গলে পড়ছে আস্ত সেতু! বিচিত্র এই সব সেতুতে যেতে পাঁ কাপে চরম সাহসীদেরও
Weird Brides of the World: সারা পৃথিবী জুড়ে এমন কিছু সেতু আছে, যা দেখলে মনে হতেই পারে, ঠিক কোন রেকর্ড গড়ার জন্য তৈরি হয়েছিল এসব সেতু?
কাশ্মীরে তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর উচ্চতম রেলব্রিজ। আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু এই সেতু, তার উপর দিয়ে রেলগাড়ি ছুটবে! মানে, মেঘের উপর দিয়ে মানুষের আনাগোনা। চন্দ্রভাগা নদীর উপর তৈরি হওয়া এই সেতু কাশ্মীর তো বটেই, ভারতের কাছেই বেশ একটা নতুন আকর্ষণের বিষয়। রিয়াসি জেলায় চেনাব বা চন্দ্রভাগা নদীর উপর পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে জম্মু এবং শ্রীনগরের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমে দাঁড়াবে ৩.৩০ ঘণ্টা। রিয়াসি জেলার বাক্কাল এবং কৌরির মধ্যে চেনাব নদীর ওপরে নদীর তল থেকে ৩৫৯ মিটার (১,১৭৮ ফুট) উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে এই রেলসেতু। ১,৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই খিলান সেতুটি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার লম্বা। উচ্চতাই এই সেতুর মূল বৈশিষ্ট্য। তবে সারা পৃথিবী জুড়ে এমন কিছু সেতু আছে, যা দেখলে মনে হতেই পারে, ঠিক কোন রেকর্ড গড়ার জন্য তৈরি হয়েছিল এসব সেতু? সেই সমস্ত সেতুর গড়ন দেখেও মনে হতে পারে কার মস্তিস্কপ্রসূত এইসব রেতুর নকশা? বিশ্বের পাঁচটি উদ্ভট সেতুর গল্প মানুষ আজও হজম করে উঠতে পারেনি।
ল্যাংকাউই স্কাই ব্রিজ, মালয়েশিয়া
১২৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,১৭০ ফুট উপরে। এই সেতুটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর 'কার্ভ'। বিচিত্রভাবে বাঁকা এই ব্রিজটি মালয়েশিয়ার পাহাড় এবং রেইনফরেস্ট উপভোগ করার জন্য দুর্দান্ত। তবে এই ব্রিজে চাপতে গেলে পর্যটকদের একটি কেবল কারে করে পাহাড়ের মাথা পর্যন্ত যেতে হয়। তারপর পায়ে হেঁটে এই বক্রব্রিজ ভ্রমণ!
গেটসহেড মিলেনিয়াম ব্রিজ, ইংল্যান্ড
২০০২ সালে তৎকালীন রানি এই সেতুর উদ্বোধন করেন। এই সেতুটি 'ব্লিঙ্কিং আই ব্রিজ' নামেও বেশ পরিচিত। এমন সেতু গড়ার একমাত্র কারণ হতে পারে মানুষকে তাক লাগানো। কারণ এর আকৃতি অস্বাভাবিক! সেতুটি এমনভাবে দু'টি ভাগে বিভক্ত এবং হেলে আছে যে দেখে মনে হবে চোখ খোলা অবস্থায় আছে। পথচারী এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য সেতুর একদিক সোজা করে দেওয়া হয়, অন্যদিকটি উঠে থাকে। আবার অন্য একটি দিক নামিয়ে তলা দিয়ে নৌকা এবং জাহাজ চলাচল করানো হয়।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর উচ্চতম সেতুর উপর দিয়ে বন্দে ভারত! মেঘের উপর দিয়ে এবার যে গন্তব্যে যাবে ট্রেন
হেন্ডারসন ওয়েভস, সিঙ্গাপুর
নাম শুনেই বোঝা যায়, সেতুটি ঢেউয়ের মতো দেখতে। প্রায় ২৭৪ মিটার দীর্ঘ এবং ৮ মিটার চওড়া এই সেতু কেবল পথচারীদের জন্য। সাতটি বাঁকানো ইস্পাতের শলাকা দিয়ে তৈরি এই সেতু। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, ঢেউয়ের মতোই ওঠানামা করে এই সেতু। সন্ধা ৭টা থেকে রাত্রি ২টো অবধি ব্রিজটি এলইডির আলোয় ঝলমল করে। সেতু নাকি রোলার কোস্টার তা অবশ্য দেখে বোঝার উপায় একেবারেই নেই।
এভারগ্রিন পয়েন্ট ফ্লোটিং ব্রিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ওয়াশিংটনের ভাসমান সেতুটি ১.৪ মাইল দীর্ঘ। ১৯৬৬ সালে নির্মিত এই সেতু সিয়াটেল এবং মেডিনাকে সংযুক্ত করে। ২০০ ফুট গভীরে ওয়াশিংটন লেকের উপর দাঁড়িয়ে আছে এই সেতু।
এশিমা ওহাশি ব্রিজ, জাপান
সেতুটি আসলে একটি কংক্রিটের রাস্তা। পুরোটাকেই রোলার কোস্টার বললে ভুল হয় না। ১.৪ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা এই সেতুটিতে চড়লে সাধারণ সেতুই মনে হবে। কিন্তু বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সেতুটিকে অস্বাভাবিক খাড়া দেখায়। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রিজিড ফ্রেম সেতু।