্ক হয় নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে। রইসির সময়েই হিজাব বিরোধী আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল ইরান জুড়ে। ব্যাপক আন্দোলন হয় তখন তাঁর বিরুদ্ধে। আচমকা চপার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন সেই রইসিই।

খামেনেই-ঘনিষ্ঠ রইসিকে নিয়ে ইরানের অন্দরে আরও একটি জল্পনা ছিল। মনে করা হচ্ছিল, ৮৫ বছরের খামেনেইর জায়গায় অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হতে চলেছেন রইসিই। কিন্তু, তাঁর মৃত্যুতে ওলটপালট হয়ে গেল সমস্ত অঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে বংশ পরম্পরার প্রথা মেনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জায়গা পেতে পারেন খামেনেইয়ের পুত্র মোজতবা খামেইনি। যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন বহু ইরানীয় ধর্মীয় নেতাই।

রইসির অবর্তমানে ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেছেন সেখান ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবর। সাময়িক ভাবে ইরান শাসনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করতে হবে তাঁকে। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের আচমকা মৃত্যু হলে সাময়িক ভাবে ওই দায়িত্ব পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি সরকারের তিন সদস্যের কাউন্সিলের এক জন সদস্য হিসাবেই ওই দায়িত্ব পাবেন। কাউন্সিলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও রয়েছেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান। তবে রইসির মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যেই সেই কাউন্সিলকে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। সেখান থেকেই দেশ বেছে নেবে নয়া প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, মোখবর, দেশের সংসদের স্পিকার মহম্মদ বকর কালিবাফ এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রধান গোলামহোসেন মোহসেনি এঝেইয়ের কাঁধেই পরবর্তী নির্বাচন করানোর দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন রইসি। তাঁর বদন্যতাতেই ইরানের সিংহাসনের দখল নিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন তিনি। সেই সময়েই ভাইস-পদে বসেন মোখবর। তিনিও খামেনেই-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এই মুহূর্তে মোখবরের বয়স ৬৯। ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম তাঁর। ইরানের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। খামেনেইয়ের নির্দেশ কার্যকরের যে সরকারি সংগঠন রয়েছে ইরানে, সেই Setad-এরও দায়িত্বে ছিলেন একসময়। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর বিদ্রোহীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর জন্য ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা। পরবর্তী কালে বিতর্ক এবং নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ওই সংগঠন। পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্র সংক্রান্ত কার্যকলাপের জন্য ২০১০ সালে মোখবরের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। দু'বছর পর যদিও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় তাঁর উপর থেকে। খামেনেইয়ের পূর্বসুরি, এবং দেশে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনির নির্দেশেই Setad-এর প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৭৯ সালে বিদ্রোহী-সহ যাঁরা ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেশের কাজে লাগানোর জন্যই ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে শুধু মোখবরই নয়, রইসির মৃত্যুতে দেশের সংসদের স্পিকার মহম্মদ বকর কালিবাফের ক্ষমতায় আসার রাস্তাও প্রশস্ত হল বলে দাবি কূটনীতিক মহলের। দীর্ঘ দিন ধরেই নাকি প্রেসিডেন্ট হওয়ার বাসনা তাঁর। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ভূরি ভূরি। ফলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে এখনই পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।

গত বছর অক্টোবর মাসে ইরান থেকে মস্কো গিয়েছিলেন ইরানের আধিকারিকরা। ওই দলে ছিলেন মোখবরও। রুশ সেনাকে ভূমি থেকে ভূমিতে আক্রমণ হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মত হন তিনি। রইসির মৃত্যুতে এবার ইরানের রাজনীতিতে একেবারে মুখ্য ভূমিকায় উঠে এলেন মোখবর। খামেনেইয়ের বিশ্বস্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশে লাগাতার বিরোধের মুখে পড়তে হয় রইসিকে। তাঁর রক্ষণশীল নীতি, কট্টরপন্থী অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাই মোখবরের আগমনে দেশের রাজনীতির ভারসাম্য পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। একই সঙ্গে রইসির মৃত্যুর প্রভাব পড়তে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতেও। ইজরায়েলের সঙ্গে গাজার হামাসের সংঘর্ষে ইরানের ভূমিকা ছিল সর্বজনবিদিত। যুদ্ধাস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, অর্থ দিয়ে তো বটেই, হামাস নেতাদের নিরাপত্তা দিয়েছে রইসির ইরান প্রশাসন৷ রইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে হামাসও। শুধু ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধেই নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও আমেরিকা সমর্থিত ইউক্রেনের বিপরীতে রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ছিল ইরান। ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে, এমন একটা কথাবার্তাও চলত বিরোধী দেশগুলির অন্দরে।

আরও পড়ুন: ইরানকে ‘সবক’ শেখাতে কতদূর যাবে ইজরায়েল? ভারতকেও ভুগতে হবে ফল?

সব মিলিয়ে রইসির এই আকস্মিক মৃত্যু বিশ্ব রাজনীতিতে ঠিক কতখানি প্রভাব ফেলতে চলেছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। রইসির না থাকার সুযোগটাকে কি আদৌ ব্যবহার করবে ইজরায়েল। রইসির মৃত্যু কি দুর্বল করে দেবে হামাসকেও, উঠেছে প্রশ্ন। ইরানের এই রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় ছায়া কতটা পড়বে পশ্চিম এশিয়ার সীমান্ত সংঘর্ষে? সেটাও ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি কী হতে চলেছে ইরানের ভবিষ্যৎ? রইসির মতো কট্টোরপন্থী কেউ নাকি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মতো তুলনামূলক নরম কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে চলছে ইরান? সেদিকেও তাকিয়ে বিশ্ব রাজনীতি।

More Articles