যুদ্ধে নারীর শরীরই সেনার নিশানা
Kashmir Women Protest: যখনই কোনও দেশের উপর ঘোষিত কিংবা অঘোষিত যুদ্ধ চেপে বসে মাশুল দিতে হয় নারী ও শিশুদেরই। খুন, জখম রক্তের ভিতর দিয়ে যুদ্ধ টিঁকে থাকে। যুদ্ধে নারী শরীর হয়ে ওঠে নিশানা।
২০১০ সালের ভরা গরমের সকাল ৮ টার লোকাল ট্রেন। প্রতিদিনের যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসাঠাসি হয়ে কিছুটা এগোতেই হালফিলের রাজনীতি ভোটবাক্সের হার-জিত পক্ষে-বিপক্ষ তর্ক বিতর্কের সভা বসে যেত। সেই ধারাবাহিকতা উল্টে গিয়ে মধ্যভারতের দুর্ধর্ষ রেড করিডর আলোচনায় চলে এল। এল স্যান্ডউইচ তত্ত্বের মতো ঘোরতর আলোচনা। এতটাই সজীব প্রাণবন্ত আলোচনার বহরে ঘামে ভিজে ক্লান্ত দু’চোখের পাতা খুলে স্নায়ু তখন টানটান। অরুন্ধতী রায় আউটলুক পত্রিকায় ‘Walking With Comrades’ লিখছেন। কলমে ধরছেন সেই অভিজ্ঞতা যা আমরা, সাধারণরা, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলি। তাঁর এই কমরেডদের চলনে আছে রক্তের দাগ। সশস্ত্র তাঁদের রাজনীতির পথ। ভারত রাষ্ট্র যে রাজনীতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোবরা বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনীর মৃগয়া ভূমিতে পরিণত করে চলেছে। স্বাধীন দেশ ভারতবর্ষ। শান্তির প্রশস্তিতে সদা জাগ্রত এই দেশ নিজেরই দেশের জনগণের বিরুদ্ধে কেন হিংসার দাঁত-নখ বের করতে এত তৎপর? এ প্রশ্নের খোঁচা এসেই যায়। পায়ে পায়ে হেঁটে চলা কমরেডরা শাল-সেগুনের জঙ্গল পেরিয়ে জঙ্গলে স্বপ্ন-জীবন-সংস্কৃতি আর বন্দুক কাঁধে হাঁটেন, হেঁটেই চলেন। তাঁরা কারা? তাঁরা গ্রাম ভারত না শহর ভারতের প্রতিনিধি? এই দুই ভারতের মাঝখানের বিস্তারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আছেন জঙ্গল ভারতের প্রতিনিধিরা। রামায়ণের কাল থেকে আজ পর্যন্ত তাদের আমরা ভুলেই এসেছি। শতক পেরিয়ে শতকে যাঁরা জল-জঙ্গল-জমিকে পাহারা দিচ্ছেন, দেবতা জ্ঞানে পুজো করছেন, আস্ত ভূলোকের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন যাঁরা। আদিবাসী পরিচিতি নিয়ে যাঁরা ভিন্ন, যাঁদের বুক দিয়ে আগলানো সম্পদ আধুনিক মানব সভ্যতার ধমনীকে উস্কে দেয়, তাঁদের কথা গণমাধ্যমের কোনও শাখাতেই ঠাঁই পায় না। তাঁদের বেঁচে থাকা, তাঁদের মর্যাদার প্রসঙ্গকে কত সহজেই হাপিশ করে দেওয়া যায়।
সোনি সোরি ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়ারা জেলার প্রত্যন্ত জাবেলি গ্রামের কয়া আদিবাসী দিদিমণি। আদিবাসী মানুষের শিক্ষার আধিকার প্রসঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারি স্কুলে পড়ানোর কাজ করতেন। গ্রাম মানেই ধরে নেওয়া হয় মাওবাদী। সেই এলাকায় পড়াতে যাওয়ার কারণে ভারত রাষ্ট্র তাঁকে সন্দেহজনক হিসাবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে। বন্দি অবস্থায় পুছতাছের জন্য একজন নারীকে ভারত রাষ্ট্র নগ্ন করে শারীরিক, মানসিকভাবেভাবে ধর্ষণ চালায়। দেওয়া হয় ইলেকট্রিক শক। যৌনাঙ্গে পাথর কুচি ভরে দেওয়া হয়। মৃত্যুর কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছলে দান্তেওয়ারা জেল থেকে কলকাতার নীলরতন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ঘটনাকে চাপা দিতে দূরত্বকে কাজে লাগানো হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের তৎপরতায় গোটা ঘটনা অবশ্য জনসমক্ষে প্রকাশ পায়। জেলে থাকার সময় সোনি সোরির পরিচয় হয় মহিলা সহবন্দিদের সঙ্গে। মাওবাদী সন্দেহে নাবালিকা এক মেয়েকে সিআরপিএফ পেশিশক্তি, ভারতরাষ্ট্র প্রাপ্ত উর্দির শক্তি জাহির করে ধর্ষণ করে। মেয়েটি জানতেন বিয়ে হওয়ার মধ্যে দিয়ে সন্তানধারণ সম্ভব। নিজের গর্ভাবস্থাকে মেনে নেওয়ার মতো বয়সেই তিনি পৌঁছননি। ছিল না যৌনতা সম্পর্কে কোনও রকম ধারণা। সেই মেয়েটি আসন্ন মা। জেলখানায় জন্ম হল পুত্র সন্তানের। সহবন্দিরা নাম রাখলেন কৃষ্ণ। কৃষ্ণ মহিলা সেলের চৌহদ্দিতে বেড়ে ওঠাতে জানতেই পারলেন না পুরুষ মানুষের অস্তিত্ব। মনুষ্য সমাজে আদম-ইভের মতো লিঙ্গ বৈচিত্রের সাক্ষর আছে। তাই বছর চারেকের কৃষ্ণকে পুরুষ বন্দিদের সেলে পাঠানো হয় পুরুষ সমাজের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য। কৃষ্ণ ভয়ে আতঙ্কে নীল হয়ে ওঠে। চিৎকার করতে থাকে। চটজলদি ফিরিয়ে আনা হয় মেয়েদের সেলে। জন্ম থেকে এই শৈশব, মনের গভীরে ক্ষত নিয়ে বাড়ছে। প্রশ্ন হলো, কেন এই ট্রমা? ট্রমার জন্য দায়ী কে?
কলকাতা শহরে কয়েকদিনের সফরে সোনি সোরি এসেছিলেন। সেই সূত্রেই ঘরোয়া আলোচনায় উঠে আসে এই সমাজ, এই দেশে আড়ালে থেকে যাওয়া সাধরণ মেয়েদের পরিস্থিতি। ২০২৪-এর বছর শুরুর প্রথম দিন ২৮ বছরের মাসে সোদি ছয় মাসের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের মুতভেন্দি গ্রামে ছিলেন। লক্ষ্য করলেন গ্রামের রাস্তা ধরে বুলডজার এগিয়ে আসছে। আর সেই পথ দিয়ে কিছু বোঝার আগেই বুলেট এসে পরম যত্নে মা-র শরীর ছুঁয়ে ঘুমিয়ে থাকা একরত্তি শিশুকে রক্তধারায় পরিণত করল। সামান্য কিছু সেকেন্ডের ব্যবধানে মা হারালেন কোলের সন্তানকে।
আরও পড়ুন- জিজ্ঞাসাবাদের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা ভারতীয় সেনার! কাশ্মীরের ‘অচ্ছে দিন’ তবে এই?
বাস্তার জেলাটি খুব সামান্য হলেও কেরল রাজ্যের তুলনায় কিছুটা বড়। এখানকার ৩০ শতাংশ পর্ণমোচী বৃক্ষকে রক্ষা করে থাকেন ৭০ শতাংশ আদিবাসী মানুষ। বুলডজারের লক্ষ্য ছিল সেই জঙ্গল কেটে সাফ করে ১২ মিটার চওড়া, ২১ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা তৈরি করে মুতভেন্দি থেকে গাঙ্গালুর পর্যন্ত জুড়ে দেওয়া। এই জঙ্গল আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতির অংশ। গ্রামের অনান্য সবার মতো মাসে সোদি সেদিন গাছ কাটার বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধ জমায়েতে কোলের সন্তান নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে টানা পনেরো মিনিট সেই জমায়েতকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুটে আসে।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ‘Article 14’ নামের অনলাইন কাগজে একটি নিবন্ধ লেখেন মালিনী সুব্রামনিয়ম। মালিনী কর্ণাটকের মেয়ে, কর্মক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন বাস্তার। Scroll.in অনলাইন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক তিনি। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী দ্বারা সংঘটিত নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার ঘটনায় বারবার সরব হয়েছে তাঁর কলম-ছবি। এই অঞ্চলে সাংবাদিকদের বাধ্য করা হয়ে থাকে প্রশাসনের হয়ে মাওবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে। শর্তে রাজি না হলে চলে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করার প্রক্রিয়া। মালিনী ২০১৬ নাগাদ লাগাতার হুমকির শিকার হন। যে বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন তার মালিক ও মালিনীকে ঘরের কাজে যিনি সাহায্য করতেন তাদের থানায় ডেকে পাঠানো হয় মালিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য। তাদের কেউই রাজি না হওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সামাজিক একতা মঞ্চের প্ররোচনায় বাড়ি ভাংচুর হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয় মালিনীর পরিবারকে। লাগাতার হুমকির মুখে মানবাধিকারের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকতা ও কাজের এলাকায় মালিনী কিন্তু থেকে গেলেন।
২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি। সকাল ১১ টা, মাঠে তখন চাষের কাজ চলছে। নয়টি ড্রোনের সাহায্যে আকাশ থেকে বোম ফেলা হলো। পোত্তামহাং নামে এক আদিবাসী মহিলা মারা গেলেন। বোমা ফেলার ১০ মিনিটের মধ্যে দু’টি হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান দিয়ে ঝাঁ-ঝাঁ করে গুলি ছুটে আসতে থাকে। এটা অবশ্য কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ছত্তিশগড় রাজ্যে টানা তিন বছর ধরে ড্রোন ব্যবহার করে গুলি ও বোমা ফেলা হচ্ছে গ্রামে। ঠিক যে সময়টা চাষের কাজের জন্য সবাই মাঠে খোলা আকাশের নীচে থাকেন। পুলিশ প্রশাসন এতটাই তৎপর যে মানবাধিকার কর্মী বেলা ভাটিয়া সহ অন্যান্যরা সেই জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা করলে কার্যত যেতে না দিয়ে আটকে রাখা হয়।
বিকাশের জয়যাত্রায় গোটা দেশ ভেসে চলেছে মহান ঐক্যের সুতোয়। বিকাশের এমন মাহাত্ম্য যে দেশের এক অংশের মানুষের হত্যা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র তার ষড়যন্ত্র-কলা-কৌশল নামক সুতোটির এক টানে মানব সভ্যতার ইতিহাস থেকে মানবাধিকারকে ভ্যানিশ করে দিতে পারে। প্রতিটি ঘটনা যে সত্য তা অঙ্কের হিসাবে মিলে যায়। ভারত রাষ্ট্র তার সুরক্ষাকে নিশ্চিত করতে মধ্যভারত, কাশ্মীর অর্থাৎ যেখানেই অধিকারের দাবি সরব হবে প্রকাশ্যে, সেখানেই প্রকট করবে উর্দির দাপট। যখনই কোনও দেশের উপর ঘোষিত কিংবা অঘোষিত যুদ্ধ চেপে বসে, মাশুল দিতে হয় নারী ও শিশুদেরই। খুন, জখম রক্তের ভিতর দিয়ে যুদ্ধ টিঁকে থাকে। যুদ্ধে নারী শরীর হয়ে ওঠে নিশানা। খুন করে মৃত্যু নিশ্চিত করেই আশ্বস্ত হয় না সংগঠিত সেনা বাহিনী। নারীর শরীরে-মনে ক্ষত অপমানের হিংসা চিহ্ন রেখে দিতে চায়। সহজ কথায় ধর্ষণ করে রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন- খাঁচাবন্দি জীবন, রান্নাঘরে বারুদের গন্ধ! কেমন আছেন কাশ্মীরের মেয়েরা?
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১। ভারত রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে কাশ্মীরের কুনান ও পোষপোরা গ্রামে পৌঁছে যায়। গ্রামের পুরুষদের ঘরের বাইরে খোলা আকাশের নীচে সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে প্রতিটি ঘরে তল্লাশি করার পাশাপাশিই গণধর্ষণ সংগঠিত করে ভারতীয় সেনা। স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে কত সহজে পদদলিত করা যেতে পারে সেই প্রমাণই রাখতে চেয়েছে ভারতীয় সেনা। ‘সবক’ শিখিয়ে দিতে কাশ্মীরের ইতিহাসে নারীর শরীর-মন-মর্যাদা-স্বাধীনতা-অধিকারবোধকে ধর্ষণ করাই যায়। ‘Do You Remember Kunan Poshpora?’ ১৯৯১ সালের এই ঘটনার সময় লেখিকা এই সাত নারী শৈশবে ছিলেন। তবে কালো রাতের সে অভিজ্ঞতা তারা ভুলতে দিতে চান না। যে কারণে ২৩ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরি নারীর প্রতিরোধের দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
কাশ্মীরের নারী জীবন প্রজন্ম পেরিয়ে প্রজন্মে একটা বৃত্তের ঘেরাটোপে আটকে। গ্রামের নাম হয়ে ওঠে বিধবাদের গ্রাম। এই গ্রামের পুরুষরা বেঁচে আছেন না কি নেই সেটাও পরিস্কার নয়। বেঁচে থাকলেও সেই পুরুষ দেশের অন্য কোনও প্রান্তে জেলে আটক। দীর্ঘ এই অস্থিরতার পরিসর। পরিবারের অর্থনৈতিক কাঠামো টিঁকিয়ে রাখাই অন্যতম সমস্যা। নারীরাই অবশ্য এগিয়ে আসছেন, ভূমিকা নিচ্ছেন। ঐতিহ্যবাহী কাশ্মীরি শাল ও হাতের কাজকে উপলক্ষ্য করে ভারত সরকার কাশ্মীরের নারীদের উৎসাহ জোগাচ্ছে। সেই মতো ভারত সরকার ৬,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প কেবল মাত্র কাশ্মীরের জন্যই বরাদ্দ ঘোষণা করছে। ২০১৯ সালে সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষণা করার পাশাপাশি ফোন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে তামাম দুনিয়া থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাশ্মীরে 5G ইন্টারনেট পরিসেবা দেওয়া হচ্ছে। কাশ্মীর ভারত রাষ্ট্রের অধীন- এই আবহে পর্যটন ব্যবসাকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিসংখ্যানে উঠে আসছে, কাশ্মীরের নারী, সদ্য যুবতীদের মধ্যে বাড়ছে মাদকের প্রবণতা। মাদক সেবনে পঞ্জাবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আসছে কাশ্মীরের নাম। ধারাবাহিক ট্রমা এই মাদক সেবনের কারণ হয়ে উঠে আসছে গবেষণায়। ঠিক যেমনটা মাদকে আচ্ছন্ন যুদ্ধবিদ্ধস্ত আজকের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান।
নারী অধিকার, নারী মর্যাদার বিষয়টি ব্যক্তি-পরিবার-সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে, আইন দ্বারা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ। সেই রাষ্ট্রকেই যদি নারীর অধিকার খর্ব করতে এতটা উগ্র হতে হয় সেখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে। রাষ্ট্র কর্তৃক নারী সুরক্ষা কি শর্ত সাপেক্ষ নয়? পণ্য সংস্কৃতি নারীকে শর্তসাপেক্ষ চুক্তিতে ঠিক এমনভাবেই তো আবদ্ধ করতে চায়। নারী মর্যাদা বনাম চুক্তিবদ্ধ শর্ত। অতীতকে ধোঁয়ার জালে ঢেকে দিয়ে জাতীয় সুরক্ষার নামে ভোটাভুটির পক্ষ নেবে কাশ্মীরের নারী না অতীতকে ভুলতে না দেওয়া স্বাধীন আকাঙ্খার শপথ নেবে তা ভবিষ্যতই স্পষ্ট করবে।