ভয়াল ১৭ দিন! সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে অবশেষে আলোয় বন্দি শ্রমিকেরা

Uttarakhand Tunnel Rescue: সারা দিন ধরে ওই শ্রমিকদের মুক্তির অপেক্ষা করেছে গোটা দেশ।  মুহুর্মুহু বেড়েছে উদ্বেগ। অবশেষে এসেছে সাফল্য।

অবশেষে মুক্তি। ১৭ দিন পর সুড়ঙ্গ থেকে একে একে বেরিয়ে এলেন ৪১ জন শ্রমিক। সারা দেশের প্রার্থনা, পরিবারের আকুতি আর উদ্ধারকারী দলের অক্লান্ত পরিশ্রম, অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছে।  প্রায় সতেরো দিন ধরে সূর্যের আলো দেখেননি উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকেরা। প্রতিদিন সকালে উঠে যে আশার আলো ফুটে উঠেছে, সন্ধে হতে না হতেই ভেঙেছে সেই স্বপ্ন। বাড়ি যাওয়ার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়েছে। প্রতিদিন অন্ধকার সুড়ঙ্গে বসে বসে পরিবারের লোকেদের কথা ভেবেছেন বন্দি শ্রমিকেরা। অথচ সেই আশা প্রতিদিন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ডুবে গিয়েছে। বারবার উদ্ধারকাজে সাফল্যের পথে এসে পড়েছে একের পর এক কাঁটা। কখনও নেমেছে ধস, কখনও ভেঙে গিয়েছে খননযন্ত্র। অবশেষে ইঁদুরের মতো রাস্তা খুঁড়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে উদ্ধারকারী দল। আর সেই সনাতনই রাস্তাতেই অবশেষে এল সাফল্য।

বিপর্যয়

গত ১২ নভেম্বর সুড়ঙ্গের ভিতরে কাজ করার সময় ধস নামে হঠাৎই। চারদিকে ধসের জেরে সুড়ঙ্গের একটি অংশে বন্দি হয়ে পড়েন ওই কর্মীরা, জীবন্ত। ক্রমাগত চিৎকার করেছেন বাঁচাও, বাঁচাও বলে। যদি কেউ শোনেন, যদি কেউ এসে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত। অবশেষে সেই আওয়াজ পৌঁছয় বাইরের পৃথিবীতে। পড়ে যায় হইচই। আসে উদ্ধারকারী দল। পুলিশ, দমকল থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। থাইল্যান্ডের গুহায় বন্দি ফুটবল দলকে উদ্ধারের ঘটনায় যে দলটি কাজ করেছিল, উড়িয়ে আনা হয় তাদের। দিল্লি থেকে উড়ে আসে মার্কিন অগার মেশিন। ব্যাঙ্গালোর থেকে উড়ে আসে প্লাজমা কাটার। উদ্ধারকাজে কোনও রকম কার্পণ্য করেনি সরকার। সব রকম ব্যবস্থা করেছে। তবু বারবার বিধি বাম।

আরও পড়ুন: ব়্যাটহোল মাইনিং কী? এ পথেই কি উদ্ধার হবেন সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকেরা?

গত রবিবার সুড়ঙ্গের ভিতরে বিকল হয় মার্কিন অগার মেশিন। ভেঙে যায় ব্লেড। ফের সূর্যের আলো দেখার স্বপ্নে কাঁটা পড়ে শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের ভিতর শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল খাবার, জল ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। পাঠানো হয় অক্সিজেন। তবু অধীর অপেক্ষা যেন শেষই হচ্ছিল না শ্রমিকদের। প্রায় সমস্ত সময়ই তাঁদের উপরে নজর রাখা হয়েছে।

বন্দি শ্রমিকদের তালিকা

ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকদের পরিচয়। উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে বহু রাজ্যের মানুষ। সবচেয়ে বেশি রয়েছে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ১৫ জন শ্রমিকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। সুড়ঙ্গে বন্দি ৮ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বিহার থেকে রয়েছেন ৫ জন, উত্তরাখণ্ড থেকে ২ জন, অসমের ২ জন, হিমাচলপ্রদেশ থেকে ১ জন, ওড়িশা থেকে ৫ জন ও বাংলার ৩ শ্রমিকও। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের হুগলি জেলার বাসিন্দা রয়েছেন ওই দলটির মধ্যে। শ্রমিকরা হলেন- 

গব্বর সিং নেগি, উত্তরাখণ্ড
সাবাহ আহমেদ, বিহার
সোনু শাহ, বিহার
মনির তালুকদার, পশ্চিমবঙ্গ
সেবিক পাখেরা, পশ্চিমবঙ্গ
অখিলেশ কুমার, ইউপি
জয়দেব প্রামাণিক, পশ্চিমবঙ্গ
বীরেন্দ্র কিস্কু, বিহার
স্বপন মন্ডল, ওড়িশা
সুশীল কুমার, বিহার
বিশ্বজিৎ কুমার, ঝাড়খণ্ড
সুবোধ কুমার, ঝাড়খণ্ড
ভগবান বাত্রা, ওড়িশা
অঙ্কিত, ইউপি
রাম মিলন, ইউপি
সত্যদেব, ইউপি
সন্তোষ, ইউপি
জয় প্রকাশ, ইউপি
রাম সুন্দর, উত্তরাখণ্ড
মনজিৎ, ইউপি
অনিল বেদিয়া, ঝাড়খণ্ড
শ্রীজেন্দ্র বেদিয়া, ঝাড়খণ্ড
সুক্রম, ঝাড়খণ্ড
টিকু সর্দার, ঝাড়খণ্ড
গুণধর, ঝাড়খণ্ড
রঞ্জিত, ঝাড়খণ্ড
রবীন্দ্র, ঝাড়খণ্ড
সমীর, ঝাড়খণ্ড
বিশেষ নায়ক, ওড়িশা
রাজু নায়ক, ওড়িশা
মহাদেব, ঝাড়খণ্ড
মুডটু মুর্ম, ঝাড়খণ্ড
ধীরেন, ওড়িশা
চামরা উরাও, ঝাড়খণ্ড
বিজয় হোরো, ঝাড়খণ্ড
গণপতি, ঝাড়খণ্ড
সঞ্জয়, আসাম
রাম প্রসাদ, আসাম
বিশাল, হিমাচল প্রদেশ
পুষ্কর, উত্তরাখণ্ড
দীপক কুমার, বিহার

After 17 days, 41 workers trapped in Silkiara tunnel were finally rescued

এ রাজ্যের শ্রমিকদের ভালোয় ভালোয় দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই একটি দল পাঠিয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনার দফতরের সংযোগকারী অফিসার রাজদীপ দত্তের নেতৃত্বাধীন দলটি উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার এবং পশ্চিমবঙ্গে ফেরাতে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।

 After 17 days, 41 workers trapped in Silkiara tunnel were finally rescued

উদ্ধারকাজ

ঘটনাস্থলে এতদিন ধরে লাগাতার কাজ করেছে  এনডিআরএফের দুটি দল। রয়েছে উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রাজ্য প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী বারংবার ফোন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে। খোঁজ নিয়েছেন উদ্ধারকাজের অগ্রগতি নিয়ে। সমস্ত অভিজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ দলকে আনা হয়েছে এই অভিযানে। যোগ দিয়েছে সেনা। সব মিলিয়ে ওই ৪১ জন শ্রমিকদের উদ্ধারে জানপ্রাণ লাগিয়ে দিয়েছে গোটা দেশ। আসেন বিশ্ববিখ্যাত সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স। 

সোমবার থেকে আবার সেখানে খননকাজ শুরু হয়েছে।  এ বার আর যন্ত্র নয়, হাত দিয়ে খোঁড়া হচ্ছে। প্রয়োগ করা হচ্ছে ‘ইঁদুর গর্ত কৌশল’। এই পদ্ধতি কয়লা খনি থেকে কয়লা তোলার সময় কাজে লাগানো হয়। মঙ্গলবার সকালে সুড়ঙ্গের ৫১.৫ মিটার খোঁড়া হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ক্ষুদ্র সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার। তিনি বলেন, "গত রাতে খুব ভাল কাজ হয়েছে। আমরা ৫০ মিটার পেরিয়ে গিয়েছি। আর পাঁচ থেকে ছ’মিটার বাকি।"

 

চূড়ান্ত দিন

পাইপের ভিতর দিয়ে সুড়ঙ্গে পৌঁছে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। বোঝাবেন, কী ভাবে ওই পাইপ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁদের। এই পাইপটি আড়াই ফুট চওড়া। পাইপের যে সব জায়গায় ঝালাই হয়েছে, সেগুলি বেশ ধারালো। সেখান দিয়ে বেরোনোর সময় আঘাত লাগতে পারে শ্রমিকদের। এ সব ঝুঁকির কথাই বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সুড়ঙ্গ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে হেঁটে বেরোবেন শ্রমিকেরা। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটক থাকার কারণে তাঁরা শারীরিক ভাবে আর সক্ষম নন। সে কারণে চাকা লাগানো ট্রলির মাধ্যমে পাইপ দিয়ে তাঁদের বার করে আনা হবে। সুড়ঙ্গ থেকে এক একজন শ্রমিককে বের করে আনতে সময় লাগার কথা ছিল ৩ থেকে ৫ মিনিট। সেই হিসেবে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগতই উদ্ধারকাজে। সুড়ঙ্গে প্রাথমিক ভাবে প্রবেশ করেছিল ১২ জন সদস্যদের ৩ টি NDRF দল। এ ছাড়াও ছিল SDRF টিমও। শেষ মুহূর্তে  গন্ডোগোল হলে, ছকে রাখা ছিল  বিকল্প ব্যবস্থাও। ৪৫ মিটার ভার্টিক্যাল ড্রিলিং করে রাখা ছিল সুড়ঙ্গের উপরিভাগে। এ ছাড়াও পিছনের অংশে ১২ মিটার পর্যন্ত ব্লাস্ট করিয়ে রাখা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটি, শেষ মুহূর্তে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা, সব কিছুর মধ্যেই যাতে  শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে দেরি না হয়, তার ব্যবস্থাও ছকা ছিল পুরোপুরি। দুপুর থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এরই মধ্যে রাস্তায় ধ্বংসস্তূপ এসে পড়ায় আরও বেশ খানিকটা অংশ খোঁড়া শুরু করে উদ্ধারকারী দল। যার জন্য সময় আরও খানিকটা বেশি লেগে যায়। 

অদম্য সাহস

এতগুলো দিন মাটির নিচে কাটানো সহজ নয়। শারীরিক ভাবে বা মানসিক ভাবে- সব দিক থেকেই কঠিন ছিল এই লড়াই। তবে বলিহারি তাঁদের মনের জোর। এই সতেরো দিন ধরে নিজেদের শক্ত রেখেছেন তাঁরা। উদ্ধারকারী দল তাঁদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট, ড্রাই ফ্রুটস। কখনও নিজেরাই চেয়েছেন সুড়ঙ্গের ভিতরে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করতে। তবে শেষপর্যন্ত সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। শেষ হয়েছে পরিবারের উৎকণ্ঠা। এতদিন ধরে রাতে দু'চোখের পাতা এক করতে পারেনি মানুষ। রুজির টানে এই ঝুঁকির কাজ করতে এসেছিলেন শ্রমিকেরা। অনেকের বাড়িতেই এতদিন হাঁড়ি চড়েনি। চরম দারিদ্রের সংসারে এতদিন ধরে শুধু ঘরের ছেলের জন্য শোনা গিয়েছে প্রার্থনার সুর। সুড়ঙ্গের বাইরে তৈরি করা হয়েছিল মন্দির। সেখানে সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিতে প্রার্থনা করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এদিন সেই মন্দিরে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অবশেষে সেই প্রার্থনার ফল মিলেছে। এনডিআরএফের তৎপরতায় একে একে ফের পৃথিবীর আলো দেখতে শুরু করেছেন শ্রমিকেরা। 

 

 

প্রস্তুত দেশ

আলো থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থা, সব প্রস্তুতি সারা। অন্ধকারে যাতে উদ্ধারকাজে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তাই রাখা হয়েছে আলোর ব্যবস্থা।  সুড়ঙ্গের ভিতরেও রাখা হয়েছিল মেডিক্যাল টিম। সেখানে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বিছানা ও অক্সিজেনের ব্যবস্থাও। চাকা লাগানো স্ট্রেচারে করে বের করে আনা হচ্ছে শ্রমিকদের। কারণ মাটির নিচে ওই পাইপলাইনের ভিতরে অক্সিজেনের অভাব অনুভূত হতে পারে। সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব বের করে আনার চেষ্টা করা হয়।  এই দিনের প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুত ছিল রাজ্যপ্রশাসন। শ্রমিকদের জন্য সুড়ঙ্গের বাইরে বেশ কয়েকদিন ধরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে একটি চিনুক হেলিকপ্টার। প্রয়োজনে যাতে শ্রমিকেদের দেহরাদূন বা নিকটস্থ কোনও বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা যায়। তাছাড়া উত্তরকাশির ওই সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী হাসপাতালও। যেখানে রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, কমবেশি সকলেই সুস্থ রয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁদের হৃষিকেশে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানকার এইমসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। গোড়া থেকেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে, যাতে যে কোনও রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।  

আরও পড়ুন: ফেল মার্কিন যন্ত্র, ১৬ দিন পরে শ্রমিকদের উদ্ধারে যে পথে এগোচ্ছে উদ্ধারকারী দল…

 অবশেষে জয়

সারা দিন ধরে ওই শ্রমিকদের মুক্তির অপেক্ষা করেছে গোটা দেশ।  মুহুর্মুহু বেড়েছে উদ্বেগ। অবশেষে এসেছে সাফল্য। সুস্থ সবল ভাবে সুড়ঙ্গের বাইরে বেরিয়ে  এসেছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মালা দিয়ে বরণ করে নেন জড়ো হওয়া মানুষেরা। জয়ের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। আপাতত সমস্ত শ্রমিকদের অস্থায়ী ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে গ্রিন করিডর।  প্রাথমিক ভাবে সেখানে তাঁদের পরীক্ষানিরিক্ষা করা হবে। রাখা হবে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে। কারণ এতদিন এমন পরিস্থিতিতে থাকার পর নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক অসুবিধা দেখা যেতে পারে তাঁদের মধ্যে। তার পরেই বাড়ি ফিরতে পারবেন তাঁরা। যদিও প্রায় সমস্ত শ্রমিকেরাই জড়ো হয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের ওই সুড়ঙ্গের সামনে। ৪১ জন শ্রমিকদের বেঁচে ফিরে আসায় আনন্দের ঢল গোটা দেশ জুড়ে।

More Articles