মোদির শপথগ্রহণে কেন ডাক পেলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

Mamata Banerjee Modi 3.0: মমতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই এনডিএ জোটের সমর্থনে বিজেপি সরকারের মেয়াদ বেশি দিনের নয়।

নেহেরু পরপর তিনবার শপথ নিয়েছিলেন, ইন্দিরা নিয়েছিলেন ৪ বার, অটল বিহারী বাজপেয়ীও পরপর তিন দফায় শপথ নেন। নরেন্দ্র মোদিও নিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও, জোটসঙ্গীদের মদতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদি, আবার। এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের ফল ছিল চমকপ্রদ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি না হলেও বিজেপি বেশ পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিরোধীদের এই জোট। ইন্ডিয়া জোটের কাউকেই আমন্ত্রণও জানালেন না মোদি। রবিবার ৯ জুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি জোটসঙ্গীদের কাউকেই। রাহুল গান্ধি, অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্যই রইলেন শপথের অনুষ্ঠানে।

নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির প্রতি নিজের 'কড়া' মনোভাব এখনও একইভাবে বজায় রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই শপথগ্রহণে ডাক পাননি তিনি বা তাঁর দল। "যদিও আমরা অনুষ্ঠানে যোগ দেব না," স্পষ্টই জানিয়েছিলেন মমতা। মোদি ৩.০ সরকারকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেছেন, একটি অসাংবিধানিক, অবৈধ দলের জন্য শুভ কামনা করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির শপথগ্রহণ বিষয়ে বলেছেন, “আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি সরকার গঠনের জন্য একটি অসাংবিধানিক, অবৈধ দলকে শুভ কামনা করতে পারি না। দেশের জন্য আমার শুভকামনা থাকবে। আমি সব সাংসদদের বলব তাদের দলকে শক্তিশালী করতে… আমরা আপনাদের দল ভাঙব না কিন্তু আপনাদের দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবেই, আপনাদের দলের লোকজন খুশি নয়।"

আরও পড়ুন- বাংলা থেকে মোটে ২! কাদের কাদের মন্ত্রী করলেন নরেন্দ্র মোদি ৩.০?

মমতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই এনডিএ জোটের সমর্থনে বিজেপি সরকারের মেয়াদ বেশি দিনের নয়। নীতীশ কুমার আর চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনে মোদি আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু নীতীশ কুমারের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। তাই কি শপথগ্রহণের আগেই সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা উস্কে দিলেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলছেন, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া এখন সরকার গঠনের দাবি করেনি মানে এই নয় যে ভবিষ্যতে করবে না। “দেশের পরিবর্তন দরকার। কেউ মোদিকে চায় না। এই ফলাফলের পরে, মোদির পদত্যাগ করা উচিত ছিল। আমি জানি না বিজেপি জোটের শরিকদের কতটা সন্তুষ্ট করতে পারবে,” বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ভারতীয় জনতা পার্টি এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৪০টি লোকসভা আসন জিতেছে। ২০১৯ সালে বিজেপি পেয়েছিল ৩০৩টি আসন৷ কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য একটি দল বা জোটের ৫৪৩ সদস্যের সংসদের নিম্নকক্ষে ২৭২টি আসন প্রয়োজন৷ বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ৩২ টি আসন কম পায়। ফলে এনডিএ-র শরিকদের সমর্থনে সরকার গঠন করতে হলো বিজেপিকে। এই জোটের চূড়ান্ত সংখ্যা ২৯২টি।

More Articles