ভোটের মুখে ফের সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতা? নেপথ্যে কে!

Pegasus Attack: সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তদন্তের ভিত্তিতে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন দাবি করে, ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাস ব্যবহার করে আবার খ্যাতনামা সাংবাদিকদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।

আরও একবার ভারতীয় সাংবাদিকদের উপরে নজরদারির অভিযোগ। সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তদন্তের ভিত্তিতে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদন দাবি করে, ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাস ব্যবহার করে আবার খ্যাতনামা সাংবাদিকদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, 'দ্য ওয়ার'-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন এবং অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্ট প্রজেক্টের সাউথ এশিয়া সম্পাদক আনন্দ মঙ্গনালে নজরদারির শিকার হয়েছেন। ৩১ অক্টোবর আইফোন নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাপেলের তরফে 'রাষ্ট্র-সমর্থিত' সাইবার আক্রমণের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় ব্যবহারকারীদের। সতর্কবার্তা পান ভারতের কুড়িজন বিরোধী নেতা-নেত্রী ও খ্যাতনামা সাংবাদিকও।

কে এই সাইবার আক্রমণের নেপথ্যে-তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে কেন্দ্র সরকার ও আদানির বোঝাপড়া নিয়ে সংসদে বারবার প্রশ্ন তুলতেন মহুয়া মৈত্র। তিনিও এই সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন। আনন্দ মঙ্গনালে ভারতের নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারে আঙুল তুলেছিলেন আদানির ভাইয়ের দিকে। ওসিসিআরপি এই ব্যাপারে আদানির বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গনালের ফোনে নজরদারির শুরু হয়।

যদিও প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর নয় বলেই জানিয়েছেন ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি-মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। তাঁর দাবি, অ্যাপেলের এই সতর্কবার্তা ভিত্তিহীন। ২০২৪-এ নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্রমবর্ধমান নজরদারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকরাই লক্ষ্য! মোবাইলে পেগাসাস ঢুকিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে কারা?

ইজরায়েলি সাইবার-গোয়ান্দা সংস্থা এন-এস-ও গ্রুপের তৈরি সফটওয়্যার পেগাসাসের কাজ কী? এর মাধ্যমে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোনে নজরদারি চালানো সম্ভব। প্রাথমিকভাবে টেক্সট মেসেজে একটি 'ফিসিং লিংক' পাঠানো হয়ে থাকে। সেই লিংকে ক্লিক করা মাত্রই নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোনে তাঁর অজান্তেই ডাউনলোড হয়ে যায় পেগাসাস স্পাইওয়্যারটি। সেই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য তখন হ্যাকারদের হাতের মুঠোয়। ফোন পরিণত হয়েছে সার্ভিলেন্স ডিভাইসে। কল লগ, মেসেজ, ক্যালেন্ডার ইভেন্ট থেকে কনট্যাক্ট পর্যন্ত কোনও কিছুই আর ব্যক্তিগত থাকে না। পেগাসাস ফোনের মাইক্রোফোন অন করে যখন ইচ্ছে রেকর্ড করতে পারে ব্যক্তিগত কথোপকথন। এমনকি ক্যামেরা অন করে রেকর্ড করে রাখতে পারে ব্যক্তিগত মুহূর্তও। জিপিএস ট্র্যাক করে ব্যক্তির যাবতীয় গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারে স্পাইওয়্যার নিয়ন্ত্রণকারীরা। এমনকি নিজেই নিজের যাবতীয় পদচিহ্ন মুহূর্তে মুছে ফেলতে পারে পেগাসাস। জানা যাচ্ছে, মঙ্গনালে জিরো ক্লিক পদ্ধতির মাধ্যমে পেগাসাসের কবলে পড়েন। অর্থাৎ কোনও লিংক ছাড়াই তাঁর ফোনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই স্পাইওয়্যার।

এই প্রথম নয়। এর আগে আমাদের শো-এর নিয়মিত অতিথি সিনিয়র সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা পেগাসাস-আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৮-২০১৯ সালে প্রায় তিনশোটি ফোন হ্যাকের অভিযোগ উঠেছে। হ্যাকিং-এর শিকার হন মূলত বিরোধী নেতা ও সাংবাদিকেরা। ২০২১-এও অভিযোগ ওঠে, পেগাসাসের মাধ্যমে ভারতের রাজনীতিক, সাংবাদিক, আন্দোলনকর্মী, বিচারপতি সহ প্রায় হাজার খানেক মানুষের উপর নজরদারি চালাচ্ছে সরকার। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ায়। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু ভারত সরকার সেই তদন্তে কোনও রকম সহায়তা করেনি। আদালতে সরকারের তরফে বারবার জানানো হয় দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এ বিষয়ে কোনও রকম তথ্য সরবরাহে অপারগ কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: এবার আঙুল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দিকে! কেন নতুন করে চাঞ্চল্য পেগাসাস নিয়ে

আমাদের প্রশ্ন, সাংবাদিক হোন বা সাধারণ মানুষ, তাঁর গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সুরক্ষিত করবে কে! বারবার এই নজরদারির অভিযোগ উঠছে কেন? কেন তদন্তে সহযোগিতা করছে না কেন্দ্র? নীরা রাদিয়া কাণ্ডে কেবলমাত্র একটি ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। তা নিয়েও আদালতে নালিশ করেছিলেন রতন টাটা। আর পেগাসাসে স্রেফ প্রথম দফায় ৩০০ কল ট্যাপ হয়েছে! বিজেপির আমলে এই তবে বাক-স্বাধীনতা? এর পেছনে কে বা কারা! আদানিকে প্রশ্ন করলেই পেগাসাস! আদানির হয়ে ছায়াযুদ্ধ করছে কোন মেঘনাদ! কেন দেশের নাগরিকের সুরক্ষা বিপন্ন হলেও ঘুমিয়ে থাকে গোদি মিডিয়া! কেন চিরকাল প্যালেস্টাইনের দিকে ঝুঁকে থাকা কেন্দ্র আজ ইজরায়েলের কাছে নতজানু? আসুন, জেনে নিই বিশেষজ্ঞদের মতামত─

সুমন ভট্টাচার্য, সাংবাদিক

পেগাসাস নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোনকে সম্পূর্ণ নিজের নজরদারির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ঠিক কতটা ক্ষমতা এই পেগাসাসের? অ্যামাজনের মালিক তখন জেফ বেজোস। জেফ বেজোসের সঙ্গে সৌদির যুবরাজের একটা ঘরোয়া বৈঠক হয়। অ্যামাজনে সৌদির যুবরাজ অনেক টাকা লগ্নি করেছেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ জেফ বেজোস এবং ওয়াশিংটন পোস্ট সৌদির অতিরিক্ত সমালোচনা করছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক চলে। অনুমান করা হয়, বৈঠক শেষে সৌদির যুবরাজ জেফ বেজোসকে একটি অশ্লীল জোক পাঠান। বেজোস সেটা দেখেন। এর কয়েকদিন পরে বেজোসের সঙ্গে তাঁর তৎকালীন প্রেমিকার ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি ফাঁস হয়ে যায় একটি দক্ষিণপন্থী সংবাদমাধ্যমে। এমনকি এই ঘটনায় বেজোসের ডিভোর্স ত্বরান্বিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে বেশি খোরপোষ দিয়ে জেফ বেজোস মুক্তি পান। পরে জানা যায় সৌদি আরবের যুবরাজ 'মহম্মদ বিন সলমান আল সৌদ'ও পেগাসাস কিনেছিলেন। এবং সম্ভবত তিনিই জেফ বেজোসকে পেগাসাসের ফিশিং লিংক পাঠিয়ে ছিলেন। এতটাই শক্তিশালী স্পাইওয়্যার পেগাসাস।

এনএসও বারবার জানিয়েছে কেবলমাত্র রাষ্ট্রশক্তি ছাড়া আর কারও কাছে তারা বিক্রি করে না স্পাইওয়্যারটি। সৌদির সঙ্গে ইজরায়েলের যাই সমস্যা বাধুক, অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত একনায়কতন্ত্রী দেশগুলি ইজরায়েলের কাছ থেকে পেগাসাস কিনেছে। ফেস রিকগনিশন দিয়ে যে কোনও বিরোধীকে যখন-তখন চিহ্নিত করতে পারে স্বৈরাচারী শাসকেরা। গ্রেফতার করা থেকে চোরাগোপ্তা খুন, সবই চলে সে সব দেশে রাষ্ট্রের নির্দেশে।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদানির শেয়ার নিয়ে কোনও সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। তদন্ত হলেও কিছু হত বলে মনে হয় না। আদানির গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত পড়ত না। ভূমধ্য সাগরের তীরে ইসরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা ভারতের আদানি গ্রুপ কিনে নিয়েছে। সেখানে কী কাজ করছে আদানি—তা আমরা জানি না। কিন্তু আমরা জানি যে আনন্দ মঙ্গনালে আদানির ভাইয়ের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তার পরপরই পেগাসাস-আক্রান্ত হন তিনি। সামাজিক মাধ্যম এবং নানা ডিজিট্যাল মাধ্যম হয়ে এখন সুবিধা হয়েছে। যে কারো মোবাইলে ঢুকিয়ে দেওয়া যেতে পারে পেগাসাস। বিরোধিতা করলেই নজরদারি চালানো যেতে পারে তার উপরে। অভিযোগ ফিশিং লিংকের ব্যবহার যথেচ্ছ করে বিজেপির আইটি সেল। রাজীব চন্দ্রশেখর রিপাবলিকের অন্যতম বিনিয়োগকারী। ফলে তাঁকে পেগাসাসের সমর্থনে কথা বলতেই হবে। রাষ্ট্রব্যবস্থাটাই কেমন যেন সার্কাস হয়ে গিয়েছে। যেই নির্বাচন এসেছে, অমনি পেগাসাস নিয়ে জোর চর্চা শুরু। বিজেপি এবং আরএসএস একটা সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদের দিকে আমাদের ঠেলে দিচ্ছে। হীরক রাজার দেশের সেই নজরদারি বাস্তবে দেখতে পারছি আমরা।

আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতাকে বারবার হেনস্থা, কীসের মাশুল?

নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর হিন্দুত্ব ব্রিগেড ইজরায়েলের মুসলিমবিদ্বেষটা খুব পছন্দ করে। দর্শনগত ভাবে যার সঙ্গে মেলে, তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে অসুবিধা নেই। এখন এমন দাঁড়িয়েছে, আদানির স্বার্থ মানেই বিজেপির স্বার্থ। মুসলমানের উপরে যে অত্যাচার ইজরায়েল চালায়, তাই বিজেপির আদর্শ। কাজেই পেগাসাস এদেশে আসাটাও অসম্ভব কিছু না। সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিজেপি বিশ্বাস করে যে, রাষ্ট্রকে বিরোধী-শূন্য করে তুলতে হবে। বিরোধীদের কড়া নজরদারিতে রাখতে হবে। তারই ফলশ্রুতি ওয়াশিংটন পোস্টের এই অভিযোগ।

সম্বিত পাল, অধ্যাপক-সাংবাদিক

শুধু ভারত নয়, সব সরকারই ক্ষমতায় এসে নজরদারি চালিয়েছে বিরোধীদের উপর। পেগাসাসের ক্ষমতা অনেকখানি বেশি। কিন্তু লক্ষ্য সেই নজরদারিই। শুধু বিরোধীরা নয়, মোদির ক্যাবিনেটের দু'জন মন্ত্রীও পেগাসাস-আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। অশ্বিনী বৈষ্ণব, যিনি রেলমন্ত্রী, কম্যুনিকেশন, ইলেকট্রনিকস্ ও ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের মন্ত্রী, তাঁর ফোনেও পেগাসাস আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। প্রহ্লাদ প্যাটেল‌ও এই অভিযোগ তোলেন। আসলে রাষ্ট্র কাউকেই বিশ্বাস করে না। সমস্ত একনায়কতন্ত্রী দল এভাবে নিজের শাসন কায়েম রাখতে চায়। এইসব অভিযোগ কোনও বারই সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে না কিন্তু সরকার। সুপ্রিম কোর্টের মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় কিছুই জানায়নি। কোনও সহযোগিতা করেনি। ফলে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। বারবার জানানো হয়েছে, বিনা অনুমতিতে কিছু করা হয়নি। তবে কি অনুমতির ভিত্তিতেই হয়েছে পেগাসাস হামলা? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সব দেখছে! কীভাবে রাষ্ট্রের নজরদারির সামনে প্রতিনিয়ত নগ্ন হচ্ছেন ভারতের নাগরিকরা

বিবৃতিতে বিজেপি বলে তারা বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার অধিকারে বিশ্বাসী। নাগরিকদের কাছে সমস্ত তথ্য সরবরাহে বিশ্বাসী। তবে টেলিকম আইনে এই পরিবর্তন কেন? ব্রিটিশ আমলের টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট (১৮৮৩) হুবহু ফিরিয়ে আনছে বিজেপি। বলা হচ্ছে, সমস্ত মাধ্যমেই প্রয়োজনে নজরদারি চালাতে পারে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব এই নজরদারির অনুমতি দিতে পারেন। স্বৈরাচারী শাসকেরা কায়েমী স্বার্থ বজায় রাখতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসছেন বহুদিন থেকেই। এঁরা নিজের লোককেও বিশ্বাস করতে পারেন না। একে যদি সার্ভিলেন্স স্টেট ধরি, তাহলে আমাদের দেশও তাই হয়ে গিয়েছে।

ডিজিট্যাল যুগে আমাদের সমস্ত চাহিদা, ব্যবহার, পছন্দের উপর ফোনে সারাক্ষণ নজর রাখছে বিভিন্ন ডিজিট্যাল মাধ্যম। পুশ অ্যাডগুলিতে দেখা যায় যে ধরনের জিনিস কিনছি, তাই বেশি করে দেখানো হচ্ছে। কেনার কথা বলছি কাউকে, তাই চলে আসছে স্ক্রিনে। অর্থাৎ নজরদারির মধ্যেই আছি আমরা সারাক্ষণ। এই তথ্যচুরিগুলোই এখনও বন্ধ করা গেল না। সাধারণ নাগরিকও এই সমস্যা নিয়ে খুব একটা ওয়াকিবহাল নন। গুটিকয় রাজনীতিক বা বিখ্যাত সাংবাদিকদের উপর নজরদারির অভিযোগ মানুষের সামনে আসছে। এই ইস্যুর সঙ্গে মানুষ খুব একটা একাত্ম হতে পারেন না, নিজের সমস্যা বলে ভাবতে পারেন না সেগুলিকে। কারণ, তাঁদের যাবতীয় তথ্যও যে চুরি হয়ে যাচ্ছে এ বিষয়টি তাঁরা জানেনই না। বা জানলেও নিজের ব্যক্তিগত গোপন রাখা আমার অধিকার—এই বোধ তাঁদের গড়ে ওঠেনি। সেটাকে হয়তো নির্বাচনের ইস্যু করা সম্ভব। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। ডিজিটাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্টেও এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিকে। রাষ্ট্র ডিজিট্যাল হচ্ছে, কিন্তু নাগরিকদের ডিজিট্যাল ব্যবস্থায় শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব তারা নেবে না। সবটাই মানুষের ব্যক্তিগত দায়িত্ব হয়ে যাচ্ছে। সরকার চাইলে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে যে কোনও তথ্য ব্যবহার করতে পারে। এ অ্যাক্টের যাঁরা বিরোধিতা করতে পারতেন সংসদে, সেই বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। ফলে প্রশ্ন তোলার আর কেউ থাকল না। গোটা ব্যবস্থাটাই এইভাবে পচে যাচ্ছে ক্লমশ। নাগরিকেরা সচেতন হলে তবেই এর প্রতিকার সম্ভব।

More Articles