ব্রেনের মধ্যে ছোট্ট চিপ, তাতেই ধরা পড়বে শারীরিক গতিবিধি, এলন মাস্কের আবিষ্কার তাক লাগাবেই
Elon Musk : মস্তিষ্কে বিশেষ চিপ বসানোর কাজ করছে তাঁর সংস্থা নিউরালিঙ্ক
কখনও রকেটে ভর করে মহাকাশ পাড়ি, কখনও বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে দুনিয়া কাঁপানো বিপ্লব কখনও সবার জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম ট্যুইটার ক্রয়, একের পর এক ঘটনায় বারবার শিরোনামে এসেছেন যে মার্কিন ব্যক্তি তিনি হলেন এলন মাস্ক। দুনিয়ময় রাজ করতে চেয়েছেন তিনি। বিজ্ঞানে ভর করে একাধিকবার সম্ভব করেছেন অসম্ভবকে। এখানেই শেষ নয়, মাটি ফুঁড়ে ভরে দিয়েছেন টানেল। আর তার সাহায্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনার কাজও প্রায় শেষ করে ফেলেছেন মার্কিন ধনকুবের।
সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এলন মাস্ক। মানুষের মাথার ভিতরে অধিকার কায়েম করতে এবার উদ্যত তিনি। জানিয়েছেন, মানুষের খুলির ভিতরে মস্তিষ্কে বিশেষ চিপ বসানোর কাজ করছে তাঁর সংস্থা নিউরালিঙ্ক। অর্থাৎ শরীরের গতিবিধি এমনকী মস্তিষ্কের গতিবিধির ওপরেও নজরদারি রাখতেই এই প্রচেষ্টা। চিপ থাকবে মাথার ভিতরে আর অপারেটিং সিস্টেম থাকবে বাইরে। ভাবা যায়, কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকবে মানুষের মাথার। শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও বিজ্ঞানে কী না হয়! আর তার পিঠে চেপে গল্প কে সত্যি করাও এমন কিছু নয়! এলন নিজেই ঘোষণা করেছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই অসম্ভবকে বাস্তবায়িত করতে চলেছেন তিনি। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই যে মানুষ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এমনটাও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : স্মার্টফোন দুনিয়াকে নতুন দিশা দেখাতে পারে গুগল-এর টেনসর চিপসেট
কিন্তু এই চিপ নিয়ে বিতর্কেরও শেষ ছিল না প্রথম থেকেই। মানুষের ব্রেনের মধ্যে এটা চালনা করার আগে ট্রায়ালের জন্য ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই ডিভাইসের পরীক্ষার জন্য আনা হয় ২২৩টি বাঁদর। তাদের ওপর ব্যবহার করা হয় চিপ। কিন্তু শুরুতেই মারা যায় ১৫ টি বাঁদর। তার জেরেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয় এই ডিভাইসকে। পাশাপাশি নিউরালিঙ্ক সংস্থার ওপরও জারি করা হয় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা।
কিন্তু দমার পাত্র নন এলন। তাই কাজ চালিয়ে যান তিনি। সম্প্রতি তিনি দাবি করেন, বাজারে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক এই চিপটি। পাশাপাশি এও জানান, এই চিপ কার্যকর করা গেলে শারীরিক কাজ আরও দ্রুত করতে পারবে মানুষ। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে প্রযুক্তি আরও উন্নত হলে এই চিপের মাধ্যমেই অন্য শরীরের নানা কিছু বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ ও করা যাবে বলে দাবি করেছেন ট্যুইটারের সর্বময় কর্তা। মানুষের মধ্যে এই অসম্ভব নিয়ে সন্দেহ পুরোপুরি না কাটলেও আশার আলো দেখছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন এই প্রযুক্তির হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে গোটা মানব সভ্যতার ইতিহাস।

Whatsapp
