এখনও কাজ কিঞ্চিৎ বাকি
Kolkata Book Fair 2024 : টাইপোগ্রাফি নিয়ে পত্রিকা, এতে তো কম মানুষ আগ্রহী, তাহলে এতে এত শ্রম দিয়ে, এত অর্থ দিয়ে কাজ করে লাভ কী? আমি বলছি, এইটাই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার প্রস্তুতি প্রায় সাঙ্গ। বহরে বড় প্রকাশনা থেকে শুরু করে আকারে ছোট প্রকাশনা, লিটল ম্যাগাজিন, নতুন চিন্তার রসদ নতুন ছাপানো বই-পত্রিকার ভাঁজে ভাঁজে ছাপার হরফে জ্বলে উঠেছে। প্রস্তুতিপর্বে ইনস্ক্রিপ্ট কথা বলেছে 'বোধশব্দ' পত্রিকা ও প্রকাশনার সঙ্গে। কেমন প্রস্তুতি লিটল ম্যাগাজিনের? বাংলার পাঠক কি কেবলই বইমেলা নির্ভর? কথাবার্তায় সুস্নাত চৌধুরী।
মধুরিমা- বইমেলার জন্য হাতে আছে সপ্তাহখানেক মাত্র। এই বছর বোধশব্দের প্রস্তুতি কেমন? এই শেষবেলায় কোন কোন কাজ বাকি পড়ে আছে এখনও?
সুস্নাত- প্রস্তুতি বলতে, আমরা তো মূলত লিটল ম্যাগাজিন, খুব কমই বই প্রকাশ হয় আমাদের। হয়তো বছরে তিনটে বা দুটো বই। এবছর আমাদের দু'টি বই বইমেলায় প্রকাশের জন্য প্রস্তুত। একটি বই হচ্ছে কবি তন্ময় মৃধার কবিতা সংগ্রহ। ওঁর চারটে কবিতার বই থাকছে সঙ্গে কিছু অগ্রন্থিত কবিতাও থাকছে। আরেকটি বই বেরনোর কথা, বাংলা যুক্তব্যঞ্জন বর্ণের উপর লেখা সেই বই। বাংলা যুক্তব্যাঞ্জনবর্ণ আভিধানিক বিশ্লেষণ, লিখছেন আইএসআই-এর অধ্যাপক নীলাদ্রিশেখর দাস। এই যুক্তব্যঞ্জন নিয়ে আগে টুকরো টুকরো কাজ আমাদের হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বই ছিল না।
মধুরিমা- যুক্তব্যঞ্জন নিয়ে ঠিক কী থাকছে এই বইয়ে?
সুস্নাত- বাংলায় কতরকমের যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে, যুক্তব্যঞ্জন ধ্বনি এবং লিখিত আকারে কী কী যুক্তব্যঞ্জন ধ্বনি আছে মূলত সেইটা ধরেই। যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের বিবর্তন কীভাবে হয়েছে, বাংলায় এখন যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ ঠিক কতগুলো রয়েছে, সেগুলি কীভাবে ব্যবহৃত হয়, কোন যুক্তব্যঞ্জন শব্দের শুরুতে বসতে পারে, বা মাঝে বসতে পারে, কোনটা শেষে বসতে পারে তার একটা স্ট্যাটিস্টিক্যাল বিশ্লেষণ এই বইতে আছে। কোন যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ বাংলায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, তারা কীভাবে কোন ভাষা থেকে এসেছে তা নিয়ে চর্চা করা হয়েছে। এবং বইটার একটা মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, প্রতিটি যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ ধরে আলাদা আলাদা করে আলোচনা আছে। নীলাদ্রিশেখর প্রায় চার শতাধিক যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের কথা বলছেন যা এখন বাংলায় ব্যবহার করা হয়। এই বইটার আরেকটা দিক হচ্ছে, শুধু যে ব্যাকরণ ধরে বইটা চলেছে তা নয়, এর একটা ব্যবহারিক দিকও রয়েছে। অনেকসময় সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে ভুলবশতই কিছু লিখে ফেলেন। এর ফলে নতুন কিছু যুক্তব্যঞ্জনবর্ণও কিন্তু লিখিত আকারে এখন দেখা যাচ্ছে। সেইগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই দুইটি বই বইমেলার শুরু থেকেই পাওয়া যাবে। তবে, আরও আমাদের এক, দুটো বইয়ের পরিকল্পনা ছিল কিন্তু সেটা এবছর আর করে ওঠা গেল না।
মধুরিমা- কেন, হয়ে উঠল না কেন?
সুস্নাত- আসলে কী হয়, আমার মনে হয় দুটো বিষয় আছে পেশাদারিত্বের, অন্তত আমাদের এই পেশায়। এক হচ্ছে, আমি নির্দিষ্ট সময়েই একটা কাজ শেষ করব। আর একটা হচ্ছে, আমি যা করতে চাই সেটাই করব তা সে যখন হবে তো হবে। আমার মনে হয় দুটোই অংশত পেশাদারিত্ব। পূর্ণাঙ্গ পেশাদারিত্ব হচ্ছে, আমি নির্দিষ্ট সময়েই করব এবং যেভাবে চাই সেভাবেই কাজটা করব। এই দুটোকে মেলানো হয়ে ওঠে না আমাদের সবসময়। ফলে কাউকে না কাউকে কোনও না কোনও একটা ক্ষেত্রে আপোস করতেই হয়। তাতে যখন বের করার তখনই প্রকাশ হলো তাতে যা ভুলভ্রান্তি থাকার থাকল, নাহলে সে যা করতে চাইছে সেভাবেই করবে, দরকারে বই দশ বছর পর বেরোবে। আমাদের কম লোকজন নিয়েই কাজ করতে হয়। ভেটকিকে নিয়ে একটা কাজ হওয়ার কথা ছিল, সিদ্ধার্থ দাস ওঁর আসল নাম। প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলেজস্ট্রিট, খালাসিটোলা এসব চত্বরের কবিতার মানুষ তিনি। খুবই ইন্টারেস্টিং এক চরিত্র। ওঁকে নিয়ে আমরা ২০১৫ সালে একটা সংখ্যা করেছিলাম। সেটা আর পাওয়া যায় না। তো সেখান থেকেই একটা বই করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সেটা এই বছর হবে অবশ্যই। আমাদের যতিচিহ্ন নিয়ে একটা সংখ্যা হয়েছিল আগে। সেটা নিয়ে একটা বই হওয়ার কথা। মানে সংখ্যাটা থেকে কিছু লেখা নিয়ে, আরও কিছু অন্য লেখা জুড়ে ব্যাবহারিক জায়গা থেকে একটা বই করার ইচ্ছা ছিল। অধিকাংশ সময়ই আমরা যে ম্যানুয়াল পাই তাঁর ব্যাকরণগত দিকটাই দেখি, কোথায় দাঁড়ি হওয়া উচিত, কোথায় একটা কমা বসানো উচিত। কিন্তু একজন যখন লেখা কম্পোজ করছেন বা লিখছেন সেই লেখক বা ডিটিপি অপারেটর-ডিজাইনারকে কী কী খেয়াল রাখতে হবে? তিনি একটা পূর্ণচ্ছেদ কীভাবে দেবেন বা তিনি কোথাও ঊর্ধ্বকমা বসানোর সময় কী ভাববেন- এই ধরনের কিছু ব্যবহারিক দিক এই বইতে থাকার কথা। আশা করি এই বছর সেই বই বেরোবে, বইমেলায় হবে না।
মধুরিমা- বইমেলায় বোধশব্দ পত্রিকা থাকছে তো? পত্রিকার বিষয় কী?
সুস্নাত- পত্রিকার একটিই সংখ্যা আমাদের বছরে বেরোয়। আর আমরা নতুন একটি পত্রিকা শুরু করেছি বাংলা টাইপোগ্রাফি নিয়ে, হরফচর্চা নামে। হরফচর্চার দু'টি সংখ্যা এখনও অবধি বেরিয়েছে। বইমেলাতে বোধশব্দ এবং হরফচর্চা দু'টিরই একটি করে সংখ্যা বেরনোর পরিকল্পনা আছে। কিন্তু দু'টিই এখনও নিশ্চিত নয় যে মেলাতে বেরোবে কিনা। এখনও কাজ কিঞ্চিৎ বাকি।
মধুরিমা- এখনও অবধি বোধশব্দের মোট কতগুলি বই বেরিয়েছে?
সুস্নাত- এইটে খুবই কঠিন পাটিগণিত! মোটামুটি হিসেব কষলে দেখা যাবে ২০ টির কমই, ১৬ থেকে ১৭ টি বই এযাবৎ প্রকাশ করেছি আমরা। কিছু বই আসলে বহু পুরনো, ২০০৩-০৪-০৫ সালের, কবিতারই বই ছিল মূলত। ২০১০-১২ নাগাদও একটি কবিতার বই বেরোয় রাজদীপ রায়ের। অনেক বই-ই এখন আর পাওয়া যায় না।
মধুরিমা- বোধশব্দের অভিমুখ কী? মূলত একটি প্রকাশনা হিসেবে এবং লিটল ম্যাগাজিন হিসেবে কোন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চান আপনারা?
সুস্নাত- শুরু করার বছর খানেক পর থেকেই আমরা কবিতাকেন্দ্রিক কাজই করতাম কিন্তু কবিতা ছাপতাম না। কবিতা বিষয়ক হবে, কবিতার নানা দিক নিয়ে, নানা বাঁক নিয়ে আলোচনা হবে কিন্তু কবিতা ছাপা নয়। এই যে একটু আগে ভেটকির কথা বললাম, সেই সংক্রান্ত কবিতা ছাপছি না কিন্তু সে কবিতাকেন্দ্রিকই একটা চরিত্র। 'কবির প্রথম বই' বলে একটা সংখ্যা করেছিলাম আমরা। ২০২০ অবধি এই কবিতাকেন্দ্রিকতাই ছিল আমাদের মূল। ২০২০ সালে 'কবিতার মেরামতি' নামে একটা সংখ্যা হয়, কবিতার সম্পাদনা সংক্রান্ত একটা কাজ। একটা বিষয় এখানে বলতেই হয়। যেমন, আমরা মৃদুল দাশগুপ্তকে নিয়ে একটা বিশেষ সংখ্যা করেছিলাম। সেই সংখ্যায় ওঁর কবিতা ছাপা হয়েছে। বা আমাদের একটি সংখ্যা হয়েছিল 'তিনজন কবি' বলে। সেখানে সেই তিনজনের কবিতার আলোচনা, সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি এই তিনজনের কবিতাও ছিল। কিন্তু সাধারণত কবিতা ছেপে দেওয়ার দিকে বোধশব্দ সচেতনভাবেই এগোয়নি।
মধুরিমা- বোধশব্দের শুরুটা হয় কবে নাগাদ?
সুস্নাত- শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। তখন আমার ওই স্কুলের শেষদিক, কলেজের শুরু। বোধ নামে শুরুটা হয়েছিল। ২০০১ থেকেই বোধশব্দ নামে পত্রিকা বেরোতে থাকে। তখন কবিতা, গল্প সবই ছিল। ২০০৮ সালে আমরা প্রবীর দাশগুপ্ত সংখ্যা করি। তখন থেকেই বিষয়ভিত্তিক কাজের চেষ্টাই করতাম। ২০২০ সালে ওই কবিতার মেরামতির পর যতগুলো সংখ্যা বেরিয়েছে, তা সরাসরি কবিতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যতিচিহ্নের সংখ্যার পর গতবছর আমরা মার্জিন নিয়ে একটা সংখ্যা করি। এক্ষুণি আপাতত কবিতা নিয়ে কাজ করার ভাবনা চিন্তা সেই অর্থে নেই, দু' চার বছর পর আবার হলেও হতে পারে।
মধুরিমা- যতিচিহ্ন হোক বা মার্জিন বা হরফচর্চার কাজগুলিও- বিষয়ের দিক থেকে তো খুবই টেকনিক্যাল। খুব সাধারণ পাঠক কিন্তু বই উল্টেপাল্টে এই বিষয় খুঁজবেন না, যদি না তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী হন। তাহলে এমন একটা বিষয় যার পাঠক একেবারেই সীমিত, সেই নিয়ে কাজ করার চিন্তা কেন হঠাৎ?
সুস্নাত- ঠিকই। বাণিজ্যিক দিক থেকেও জানি অতটা সাড়া মেলে না। অন্য বিষয় নিয়ে কাজ করলে যতটা সাধারণ মানুষের আগ্রহ হবে, ততটা এক্ষেত্রে হবে না। জানি। তবে মূলত দুটো জায়গা থেকে এই কাজটা করা। প্রথমত, আমার নিজের আগ্রহ আছে। আমি কাজটা করি, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুজন এই কাজটা করতে ভালোবাসেন, ফলে সকলের একটা সাধারণ আগ্রহের জায়গা আছেই। তাই এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা হবে স্বাভাবিক নিয়মেই। যার কবিতায় আগ্রহ, সে পত্রিকা করলে প্রথম কবিতা নিয়েই করবে, থিয়েটার বা ফিল্মের ক্ষেত্রেও একই। এক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে এই করে শুরু হলেও এইটাই মূল কারণ নয়। এই কাজগুলো নিয়ে কিন্তু সেই অর্থে সচেতনতা নেই। টেকনিক্যাল বিষয় একেবারেই। কিন্তু এই কাজগুলোর কিছু কিছু অংশ রয়েছে যা একজন সাধারণ মানুষের, সাধারণ পাঠকের বা যারা এই নিয়ে অল্প বিস্তর কাজও করেন, ধরা যাক একজন সম্পাদক বা প্রকাশক বা ডিটিপি অপারেটর বা ডিজাইনার, তাঁর তো এগুলো জানা দরকার। অর্থাৎ বিষয়টার একটা ব্যবহারিক দিক রয়েছে যেটা নিয়ে আমাদের চর্চা নেই। শুধু ব্যবহারিক না, তাত্ত্বিক দিকও আছে যেদিকটায় ধাপে ধাপে পৌঁছনো যায়। বাংলা ভাষায় এই চর্চাটা নেই, অথচ কিছু কিছু ভাষা ও সংস্কৃতিতে কিন্তু এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা হচ্ছে। সেই চর্চাটা শুরু করতে চেয়েছি যা ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদি হলেও হতে পারে। হরফচর্চার ক্ষেত্রে তো অন্তত সেই চেষ্টা চলছেই।
আর লিটল ম্যাগাজিন তো প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার আদর্শে কাজ করে। আমি মনে করি, সেই বিষয়টার ধারণাগত দিক থেকে এবং প্রয়োগগত দিক থেকে অনেক বদল এসেছে...
মধুরিমা- লঘু হয়ে গিয়েছে কি?
সুস্নাত- না লঘু বলছি না, ফরম্যাট বদলেছে। ধরুন এই যে টাইপোগ্রাফি নিয়ে পত্রিকা, এতে তো কম মানুষ আগ্রহী, তাহলে এতে এত শ্রম দিয়ে, এত অর্থ দিয়ে কাজ করে লাভ কী? আমি বলছি, এইটাই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। লিটল ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এইটাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে। কারণ প্রতিষ্ঠান এই কাজটা করবে না। যদি আমার মনে হয় এই কাজটা করা জরুরি তখন লিটল ম্যাগাজিনই একমাত্র সেই কাজটা করতে পারে।
মধুরিমা- আপনাদের তো অনেক বই-ই আর পাওয়া যায় না বললেন, সেগুলো কি পুনর্মুদ্রণের কোনও ব্যবস্থা আছে?
সুস্নাত- অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি কবিতার বই আমাদের এখানেই প্রথম বেরিয়েছিল ২০০৫ সালে, দূরপাল্লার কবিতা। স্বাভাবিকভাবেই এত আগের বই, শেষ হয়ে গেছে। তারপর অনিন্দিতাদির কবিতা সংগ্রহ বেরিয়েছে, সম্ভবত ধ্যানবিন্দু থেকে। সেখানে আবার ওই বইটা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। সুতরাং কাজটা আছে। ফলে এগুলো আর নতুন করে পুনর্মুদ্রণের ভাবনা তেমন নেই।
মধুরিমা- কিন্তু পাঠকের চাহিদা থাকলে তখন কি আবার ছাপানো হয়? না কি অফসেট প্রিন্টিংই বেশি প্রাধান্য পায়?
সুস্নাত- বোধশব্দ বরাবরই অফসেট প্রিন্টিংয়েই কাজ করছে। আমরা বইয়ের ক্ষেত্রে খুব একটা করি না স্বত্ত্বাধিকারের বিষয়টা থাকে বলে কিন্তু পত্রিকার ক্ষেত্রে, যেগুলো ফুরিয়ে যাচ্ছে সেগুলোর একটা সফট কপি, পিডিএফই মূলত, সেটা আর্কাইভে (archive.org) আপলোড করে দিই। যাতে কারও দরকার হলে তিনি সেটা পেতে পারেন সেখানে।
মধুরিমা- বইমেলাতেই কি বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রিটা হয়? না কি সারাবছর ধরেই কেনাকাটা চলে?
সুস্নাত- বইমেলার বিক্রি ভালোই হয়। ইদানীংকালের যা ট্রেন্ড তাতে বইমেলায় ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশকদের বইমেলাকেন্দ্রিক বিক্রির প্রবণতা তাই থেকেই থাকে। কিন্তু সারাবছর বিক্রির আবহ থাকলেই ভালো।
মধুরিমা- সারাবছর বোধশব্দের বই বা পত্রিকা কীভাবে পেতে পারবেন পাঠকরা?
সুস্নাত- কলেজস্ট্রিট তো আছেই। ইতিকথা, বইঘর, ধ্যানবিন্দু, প্রতিক্ষণে আমাদের বইপত্র থাকে। ইতিকথা, বইঘর আমাদের পরিবেশক। ফলে ওখানে তো সব বই পাওয়া যাবেই। অনলাইনে মূলত অ্যামাজন ফ্লিপকার্টে বইগুলো পাওয়া যায়। তবে আমি বলব, অনলাইনে কিনলে boighor.in থেকে বা haritbooks.com থেকে কেনা যেতে পারে, এখানে আমাদের পুরনো বইগুলোও পাওয়া যায়।