মাসে ৮০ লাখ টাকা রোজগার করেও ভাঙা ফোন ব্যবহার! এই ফুটবলারের কাহিনি তাক লাগিয়েছে বিশ্বকে

Footballer Sadio Mane: সাদিও মানে বলেছিলেন, "আমি মোটামুটি যা রোজগার করি,তাতে আমি দশটা ফেরারি গাড়ি কিনে ফেলতে পারি, কুড়ি খানা ঘড়ি কিনতে পারি যেখানে হিরে বসানো রয়েছে, অথবা, নিজের জন্য দুটো প্রাইভেট জেট কিনে ফেলতে পারি,...

মনে করুন আপনার মাসিক মাইনে ২ কী ৩ লক্ষ টাকা! তাহলে আপনি কী করবেন? নিশ্চয়ই কোনও একটা বড় রেস্তোরাঁর দামি খাবার খেতে যাবেন, অথবা ভালো ভালো জায়গায় ঘুরতে যাবেন, কিংবা রোলেক্সের ঘড়ি কিনবেন, বা লেটেস্ট এডিশন আইফোন কিনবেন! কিন্তু আপনি কি মনে করবেন, যে আপনি নিজের টাকা সাধারণ মানুষের জন্য দান করবেন? হয়তো না, কারণ নিজের কষ্টার্জিত টাকা সাধারণত কেউ এই ভাবে অন্যের কাছে দিয়ে দেন না। তবে, হাতেগোনা কয়েকজন এই পৃথিবীতে এমনও থাকেন যারা কিনা নিজের উপার্জিত টাকাও প্রিয়জনকে কিংবা নিজের দেশের মানুষকে দান করতে চান। তিনি চান যেন তাঁর দেশের মানুষ সুখে থাকুক। এ রকমই একজন মানুষ হলেন সাদিও মানে।

ইংল্যান্ডের অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ফুটবল লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম জনপ্রিয় দল লিভারপুলের উইঙ্গার হিসেবে খেলেন ফুটবলার সাদিও মানে। লিভারপুল যেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতল, সেবারে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন সাদিও মানে। শুধুমাত্র লিভারপুল নয়, সেনেগালের জাতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তিনি। কিন্তু শুধুমাত্র যে একজন ফুটবলার হিসেবে জনপ্রিয় তা কিন্তু নয়, সঙ্গেই তিনি কিন্তু নিজের দেশের মানুষের জন্য অনেক কাজও করেন। আজকে এই ফুটবলারের জীবনের কিছু অজানা কথা নিয়েই আলোচনা করব।

১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল সেনেগালের সেধিও অঞ্চলে জন্ম সাদিও মানের। দক্ষিণ সেনেগালের একটি প্রত্যন্ত এলাকা, বাম্বালি গ্রামে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। এই গ্রামের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ২৪,২১৩। ছোটবেলায় তাঁদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন, যখন তিনি ছোট ছিলেন তখন স্কুলে পর্যন্ত যেতে পারেননি। ফুটবল খেলার জন্য কোনও সামগ্রী ছিল না তাঁর কাছে, বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় খালি পায়ে ফুটবল খেলতেন। কিন্তু প্রথম থেকেই, ফুটবলার হওয়ার একটা স্বপ্ন ছিল। তিনি বলেছেন, যখন তিনি ছোট ছিলেন তখন টিভিতে প্রিমিয়ার লিগ দেখতেন। প্রিমিয়ার লিগের ভক্ত ছিলেন সাদিও মানে।

তাঁর কাছে খেলার কোন সামগ্রী না থাকলেও দমে যাননি। বরং, ১৫ বছর বয়সে খালি পায়ে ফুটবলের সাধারণ একটু জ্ঞান নিয়ে তিনি মাঠে নেমে পড়তেন। যখন তাঁর বয়স মাত্র দুই কী তিন বছর, তখন থেকেই এই খেলার প্রতি তাঁর ভালবাসার জন্ম দিয়ে শুরু করে। তখন থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন, শুধু রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে নয়, তিনি একদিন বিশ্ব ময়দানে জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন।

Sadio Mane : মাসে ৮০ লাখ টাকা রোজগার করেও ভাঙা ফোন ব্যবহার করেন এই ফুটবলার, কাহিনী শুনে আপনার চোখেও আসবে জল

চিত্রঋণ : Google

তবে, ২০০২ ফুটবল বিশ্বকাপ ১০ বছরের এই ছোট্ট ছেলেটির মনের সব কিছু পরিবর্তন করে দেয়। সেই বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিল তাঁর দেশ সেনেগাল। সেই বিশ্বকাপের পর থেকেই সাদিও মানের জীবনে সবকিছু পরিবর্তন হতে থাকে। তাঁদের একটা ছোট্ট দল তৈরি হয়, যেখানে সমস্ত ছেলেরা ফুটবল নিয়ে আলোচনা করে।

বিশ্বকাপের পরে নিজেদের গ্রামে তাঁরা একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। সেটাই বলতে গেলে সাদিওর জীবনের প্রথম ফুটবল প্রতিযোগিতা। আর সেই প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত সাফল্যের মাধ্যমে তিনি নিজেও হয়ে ওঠেন গ্রামের সবথেকে ভালো ফুটবলার। তাঁর পরিবার কখনই চায়নি তিনি ফুটবলার হন, কিন্তু পরে সবাই বুঝতেই সাদিওর মাথায় দিনরাত শুধুই ফুটবল।

প্রথমদিকে, পরিবারের চাপে পড়ে ফুটবল খেলা আর হচ্ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি সকলকে রাজি করান। পরে যখন তাঁরা বুঝতে পারেন, সাদিও শুধুমাত্র ফুটবল ভালোবাসেন, তখন তাঁর কাকা তাকে ফুটবল খেলাতে নিয়ে যান। চাষাবাদ ছিল পরিবারের মূল আয়ের রাস্তা। নিজের ক্ষেতের সমস্ত ফসল বিক্রি করে কাকা টাকা জোগাড় করেন।

সাদিও মানে জানিয়েছেন, তার ফুটবল খেলার জন্য টাকা জোগাড় করতে তার কাকা নিজের সমস্ত ফসল বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তবে শুধু তার কাকা একা নন, তার গ্রামের সকলেই তার জন্য কিছু না কিছু টাকা সাহায্য করেছিলেন। এই সমস্ত টাকাকে সম্বল করে সাদিও যখন সেনেগালের রাজধানী ডাকারে আসে তখন তিনি একটি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন যাদের তিনি চিনতেন পর্যন্ত না। তিনি জানিয়েছেন, নামমাত্র কিছু টাকার বিনিময়ে শুধুমাত্র তাকে সাহায্য করার জন্য তারা নিজেদের বাড়িতে তাকে থাকতে দিয়েছিলেন।

তবে গরীব হওয়ার কারণে তিনি প্রথমে সিলেক্ট হতে পারছিলেন না। তিনি যখন প্রথমবার সিলেকশনে গিয়েছিলেন সেই সময় তাকে প্রায় বার করে দেওয়া হচ্ছিল ওই সিলেকশনে জায়গা থেকে। টাকা না থাকার কারণে তিনি ভালো বুট কিনতে পারেননি নিজের জন্য। তবে তিনি সিলেক্টরদের জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের সমস্ত চেষ্টা করবেন এবং তিনি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন মাঠে। তার দুর্দান্ত ফুটবল স্কিলের সুবাদে তিনি সরাসরি চান্স পেয়ে গিয়েছিলেন টিমের একাডেমিতে। তারপর আস্তে আস্তে তিনি এগোতে শুরু করেন নিজের লক্ষ্যের দিকে।

প্রথম দিকে যখন সিলেকশন হচ্ছিল সেই সময় তিনি সব থেকে ভালো ফুটবলারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেননি। কিন্তু সুযোগ এলো। সেই সময় সেনেগালে ফরাসিদের একটি স্কাউট গ্রুপ এসেছিল, সেনেগালের সবথেকে দরিদ্র এবং সবথেকে প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড়দের সিলেক্ট করতে। সেই তালিকায় নিজের নাম করে নিলেন সাদিও মানে। তার অসাধারণ ফুটবল স্কিল দেখে ফরাসি স্কাউটের গ্রুপটি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেল। সাদিও মানের ফুটবল খেলার প্রতিভায় এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন সিলেক্টররা, যে তাকে সরাসরি নিজেদের টিমে গ্রহণ করলেন তারা। পাশাপাশি, মানের পরিবারকে দুঃখ দারিদ্র্য থেকে দূর করতেও তারা এই ফুটবলকেই ব্যবহার করেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে তার সাফল্য তাকে আরো বড় জায়গায় নিয়ে গেল। ফরাসি স্কাউট এর সঙ্গে খেলার সুবাদে তিনি ফরাসি ক্লাব মেটযে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই শুরু করলেন প্রফেশনাল ফুটবল খেলা।

ফ্রান্সে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করার পরে সাদিও তার পরিবারকে একটা বড় সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন। তার পরিবার মনে করত, ভালো খেললেও সাদিও কখনো ততটা বড় জায়গায় যেতে পারবেনা। কিন্তু ফরাসি ক্লাবের সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য কয়জনের হয়? প্রথমদিকে তার পরিবার বিশ্বাস করতে পারেনি বিষয়টি। কিন্তু টিভিতে তার খেলা দেখার পরে সকালে বিষয়টি বিশ্বাস করে।

ফরাসি ক্লাবে ভালো খেলার সুবাদে ২০১২ সালে সুযোগ পেলেন রেড বুল সাল্জবার্গ দলে খেলার। সেখান থেকে সাউদাম্পটন এবং সবশেষে সেখানেও দুর্দান্ত প্রদর্শনের পরেই ২০১৬ সাদিও সরাসরি এন্ট্রি নিলেন বিশ্বের অন্যতম প্রধান এবং ইংল্যান্ডের সবথেকে বড় ফুটবল লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। তার টিম লিভারপুল। সেই টিমে খেলছেন মোহাম্মদ সালাহর মত তাবড় তাবড় খেলোয়াড়রা।  তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে একের পর এক গোল করা সাদিওর কাছে ছিল একটা স্বপ্নের মত।

তবে, সাদিও হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং অন্যান্য জায়গাতে একটি সেন্সেশন হিসেবে সামনে আসতে শুরু করেন যখন তার একটি ছবি ভাইরাল হয়। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছিলো কোথাও থেকে একটা ম্যাচ খেলে সাদিও ড্রেসিং রুমের দিকে ফিরছেন। কিন্তু তখনি একটা ছবি ওঠে যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল ফুটবলার সাদিও মানে একটি আইফোন ব্যবহার করছেন যে ফোনের স্ক্রিন সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গিয়েছিল। এরকম একটি ফোনের ছবি দেখার পরেই তার অনুগামীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। সকলেই জিজ্ঞেস করতে থাকেন সাদিও মানে যেখানে এত টাকা রোজগার করেন প্রত্যেক মাসে, সেখানে তিনি একটা ভাঙ্গা ফোন কেনো ইউজ করছেন? অন্তত নিজের ফোনের স্ক্রিন পাল্টে নিতে পারেন।

আসলে সেইদিন লেইসেস্টার সিটির সাথে খেলা ছিল লিভারপুল দলের। লিভারপুলের একজন ফরওয়ার্ড হিসেবে খেলেন সাদিও। সেই কারণেই এই ম্যাচের আগে তিনি ড্রেসিং রুমের দিকে যাচ্ছিলেন সেই সময়। তখনই ক্যামেরাম্যানদের নজর গিয়ে পড়ে তার ওই বিশেষ আইফোনের দিকে, যেটা পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়াতে আগুনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েকজন হয়তো জানেন, লিভারপুল দলের অন্যতম দামি খেলোয়াড় হলেন সাদিও মানে। তিনি যত টাকা রোজগার করেন প্রতি মাসে তাতে তিনি সপ্তাহে ১৫০ টি করে একেবারে ব্র্যান্ড নিউ আইফোন কিনে ফেলতে পারেন। কিন্তু তা হলেও, তিনি একটা ভাঙ্গা ফোন কেন ব্যবহার করেন?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাদিও এমনভাবেই একটি জবাব দেন যা সকলের মন কেড়ে নেয়। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার কারণে সাদিও মানে টাকার গুরুত্বটা খুব ভালোভাবেই বোঝেন। শোনা যায়, তিনি যখন ছোট ছিলেন, সেই সময় তিনি প্রত্যেকদিন খাবার পেতেন না। তাই অগত্যা মাটি এবং জল খেয়ে তাকে খিদে মেটাতে হতো। তিনি দারিদ্রতা দেখেছেন, তাই তিনি কখনোই টাকার অপব্যবহার করেন না।

একটি আলোচনায় সাদিও মানে বলেছিলেন, "আমি মোটামুটি যা রোজগার করি,তাতে আমি দশটা ফেরারি গাড়ি কিনে ফেলতে পারি, কুড়ি খানা ঘড়ি কিনতে পারি যেখানে হিরে বসানো রয়েছে, অথবা, নিজের জন্য দুটো প্রাইভেট জেট কিনে ফেলতে পারি, কিন্তু আমি এগুলো কেন কিনব? এই সমস্ত জিনিস কি আদৌ জগতের কোনও কাজে লাগবে?"

তিনি আরও যোগ করেন, 'যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন আমরা প্রত্যেকদিন খাবার পেতাম না, আমাকে প্রত্যেকদিন মাঠে-ঘাটে কাজ করতে হত, আমি কোনদিন স্কুলে যাবার মতো সুযোগ পাইনি, আমাকে হয়তো জীবনের সবথেকে কঠিন সময় দিয়ে যেতে হয়েছিল। দুপুরে কড়া রোদে আমি খালি পায়ে ফুটবল খেলতাম, আমার কাছে খেলার জন্য জুতো ছিল না, খেলার কোন সরঞ্জাম ছিল না, সঠিক পোশাক ছিল না। কিন্তু আমি ফুটবলকে ভালবাসতাম। ফুটবলের জন্যই এখন আমার কাছে অনেক কিছু আছে। তাই আমি আমার দেশের সমস্ত মানুষের সাহায্য করতে চাই।"

তিনি আরও বলেন, "আমি স্কুল তৈরি করেছি, স্টেডিয়াম তৈরি করেছি, সেনেগালের সমস্ত গরিব মানুষকে আমি খাবারের বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি, যারা অত্যন্ত গরিব রয়েছেন তাদের জন্য অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের বন্দোবস্ত করছি। প্রতি মাসে তাদের পরিবারের জন্য আমি ৭০ ইউরো দান করি। এই টাকা দিয়ে, অল্পস্বল্প করে হলেও তাদের পরিবারটা খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। আমার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য আমার বড় গাড়ি, বিলাসবহুল ঘর, বিলাসবহুল ট্রিপ, বিলাসবহুল প্রাইভেট জেট দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আমি অত্যন্ত সাধারণ ভাবে বাঁচতে চাই। কিন্তু আমি চাই যেন আমার দেশের মানুষ সমস্ত কিছু পায়, যেটা আমি পেয়েছি, যেটা জীবন আমাকে দিয়েছে।"

শুধু একজন ভালো মানুষ হিসেবে নয়, একজন দুর্ধর্ষ ফুটবলার হিসেবেও সাদিও মানে সকলের হৃদয়ে রয়েছেন। ২০১৯ সালে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত হন সাদিও মানে। ২০০২ সালের পরে তিনি প্রথমে সেনেগালের মানুষ যাকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল। তার বার্ষিক আয় ১৪ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। কিন্তু এতো প্রাচুর্য থাকা সত্বেও, তার পা কিন্তু এখনো মাটিতেই আছে।

সাদিও মানের মতো মানুষ, তাঁর মতো ফুটবলার সত্যিই বিশ্বের জন্য রত্ন। হয়তো খুব জনপ্রিয় নন, আকাশছোঁয়া মানের কোনও 'সেলেব' নন, যার কোনও ছোট্ট ঘটনাতেও কেঁপে যাবে গোটা বিশ্ব। তবুও তাঁর একটা আলাদা জগৎ আছে, একটা অন্য জনপ্রিয়তা আছে, যেখানে বিশ্বের অন্য কোনও ফুটবলারের বিচরণ নেই। সেই জগতে তাঁর অনুগামীরা তাঁর ডানপায়ের জোরালো শটের অপেক্ষায় থাকেন না, বরং থাকেন তাঁর সাহায্যের অপেক্ষায়।

 

More Articles