ফাইনালে মেসিদের হারিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে আনবেন এমবাপেরাই, আশায় বুক বাঁধছে চন্দননগর

Fifa World Cup 2022 : এক সময়ের ফরাসি উপনিবেশ আজও সেই চিহ্ন বজায় রেখেছে। মেসিদের হারিয়ে কাপ জিতবেন এমবাপেরাই, বলছেন চন্দননগরের বাসিন্দারা।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই বিশ্বকাপ ফাইনাল। ২০১৮-র পর ফের একবার বিশ্বকাপ জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নামবেন এমবাপে, লরিস, গ্রিয়াজমানরা। উল্টোদিকে মেসির আর্জেন্টিনা। বাংলার অলিগলি নীল-সাদা রঙে সেজে উঠেছে। তার মধ্যেও ‘ফরাসডাঙ্গা’ রয়েছে নিজের আনন্দেই। ফ্রান্স থেকে বহু দূরে হুগলির ঐতিহ্যশালী চন্দননগর ওরফে ফরাসডাঙ্গা তৈরি উদযাপনে। এক সময়ের ফরাসি উপনিবেশ আজও সেই চিহ্ন বজায় রেখেছে। বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই সেই উন্মাদনা বেরিয়ে আসে। মেসিদের হারিয়ে কাপ জিতবেন এমবাপেরাই, বলছেন চন্দননগরের বাসিন্দারা।

সেমি ফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারানোর পরই রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল বাংলার এককালের ফরাসি কলোনি চন্দননগর । তখন থেকেই যেন প্রহর গোনার পালা শুরু। গঙ্গা তীরবর্তী হুগলির প্রাচীন এই শহরে এলেই মনে হতে পারে আপনি বোধ হয় ফ্রান্সের কোনও শহরেই পা রেখেছেন। বিশ্বকাপের মরসুমে সেই আবহাওয়া আরও জোরালো। চন্দননগরের শহরের প্রায় সমস্ত ভবন থেকে শুরু করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট - সবই ফ্রান্সের জাতীয় পতাকার রঙের আলোয় মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর পুরোনিগম আয়োজন করছে জায়েন্ট স্কিনের। ফরাসডাঙার মানুষ মনে করছেন, চন্দননগরে ফরাসিরা যেভাবে ইংরেজদের বিজয়রথ রুখে দিয়েছিল, সেভাবেই আর্জেন্টিনাকেও হারিয়ে এবারে বিশ্বাসেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেবে তারা।

সকাল থেকে চন্দননগর জুড়ে ফ্রান্সের সমর্থনে স্লোগান উঠেছে। কোথাও আলো দিয়ে মোড়া বিল্ডিং, কোথাও আবার ফ্রান্সের পতাকার রং গালে লাগিয়ে সমর্থকদের স্লোগান... আবালবৃদ্ধ বনিতা সবাই মেতেছেন উন্মাদনা। আর তারই মাঝে ফ্রান্সের এক কন্যা সবার সঙ্গে দেশকে সমর্থন জানাতে রবীন্দ্র ভবনে খেলা দেখবেন। তবে তিনি এখন আদ্যপান্ত ফরাসডাঙ্গার বধূ। ইতিউতি আর্জেন্টিনা সমর্থকদের দেখা মিললেও তাতে পাত্তা দিতে নারাজ চন্দননগর। ২০১৮-র মতো ২০২২-এও নিজেদের কামাল দেখাবেন এমবাপেরা, ভরসা বাংলার এক টুকরো 'ফ্রান্সের'।

এদিকে চন্দননগরের বাসিন্দারাও জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে খেলা দেখতে তৈরি। তৈরি রয়েছে ফ্রান্সের পতাকা। সেসব নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লেন ফুটবল পাগল চন্দননগর মানুষ। সঙ্গে চলল ফ্রান্সের সমর্থনে জোরদার স্লোগান। তারা জানাচ্ছেন যে ফ্রান্স যেন তাদের ঘরের মতো।তাদের সঙ্গে তাদের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং মনস্তাত্বিক দিক থেকেও এক অটুট সম্পর্ক আছে। তাঁরা জানান, মেসি, ডি মারিয়া নয়, এবারের বিশ্বকাপ উঠুক এমবাপে-জিরৌ-গ্রিয়াজমানদের ঘরে। আর্জেন্টিনার গতির দৌড় আটকে ফ্রান্সই পরপর দু’বার ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ নিজেদের কাছে রাখবে ফরাসি ব্রিগেড।

More Articles