গ্রামীণ ভারতবর্ষের স্মৃতিতে আজও ঝলমলে নেতাজি

১৯৩৭ সালে ‘ট্রিবিউন’ পত্রিকার জুলাই সংখ্যার একটি লেখার অংশবিশেষ – ‘I hope that after independence, our resource-rich water bodies, would, in a systematic manner, be developed as health centers, so that we do not have to go abroad for such places in order to gain health.’ – স্কটিশ আল্পসের ব্যাড গারস্টেন অঞ্চলের একটি উষ্ণ প্রসবণের উল্লেখ ছিল লেখাটিতে, যেখানে একটি পূর্বতন সোনার খনি অঞ্চলের ভেতর দিয়ে রোগীদের পাঠিয়ে রেডন গ্যাস শরীরে ঢুকিয়ে রোগমুক্তির উদ্ভাবনী ব্যাবস্থার কথা ভেবেছিলেন স্থানীয় সরকার। সংবাদপত্র কলামটির লেখক, আর কেউ নন, স্বয়ং, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এবং প্রেক্ষিত ১৯৩৭ সালে কারাগারে থাকাকালীন প্লিউরিসি এবং অন্যান্য অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ব্রিটিশ প্যারোল এবং স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ডালহৌসির একটি গ্রামে নিভৃতাবাস। ১৯৩৭-এর মে থেকে অক্টোবর – এই ছ’ মাসের নিভৃতাবাসে তাঁর পাশে আসেন প্রাক্তন সহপাঠী মিসেস ধর্মবীর।

১৯৩৩ সালে তাঁর স্বামী লাহোরনিবাসী ডক্টর এন. আর. ধর্মবীরের উদ্যোগে তৈরি ডালহৌসির ‘কায়নান্স হাউন্স’ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্ভবত সবচেয়ে বর্ণময় চরিত্রের ছ'মাসের নিভৃতযাপন। কী করতেন মানুষটি? কায়নান্স থেকে রোজ চাকুর কিলোমিটার হেঁটে গ্রাম ঘুরে আবার ফিরতেন। কাছেই একটি ছোট্ট ঝর্না ছিল। মানুষটিকে প্রায়ই প্রপাতের পাশে চুপ করে মনঃসংযোগ করতে দেখা যেত। চোখ বন্ধ করে থাকতেন। একটা সময়ে নিজে থেকেই উঠে ফিরতেন। স্বাস্থ্য ফেরার পাশাপাশি পরবর্তী বছরগুলির ঘটনাবহুলতার অনেকটা প্রেরণা এসেছিল কায়নান্স থেকেই। ষোড়শ শতকের ব্রিটিশ প্রযুক্তিবিদদের নকশায় তৈরি ইংলন্ডের কায়নান্স কোভের আদলে এই বাড়িটিকে এখন আর কায়নান্স নামে চেনে না কেউ। বলতে হয় ‘সুভাষ বাওলি’।

শুরুতে পাহাড়ি ভারতবর্ষের এক গ্রাম এবং শহরতলির ইতিহাসের সঙ্গে নেতাজির মতো এক লেজেন্ডকে একসঙ্গে মেলানোর একটাই কারণ প্রিয় পাঠক, মানুষটির কিছু অকথিত ইতিহাস এবং বাকি ভারতবর্ষের বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রাম এবং সেখানকার মানুষদের মুখের কথা তুলে আনা। উদ্দেশ্য সেসব অঞ্চলে কাটানো অসম্ভব স্মার্ট, ঝকঝকে, মানবিক এক সুপুরুষের মুখচ্ছবি, তাঁর স্মৃতি ফিরিয়ে আনা, যা বৃহত্তর সিলেবাসে, ক্লিশে সিলেবাসে বরাবরই ব্রাত্য।

হিমাচল থেকে একটু নেমে হরিয়ানার হিসার জেলায় আসি। দাপুটে ভারতবর্ষের বহু ছবি হিসারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ২০১৯ সালে প্রয়াত হওয়া ৯৯ বছর বয়সী প্রাক্তন আজাদ-হিন্দ সেনা ভালেরাম কুহার এই হিসারেরই হাসানগড়ের মানুষ ছিলেন। আর এই হিসার জেলাতেই টিমটিম করছে সাত্রুদ খুর্দ নামে এক প্রত্যন্ত গ্রাম। তখন ১৯৩৮। তীব্র দুর্ভিক্ষ। ২৮ নভেম্বর হরিপুরা কংগ্রেসে বিজয়ী সভাপতি এক নিরহঙ্কারী মানুষ তাঁর অসম্ভব উচ্চতা থেকে নেমে এসে কথা বললেন সাত্রুদ খুর্দের সাধারণ মানুষদের সঙ্গে। ত্রাণবিতরণ এবং সর্বোপরি বৃহত্তর ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং পাশে থাকা – নেতাজির দৃঢ় উচ্চারণে এখনও গমগম করে গ্রামের আকাশ। ভুলে যাননি মানুষটি। প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্যই এসেছিল গ্রামে। হাসি ফুটেছিল হাসানগড়ে।

কাছেই দিল্লির টিকরি কালানের কথা মনে পড়ছে। মহানিস্ক্রমণ পরবর্তী কোনও একটা সময়ে টিকরিতে আসেন নেতাজি। তবে কবে? কোন সালে? স্থানীয় মানুষদের কথায় উঠে আসে দু'টি বছর। ১৯৪১ এবং ১৯৪৪। প্রথমটির দিকেই জোরালো দাবি আসে। বলা হয়, এলগিন থেকে কিংবদন্তি হয়ে যাওয়া সেই মহানিস্ক্রমণের পরেই টিকরি কালানে নেমে তারপর পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে যান নেতাজি। যদিও খোদ দিল্লির বুকে ব্রিটিশে নজরে থাকা এলাকার খুব কাছাকাছি এমন একটা ঝুঁকি নেওয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন ঐতিহাসিকেরা। তাই বছর এবং সময় নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও গ্রামের বেশ কিছু বৃদ্ধের চোখে এখনও দপদপ করে নেতাজির স্মৃতি। উচ্চারণ। চোখের ভেতর, বুকের ভেতর আলো। পরে তাঁদের উদ্যোগেই তৈরি হওয়া টিকরির ‘আজাদ হিন্দ গ্রাম’ কমপ্লেক্স মানুষটির লেগ্যাসি নিয়ে, স্মৃতি নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। খেদ একটাই, খুব হাতে গোনা মানুষ আসছেন আজাদ হিন্দ গ্রামে। জল সমস্যা, দারিদ্র, কৃষির সমস্যা – সব মিলিয়ে কেমন একটা অসহায় টিকরি কালান প্রতি বছর এক ম্যাজিকাল কাঠির স্পর্শে পাল্টে যায় ২৩ জানুয়ারির দিন। তখন পোস্টারে, অনুষ্ঠানে, মানুষের চোখেমুখে, কথায় শুধুই নেতাজি সুভাষ – ‘তুম মুঝে খুন দো ...।’

একটু স্পট জাম্প করি। আবারও এক ভারতবর্ষ। তবে তুলনায় আলোচনার বাইরে থাকা নামহীন এক নর্থ ইস্ট ভিলেজ। মণিপুর। জুয়েল অফ ইস্ট। প্রসঙ্গত এই মণিপুরের ময়রাং-এই ১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল আই এন এ-র কর্নেল শওকত মালিকের নেতৃত্বে এবং মণিপুরি যুবকদের সাহায্যে ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রথম ট্রাইকালার ফ্ল্যাগ উত্তোলন। আর এই ময়রাং-এর কাছেই এক অখ্যাত গ্রাম – নাম ‘মোরে’। ১৯৮৯ সালের মে মাসে ‘সান’ পত্রিকায় বেরনো মেঘচন্দ্র কোগবাম-এর লেখা ‘Netaji’s Last Visit to India’ প্রথম উল্লেখ করে মোরে গ্রামটির ঐতিহাসিক দিকটি। চলে আসে জনৈক গ্রামবাসী সেবা সিং উন্দির নাম। এই মানুষটিই ১৯৪৪-এর এপ্রিলে নেতাজির সঙ্গে একটা গোটা রাত ক্যাম্পে ছিলেন, প্রয়োজনীর জিনিসপত্র এগিয়ে দেওয়া, কথাবার্তা – উঠে এসেছিল অনেক স্মৃতি। কর্নেল গুরবক্স সিং ধীলনের লেখায়, সাক্ষাৎকারেও বক্তব্যের সত্যতা উঠে এসেছিল। তবে, সেবা সিং উন্দির কথা তারপরে আর জানা যায়নি। বাকি সময়টা কোথায় গিয়েছিলেন মানুষটি, কেমন ছিলেন, ওই অসম্ভব এক চরিত্রের এতটা পাশে থেকে ?

এবং শেষমেশ নাগাল্যান্ড। বাকি ভারতবর্ষের কাছে ব্রাত্য এই নামটি উঠে আসে মরশুমি হর্নবিল উৎসবের নামে। বাকি সময় কী করছে, কেমন আছে উত্তর-পূর্ব ভারত – কে জানে। নেতাজি বেছে নিয়েছিলেন এই মানুষগুলোকেই। বর্মা থেকে ভারতে ঢুকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে এগোনোর ফার্স্ট ফ্রন্টিয়ার করেছিলেন এই নাগাল্যান্ডকেই। ১৯৪৪ সালে নাগাল্যান্ডের রুজাঝু গ্রামে আই আন এ-র বেস ক্যাম্প করা হল। জাপানি, পাঞ্জাবি এবং বাঙালি সেনাদের সঙ্গে এলেন সুভাষ। কী ভাবে কথাবার্তা হবে? প্রত্যন্ত নাগা গ্রামে হিন্দি জানা লোক তো নগণ্য। সুভাষ হাবেভাবে জানতে চাইলেন, কে কে পড়াশুনো করেছেন গ্রামে। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা একমাত্র প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত, ক্লাস থ্রিয়ের গণ্ডি পেরনো যুবক পুশোয়ি সুরোর নাম চলে এল। ‘তুমি দোভাষী হবে?’ পুশোয়ি রাজি হয়ে গেল। গ্রামের আরও আটজন বরিষ্ঠ সদস্যকে স্থানীয় প্রশাসক করা হল। এবং তখনই আরেক ট্যুইস্ট। আইএনএ-র হাতে বন্দি হয়ে আসাম রেজিমেন্টের বেশ কিছু সেনা বর্মা থেকে বাহিনীর সঙ্গেই ভারতে আসেন। এবং এঁরাই রুজাঝু গ্রামে এসে দেখে ফেলেন পুশোয়ি সুরোর দাদা ভেসুজু সুরোকে। শারীরিক কারণে আসাম রেজিমেন্ট থেকে কিছুদিন বিরতি নিয়ে গ্রামে এসে থাকছিলেন ভেসুজু। একদিন সভার মধ্যেই নেতাজির দৃপ্ত উচ্চারণে ডাকা হল ভেসুজুকে। থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে এলেন ভেসুজু। ‘আজ থেকে তুমিই দোভাষী’। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলেন না পাহাড়ি এই মানুষটি। ছোট ভাই পুশোয়িকে এরিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটর-ইনচার্জ করা হল। তারপর থেকে যতদিন গ্রামে ছিলেন, বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে গেছিলেন ভেসুজু। বর্মা থেকে ভারতের প্রথম স্পট নাগাল্যান্ডের এই রুজাঝু হয়েই ক্রমশ সুথোজু, ইয়োবুচা, চুজুবা, চেসুজু, সেনিউজু, চাখাবামা পেরিয়ে কোহিমা ঢোকার পরিকল্পনা ছিল আই এন এ-র। ৯ দিন রুজাঝুতে থাকার পর পথপ্রদর্শক পুশোয়ির নেতৃত্বে সেনাদের অভিযানের সময় ব্রিটিশ এলোপাথাড়ি গুলি। পিছু হটতে হল। ফেরার রাস্তায় সাতাখার কাছে জুলহা গ্রামের কাছে গুলিতে চলে গেলেন চারজন, তাঁর মধ্যে একজন স্থানীয় সেমা কমিউনিটির নাগা যুবক। জুলহার একটি কবরে ছেলেটি শুয়ে আছে অনন্তকাল।

শেষটুকু চেসুজু দিয়েই করা যাক। নাগাল্যান্ডের মাটিতে শেষ ক্যাম্প। নাগাল্যান্ডের ফেক জেলার চেসুজু গ্রামে ১৯৪৪-এর এপ্রিল থেকে মে অবধি দুমাসের ক্যাম্পে ছিলেন খোদ নেতাজি। পাঞ্জাবি, বাঙালি এবং জাপানি সেনাদের তৈরি এক বর্ণময় দলের কম্যান্ডার নেতাজি সুভাষ স্থানীয়দের কাছে ‘সুবো বোস’। কখনও বা ‘জাপানি রাজা’। বাদামি একটা ঘোড়ার পিঠ নেমে চেসুজুর গোপন মিটিং-এ আসতেন মানুষটি। তলোয়ার, কোমরের দুদিকে দুটি বোমা, পিস্তল – অসম্ভব সুপুরুষ, সাহসী ‘জাপানি রাজা’ গ্রামের মানুষদের কাছে ছিলেন একেবারেই বন্ধুবৎসল। মুখে স্মিত হাসি নিয়ে ঘুরতেন, বাঘের মতো চোখ জাগ্রত ভীষণ। চেসুজুর আই. বি. বাংলোর নিচে বাঁশ দিয়ে তৈরি তাঁবু খাটিয়ে থাকতেন মানুষটি। স্থানীয়দের মধ্যে জনৈক পুরাচো (জাপানি সেনাদের ভাষায় হিকারি কিকান বা liaison officer), এন. থেয়ো, রেভারেন্ড পোসুন্নি এবং স্কুল শিক্ষক ভেজু সুরো – এঁরা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখতেন তাঁদের সুবো বোসের সঙ্গে। জাপানি সেনাদের প্রাচুর্য থাকা আই এন এ-র সদস্যরা যাতে গ্রামবাসীদের থেকে বেঁধে দাওয়া সীমার উপরে গিয়ে খাবার বা রসদ না দাবি করে বসেন, তার জন্য গ্রামের দেওয়ালে গোলাপি কালি দিয়ে জাপানি ভাষায় নেতাজি লিখে রাখতেন নির্দেশনামা। একবার দু'জন জাপানি সেনা সেই সীমা ভেঙে অনর্থক বেশি রসদ দাবি করে বসলেন গ্রামবাসীদের কাছে। খবর পেলেন কম্যান্ডার। রক্তাক্ত চোখে বাদামী ঘোড়া থেকে নেমে দুটি চড় কষালেন দুই অভিযুক্তের গালে। বাধ্য ছাত্রের মতো মেনে নিলেন তাঁরা। শুধু মুখ থেকে বেরিয়েছিল জাপানি ভাষায় ‘হাই’, যার অর্থ ‘ইয়েস’। এই জাপানি সেনারাই এসে ভালোবেসে ফেলেছিলেন চেসুজুকে। ‘উই আর দ্য ব্লাড বাই ব্রাদার্স, দ্য সেম রেস – মঙ্গোলিয়ান’ সেনাদের এই সমস্ত কথা এখনও মনে করতে পারেন চেসুজুর সেই সময়ের অতন্দ্র প্রহরীরা। সময়টা অভিশপ্ত, সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্যাটল অফ কোহিমার। কাছেই একটি পাহাড় (পরবর্তীকালে নেতাজি পিক) থেকে বাইনোকুলার দিয়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেন নেতাজি। পোসুন্নি বা থেয়োদের এখনও পরিষ্কার মনে আছে সেই ভয়ঙ্কর সকাল। ব্যাটল অফ কোহিমার সেই দিনের লড়াইয়ে দুদিকের একদিকে জাপানি ইম্পেরিয়াল আর্মির ৩১ নম্বর ডিভিশন এবং অন্যদিকে ব্রিটিশ অ্যালায়েড ফোর্সের দ্বিতীয় ডিভিশন। বাংলো ঘেরাও করল ব্রিটিশ বাহিনী। দুঘন্টার টানা গুলিবৃষ্টিতে পরের দিন পাওয়া গেল দুজন আই এন এ সেনার মৃতদেহ। আর এদিক ওদিকে ছড়িয়ে থাকা টাটকা রক্তের দাগ। নাহ, তাঁদের জাপানি রাজাকে, আর দেখতে পাননি চেসুজুর বাসিন্দারা। ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাংলো, বাঁশের তাঁবু, দুজন শহিদের লাশ, আশেপাশের ছাব্বিশটি গ্রামে ছড়িয়ে থাকা হাজারের উপর নাগা বন্ধুদের কামারাদেরি পেরিয়ে ম্যাজিকের মতো মিলিয়ে গেছেন নেতাজি সুভাষ।

এই সমস্ত কল্পকথা পেরিয়ে কথনে, অকথনে এখনও অমলিন এই মানুষটি। চেসুজুর অবসারভেশন টাওয়ার আজকের নেতাজি পার্ক, কাছেই আই এন এ সেনাদের লাশের গন্ধ মাখা সেসময়ের একটি পুকুর আজকের নেতাজি লেক। পুরো চেসুজুই আজ ‘নেতাজি হেরিটেজ’ হিসেবে পরিচিত। রুজাঝু গ্রাম স্থানীয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস মেমোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির দাবিতে খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ন্যাশনাল হেরিটেজ ভিলেজের তকমা পাবে। টিকরি কালান, হাসানগড়, সাত্রুদ খুর্দ ২৩শে জানুয়ারির সকালে আস্ত এক একটা আজাদ হিন্দ ক্যাম্প। মেয়েরা লক্ষ্মী সায়গল, ছেলেরা ধীলন, শাহনওয়াজ। মণিপুরের মোরে গ্রামের নেতাজি মেমোরিয়াল ইংলিশ হাইস্কুল তৈরি করছে ভবিষ্যৎ স্বপ্নকণ্ঠদের, সিলেবাসে সবার উপরে মিস্টার বোস – ‘তুম মুঝে খুন দো, ম্যায় তুমহে ...’

তথ্যসূত্রঃ

১. নর্থইস্ট টুডে

২. ইনসাইড এন ই

৩. ইস্টার্ন মিরর নাগাল্যান্ড

৪. ট্রিবিউন ইন্ডিয়া

More Articles