শূদ্রের আঙুল কেটে 'সবক' শেখানো! একলব্যের প্রতিভাকে যেভাবে খুন করেন দ্রোণ-অর্জুন
Ekalavya in Mahabharat: ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একলব্যের আঙুল যদি সেদিন না কাটানো হত, তবে কে হত শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর? বলা মুশকিল। অর্জুনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশে কি লেখা হত না একলব্যের নাম?
বলা হয় “মহত্ত্বাদ্ ভারতবত্ত্বাচ্চ মহাভারতমুচ্যতে।” অর্থাৎ, যা নেই ভারতে তা নেই মহাভারতে। সত্যিই তো, ধর্ম-অধর্ম, ত্যাগ-স্বার্থপরতা, ঔদার্য্য-সংকীর্ণতা, দেবতা-অসুর, ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ এই সবকিছুরই যেন চরমতম সমন্বয় ঘটেছে মহাভারতে। আর এগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন মহাভারতের রথী-মহারথীরা। ধর্মের পথ অনুসরণকারী ও মহাভারতের যুদ্ধের বিজয়ী হিসেবে হয়তো পাণ্ডবরাই মানুষের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, তবে গুরু দ্রোণ, পিতামহ ভীষ্ম, দাতা কর্ণ প্রমুখরা পাণ্ডবদের বিরুদ্ধাচারণ করলেও ইতিহাস কিন্তু তাঁদেরকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গেই স্থান দিয়েছে। মহাভারতের ঠিক এমনই একটি চরিত্র একলব্য। স্বার্থের হাঁড়িকাঠে বলি হওয়া এই দুর্নিবার ধনুর্ধরের উপস্থিতি খুব সামান্য সময়ের জন্য হলেও তা মানুষের মনে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। কারণ তিনি বর্ণবাদ ও ষড়যন্ত্রের শিকার।
“একজন মূর্খ পুরোহিত যে সংস্কৃত মন্ত্রের অর্থ না জেনেই শ্রাদ্ধ বা বিবাহের মন্ত্র পড়ায়, তার সামাজিক সম্মান তাঁতি বা মুচির চাইতে বেশি কেন হবে? তাঁতি বা মুচি পরিশ্রম দ্বারা সমাজের একটা বিশেষ কাজ করে, কিন্তু মূর্খ পুরোহিতকে প্রতারক ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে? কসাইয়ের ছেলের যদি প্রতিভা থাকে, তাহলে ইউরোপে সে শেক্সপিয়ার হতে পারত, কিন্তু এদেশে প্রাচীন প্রথা অনুসারে সে ‘রবীন্দ্রনাথ’ বা ‘কালিদাস’ হতে পারত না, হবার চেষ্টা করলে ভগবানের অবতার রামচন্দ্র স্বয়ং এসে তাঁর মাথা কেটে বর্ণাশ্রমধর্ম রক্ষা করতেন।”
এই মন্তব্যটি করেছিলেন বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। কথা প্রসঙ্গে মেঘনাদ রামচন্দ্রের শূদ্র শম্বুক হত্যার ঘটনার উল্লেখ করেন। রামায়ণে রামচন্দ্রকে এই নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হতে দেখা যায়। কেবলমাত্র তপস্যা করার অপরাধেই রাম এক শূদ্রের মস্তকচ্ছেদন করেন।
রামায়ণে শূদ্রের মাথা কেটে বর্ণাশ্রমধর্ম রক্ষার করার প্রচেষ্টা আমাদের চোখে যেমন পড়ে, তেমনই মহাভারতে আমরা দেখতে পাই নিচু জাতের মানুষ হওয়ার কারণে একলব্য দ্রোণাচার্যের কাছে জাতিবৈষম্যের শিকার হন। এরপরও যখন একলব্যের অগ্রগতিকে রোধ করা গেল না, তখন দ্রোণাচার্য আর অর্জুন ষড়যন্ত্র করে একলব্যের আঙুল কাটিয়ে দেন। নিম্ন বর্ণের প্রতি এই যে অবিচার, তার উদাহরণ হিন্দু শাস্ত্রে এবং সমাজে অহরহ।
খোদ মহাভারতেই একলব্যের সম্বন্ধে বিশেষ কিছু পাওয়া যায় না। যেটুকু পাওয়া যায় তা হল, তিনি ভিল আদিবাসীদের নিষাদ নামে একটি রাজ্যের রাজা হিরণ্যধনু ও রানি বিশাখার সন্তান। একলব্য চেয়েছিলেন নিজেকে বড় ধণুর্ধর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। তাই অস্ত্রশিক্ষা করতে অনেক আশা নিয়ে শরণাপন্ন হয়েছিলেন রাজকুমারদের অস্ত্রশিক্ষক গুরু দ্রোণাচার্যের। কিন্তু গুরু দ্রোণাচার্য প্রত্যাখ্যান করলেন একলব্যের শিষ্যত্ব। মহাভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দ্রোণাচার্য। দ্রোণ কৌরব ও পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু ছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় দ্রোণ কৌরবদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। মহাভারতের প্রধান আরেকটি চরিত্র হলেন অর্জুন। অর্জুন পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। অর্জুন কুন্তীর তৃতীয় পুত্র ছিলেন। মহাভারতের যে যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ বলা হয়ে থাকে, তাতে বিজয়ী হয়েছিলেন পাণ্ডবরা এবং তাঁদেরই সর্বদা ধার্মিক হিসাবে দেখানোর প্রচেষ্টা চলেছে। এই তথাকথিত ধার্মিকরাও কিন্তু অনেকসময় অধার্মিকের মতো আচরণ করেছিলেন। একলব্যের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছিল, সেই অন্যায়ের সঙ্গে কৌরব ও পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণ এবং অর্জুন এই দুইজনের নাম জড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন- দুর্যোধনের ভাই হয়েও দ্রৌপদীর লাঞ্ছনায় প্রতিবাদ! ব্যাতিক্রমী বিকর্ণ রয়ে গেলেন নিভৃতেই
কৌরব ও পাণ্ডবরা দ্রোণের কাছ থেকে অস্ত্রবিদ্যা শিখতেন। দ্রোণাচার্য একবার অর্জুনের প্রতি খুশি হয়ে অর্জুনকে এই বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন-
“বৎস! আমি সত্যি বলছি, এই পৃথিবীতে তোমার তুল্য দ্বিতীয় ধনুর্ধর যাতে প্রখ্যাত না হয়, এমন ব্যবস্থা করব।”
এরপর দ্রোণের যুদ্ধে পারদর্শিতার কথা যখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন হাজার হাজার রাজা ও রাজকুমার তাঁর কাছে ধনুর্বেদ শেখার জন্য চারদিক থেকে আসতে থাকেন। একদিন ‘নিষাদরাজ হিরণ্যধনু’-র পুত্র একলব্য দ্রোণের কাছে উপস্থিত হন। কিন্তু হায়! দ্রোণাচার্য কেবলই একলব্যের জাত দেখে তাঁকে অস্ত্রশিক্ষা দিতে অস্বীকার করেন। মহাভারত থেকে এই অংশটির উদ্ধৃতি দেওয়া যাক-
“একদা নিষাদরাজ হিরণ্যধনুর পুত্র একলব্য দ্রোণের কাছে এলেন। কিন্তু সে অস্পৃশ্য, ম্লেচ্ছ জাতি, সাধারণের সতীর্থ ও সমতুল্য হয়, এটা নিতান্ত অনভিপ্রেত, একথা বিবেচনা করে দ্রোণ তাঁকে ধনুর্বেদে দীক্ষিত করলেন না।”
মহাভারতের সময়কালে জাতপাত কীভাবে সমাজে বিদ্যমান ছিল এই অংশেই তার প্রমাণ মেলে। দ্রোণ একজন নিষাদকে, একজন অস্পৃশ্য, ম্লেচ্ছকে সাধারণের সমান হতে দিতে চাননি। এই বর্ণবাদীরা সবসময় উচ্চনীচ ভেদাভেদ তৈরি করে, নিচু জাতিদের পায়ের তলায় পিষে মারতে চেয়েছেন। তাঁরা কখনই তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষদের তাঁদের কাঁধের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে চলতে দেননি। একজন শিক্ষকের এমন মানসিকতা কল্পনা করা আজও কষ্টকর। তবে একলব্যের সঙ্গে হীন ষড়যন্ত্রের আরও বাকি।
একলব্য দ্রোণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হলেও থেমে থাকার পাত্র ছিলেন না। একলব্য বনের মধ্যে দ্রোণের একটি মাটির প্রতিমা নির্মাণ করেন। এই মাটির প্রতিমাকেই গুরু বলে স্বীকার করে নিজে নিজেই অস্ত্রবিদ্যা শিখতে শুরু করেন তিনি। কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি ধনুর্বিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
একদিন কৌরব-পাণ্ডব ভাইয়েরা শিকার করার জন্য বনে গমন করেন। মৃগয়ার জন্য একটি কুকুরও সঙ্গে নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই কুকুরটি একটি হরিণকে অনুসরণ করতে করতে নিষাদপুত্র একলব্যের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং একলব্যকে দেখে সে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকে। তখন একলব্য একসঙ্গে সাতটি তির সেই কুকুরটির মুখের ভেতর নিক্ষেপ করেন। কুকুরটি সেই অবস্থায় পাণ্ডবদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়। পাণ্ডবরা কুকুটির মুখে প্রবেশ করা সেই সাতটি তির দেখে ভীষণ অবাক হয়ে যান। সেই ধনুর্ধর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কুকুরটির মুখে শব্দভেদী তির নিক্ষেপ করেছিলেন। ধনুর্ধরের দক্ষতা বিচার করে পাণ্ডবেরা নিজেদের অপেক্ষাকৃত নিকৃষ্ট বুঝতে পেরে ভীষণ লজ্জিত হলেন। এরপর পাণ্ডবরা বনের ভেতর সেই তিরন্দাজকে খুঁজতে থাকেন। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এক বনবাসীকে অনবরত তির বর্ষণ করতে দেখতে পান তাঁরা। পাণ্ডবদের একলব্য বলেন, তিনি দ্রোণের শিষ্য।
পাণ্ডবরা ওই বিস্ময়কর ধনুর্ধরের পরিচয় জানতে পেরে গুরু দ্রোণের কাছে গিয়ে উপস্থিত হন এবং দ্রোণকে সবকিছু বিস্তারিত বলেন। অর্জুন দ্রোণকে বলেন, “গুরু! আপনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, তোমার থেকে আমার অন্য কোনও শিষ্যই উৎকৃষ্ট হবে না, কিন্তু এখন তো এর বিপরীত বিষয়ই দেখা যাচ্ছে।”
অর্জুনের কথা শুনে, অর্জুনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রোণ সেই বনে গিয়ে উপস্থিত হন। দ্রোণ সেখানে দেখতে পান নিষাদপুত্র একলব্য বারবার তির নিক্ষেপ করে অভ্যাস করছেন। দ্রোণকে দেখতে পেয়ে একলব্য দ্রোণের ‘পাদবন্দন’ করে নিজেকে তাঁর শিষ্য বলে পরিচয় দেন এবং বিধি অনুযায়ী তাঁর পুজো করেন। দ্রোণের ‘পাদবন্দন’ এবং পুজো শেষ হলে দ্রোণ একলব্যকে বলেন, “হে বীর! যদি তুমি আসলেই আমার শিষ্য হয়ে থাক, তবে এখন গুরুদক্ষিণা প্রদান কর।”
দ্রোণের কথা শুনে একলব্য অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে বললেন,
“ভগবন! গুরুকে অদেয় কিছুই নেই। এখন আপনাকে কেমন দক্ষিণা দেব, আপনি আজ্ঞা করুন।”
একলব্যের এই কথা শুনে দ্রোণ তাঁকে বললেন,
“হে বীর! যদি সম্মত হয়ে থাক, তবে ডান হাতের একটি আঙুল কেটে দক্ষিণা হিসেবে আমাকে তা সম্প্রদান কর।”
দ্রোণের এই নির্মম কথা শুনেও একলব্য বিচলিত হলেন না। তিনি অত্যন্ত খুশি মনে তাঁর ডানহাতের একটি আঙুল কেটে দ্রোণকে গুরুদক্ষিণা প্রদান করলেন। গুরুদক্ষিণার নামে দ্রোণের ছলের কাছে খুন হল একলব্যের প্রতিভা, তাঁর ভবিষ্যৎ। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একলব্যের আঙুল যদি সেদিন না কাটানো হত, তবে কে হত শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর? বলা মুশকিল। অর্জুনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশে কি লেখা হত না একলব্যের নাম? এইখানে গুরুর হাতে শিষ্যের প্রতিভার মৃত্যু ঘটল।
আরও পড়ুন- চক্রব্যূহে একা কিশোর, কর্ণ নন, কেন মহাভারতের আসল ট্র্যাজিক হিরো অভিমন্যু!
হরিবংশ পুরাণ মতে যাদব শ্রেষ্ঠ বসুদেবের দেবশ্রবা নামে একজন ভাই ছিলেন। এই দেবশ্রবার যখন পুত্র হয় তখন আকাশবাণী হয় “যদু বংশির হাতেই এর মৃত্যু হবে।” এই আকাশবাণীতে ভয় পেয়ে পুত্রকে রক্ষা করার জন্য দেবশ্রবা তাঁর পুত্রকে নদীতে ভাসিয়ে দেন। ভাসতে ভাসতে সেই শিশু মগধ রাজ্যের বনে পৌঁছলো। সেই বনের নিষাদ রাজ হিরণ্যধনু তাঁকে নিজের পুত্র রূপে পালন করেন এবং তাঁর নাম রাখেন একলব্য। এবার নিশ্চই বুঝতে পারছেন, যদু বংশের মতো মহান বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে একলব্য এত প্রতিভাবান এবং দুর্ধর্ষ ধনুর্ধর ছিলেন।
হরিশংকর জলদাস তাঁর ‘একলব্য’ বইতে বলেছেন, গুরু দ্রোণের কাছে নিগৃহীত একলব্য ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ছাড়াই তাঁর অনুশীলন চালিয়ে যান। সেই সময় দ্রোণের থেকে প্রত্যাখ্যাত কর্ণও তাঁর প্রতি সমব্যথী ছিলেন। কারণ তিনিও একলব্যের মতো ক্ষত্রিয় না হওয়ার জন্য অস্ত্রশিক্ষা পাননি (এই নিয়ে মতান্তর আছে)। কর্ণের প্রতি কৃতজ্ঞতা, দুর্যোধনের প্রতিশোধপরায়ণ প্ররোচনা আর অর্জুনের প্রতি ক্ষোভের জন্যই তিনি কৌরবপক্ষের হয়ে অস্ত্র ধারণ করেন। যুদ্ধে কৌরবের পরাজয়ের পর তিনি আবার তাঁর আবাসস্থল তথা জঙ্গলে ফেরত যান।
হরিবংশ পুরাণ আরও বলছে, বহুকাল পরে যখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মামা কংসকে বধ করেন, তখন কংসের শ্বশুর জরাসন্ধ শ্রীকৃষ্ণের প্রতি চরমভাবে ক্রোধিত হন। মগধের এই সম্রাট কংস বধের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ১৭ বার মথুরা আক্রমণ করেন এবং প্রত্যেকবারই গুরুতরভাবে পরাজিত হন। জরাসন্ধ যখন জানতে পারেন, তাঁর রাজ্যে একলব্যের মতো একজন মহান ধনুর্ধর আছেন, তখন তিনি একলব্যকে তাঁর সেনাপতি নিযুক্ত করেন। সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পর একলব্য যুদ্ধক্ষেত্রে যাদব সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ ধ্বংস করে দেন। তাঁর এই ভীষণ পরাক্রম দেখে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তাঁকে বীরগতি প্রদান করেন। এইভাবে আকাশবাণী সত্য হয় এবং একলব্যের জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এখানেই শেষ হয় এক বীরগাথার।
প্রথমেই অস্পৃশ্য বলে দ্রোণাচার্যের কাছে জাতিবৈষম্যের শিকার হন একলব্য। তিনি নিষাদজাতির বলে, ম্লেচ্ছ বলে, অস্পৃশ্য বলে দ্রোণ তাঁকে শিক্ষা হতে বঞ্চিত করেন। যখন তিনি একাই ধনুর্বিদ্যায় সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন তখন কূটচালে তাঁর আঙুল কাটিয়ে দেন অর্জুন, দ্রোণাচার্য। এই হল মহাভারতের নায়ক অর্জুনের চরিত্র! নিজ যোগ্যতায় একলব্যের চাইতে বেশি পারদর্শী হওয়ার ক্ষমতা বোধহয় তাঁর ছিল না! একলব্যের ন্যায় অধ্যাবসায় ও সৎ সাহস অর্জুনের মধ্যে ছিল না বলেই কি এমন কূট ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগীকে সরিয়ে দেন কুন্তীনন্দন অর্জুন?