যৌনাঙ্গে রড, দেহ ৩৫ টুকরো! অপরাধীকে নৃশংসতা শেখায় আসলে কারা?

India's Daughter: জ্যোতির যৌনাঙ্গ দিয়ে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল তারা। "ভেতর থেকে কিছু লম্বা লম্বা জিনিস বেরোল। নাড়িভুঁড়িই হবে," যেমন করে মুরগি কাটা হলে বেরিয়ে আসে, যেন ততটাই স্বাভাবিক

“আগর কোই শরিফ লড়কি হোতি, রাত কো ন' বাজে নেহি ঘুমতি। লড়কিয়া ভি উতনে হি জিম্মেদার হ্যায় রেপ কে জিতনে কি লড়কে হ্যায়।"

জ্যোতির ধর্ষক, মুকেশ সিং

“যদি আমার মেয়ে বা বোন প্রাক-বিবাহ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় বা বিয়ের আগে নিজের চাল-চরিত্র খারাপ করে তাহলে আমি মেয়ে-বোনকে আমার ফার্ম হাউজে নিয়ে গিয়ে সারা পরিবারের সামনে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেব।"

এপি সিং, ধর্ষকদের আইনজীবী

“বরাবর নেহি হ্যায় লড়কে লড়কিয়া, লড়কিওকে লিয়ে বানায়া গ্যয়া হ্যায় ঘর-কাম-কাজ। আপনা ঘরবার দেখে, ইয়ে রাতমে ডিস্কো মে ঘুম রহি হ্যায়, বারো মে ঘুম রহি হ্যায়। গলত হরকতে কর রহি হ্যায়, অ্যায়সে কাপড়ে পেহন রহি হ্যায়..."

জ্যোতির ধর্ষক, মুকেশ সিং

“A female is just like a flower. It gives a good-looking, softness. A man is just like a thorn, strong, tough enough. A flower always needs protection, if you put a flower in a gutter it is spoilt, if you put it in the temple it is worshiped!

“in our society we never allow our girls to come out from the house after 6.30 of 7.30 or 8.30 in the evening with any person”

এম এল শর্মা, ধর্ষকদের আইনজীবী

“হামে ফাঁসি দেনে সে, লড়কিও কো অউর জ্যাদা খতরা হো গ্যয়া হ্যায়। আব কোই রেপ করেগা হামারি তরহা ছোড়েগা নেহি, সিধা মার দেগা।"

জ্যোতির ধর্ষক, মুকেশ সিং

“হাম নারী হ্যায়, নারী কা সুরক্ষা তো উসকা পতি হি করতা হ্যায়। যব উসকা পতি হি নহি রহেগা তো উস নারীকা সুরক্ষা কৌন করেগা। ও কাহে কে লিয়ে জিয়েগি, কিস কে লিয়ে জিয়েগি? হাম ভি নেহি জিনা চাহতে হ্যায়। ইয়ে প্রিয়াংশু, হামারা বাচ্চা, ইসে ভি গলা ঘোঁট দেঙ্গে।"

ধর্ষক অক্ষয় ঠাকুরের স্ত্রী, পুনীতা দেবী

এরপর আর একটা শব্দও লেখা প্রতুলতা, বাহুল্য। ২০১২, ২০২২, ২০২৩, জ্যোতি থেকে অঞ্জলি ভায়া শ্রদ্ধা- মেয়েদের জন্য দিল্লি বদলায়নি। মানুষের, খুনির, ধর্ষকের নৃশংসতাও বদলায়নি, মেয়েদের বুকের সামনে ব্যাগ ধরাও পালটে যায়নি। কেউ নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়েছে, কেউ দেহ ৩৫ টুকরো করেছে, কেউ গাড়ির তলায় টেনে নিয়ে গেছে ১৩ কিলোমিটার। ৩ মেয়েই চিৎকার করেছিলেন, ৩ মেয়েরই চিৎকার দেশ শোনেনি। ভারতের মেয়েদের উঁচু গলায় কথা বলা মানা, যত চিৎকারই করা যাক না কেন- তা কর্ণভেদী নয়, হয়ে ওঠেনি। অপরাধীদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে বিস্তর পুঁথি রয়েছে। সেসব মজার নয়। মজার হলো, অধিকাংশ অপরাধীকে আপাদমস্তক পড়ার পর, আর রাগ হয় না। অনেকটা করুণা, খানিক হতাশা দলা পাকিয়ে জ্যোতি-শ্রদ্ধা-অঞ্জলিদের মাংসপিণ্ডের মতোই পড়ে থাকে। পড়ে থাকে, যতক্ষণ না দ্বিতীয় নৃশংসতা এসে তাকে ঠুকরে ঘা করে যায়।

জ্যোতির এক ধর্ষক, মুকেশ সিং সোজাসাপটাই জানিয়েছিল, 'সবক' শেখানো দরকার ছিল জ্যোতিকে, জ্যোতির বন্ধুকেও। রাত করে একটা ছেলের সঙ্গে বাইরে বেরনোর 'সবক', যে শিক্ষা প্রতি মুহূর্তে ছেলেদের-মেয়েদের দেওয়া হয়েছে তার উল্টোদিকে গিয়ে ছেলেদের মুখের উপর কথা বলার 'সবক'। বান্ধবী শ্রদ্ধাকে টুকরো টুকরো করতেই হতো কারণ, দিনের পর দিন মার খেতে খেতে একটা সময় শ্রদ্ধা চিৎকার করেছিল। অঞ্জলির চিৎকার না শুনলেও চলে, গাড়ির নিচে একটা আস্ত মেয়েকে টেনে নিয়ে যাওয়াই যায় কারণ বড় বড় দেশে এসব ছোট ছোট ঘটনা হয়েই থাকে। অপরাধ কার্য মাত্র, তার কারণের শিকড় খুঁজতে গেলে চেতন-অচেতন সমস্তই নড়ে ওঠে। দারিদ্র বা বাহুল্য অপরাধীকে নৃশংস করে না। নিজের সমস্ত না পাওয়া, অথবা আজন্ম চারদিকে দেখে আসা ঘটনায় নিজের বেবাক হয়ে থাকা ছাড়া কোনও বিকল্প না পাওয়া, অন্যকে শাস্তি দিয়ে নিজের কর্তৃত্ব ইগোকে ধূপ-ধুনো দেখানো সবটাই জড়িয়ে জড়িয়ে থাকে। সহজ নয় সেই পাঁকের গভীরে আতসকাচ নিয়ে ডুব দেওয়া।

আপাতদৃষ্টিতে সহজ, সাধারণ মানুষই। জীবনে সমস্যা আছে, ফূর্তির ইচ্ছা আছে, আবার এমন কিছু লুকনো দিকও আছে যা সময় বিশেষে প্রকাশ পেয়ে যায়। লুকনো দিক লুকিয়ে থাকে কেন? কীভাবেই বা এই দিকগুলি তৈরি হয়? একজন অপরাধীকে পড়তে পড়তে তাই এমন ক্ষুদ্র-তুচ্ছ বিষয়ও উঠে আসে, যা কোনওদিন কাউকে এভাবে 'ট্রিগার' করতে পারে ভাবাই যায় না। নির্ভয়ার ঘটনায় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খুব সামান্য হলেও মুকেশ সিং (যার ভাই রাম সিং এই ধর্ষণে আরেক অভিযুক্ত, জেলেই আত্মহত্যা করে বলে দাবি) জানিয়েছিল নিজের যৌন জীবনের কথা। গ্রামের বাড়িতে একবার মদ খেয়ে কোনও এক মেয়ের সঙ্গে তাঁর শারীরিক নৈকট্য হয়। খুব উল্লেখযোগ্য, ওই মেয়েটি মুকেশকে বলেছিল ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে চুমু খাওয়া 'খারাপ কাজ'। সেই যৌনতায় কার ভূমিকা কী ছিল একটু তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যায়। জ্যোতির দেহ যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তাঁর সারা শরীরে ছিল অজস্র কামড়, ঠোঁট কেটে ফাঁক। মুকেশ আর তার দাদা রাম সিংয়ের হতদরিদ্র পরিবার। খুঁটে খেতে শিখে নিতে হয় এসব পরিবারে ছোট থেকেই। স্কুলে যেতে কখনই ভালো লাগেনি মুকেশের। দাদা রাম সিং খানিক ইলেকট্রিকের কাজ জানত, ভাইকে বা অন্য যে কাউকে বাইরে অকারণ ঘুরতে দেখলে ইলেকট্রিক শক দিত। শাস্তি, ‘সবক' শেখানোর যন্ত্রণাদায়ক পাঠ। কথা না শুনলে শাস্তি পেতেই হয়।

ফলে জ্যোতি আর তার ছেলেবন্ধুর এমন শাস্তি পাওয়া উচিতই ছিল। ধর্ষক মুকেশ জানিয়েছিল, "ওদের শিক্ষা দেওয়ার অধিকার আছে।" যে অধিকার মুকেশের বাড়ির, গ্রামের, অন্য শহর, অন্য পাড়ার পুরুষরা পেয়েছেন। আর মহিলারা কী পেয়েছেন? সহ্য করার শিক্ষা। চুপচাপ সয়ে নিলেই মিটে যেত। "যখন রেপ হচ্ছে, তখন ওর পাল্টা লড়াই করা উচিত হয়নি। চুপ করে থাকা উচিত ছিল। আমরা 'করে' নেওয়ার পরে ওকে ফেলে দিতাম, শুধু ছেলেটাকে মারতাম," নির্লিপ্ত মুখে বলেছিল মুকেশ। করতে দেওয়াই উচিত ছিল, কারণ তার বাড়িতেও বাবা-কাকা-অন্য পুরুষরা, গ্রামের অন্য পাড়ার অন্য পুরুষরা এভাবেই 'করে' থাকেন আর মহিলারা সবটা সহ্য করাতেই বিশ্বাস করেন কারণ পিতৃতন্ত্র ও বলিউড বলেছে, “ভালা হ্যায়, বুরা হ্যায়, জ্যায়সা ভি হ্যায়, মেরা পতি মেরা দেবতা হ্যায়।" দেবতার ফাঁসি হলে দেবতার 'অবলা' স্ত্রী কী করবে, নিজেও মরবে, বাচ্চারও গলা টিপে মেরে দেবে। অন্যের ধর্ষক হোক, নিজের তো স্বামী! ভালা হ্যায়... বুরা হ্যায়, জ্যায়সা ভি হ্যায়...

শ্রদ্ধাও যদি আফতাব আমিন পুনাওয়ালার মার সহ্য করে নিতেন, অবস্থা এদিকে নাও গড়াতে পারত! শ্রদ্ধা বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। ছ'মাস ধরে মার খেয়েওছেন। বয়ফ্রেন্ডের চড় থাপ্পড় খাওয়া এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। এর আগেও "কেটেই ফেলব" শুনেছেন। শেষমেশ পুলিশে একটি অভিযোগ করে ফেলেছিলেন। তারপর ৩৫ টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছেন রাজধানীতে। একটু সহ্য করে নিলেই... মরতেন ঠিকই, ৩৫ টুকরো তো হতেন না। দেশ অপরাধীর নির্লিপ্ততায় অবাক হয়েছে। অবাক হয়েছে কীভাবে কাটা মুণ্ডুকে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন আফতাব। তারপর কীভাবে ওই একই ঘরে অন্য বান্ধবীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন। অস্বাভাবিক, কিন্তু অবাস্তব নয়। একজন গেলে একজন আসবে, বিশেষ করে এই ধরনের 'ক্যাজুয়াল' সম্পর্কে যৌনতা মানেই জীবনভরের বিনিয়োগ তো নয়! পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধা জীবন বিনিয়োগই চেয়েছিলেন। একমুখীনতায় নিজেকে থামাতে চাননি আফতাব, এতদূর অবধি ঠিকই ছিল। কিন্তু প্রেমিকাকে চড়-থাপ্পড় মারাই যায়, মারলে মারতে দেওয়াই উচিত এইখানে এসেই এক হয়ে যায় ধর্ষক-প্রেমিক-খুনি অথবা চারপাশের অজস্র সেইসব মানুষ যারা একইভাবে ভাবেন, একই আচরণও করেন।

গাড়ির নিচে এক মহিলা আটকে আছেন, সেটা টের পেয়েও গাড়িটি অজস্রবার ইউ-টার্ন নিয়েছিল। যাতে লেগে থাকা দেহ খসে পড়ে যায়। যেমন দেহে লেগে থাকা নোংরা নখের ডগা দিয়ে টুক করে ঝেড়ে ফেলা যায় আর কী। কেন একবারও থামলেন না গাড়ির ভিতরে থাকা যুবকরা? শুধুই মদের নেশা, নাকি নেশায় নিজের সেই সুপারলেটিভ বেপরোয়া ইগোর জেগে ওঠা- যার সামনে কোনও কিছুই ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মুকেশ-পবন-রাম-বিনয়-অক্ষয়রাও একইভাবে দেহ ফেলে দিয়েছিল বাস থেকে, যেমনভাবে কাজ মিটে যাওয়ার পর কোনও কিছু পরিত্যক্ত হয়ে যায়! অঞ্জলির দেহও খুলি ফাটা, পাঁজর বেরনো অবস্থায় পড়েছিল, নগ্ন, রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত 'মাল'।

জ্যোতির ধর্ষণের বীভৎসতা আজও স্তব্ধ করে দেয়। আরও স্তব্ধ করে দেয় ধর্ষকের চোখের চাহনি। জ্যোতির যৌনাঙ্গ দিয়ে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল তারা। "ভেতর থেকে কিছু লম্বা লম্বা জিনিস বেরোল। নাড়িভুঁড়িই হবে," যেমন করে মুরগি কাটা হলে বেরিয়ে আসে, যেন ততটাই স্বাভাবিক- সেভাবেই বলেছিল মুকেশ। "মেয়ের নাড়িভুঁড়ি যা বের করেছিলাম, একটা কাপড়ে মুড়ে ফেলে দিই। ১০ মিনিটে বাড়ি চলে যাই। গাড়িতে অনেক রক্ত ছিল। অক্ষয় আর 'জুভেনাইল' গাড়ি ধোয়। বিনয়ের হাতে অনেক রক্ত ছিল, আমার ঘরে বিনয় হাত ধোয়," নির্লিপ্ত। স্বাভাবিক। বান্ধবীকে ৩৫ টুকরো করে, শীত লাগে আফতাবের। ক্রেডিট কার্ড চায় জামাকাপড় কিনবে বলে, নির্লিপ্ত, সহজ। খুন না করলেও সে এইসময় এভাবেই কেনাকাটা করত, মদ খেত, নববর্ষের রাতে মদ-মাংস ও যৌনতায় ডুবে যেত। খুন করলেও- একই। আসলে খুন নয়, শাস্তি। জ্যোতির ঘটনায় একজন নাবালকও ছিল। চারপাশে তাকালে যেমন অজস্র নাবালককে খেটে খেতে দেখা যায়, তেমনই। কোন পরিবেশে বড় হচ্ছে একজন শিশু-কিশোর?

১১ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়া। ৩ বছর ধরে বাড়িতেই যায়নি সে। বাড়িতে মা, দুই বোনও। খাওয়া জোটে না। মজুরি করে দিন চলে, রোজ চলেও না। বাচ্চাকে গ্রামে কেই বা কাজ দেবে? শহরে থাকলে তাও হোটেলে বাসন মেজে সামান্য টাকা পাবে। পেট চলবে। নাবালককে না চাইতেও সেই মানুষদের সঙ্গেই থাকতে হয়েছে, যেখানে 'টক্সিসিটি' উথলে পড়ে। পুলিশ যখন নাবালককে গ্রেফতার করে তার বাড়ির সন্ধানে যায়, নাবালকের মা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন ছেলে মরেই গেছে। যে ছেলে আছে আর মরে গেছের মাঝে কোনও অনুভূতির ফারাক নেই- সেই শিশুদের কোন পরিবেশে বড় হতে হয়েছে অনুমেয়। নাবালকের মতোই আরও অনেকেরই অনেক না পাওয়া, বঞ্চনা বেলুনের মতো ফুলে ওঠে এসে। 'এগিয়ে থাকা', সুবিধা পাওয়া সমস্তকেই জাতশত্রু মনে হয়। শাস্তি দিতে ইচ্ছা হয় নিজের সমস্ত বঞ্চনাকে, ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার পাঠ দিয়েই। কর্মসূত্রে, স্টেশনের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়েছে দীর্ঘ। কতই বা বয়স, ৫, ৬। অনেকের আধো কথাও ফোটেনি। স্টেশনের কুলিদের কাছ থেকে রক্তাক্ত হয়ে ফিরেছে শিশু, ভারতের ছেলেরা। কেঁদেছে। আবার পরদিন ওই খোঁয়াড়েই গিয়ে বসতে হয়েছে। নিজেরই মাকে মার খেতে দেখতে হয়েছে, নিজেরই মায়ের নামে খিস্তি করে আবার চুপচাপ চলন্ত ট্রেনে উঠতে হয়েছে।

ধর্ষকদের আইনজীবীরা যা বলেছিলেন, তার মধ্যে যে গর্ব ছিল তা পিতৃতন্ত্রের গর্ব। না-খেতে পাওয়া, বঞ্চিত পরিবারের গল্প নয়। তবু, সব চরিত্র একই পংক্তিতে এসে পড়ে। নিজের মেয়ে-বোনকে পুড়িয়ে দিতে চেয়েছেন, শাস্তি দিতে চেয়েছেন। কেউ বলেছেন, মাংস রাস্তায় পড়লে কুকুরে খাবেই। এই প্রত্যেক পুরুষের পরিবারে, আশেপাশে, কর্মজগতে অজস্র নারী চরিত্র। কোন দৃষ্টি পোহান সেই মহিলারা, তার উত্তর লিখে শব্দ না খরচ করলেও হবে।

 

More Articles