'সুনীল-শক্তি, ওঁরাই তো কবি... আমরা কবি নই'! অরুণেশ ঘোষকে যেভাবে চিনেছি চিঠিতে
Arunesh Ghosh: একজীবনে সবার সঙ্গে দেখা হয় না। অরুণেশ ঘোষের সঙ্গেও হয়নি।
হাওয়ার গাড়ি! ঘুঘুমারি! কোচবিহার!
অবিশ্বাস্য এই ঠিকানা থেকেই চিঠিগুলো আসত। ঘুণাক্ষরে লেখা। এবং, কীভাবে জানি না পৌছেও যেত যথাস্থানে! থাকতেন ওখানেই যে। শুরু বাহাত্তর সালে। চিঠি-পর্বটি চলেছিল আটের দশকের মাঝপর্ব পর্যন্ত।
কত-যে আশ্চর্য জায়গা আছে পৃথিবীতে! মানুষ বসবাসও করে সেখানে। কিন্তু পৌঁছতে পারা কি সম্ভব সব জায়গায়? পড়েছিলাম, পাকা রাস্তা থেকে হাঁটতে হয় অনেকটা। ডোবা, পুকুর, বাঁশঝাড় পেরিয়ে; সরু আলপথ ধরে 'সন্তদের' সেই আস্তানায়। ছোটবেলায় লেখা সেই সন্তটির প্রথম কবিতার নাম 'মৃত্যু'। একটি আলোচনা প্রসঙ্গে লিখেছিলেন,
পূণ্যের পথ নয়, পাপের পথই জীবন্ত পথ, সেই দূর কৈশোরে প্রথম যখন ছিটকে পড়লাম মৃত্যু-উত্তপ্ত জীবনধারায়, অপরিশীলিত অনূভুতি দিয়ে বুঝলাম, গণ্ডিবদ্ধ জীবনের অসারতা থেকে একবার যারা বাইরে এসে এই জীবনের স্বাদ পেয়ে গেছে— জীবন নয়, মৃত্যুর স্বাদ, তার পক্ষে আর ফেরা সম্ভব নয়।
তিনি অরুণেশ ঘোষ।
আরও পড়ুন: বাড়িতে পোষেন ডাইনোসর! জ্যোতির্ময় দত্তকে নিয়ে এমনই বিশ্বাস অনেকের
একজীবনে সবার সঙ্গে দেখা হয় না। অরুণেশ ঘোষের সঙ্গেও হয়নি। ‘অজ্ঞাতবাস’, ‘অনিয়ম’ আর ‘জিরাফ’— এই তিন গবাক্ষ দিয়েই পরস্পরকে দেখার চেষ্টা ছিল। ‘গল্পকবিতা’য় পড়েছিলাম তাঁর কবিতাগুচ্ছ ‘নাথুয়া শালবাড়ির স্মৃতি’। কবেকার কথা। ভোলা সম্ভব হয়নি আজো। আর চিঠিপত্র। সেসব চিঠি লেখা হত সুদূর কোচবিহার জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে। তারপর ডোবা, পুকুর, বাঁশঝাড় পেরিয়ে তারা আসত একই রকম এক গ্রামে। তফাত এটুকু-যে এখানে সবুজ অনেকটা কম। ঠিকানার গগনতুল্য তফাত খানিকটা কমিয়ে দেন পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল। আলি একরাম। তেঘরিয়া গ্রাম। ডাক দমদমা। জেলা বীরভূম।
প্রিয় একরাম,
এখন আমার কাছে সেরকম ভালো লেখা নেই, যে লেখাটা পাঠালাম সেটা আপনার পছন্দ না হলে ছাপবেন না। অনিয়মের পরের সংখ্যায় ভাল গদ্য অথবা পদ্য দিতে চেষ্টা করবো। ‘অজ্ঞাতবাসে’ আপনার কবিতা আমার অসম্ভব ভাল লেগেছে। আমাকে পত্রিকা পাঠাবেন। ভালবাসাসহ।
অরুণেশ
২০। ১১। ৭২
রোগা। লম্বা। কালো। একটু কি ঝুঁকে চলেন? কোঁকড়া চুল? সম্ভবত। এমনই এক রূপ মনে-মনে এঁকে নিয়েছিলাম তাঁর। পরে ছবি দেখে হতাশ। কোনওটাই মেলেনি! এই-যে মেলেনি, এই-যে প্রভেদ, এরই মধ্যবর্তী অঞ্চলে বাতাস থেকে-থেকেই কেঁপে উঠত। সেখানে দিনের আলো ঢুকতে পারে না। মাথা নীচু করে, হ্যারিকেনের আলোয়, আধো-অন্ধকারে, পড়তে হয়:
হাওয়ার গাড়ি—
প্রিয় একরাম, ২/৬
আপনার চিঠি পেলাম। জিরাফ বেরোচ্ছে। দুটি সংখ্যা বেরিয়েছে এর মধ্যে, প্রথমটি নবদ্বীপে ছাপা হয়েছে ও সেখান থেকেই বিলি হয়েছে। ২য় সংখ্যা এখান থেকেই বেরিয়েছে। আপনার ঠিকানায় আপনার ও দেবাশিসের দুটো কপি যাবে। আমি ইদানিং কবিতা কমই লিখছি। অর্থাৎ লেখা হচ্ছে না তেমন। যাও দু-একটা লিখি সেগুলো এমন অখ্যাত কাগজে বেরোয় যে আপনার চোখে না পড়াই স্বাভাবিক। হাওড়া থেকে ‘মহাপৃথিবী’ বলে একটি কাগজ বেরোয়, শম্ভু রক্ষিতরা বের করে, সেটায় একটা বেরিয়েছে। লেখার চেয়ে লেখার চিন্তা আমার কাছে এখন বেশী ভাল লাগে। প্রয়োজনীয় মনে হয়। ছাপার অক্ষরে নাম দেখার একটা বয়স ও সেই বয়সের রোমাঞ্চ থাকে, যা পেরিয়ে চলে এসেছি। আর ভাল লাগে না। আর কলকাতা থেকে এই অনেক দূরে থাকার জন্য আজ আর কোন দুঃখ বা আফশোষ নেই। একসময় ছিল। এখানে খানিকটা সুস্থতার মধ্যেই আছি মনে হয়। অবশ্য এই মনে হওয়া বোধ হয় ভুল।...সুনীল শক্তি... হ্যাঁ ওঁরাই তো কবি। ওঁরা ওঁদের লেখা উর্দুতে তামিলে তেলুগুতে অনুবাদ করাবেন। আমরা কবি নই। না, লেখকও নই। আদর্শ বা টাকা কিছুর জন্যেই আমরা লিখি না। কিছু না জেনে না শুনে বোকার মতন আমরা একদিন লেখা শুরু করেছিলাম। দুঃখের বিষয়, আজ তা শেষ করতে পারছি না। এই জন্যেই লেখা।...
ভালবাসা।
অরুণেশ
১৯৭২। ‘অনিয়ম’-নামে একটা পত্রিকা করি, প্রচ্ছদে যার ‘অ’-টা ছিল উলটো করে লেখা। একটাই সংখ্যা বেরোয়। লিখেছিলেন বিনয় মজুমদার, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, ভাস্কর চক্রবর্তী, সুব্রত চক্রবর্তী... এঁরা। পরের সংখ্যার প্রস্তুতি এত দীর্ঘকাল ধরে চলেছিল যে, তাতেই সব উৎসাহ শেষ!
তখন আমি সেকেন্ড ইয়ার। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ। কিন্তু আসল কলেজটা তো ছিল বিদেশি পাড়ায়। তার প্রিন্সিপ্যাল এবং অধ্যাপক একজনই। কমপারেটিভ লিটারেচারের কৃতি ছাত্র, পুরী সিরিজ-এর প্রকাশক এবং কনফার্মড বেকার— দেবাশিসদা। বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রমে অসমবয়সি বন্ধু। অনেক পরে ‘আনন্দমেলা’-র সম্পাদক। হাতির মতো পেল্লায় বাড়ি। সেই সুযোগে কলকাতাবাসী কেউ-কেউ যেতেন। একদিন তাঁর বাবার হাতে পড়ল এক পোস্টকার্ড— দু'-টি মেয়ে-সহ সিউড়ি আসতে চান। থাকার ব্যবস্থা হলে ভালো। না-হলেও পরোয়া নেই। খড়ের গাদায় দুটো রাত কাটিয়ে দেবেন। ইতি— শক্তিদা।
বসেছিলেন বিকেলে। একতলায় রোগী দেখার চেম্বারে। হাতে পোস্টকার্ড, যেন নোংরা একটা-কিছু। ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসারের গমগমে গলা— ‘গোরা! গোরা!’
সেই হাঁক ঘরের পর ঘর, সিঁড়ি টপকে উঠে গেল দোতলায়। নামার সময় পিছু-পিছু আমি। চিঠিটা ছুঁড়ে দিয়ে— ‘কাদের সঙ্গে তুমি মেশো? এরা কারা?’
পোড়ামাতলা, নবদ্বীপ থেকে বেরতো ‘অজ্ঞাতবাস’। সম্পাদক প্রয়াত অরুণ বসু। নবদ্বীপ থেকে বেরোলে তাঁরই তত্ত্বাবধানে বেরতো ‘জিরাফ’। চিঠিতে সেই কথা।
হাংরি আন্দোলন তখন বাংলা সাহিত্যের স্ফুলিঙ্গ। অবনী ধর, বাসুদেব দাশগুপ্ত, শৈলেশ্বর ঘোষ, ফাল্গুনী রায়। সঙ্গে অস্থায়ীভাবে শক্তি, সন্দীপন, উৎপল। বাসুদেবের গল্পগ্রন্থ ‘রন্ধনশালা’ তখন হাতে-হাতে। আশ্চর্য সে-গ্রন্থটি আজো জীবিত। আমাদের বিস্মৃতি আর অবহেলায় কত-কত লেখা হারিয়ে যেতে-যেতেও নিজেদের জোরে বেঁচে গিয়েছে। যেমন অরুণেশের বহু লেখার মতো এই কবিতাটিও। ‘আমি ও ছায়াদি’:
অস্পৃশ্য নদীর জলে একদিন গোধূলিবেলায়
নত হয়ে ধুয়ে নেব খড়্গ আমার,
তুমি সেই দিন
ঝোপের আড়াল থেকে হেঁটে এসে একা
বিকেলের নদীর আলোয় মুখোমুখি একান্ত দাঁড়াবে?
অথবা পোশাক ছেড়ে ধীর পায়ে নেমে যাবো জলে
আমি খড়্গ তুলে নেব,
আমি দুঃখ তুলে নেব বুকে।
তুমি নগ্ন। তোমার পোশাক আমি দুহাতে ভাসিয়ে দিয়ে যাবো
তুমি একা খেলা করো জলে।
যেমন তাঁর সেই সময়েরই একটি কবিতা ‘আবার আগুন শিখা’ (অংশ), যা এই সেদিন প্রকাশিত হলো:
আবার জ্বলে উঠেছে আগুন
দাঁড়ানো পর্বত, নীচে নীচু ঝোপ
জানতে চাই, ‘তোমার এ আগুন...’
উপর থেকে হাত বাড়াই
ফিস ফিস করে জিজ্ঞেস করি
কি করে ফিরে পেলে, আবার
লক লক এই আগুন শিখা?কোনো প্রত্যুত্তর আশা করে না কালো
পাথর, সে জিজ্ঞেস করে, জানতে চায়
আবার একই রকম নিথর
ঘরকে জিজ্ঞেস করি, বল, তুই
কোন স্ত্রীলোকের ঘর, তোর পাশে যে পথ
সে পথে কে হেঁটে গেছে পঙ্গু পুরুষ?...
মাঝে মাঝে কলকাতা এবং তার শহরতলিতে এসেছেন। দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি গদ্যে ‘গল্পকবিতা’ পত্রিকার দফতরে অরুণেশ ঘোষের ঢুঁ মারার বর্ণনা রয়েছে। দেবপ্রসাদ তখন ‘গল্পকবিতা’-য়। কিন্তু আমি তো দেড়শো কিমি দূরে, বীরভূমে।
জন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯৪১। প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘শব ও সন্ন্যাসী’, ১৯৮১-তে। ২৪ অগাস্ট, ২০১১— পুকুরে স্নানের সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং মৃত্যু।
প্রিয় একরাম,
আপনার চিঠি পেলাম। লেখা ফেরত পাঠাবার দরকার নেই। যদি কোন কাগজে বেরোয়, কাগজটা মনে করে আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবেন। আমার অনেক লেখাই হারিয়ে গেছে এ কারণে এখন আর সেজন্য দুঃখ বা বেদনা বোধ নেই আর। উপন্যাস?— হ্যাঁ শেষ হয়েছে। তারপরে সেটার কি হবে— আমি জানি না। আমি ২ নম্বরে হাত দিয়েছি। এই উপন্যাস সম্পর্কে আপনি আপাতত আগ্রহ দেখাতে পারেন কারণ এটা এখন লিখছি আর যেটা লিখে ফেলেছি তার ব্যাপারে আমার কোন উৎসাহ নেই। বাজে হয়েছে। আপনার কিছু কিছু কবিতা আমাকে দারুণ ভাবে আঘাত করেছে।
ভালবাসা
অরুণেশ
২৩। ৮। ৭৩একটা খবর: ‘জিরাফ’ ‘নিষাদ’-এর আকারে অর্থাৎ চার পাতার আর্ট পেপারে ছাপা হয়ে প্রতি মাসে বেরুবে। পদ্য নয় গদ্য— হ্যাঁ আলোচনা সমালোচনা ব্যক্তিগত নিবন্ধ পাঠান... শিগগীর...
আরও খবর: শুধুমাত্র আধুনিক সাহিত্য সম্পর্কিত নয়। এখনকার ‘জিরাফ’-এ সাংস্কৃতিক আলোচনাও স্থান পাবে। মনে রাখবেন এই সংস্কৃতি হল ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের’ সংস্কৃতি। এ খবরটা আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের দেবেন ও সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা প্রচারের দায়িত্বও কারুর ঘাড়ে গছাতে চেষ্টা করবেন। আপনার কাছ থেকে আমি অবশ্য কবি/কবিতা/ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনাই আশা করবো।
অরুণেশ
এই চিঠিতে খানিকটা পরিষ্কার, ‘অনিয়ম’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা আর নেই। এখানে ‘জিরাফ’, ‘নিষাদ’ পত্রিকার উল্লেখ রয়েছে। হাংরি আন্দোলনের সময় এই একটা ব্যাপার ছিল, নানা নামে পত্রিকার উন্মেষ ঘটত আচমকা। এবং প্রতিটি পত্রিকায় অন্তত এক-দুটো লেখা থাকতই, যার জোরে সংখ্যাটি হয়ে যেত সংগ্রহযোগ্য।
প্রথম বই ‘শব ও সন্ন্যাসী’-র কবিতা। ‘হেমন্তকাল’ (অংশ):
…ওই তো বেঞ্চির কোণায় বসে নখ কাটছে মা
পায়ের কাছে তারই শিশু একটি কাঁঠাল পাতা মুখে পুরে হেসে ওঠে
কোথায় তফাত— কোন কালো কুয়াশা থেকে
বয়ে আসছে হু হু গাঢ় বাতাস
কোন কোন গভীরে সে নড়ে ওঠে
কোন গভীরতম লালে? কোন গোধূলিতে?
আর তাই দল বেঁধে শায়া আর ব্রেসিয়ার পরা মেয়েরা
নেমে আসে ঘর থেকে উঠোনে
উঠোন থেকে রাস্তায়
ভয়ঙ্কর হাসিতে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে দেয়
হেমন্তকালের নক্ষত্রে-ভরা ঠান্ডা কালো আকাশ
তীব্র হাতগুলি ডুবে যায় রক্তে— রক্তের ভেতরে— আর তুলে আনে
তুলে আনে মুঠো মুঠো সিফিলিস জীবাণু
ছড়িয়ে দেয় হেমন্ত-রাত্রিতে— আকাশে, হাওয়ায়
অনন্তকালের মানুষী ফসলে
সৌরজগতে রজ্জু হয়েছে দিব্য রাত্রির ছায়াপথ
সেখানেও থেমে আছে নক্ষত্রখচিত খণ্ড খণ্ড মাংসবহনকারী রথ
সেখানেও মেলে রাখা হয়েছে আধিভৌতিক শাড়ি
কোন নগ্নতার? হাঁটুতে মুখ গুঁজে আমাদের দিকে চোখ
এ কোন ঈশ্বরী…
একটা ছবিতে তাঁর বইপত্র রাখার জায়গা দেখেছিলাম। টিনের ছাদ থেকে, শূন্যে, মাথার ওপর ঝুলছে মস্ত মাচা। বাঁশের সেই মাচায় থাক-থাক বই। উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি আর বন্যা থেকে বাঁচানোর জন্য, যেখানে সব কিছুরই দ্রুত পচন ধরে। অরুণেশ ঘোষের মৃত্যুর বয়স হল এগারো বছর। সেসব বই আজও বেঁচে আছে কি না, জানি না। কিন্তু মৃত্যুর আগে নানান নভোকুলুঙ্গিতে গুঁজে-গুঁজে রেখেছেন যে-সব পাকানো কাগজ, তাদের কোনওটা হলুদ হলেও অধিকাংশই এখনও তরতাজা।
আমি তোমাকে বলি সেই তপোবনের কথা
যেখানে ঘুরে বেড়ায় খুনি, অপরাধী ও গণিকা
যেখানে নগ্ন শিশু, কিশোর আর আশ্রম বালিকা
যেখানে খুলে বসে গ্রন্থ, একা সন্ন্যাসী গায়
যেখানে স্বচ্ছ নদী পশু ও সুন্দর একই জলে করে স্নান
যেখানে উন্মাদ বৃক্ষ, মাটি থেকে শূন্যে তুলে রেখেছে মাথা...
সেখানেই কি তাঁর সত্যিকারের অবস্থান? জানি না। অনন্তকালের এক কোণে, কয়েকটা বছর, এই নশ্বরতার হাওয়া আমাদের কিছু চিঠি পরস্পরের কাছে বয়ে নিয়ে গিয়েছিল মাত্র।