মেট্রোর শাটার নামানোর চেষ্টা বিজেপির! বনধে নেমে আটক রূপা, অগ্নিমিত্রারা
BJP Bangla Bandh: গাড়ির চালকদের যাত্রীদের কাছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় হাত জোড় করে বনধ সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করেন।
কলকাতা শহরে বাজারগুলিতে বনধের প্রভাব পড়লেও বাস পরিষেবা তুলনামূলক স্বাভাবিক। জেলায় জেলায় বরং বনধের প্রভাব পড়েছে কিঞ্চিৎ বেশিই। কলকাতার সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে যেমন বাস পরিষেবা সচলই ছিল বুধবার। যাত্রী সংখ্যা কম হলেও বাস ছিল পর্যাপ্ত। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, ধর্মতলা চত্বর-সহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে পুলিশ থাকায় যাত্রিবাহী বাসগুলি বনধ সমর্থকদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। হাওড়া বাস স্ট্যান্ডেও বাস ও যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম হলেও, পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। যাদবপুর এইট বি-তেও বাস পরিষেবা স্বাভাবিক। তবে রাস্তায় অবরোধ, অগ্নি সংযোগের জেরে যানবাহন চলাচল প্রভাবিত হয়েছে। যেমন, টালা সেতুর উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূলের কর্মী বাধা দিলে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ দুই পক্ষকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বেশ কয়েকজন বন্ধ সমর্থনকারীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বিজেপির সামনের সারির একাধিক নেতানেত্রী। গড়িয়াহাটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় নামেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। গড়িয়াহাট চত্বরে যেসব বাস ও অন্যান্য গাড়ি চলাচল করেছে, সেই গাড়ির চালকদের যাত্রীদের কাছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় হাত জোড় করে বনধ সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করেন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগানও দেন। আটক করা হয় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালকেও।
আরও পড়ুন- বনধে উত্তাল বাংলা! ভাটপাড়ায় গুলি! কোচবিহার থেকে আসানসোল, কোথায় কী পরিস্থিতি?
অন্যদিকে সল্টলেকে বিজেপির কর্মসূচি থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সল্টলেকের উইপ্রো মোড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা অবরোধের চেষ্টা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের হটিয়ে দেয়। শ্যামবাজারে বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহারা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে যায়।
তবে কলকাতার বড় বাজারগুলিতে বনধের ভালো প্রভাব পড়েছে। বড়বাজারে বন্ধের সমর্থনে মিছিল করে বিজেপি। অভিযোগ ওঠে, বড়বাজারে বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা, বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ জোর করে দোকানপাট বন্ধ করানোর চেষ্টা করেছেন। অভিযোগ, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ কোলে মার্কেট এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের বনধ পালনের আর্জি জানান। কাউকে কাউকে জোর করে দোকান বন্ধ করানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে সজল ঘোষের বাড়ি থেকেই তাঁকে তুলে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের অবরোধ শুরু করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বনধের সকালেই শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের শাটার নামানোর চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পুলিশ গিয়ে বন্ধ সমর্থনকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। শ্যামবাজার থেকে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটকও করা হয়েছে।