কুকথাই অস্ত্র! পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুকে এভাবেই বিপাকে ফেলবে তৃণমূলের হোয়াটস্যাপ?

Suvendu Adhikari: বিজেপি নেতার অভিযোগ, তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অশালীন বার্তা পাঠাচ্ছেন কেউ কেউ! রাজ্যের সাইবার ক্রাইম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি

''বেশি ভালোবাসলে কারও মধুমেহ হয়!'' বঙ্গ রাজনীতির পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এখন এই 'বাণী'ই জ্বলজ্বল করছে আদালতের আঙিনাতেও! রাজনৈতিক নেতাদের বেশি ভালোবাসতে বারণ করছেন স্বয়ং বিচারপতি! করবেন নাই বা কেন? বাংলায় বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে রাজনীতিতে সৌজন্য কল্পনাতীত। আর সেখানেই জায়গা করেছে বিতর্ক আর ব্যক্তিগত আক্রমণের আবহ! এবারও তার অন্যথা হয়নি। ফের মাথাচাড়া দিয়েছে আক্রমণ বিতর্কই! বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- ফের বাকবিতণ্ডা আর ব্যক্তিগত আক্রমণে জড়িয়েছেন দু'পক্ষই। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জুড়েছে শান্তিকুঞ্জের অশান্ত ধর্না প্রসঙ্গ। মামলা উঠেছে আদালতে। আর জমায়েত তুলতেও নির্দেশ দিতে হয়েছে বিচারপতিকে! ঠিক এই পরিস্থিতি যখন কমল, বিদ্যুৎবেগে জায়গা নিল আর এক বিতর্ক। ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অশালীন বার্তা পাওয়ার অভিযোগে নজিরবিহীনভাবে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অভিষেকের 'পুরুষ পছন্দে'র টিপ্পনী আর শুভেন্দুর 'ডোন্ট টাচ মাই বডি' বিতর্কে ফের যোগ দিয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ! বিতর্ক বেড়েছে ফের।

একদিকে জন্মদিন। কটাক্ষ। ধর্না। আক্রমণ। আবার অন্যদিকে আদালত-অশালীন বার্তা-হোয়াটসঅ্যাপ। বঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বারবার সামনে আসছে এই শব্দবন্ধ। ঠিক এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে শুভেন্দুর একটি মন্তব্যের ভিডিও (এই ভিডিওর সত্য যাচাই করেনি ইনস্ক্রিপ্ট)। যেখানে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্যের সীমাও নাকি ছাপিয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু! 'জুতোর তলায়' বীরবাহা-জাতিকে রেখেছেন নন্দীগ্রামের সম্রাট! প্রশ্ন উঠেছে এখানেও।

কিন্তু একাধিক ঘটনার ঘনঘটা আর তীব্র বিতর্কের সৃষ্টির মধ্যেই এই বঙ্গের রাজনৈতিক মঞ্চে কড়া নাড়ছে ইতিহাস। কড়া নাড়ছে একাধিক সম্ভাবনা আর কৌশলের কথাও! কেন? তার বিশ্লেষণে অগ্রসর হব। কিন্তু নতুন করে একাধিক বিতর্কের সূত্রপাতের প্রকাশ্য কারণ ঠিক কী? কীভাবে তৃণমূলের 'কৌশল ঘেরাটোপে' পড়ছেন শুভেন্দু?

আরও পড়ুন- শুভেন্দু না কানন, পুরনো মমতাকে কে বেশি চেনেন?

ওই দেখ ভাই 'ফাঁদ পেতেছে'!

দৃশ্য ১। গত রবিবার একটি টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন বছরের ছেলে আয়াংশের জন্মদিন উদ্‌যাপন নিয়ে সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে মহা ধুমধাম করে অভিষেকের ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে ৫০০ পুলিশ, এমনকী বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াড নিয়োগ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। আর এই গোটাটাই হচ্ছে মমতা নিয়ন্ত্রিত পুলিশের তত্ত্বাবধানে।’’ তড়িঘড়ি শুরু হয় বিতর্ক। শুভেন্দুর দাবিতে শোরগোল উঠতেই এই অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ''মিথ্যা বলছেন শুভেন্দু। ওঁর অভিষেক ফোবিয়া হয়েছে!'' ঠিক এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মাঠে নামে তৃণমূল। "তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন!" এমন লেখা কার্ড নিয়ে মমতার নেতা-কর্মীরা হাজির হন বিরোধী দলনেতার কাঁথির শান্তিকুঞ্জের সামনে। ফের শুরু হয় বিতর্ক। আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দিকে দিকে শুভেন্দুর ছবি দিয়ে তাঁর সুস্থতা কামনার কটাক্ষ শুরু করে তৃণমূল (TMC)।

দৃশ্য ২। একদিকে আদালত, অন্যদিকে শুভেন্দু! বিজেপি নেতার অভিযোগ, তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অশালীন বার্তা পাঠাচ্ছেন কেউ কেউ! রাজ্যের সাইবার ক্রাইম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি, এমনও জানান বিজেপি নেতা। তিনি দাবি করেন, ‘‘তোলাবাজ ভাইপোর লুম্পেন র‌্যাকেট সক্রিয় হয়ে আমার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কয়েক শত কুরুচিকর অশ্লীল মন্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র পাঠিয়েছিল গত দু’দিন ধরে। ভাইপো শুধু দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে বাংলার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয়নি, এবার বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে।’’ পরোক্ষে পুলিশের সমালোচনা করেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘আশা করব, ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে এই বিভাগ যেভাবে সক্রিয় হয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়তার নিদর্শন পেশ করে, তেমনভাবেই এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’ একাধিক স্ক্রিনশট দিয়েই অভিযোগ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের শিশির-পুত্র। যদিও এখানেই কুণাল ঘোষ টেনে এনেছেন বিজেপির (BJP) আদি-নব্য দ্বন্দ্বের কথা!

দৃশ্য তিন। দেশের সাংবিধানিক প্রধানকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে তখন বিধ্বস্ত অখিল গিরি। রাজ্যের কারামন্ত্রী, রামনগরের বিধায়কের শুভেন্দু-বিরোধে আগে থেকেই সুখ্যাতি রয়েছে! সেই তাঁর এহেন মন্তব্য দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে বিতর্কে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান মমতা নিজেও। কিন্তু শুভেন্দু? হঠাৎ এই বছরের জানুয়ারির ৭ তারিখে বলা একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ওই ভিডিওয় শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এখানে যারা বসে আছে, এই যে দেবনাথ হাঁসদা ও বীরবাহা হাঁসদা, এরা শিশু। এগুলো আমার জুতোর তলায় থাকে।’’ যদিও এই মন্তব্যের ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইনস্ক্রিপ্ট। সোমবার প্রকাশ্যে আসা ভিডিও নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। রাষ্ট্রপতি-অস্বস্তির মধ্যেই পাল্টা জড়িয়ে যান শুভেন্দু!

দৃশ্য চার। বিরোধী দলনেতার যে দাবি ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয় বাংলা, সেই 'জন্মদিন কটাক্ষে'র মধ্যেই ছড়িয়ে যায় শুভেন্দুর ছবি। তাঁর সুস্থতা কামনার সঙ্গেই যোগ হয় পুলিশে অভিযোগ। বেলেঘাটা থানা থেকে শুরু করে শিশু-কমিশন, শুভেন্দু জড়িয়ে যান ফের!

কিন্তু কেন? তাহলে কি বারবার তৃণমূল আর অভিষেককে আক্রমণের বিজেপি-অস্ত্র শুভেন্দুকে আঁটঘাট বেঁধে ভোঁতা করতে চাইছে তৃণমূল? একের পর এক কৌশলে শুভেন্দুর কটাক্ষের 'কয়লা ভাইপো'ই আসলে রাজনৈতিকভাবে কাটতে চাইছেন 'কাকা'কে!

ঠিক এই আবহে দাঁড়িয়েই বঙ্গের রাজনৈতিক মহলের একাংশ খোলসা করছেন কয়েকটি বিষয়।

'টার্গেট-শুভেন্দু'

'একাধিকে কী হবে, ধরবি যখন আসল ধর!' বঙ্গের রাজনীতিতেও এখন প্রাসঙ্গিক গ্রামবাংলার এই প্রচলিত কথা। যেখানে একাধিক নয়, একজন এমন কাউকে খুঁজে নাও যাঁকে ধরলেই একশো'র কাজ হবে মুহূর্তেই। এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। বঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে, শাসকদল তৃণমূল আর বিজেপির সামগ্রিক দ্বন্দ্বে মূল উপজীব্য হয়ে উঠে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। একাধিক বিতর্ক আর 'পুরনো বন্ধু' তৃণমূলকে আক্রমণে বঙ্গের গেরুয়া-ঘরের মুখ হয়েছেন তিনি! আর সেই মুখকেই রাজনৈতিক ভ্যানিশে টার্গেট করেছে তৃণমূল? সেখানেই তৈরি হচ্ছে একের পর বিতর্ক। একাধিক জালে শুভেন্দুকে রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলতেও পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা, এমনও বলছেন কেউ কেউ।

কুণাল-প্রভাবে শুভেন্দু-দমন!

২০২০ সাল। ডিসেম্বরের শীতের আবহেই একদা সারদাকাণ্ডের ফাঁদে জেলবন্দি কুণাল, মমতার বিরোধী কুণাল ফের ফিরেই অভিষেকের দূত হয়েছিলেন সেদিন। কিন্তু পারেননি! জল্পনা সত্যি করেই অমিত-মঞ্চে (Amit Shah) বিজেপি পেয়েছিল তৃণমূলের 'ক' সারির নেতাকে। তারপর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে সরাসরি কুণালের আক্রমণের তির নিক্ষেপিত হয়েছে শুভেন্দুর গায়ে। নির্বাচন থেকে নন্দীগ্রামে জয়, এমনকী বিধানসভার অলিন্দ- শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রায় সমস্ত পদক্ষেপে বিরোধী-মুখ হয়েছেন কুণাল। অনেকেই বলেন, তৃণমূলের নেতা, দুঁদে সাংবাদিক কুণাল ঘোষকে দিয়েই কাঁটা তুলতে চায় তৃণমূল! প্রত্যেক মুহূর্তে কুণালকে দিয়েই রাজনৈতিক অস্ত্র-প্রয়োগের পথে এগোতে চান অভিষেকও!

আরও পড়ুন- মমতা কি দলেই কোণঠাসা? অভিষেক নিয়ে কুণালের বার্তায় কোন ইঙ্গিত?

কুণালের নন্দীগ্রাম-যাপন

মঞ্চ পোড়ানোর অভিযোগ থেকে একাধিক ইস্যুতে শুভেন্দু-গড়ে দাঁড়িয়ে বিরোধ! বিভিন্ন ক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের আশপাশের শিউলি সাহা, অখিল গিরির মতো আজীবন অধিকারীদের বিরোধী গোষ্ঠীর কাছের মানুষ হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নেতা কুণাল। কর্মীদের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বারবার। কলকাতা ছেড়ে একাধিক অনুষ্ঠান, মূলত শুভেন্দুকে আক্রমণের মেদিনীপুরী মঞ্চে হাজির হয়েছেন তিনি। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কুণাল দিয়েই শুভেন্দুর রাজনৈতিক বধে সচেষ্ট হচ্ছে তৃণমূল?

তির নিক্ষেপে নিষ্ক্রিয়-কৌশল

বিপক্ষের সকলে নন, ঠিক যেখানে অস্ত্র প্রয়োগ করলেই এক ধাক্কায় কুপোকাত করা যায় সবটা, সেই ক্ষেত্রেই এগিয়ে যান প্রতিপক্ষের নেতারা। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। একের পর এক রাজনৈতিক ফাঁদে, দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত তৃণমূলও পাল্টা খুঁজে নিয়েছে পথ। মুহূর্তেই শুভেন্দু-সক্রিয়তা হ্রাসে সচেষ্ট হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। আর সেখানেই রাজনৈতিক তিরে কাঁথির অধিকারীকে চাপে ফেলতে চেষ্টা করছে তৃণমূল, এমনও বলছেন অনেকেই।

প্রচার-পুলিশ-শুভেন্দু

শুভেন্দুকে আটকানো যায় কী প্রকারে! সৌজন্য না কটাক্ষ, নাকি সৌজন্যের ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই কটাক্ষের ঝড়! ঠিক এই অবস্থাতেই পুরনো বন্ধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে যাওয়া শুভেন্দুকে ঠিক এমন ভাবেই ঘিরে ধরছে তৃণমূল? যা ফের জল্পনা বাড়িয়েছে নয়া 'কার্ড বিতর্কে'র মাধ্যমে। সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে বারবার শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলার কৌশল রপ্ত করেছে অভিষেক-মমতার দল। অর্থাৎ 'তুমি ভুল, তোমার আক্রমণ আসলে সব ঠুনকো!' এই ভাবনার প্রকাশে শুভেন্দুকে খর্ব করছে তৃণমূল, বলছেন কেউ কেউ। এখানেই কখনও প্রচার, কখনও পুলিশ আর শুভেন্দু মিলেমিশে একাকার হয়েছেন বারবার।

মমতা-চালে অভিষেক-প্রয়োগ!

বাংলা শুধু নয়, অনেকেই বলেন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম! তাঁর আলপাটকা মন্তব্য থেকে শুরু করে একের পর এক নির্বাচনের পথ- সবক্ষেত্রেই রাজনৈতিক মমতা হয়েছেন অনন্য! আর সেখানে দাঁড়িয়েই তাঁর উত্তরসূরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর দেখানো পথেই চলবেন, একথা বলেন অনেকেই। ঠিক এই আবহেই মমতার পরামর্শ আর রাজনৈতিক সাফল্যের তাগিদে অভিষেক অথবা মমতা জানেন শুভেন্দুকে রাজনৈতিকভাবে কাত করলেই বঙ্গের খানিকটা নড়বড়ে বিজেপিকে আপাতত আটকে দেওয়া সম্ভব। ঠিক সেই অবস্থায়, শুভেন্দুর শুধুমাত্র তৃণমূল এবং অভিষেক-আক্রমণের বিরুদ্ধেও মমতার কৌশল বর্ষিত হয়েছে বারবার। যার ফলস্বরূপ যে এই আবহ বা ঘিরে ধরা নয়, একথাও বলছেন না অনেকেই।

বিজেপি-দ্বন্দ্বে তৃণমূল-লাভ!

একই দলের একাধিক ক্ষেত্রের বিচ্ছুরণ, প্রতিপক্ষকে আটকে দিতে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। ঠিক এই দিক থেকেই শুভেন্দু-আক্রমণে তৃণমূল শরণাপন্ন হচ্ছে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের দিকে! আদি-নব্যের দ্বন্দ্বের দিকে! আদৌ বঙ্গ বিজেপির অন্দরে সেই দ্বন্দ্ব রয়েছে কি নেই, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলেও তৃণমূল শুভেন্দু ঠেকাতে বারবার দিলীপ বনাম সুকান্ত, সুকান্ত বনাম শুভেন্দুকে টেনে এনে এমন চালে মাত করতে চাইছে, যেখানে শুভেন্দু যেন অস্বস্তিতে থাকা কোনও নেতা! যাঁর অস্তিত্বে কাঁটা হয়েছে দলের দ্বন্দ্ব!

তাহলে একাধিক কৌশল আর আক্রমণের মায়াজালে কি সত্যিই আবদ্ধ হচ্ছেন শুভেন্দু? একাধিক প্রশ্ন আর জল্পনার আবহেই বিজেপি নেতাদের দাবি, ''কিছু হয়নি, সবটাই তৃণমূলের ভেলকি! ওটা সার্কাসের জন্য ভালো কিন্তু বিজেপির জন্য বিপদ!'' কিন্তু এই ভেলকিই যে শেষমেশ বঙ্গের রাজনৈতিক খিড়কি দিয়ে শুভেন্দু-বিদায় থুড়ি বিজেপি-বিদায় নিশ্চিত করবে না, নাকি শুভেন্দুকে ঘেরার জালেই আটকে যাবেন অভিষেক আর মমতাও! প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

More Articles