হকার উচ্ছেদ করেই 'অমৃতভারত' হবে মোদির দেশ?
Indian Railway Hawker Eviction : আজাদির পঁচাত্তর বর্ষীয় অমৃত-মহোৎসবের মন্থনে 'অমৃতভারত' স্টেশন প্রকল্পের মতো কর্পোরেট-গরল ওঠে, উচ্ছেদ তৈরি করে 'ইন্ডিয়া' থেকে 'ভারত' নির্মাণের ভূমি।
লর্ড ডালহৌসির অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে যখন, ১৮৫৩-তে মুম্বই থেকে থানে পর্যন্ত ছুটেছিল রেলগাড়ি, তার কিছুকালের মধ্যেই ব্রিটেনের কারখানাগুলিতে কাঁচামাল পৌঁছতে শুরু করে এদেশের বুক চিরে এবং ক্রমশ ফুলেফেঁপে ওঠে লন্ডনের প্রতিপত্তি। রেলব্যবস্থার মাধ্যমে শিল্পবিপ্লব-প্রসূত বিদেশি পণ্য এদেশের বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফা ইংল্যান্ডে চলে যেতে থাকে। দেশিয় পণ্য ও স্থানীয় উৎপাদন-কাঠামোগুলি অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে থাকে এবং তাদের পরম্পরাগত প্রকৌশলগুলি অবসানের পথে যেতে থাকে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এই প্রেক্ষিত পাল্টায়। রেলব্যবস্থা হয়ে ওঠে উদ্বাস্তু মানুষের আশ্রয়স্থল, একইসঙ্গে জীবিকার মাধ্যম ও ছিন্নমূলের বসতবাটি। রেলের কামরায় জিনিস ফেরা বা হকারি নিত্যযাত্রীদের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। রেললাইন সংলগ্ন জমিগুলি হয়ে ওঠে খেটে খাওয়া মানুষের বাসস্থান। ২০১৪ পরবর্তী সময়ে, রেলের যে 'ছুপা' বেসরকারিকরণ ক্রমশ ত্বরান্বিত হয়েছে সেই প্রকল্পের একটি বড় অংশ হলো, রেলবস্তি উচ্ছেদ ও রেলহকারদের জীবিকাকে নিষিদ্ধতার দিকে ঠেলে দেওয়া। পূর্বরেল ইতিমধ্যেই নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার শুরু করেছে, রেলস্টেশন যাত্রীদের জন্য, হকারদের জন্য নয়। আসলে, এও ওই 'বেসরকারি হলে পরিষেবা ভালো হবে' ন্যারেটিভের পক্ষে রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী মধ্যবিত্তের সম্মতি-নির্মাণের আরও একটি কৃৎকৌশল মাত্র।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাওড়া স্টেশনে ২৪জন রেলহকারের উপর আরপিএফের নির্মম লাঠিচার্জ এবং জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস, বঙ্গীয় হকার সম্মেলনের সংগঠক হিমাদ্রি বটব্যাল, বস্তি উন্নয়ন সম্মেলনের সংগঠক দেবারতি সরকারের গ্রেফতারি এই বিষয়ে ফের আলোকপাত করেছে। ইউপিএ সরকারের শেষ বছরে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর The street vendors (protection of livelihood and regulation of street vending) Bill লোকসভায় পাস হয়। তাতে শহরের পথব্যবসায়ী হকাররা স্বীকৃতি পেলেও রেলস্টেশনে কর্মরত হকাররা এই আইনের অন্তর্ভুক্ত হননি। অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দের মতে, 'চলমান' হকাররা শহরের সুদৃশ্য আধুনিক বিপণির প্রতিযোগী নয় বলে এই বিপুল সংখ্যক রেলহকারদের সেই আইনে অন্তর্ভুক্তি ঘটেনি। সেই ভুলের খেসারত এখনও মেটাতে হচ্ছে রেলহকারদের, আরপিএফের নৃশংস আচরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। ভারতীয় রেল প্রায় ১২৭৫টি রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণ করবে, যার গালভরা নাম 'অমৃতভারত' প্রকল্প। এই ঝাঁ-চকচকে কর্পোরেট শপিংমল-সম ভবিষ্যতের রেলস্টেশনগুলি কীরকম হতে পারে এবং কী উদ্দেশ্যে এগুলি নির্মিত হচ্ছে সেই বিষয়ে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইট জানাচ্ছে-
establishing Executive Lounges, designating spaces for business meetings, incorporating landscaping, and catering to the unique requirements of each station......The ultimate goal is to transform these stations into vibrant city centres over the long term.
আরও পড়ুন- দামী টিকিট, রক্তঘাম করা টাকায় দেওয়া আয়কর; ভারতীয় রেলে কোথায় যাত্রীসুরক্ষা?
অর্থাৎ, জনতার উন্নয়ন নয়, উদ্দেশ্য কর্পোরেট বিনিয়োগকে রেলব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত খুচরো ব্যবসায় জড়িয়ে দেওয়া। আবার এক ধরনের নয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরাজ ফেরত আনা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বহু হকারদের একটি সমীক্ষা করতে গিয়ে, এদের জীবিকার প্রতিদিনের লড়াইয়ের সঙ্গে সম্মুখীন হতে হয়েছে। মনে পড়ছে, সম্প্রতি শেষ ৬ মাস ধরে রেলে হকারি করতে আসা অভিজিৎ সিংয়ের কথা। তিনি লোকাল ট্রেনে জল বিক্রি করেন। এর আগে একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন ডাব বিক্রেতা। মা বর্তমানে একটি খাবার হোটেলে কাজ করেন, আর ভাই লোহা কারখানায় কাজ করেন। সারাদিনে জল বিক্রি করে তাঁর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। তাঁর প্রতিদিনকার রোজগার মূলত খরচ হয় সংসারে- খাওয়া দাওয়া, গ্যাস, বিদ্যুতের বিল দিতে এবং মাসে মাসে ১০০০ টাকা বন্ধন ব্যাঙ্কে ঋণের কিস্তি মেটাতে। জমানো টাকা বিশেষ থাকে না। তবে স্ত্রীর নামে তিনি একটি সরকারি জীবনবীমা করিয়েছেন। নিজে পড়াশোনা করেছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। হকারির পেশায় অভিজিৎ মোটের উপর সন্তুষ্ট, যদিও আপ্রাণ চান আরপিএফের অত্যাচার আর ফাইনের ঝক্কি কমুক। রেলে যাঁরা জল বিক্রি করেন তাঁরা সকলেই মোটামুটি ৩৫০/৪০০ টাকা লাভ করেন দৈনিক।
আরেক রেলহকার শ্যাম বন্দ্যোপাধ্যায় জল ছাড়াও কখনও কখনও বরফ জলের 'পেপসি' এবং শোনপাপড়ি বিক্রি করেন। মাস চারেক ধরে তিনি হকারি করছেন কিন্তু লকডাউনের আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁর বাবাও ছিলেন রেল হকার। পেপসি এবং শোনপাপড়ি নিয়ে আসেন হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে। তাঁর ছেলে লোহা কারখানায় এবং মেয়ে কাপড়ের কলে কাজ করেন। শুধু শ্যামই নন জল বিক্রেতা মোরসালেম মোল্লা, মোয়া এবং জুস বিক্রেতা শেখ আতিবুল সকলেই এক বাক্যে জানান-
"আমরা চোরের মতো হকারি করব কেন? এটা আমাদের পেশা আমরা স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে করব।"
রেলপুলিশের অত্যাচার বন্ধ হোক, রেলে হকারিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক এটাই তাঁদের সকলের দাবি। মনে পড়ছে, মশলা মুড়ি বিক্রেতা গৌরহরি ঘোষের কথা, বিগত ১২-১৩ বছর ধরে তিনি হকারি করছেন। তাঁর লাভের মার্জিন দিনে ৪০০টাকা। উলুবেড়িয়ায় নিজস্ব জমি ছিল আগে কিন্তু বোনেদের বিয়ে দিতে তা চলে গেছে। এখন ভূমিহীন। এই মানুষরা কোনও উপন্যাসের চরিত্র নন, জলজ্যান্ত বাস্তবতার সুতোর উপর এদের জীবন চলছে। এখানে মহাজনদের পরিচয় হিসাবে কেবলমাত্র 'সুদখোর' শব্দটি প্রযোজ্য নয়। তারাও এই আন্দোলনের শরিক। হকার-মহাজন-স্থানীয় উৎপাদন এক ত্রিশঙ্কু। এই ত্রিশঙ্কু বিকেন্দ্রীভূত ক্ষুদ্র পুঁজির আকারে মিথোজীবিতার অর্থনৈতিক বাস্তুতন্ত্র সৃষ্টি করেছে। অর্থনীতিবিদ সুতনু ভট্টাচার্য একবার লিখেছিলেন,
'কিন্তু এই বাস্তুতন্ত্রে স্বভাবতই ছিল না পাশ্চাত্য কর্পোরেটতন্ত্রের মূল মন্ত্র- চক্রাকারে ক্রমাগত আগ্রাসন, উদ্বৃত্ত আহরণ ও বৃদ্ধি। ...উদ্বৃত্ত আহরণের পরজীবি চরিত্রের কারণে কর্পোরেটতন্ত্রের মূল প্রক্রিয়াই হলো কেন্দ্রীকরণ- যা কিছু তার অন্তর্জালের বাইরে, তাকে ক্রমশ ভেঙেচুরে গ্রাস করে তার উদ্বৃত্তকে আত্মসাৎ করা। এ না হলে সে সংকটে পড়ে বারংবার ও উদ্ধার পেতে হয়ে ওঠে আগ্রাসী। লক্ষ্যণীয় যে পাশ্চাত্যের সৃষ্টি কর্পোরেটতন্ত্রের বয়স মাত্র শ'চারেক বছর আর তার মধ্যেই সে বারবার সংকটে পড়েছে, যেখানে আমাদের চিরায়ত ব্যবস্থা ভারসাম্য রেখে চলে এসেছে কয়েক হাজার বছর ধরে।'
এই শ্রেণিবিন্যাসের অন্তর্বর্তী যে সহমর্মিতার রাজনীতি, তাকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দীর্ঘদিনের হকার-কারিগর আন্দোলনের সংগঠক, উপনিবেশবিরোধী ইতিহাসবিদ বিশ্বেন্দু নন্দ বলছেন,
'পশ্চিমি ব্যবসা অথবা উৎপাদনের একটি বড় প্রক্রিয়াই হলো ব্যবসা অথবা উৎপাদনের একচেটিয়াকরণ, আজকের বড় ব্যবসার ভাষায় কনসোলিডেশন। আজ ভারতীয় বড় ব্যবসায়ীরা দার্শনিকভাবে সেই দর্শনের অংশীদার। কিন্তু তৃণমূলস্তরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের পালক সমাজের চিরাচরিত সামাজিক রীতিনীতি মান্য করেই সামাজিক বিকেন্দ্রিক পণ্য উৎপাদকদের মতোই কোনও ব্যবসাকে একজন অথবা এক ব্যক্তির একচেটিয়া ব্যবসারূপে প্রতিভাত করার চেষ্টা করেননি কোনওদিনই। ব্যবসায় অথবা উৎপাদনে ব্যক্তিগত দখলদারি ছিল সমাজের কাছে ঘৃণ্য দর্শন। চিরাচরিত সমাজ তাই ব্যবসাজাত মুনাফা একহাতে না রেখে বেটে দিয়েছে সমাজের নানান স্তরে। তৃণমূলস্তরের ব্যবসার অন্যতম বড় দর্শন, সাম্যবোধভাব।'
এই সাম্যবোধভাবকে চিহ্নিত করে, এক নতুন আর্থব্যবস্থার কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দে,
'স্থানীয় জ্ঞান ও কারিগরি উৎপাদন ব্যবস্থা এখনও এ দেশের চালিকাশক্তি। এই উৎপাদন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রিত, পুঁজিনিবিড় নয়। কারিগর ও তার চেলার (শিষ্য, শাগরেদ) সম্পর্ক পুঁজিপতি ও শ্রমিক সম্পর্কের মতো নয়, মার্কস বর্ণিত শ্রম লুটের সুযোগ এখানে নেই। ...এ দেশের হকার-কারিগর ভিত্তিক আর্থব্যবস্থা আন্তর্জাতিক শ্রমসংগঠন বর্ণিত, অপ্রাতিষ্ঠানিক আর্থব্যবস্থার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এখানে অনেক বিক্রেতা (ফেরিওয়ালা, ছোট দোকানদার) অনেক উৎপাদক (ক্ষুদ্র ও অতি-ক্ষুদ্র উৎপাদক, কারিগর-গ্রামীণ পরম্পরার উৎপাদক) হাজারো ক্রেতা। সিংহভাগ বিক্রেতার নিজস্ব কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই, নেই কোনও বিধিসম্মত ছাড়পত্র বা লাইসেন্স। উৎপাদক নিজেই কখনও বা বিক্রেতা। তারও অনেক ক্ষেত্রেই কোনও আইনি ছাড়পত্র বা উৎকর্ষের সিলমোহর নেই। ক্রয়বিক্রয় সম্পূর্ণ পারস্পরিক বিশ্বাস নির্ভর। কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ বা ক্রেতা সুরক্ষা বিধি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এ আর্থব্যবস্থা বহুজাতিক বৃহৎপুঁজি বা ব্যাঙ্কিং পুঁজির আওতার বাইরে ক্ষুদ্র পুঁজি, জ্ঞান, দক্ষতা, প্রজ্ঞা, নিজস্ব বাজার নির্ভর এক স্বনিয়ন্ত্রিত আর্থব্যবস্থা।'
আরও পড়ুন- চলন্ত ট্রেনে বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের হত্যা! যে খাদের ধারে দাঁড়িয়ে আছে মোদির ভারত
এখন এই চলমান রেলহকার আন্দোলনের চরিত্র, কেবলমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্যভাবে সংগঠিত হয়ে ওঠার আখ্যানে সীমাবদ্ধ নেই, এটি দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হিন্দি-হিন্দুত্ব-হিন্দুস্তানের ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধেই একটি লড়াই। যা বাংলার মূলধারার বামপন্থীরা প্রথমে অনুধাবন করতে পারেননি। তারা একটি শ্রমজীবী আন্দোলনকে 'উগ্র জাতিসত্তা'র আন্দোলন বলে দাগিয়ে দিচ্ছিলেন, যা কতটা বামপন্থা-অনুমোদিত তা সন্দেহের। আমরা যারা শিক্ষানবিশ তারা তো জানি, লেনিন আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের রাজনীতি প্রসঙ্গে রোজা লুক্সেমবুর্গের সমালোচনা করতে গিয়ে বলছেন,
'Just as in bourgeois society the defenders of privilege and corruption, on which bourgeois marriage rests, oppose freedom of divorce, so, in the capitalist state, repudiation of the right to self-determination […] means nothing more than the defense of the privileges of the dominant nation and police methods of administration, to the detriment of democratic methods.'
তারা হয়তো দিল্লিকেন্দ্রিকতার বিরুদ্ধে, হিন্দি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই তার মৃদু বিরোধিতা করে স্বাধীনতার পর থেকে ঘটে চলা দিল্লির শোষণকে অচেতনভাবেই আড়াল করতে চেয়েছেন। এই ধরনের লড়াইয়ের সঙ্গে বৈশ্বিকভাবে বিশ্বায়ন পরবর্তী নয়া উদারনৈতিক পুঁজিবাদ-বিরোধী লড়াইকে তারা সংযুক্ত করে দেখতে চাননি। এ প্রসঙ্গে, নিম্নবর্গের সমাজতাত্ত্বিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য স্মরণীয়, সাম্প্রতিক সময়ে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন- 'অসংগঠিত খাতের কোটি কোটি কোটি মানুষ স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জন করলেও তাদের প্রধান লক্ষ্য পুঁজি আহরণ নয়, কোনওক্রমে বেঁচেবর্তে থাকা। উপনিবেশোত্তর অর্থনীতির এই যুক্তির সঙ্গে মার্ক্স-বর্ণিত উনিশ শতকের ইওরোপের বা পরবর্তী বিশ শতকের আমেরিকার আকাশপাতাল ফারাক।'
আর্থিক বিকাশের এই নতুন যুক্তিকে আমাদের দেশের বামপন্থীরা একেবারেই আমল দেননি। সে তুলনায় পপুলিস্ট দলের নেতারা এর রাজনৈতিক তাৎপর্যটা টের পেরেছিলেন। অথচ যে বিশ্বজনীন ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার ঐতিহ্য বামপন্থীদের আছে, তাতে তাদেরই সবচেয়ে আগে এই নতুন পুঁজিবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করতে পারা উচিত ছিল।' যদিও তা ঘটেনি, তাই আজও সামাজিকভাবে রেলহকারির মতো একটি জনপ্রিয় পেশাকে লাঠিচার্জের সম্মুখীন হতে হয়। রাষ্ট্রীয় আইন তাকে অনুমোদন দিতে চায় না। আজাদির পঁচাত্তর বর্ষীয় অমৃত-মহোৎসবের মন্থনে 'অমৃতভারত' স্টেশন প্রকল্পের মতো কর্পোরেট-গরল ওঠে, উচ্ছেদ তৈরি করে 'ইন্ডিয়া' থেকে 'ভারত' নির্মাণের ভূমি।
তথ্যঋণ:
হকার কথা: পথের কথা, পথ ব্যবসায়ী (সম্পাদক- পার্থ পঞ্চাধ্যায়ী, বিশ্বেন্দু নন্দ)- প্রকাশক: কলাবতী মুদ্রা, জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র
বিশ্বরাষ্ট্র নির্মাণ প্রক্রিয়া, সবুজায়ন ও নীল আর্থব্যবস্থার বিকাশ: এক নীলকণ্ঠ ভারতের ইতিবৃত্ত- দীপঙ্কর দে (প্রকাশক- কলাবতী মুদ্রা)
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার: সারোয়ার তুষার- তত্ত্বতালাশ পত্রিকা, তৃতীয় সংখ্যা, জানুয়ারি ২০২২