ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং-গ্যাংটক! গরম থেকে মুক্তি পেতে যান সিকিমের কোলে অচেনা এই গ্রামে

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১৫০ কিমি আর বাগডোগরা থেকে ১৭০ কিমি দূরে এই গ্রাম।

ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অভিধানে নতুন ‘ট্রেন্ডিং’ শব্দ ‘অফবিট’। মাসে মাসে অন্তত একবার করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ‘Offbeat places in’ লিখে সন্ধান চালালে ‘India’-কে পিছনে ফেলে প্রথম তিনের জায়গায় ঘুরেফিরে উঠে আসে ‘নর্থ বেঙ্গল’, ‘দার্জিলিং’ আর ‘সিকিম’-এর নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার বিভিন্ন গ্রুপগুলোতেও হইহই কাণ্ড, রইরই ব্যাপার। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং-এর আশেপাশে মাসান্তে ভেসে উঠছে নিত্যনতুন সব অফবিট ডেস্টিনেশন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কতটা অজানা হলে তাকে অফবিট বলা যায়! এইসব সহজ প্রশ্নের উত্তর নেটওয়ার্কিংয়ের যুগে এখন আরও সহজে মেলে। তাই ভরসা বলতে গুগল ম্যাপ আর হাতিয়ার বলতে সোশ্যাল মিডিয়া। আর খুঁজতে খুঁজতে নতুন একটা জায়গার হদিশ সত্যিই পেয়ে গেলে, উদাত্ত গলায় বলিউডি ডায়লগের ধাঁচে বলে ওঠা ‘অগর কিসি চিজ কো পুরে দিল সে চাহো, তো পুরে কায়েনাত…’ ইত্যাদি-প্রভৃতি।

 

আর পথের দেবতার প্রসন্ন মুখের ফিচেল হাসি যে একবার দেখেছে, ছুটি থাক বা না থাক, দার্জিলিংয়ে বরফ পড়ুক বা না পড়ুক, ঝোলা কাঁধে তাকে বর্ষশেষের আগে অন্তত একবার বেরোতেই হবে। উত্তরবঙ্গে আগে তাও যদিও বা ‘সিজন’, ‘অফ সিজন’-এর বালাই ছিল, এখন সেখানে সারাবছরই ‘পিক সিজন’। তাই খানদুয়েক ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে চড়ে বসলাম। স্লিপার ক্লাসের শিকে ছেঁড়েনি তো কী! বসেই চলে যাব গোটা পথ। দু'-চারটে কনুইয়ের গোঁত্তা, ঠারেঠোরে কথা, টোন-টিটকিরি না শুনলে আর একা মেয়ের পথে বেরোনোর মানে কী! বলিউড আমাদের শিখিয়েছে না, ‘অকেলি লড়কি খুলি হুয়ি তিজৌরি কি জ্যায়সি হোতি হ্যায়’! তাই নিজের মাল নিজের দায়িত্বে রেখে, কোনও আদিত্য কাশ্যপের জন্য অপেক্ষায় না থেকে, শেষমেষ নেমে পড়া গেল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। গন্তব্য, পূর্ব সিকিমের ছোট একখানা গ্রাম, পারখা।

 

মাচং, চোচেনফেরি গ্রামের পাশে, রোলেপ নদীর পারের এই গ্রাম পারখা। সমুদ্র-সমতল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উঁচুতে। এনজেপি থেকে ১৫০ কিমি দূরে, পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি। পারখা-র কাছাকাছি যদিও বিমানবন্দর আছে- প্যাকয়ং, পারখা থেকে মাত্র ১৩ কিমি দূরত্বে, তবু পকেটের রেস্ত আর চলার পথের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার ইচ্ছে থেকেই বেছে নেওয়া ট্রেন আর শেয়ার গাড়ির পথ। প্যাকয়ং-এর কাছাকাছি বিলাসবহুল রিসর্ট, হোটেল ইত্যাদিও অপ্রতুল নয়। কিন্তু পারখায় কোনও হোটেল তো দূর অস্ত, একটার বেশি হোমস্টে-ই নেই। পারখা গ্রামে আমার চার দিনের আস্তানা বলতে তাই কমলদাদার বাড়িই ছিল ভরসা। কমল গুরুং, ‘পারখা হোম স্টে’-র তত্ত্বাবধায়ক। বহু পথ আর ঘটনা পার করে, রাত ন’টার পর যখন পারখা ঢুকছি, উঁচু-নিচু, ভাঙাচোরা, প্রায় তৈরি না হওয়া রাস্তার দু'-পাশে অমাবস্যার রাতের মতো অন্ধকার। গাড়ির বনেটে এসে বারবার ধাক্কা মারছে নানা অপরিচিত গাছের ডালপালা। গাড়ির আওয়াজে ঘুম ভেঙে যাওয়ায়, চমকে ওঠা পাখি আর কুকুরের ডাক- রাস্তার ভয় কিংবা মায়া- দুটোকেই পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে তুলছে। যতক্ষণ সিকিমের ন্যাশনাল হাইওয়েতে ছিলাম, রাস্তার ওপর জ্বলা ফ্লুরোসেন্ট হলুদ স্টিকারগুলোকে জোনাকি বলে মনে হচ্ছিল। মনে মনে বলছিলাম, জোনাকি রাস্তা পেরিয়ে যেখানে পৌঁছব, আদৌ যদি পৌঁছতে পারি, আশ্রয় কথাটার মানে এই যাত্রায় নতুন করে বুঝব। বুঝেও ছিলাম তাইই।

 

আরও পড়ুন: আর দার্জিলিং-গ্যাংটক নয়, গরমের ছুটি কাটান কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে এই গ্রামে

 

রাস্তা যেখানে শেষ, সেখানে সিকিমের রাত ন’টার ওই দু ডিগ্রি ঠান্ডায় আমার আসার অপেক্ষায় হাসিমুখে যে মানুষটা দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি কমলদাদা। ড্রাইভার বীরুদাদাকে কমলদাদাই বলে রেখেছিল, আমার আসার কথা। পারখা গ্রামেরই ছেলে বীরুদাদা ভোর পাঁচটারও আগে বেরিয়েছে শেয়ার গাড়ি নিয়ে। শালুগাড়ার চাম্পাসারি থেকে পারখাগামী গাড়ি ছাড়ে দুপুর দেড়টায়। চাম্পাসারি থেকে আমি ছিলাম প্রথম প্যাসেঞ্জার, আর পারখায় আমিই নামলাম সব শেষে। 'সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে/ আমি চললেম একা'। মাঝের সময়টুকুতে কত মানুষের আনাগোনা ছিল সেই গাড়িতে। সবারই মুখে দেখি এক প্রশ্ন- “সাথ মে কোই নেহি আয়া? তুম আকেলি কিঁয়ু আয়ি হো? ডর নহি লাগতা? যিধার যা রহি হো, উধার আপনা কোই হ্যায়” হাসিমুখেই উত্তর দিচ্ছিলাম সবাইকে। তবে শেষ প্রশ্নের উত্তর আমার হয়ে বীরুদাদাই দিয়েছিল, “বইনিকি ভাইয়া-ভাবি হ্যায় না উধার। কমলজি! আপ তো জানতেই হোঙ্গে উনকো।” একা মানুষের পথের বিস্ময় যেমন থাকবে, পথের অহেতুক কৌতূহলও সঙ্গে সঙ্গে থাকবে। সেসবের মুখোমুখি বুঝেছিলাম, হাসিমুখে থাকাটাই ভালো।

 

ক্রিসমাসের রাত ছিল সেদিন। গাড়ি থেকে নেমে পাহাড়ি পাথুরে ধাপ কাটা পথ দিয়ে অজানা রাস্তায় নামতে নামতে একটুখানি সমতল জায়গায় এসে আলো পাওয়া গেল। সামনে তখন পাহাড়জুড়ে হাজার প্রদীপের রোশনাই, আর ছুঁয়ে দেখা দূরত্বের ‘মানে’-তে (সমাধিস্থল) উড়ছে শান্তির রঙিন পতাকারা। লাল পাত্তা, গাঁদা, গোলাপ, অর্কিডে সেজে আছে উঠোনটা। একপাশে কাঠের বেঞ্চ পাতা। পাশেই খড়ে ছাওয়া বসার জায়গা। তার ঠিক দুটো ধাপ ওপরে উঠে আমার ঘর। কোনওরকমে ঘরে ঢুকেই দু'খানা সোয়েটার আর একটা জ্যাকেট পরেও হু হু কাঁপতে থাকা সেই আমিই, জানলা খুলে দিলাম। আলোসমেত গোটা পাহাড়টা যেন ঘরের ভেতরে ঢুকে এল। এইখানে আমি আরও দু'-দুটো দিন থাকব! উত্তেজনার চোটে গিজার চালানোর অপেক্ষা অবধি না করে, হাত মুখ ধুয়ে ফেললাম বরফঠান্ডা জলেই। কমলদাদার দিদি, গীতাদিদি আর বোন সারিকা ততক্ষণে দিয়ে গেল ধোঁয়া-ওঠা গরম ভাত আর মুখে লেগে থাকা স্বাদের সব নানারকমের তরকারি। খোলা জানলা দিয়ে ঢুকে আসা পাহাড়ের আলো আর হাওয়ার মাঝে দু'খানা কম্বল মুড়ি দিয়ে গরম ভাত খেতে খেতে চোখে জল আসছিল অনবরত। দিনশেষের ‘আশ্রয়’ শব্দটার অর্থ যে পথে বেরিয়ে বুঝেছে, তাকে আর পথে বেরনো থেকে আটকে রাখবে কীসে!

 

বাকি কথা তলিয়ে গেছে পাহাড়ের খাদে। ঘুম ভাঙিয়ে তুলে আনতে দেরি হবে। তাও ঝটপট বলে যাই, কোথায় কোথায় গেলাম। পরেরদিন সকালে দিনের আলোয় দেখলাম কমলদাদার বাড়িখানা। দেওয়ালের গায়ে লেখা ‘Chyajalo’, তিব্বতি ভাষায় যার অর্থ ‘স্বাগতম’। পারখা শব্দটিরও তিব্বতি জ্যোতির্বিদ্যায় এক বিশেষ ভূমিকা আছে বলে জেনেছিলাম। নাথুলা-সহ প্রাচীন সিল্ক রুটের একটি অংশ ছিল পারখা। আর স্থানীয় নেপালি ভাষায় 'পারখা' শব্দের অর্থ ‘অপেক্ষা’। এক গ্রাম, যে তার নামের সঙ্গেই অপেক্ষা জড়িয়ে নিয়ে বসে আছে, তার কাছে আসতে আমার এতটা দেরি হল!

 

ভোরবেলায় উঠে একাই হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম ঘরের পাশের শিবমন্দিরে। মন্দিরে কেন? কারণ আমার অভিজ্ঞতা বলে, পাহাড়ের সবচেয়ে নান্দনিক দৃশ্যপট মন্দির, গির্জা, মানে-র পাশগুলো থেকেই পাওয়া যায়। সত্যিই তাই, চোখ ফেরানো দায়। মন্দিরকে পিছনে রেখে দাঁড়ালে, সামনে সবুজ পাহাড়ের পটভূমিকায় ধাপে ধাপে সর্ষের ক্ষেত আর পাখিদের ওড়াওড়ি। এইসব চোখে পুরে তবু ফিরতে হয়।

 

ব্রেকফাস্টের পর গন্তব্য পারখা ভিউ পয়েন্ট। গীতাদিদি আমার গাইড। পথের বাঁকের নানা গাছ, ফুল চিনতে চিনতে, ধাপচাষের জমির কাজ কীভাবে হয়, সব জানতে জানতে পৌঁছলাম ভিউ পয়েন্টে। বড় একটা পাথর আটকে আছে পাহাড়ের গায়ে। অক্ষয় সেই পাথর এতদিনেও গড়িয়ে যাচ্ছে না। বসলাম সেই পাথরে। পায়ের তলায় গোটা পারখা গ্রাম আর তারই মাঝে দেখা যাচ্ছে সিকিমের বহু প্রাচীন মাচং মনাস্ট্রির চূড়া। ফেরার পথে গীতাদিদির দৌলতে দু'-ঘণ্টার রাস্তা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে শর্টকাটে নেমে এলাম মাত্র এক ঘন্টায়। জঙ্গলের মধ্যেই একঘরমাত্র খ্রিস্টধর্মাবলম্বীর বাস। উপাসনার জন্য তারা নিজেরাই চার্চ বানাচ্ছে। নিজের প্রয়োজনে গাঁয়ে-ঘরে, ঘরের পাশে প্রার্থনার জায়গা তৈরি করে নেওয়ার এই রীতি বহু প্রাচীন। এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল। এমনটাই এখনও তবে হয়। তবু অবাক হচ্ছি কেন! ভেতরের সহজ চোখ পুড়ে গেছে যে, শহুরে হাওয়ায় ঠুলি পড়ে গেছে কবে, বুঝিনি। শান্তির এই হাওয়ায় সেসব গাঁট খুলতে খুলতে, ঘুরে ঘুরে, মাচং গ্রামের সেই মনাস্ট্রিতে গেলাম। আসন্ন নববর্ষের উৎসবের জন্য সেখানে তখন নানারকম সুদৃশ্য মোমবাতি তৈরির কাজ চলছে। গীতাদিদি সঙ্গে ছিল বলে মোমবাতি বানানো শেখা হল খানিক। গল্পে গল্পে বাইরে বিকেল আর বৃষ্টি, দুটোই নামল। বৃষ্টি থামার পরে এক অনবদ্য সূর্যাস্তের পাশ দিয়ে ঘরে ফেরা। ফোনের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বলছে মাত্র সাত। ওদিকে পাহাড় সাজানো ইলেমি ফুলের বেগুনি আভায় আর কিভু পাতার মতো নকশাকাটা মেঘ তখন আকাশজুড়ে। ঘন সবুজের মাঝখান দিয়ে সোঁদা গন্ধকে স্মৃতিবন্দি করতে করতে আমি তখন ঘরে ফিরছি আর ভাবছি, আর মোটে একটা দিন এই ঘরে!

 

পরেরদিন গাড়ি নিয়ে ঘুরেছিলাম যেখানে যেখানে যাওয়া যায় আর কী! রোলেপ নদীর ধারের ঝুলন্ত সেতু, বুদ্ধ ঝরনা, বরাপাথিং ঝিল, চোচেনফেরি গ্রাম, গুরুং গুম্ফা, রতেখোলা গুহা, রিক্যপের মানখিম (মন্দির)। মানখিমে কিরাতবংশীয় পারুদঙ্গ ও সুম্নিমা দেবী শিব-পার্বতীরই আরেক রূপ বলে জানালেন মানখিমের কেয়ারটেকার। গরুড়, ব্যাধ, শিকারি ইত্যাদি নানা রূপের অবতারদের মূর্তিও মানখিমের একদিকে রক্ষিত। এছাড়াও পারখা থেকে ছাঙ্গু লেক, পুরনো সিল্ক রুট, লাচুং-লাচেন, ভুটান বর্ডারের রিচেলা গ্রাম ইত্যাদিও গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসা যায়। সিল্ক রুটের যাত্রীরা একদিন পারখায় থেকে তারপর ওই পথে পাড়ি জমান বলে জানিয়েছিলেন কমলদাদা। ছাঙ্গু অবধি অনেকে ট্রেক করেও যান। তাদের যাত্রাপথ শুরু হয় ‘খেদি’ নামের এক জায়গা থেকে।

 

কমলদাদারই এক বন্ধু্র দায়িত্বে পারখা গ্রামের অপর প্রান্তে একটা ইকো-হাট ও সেইসঙ্গে রোপওয়ে তৈরির কাজও চলছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে সেই কাজ শেষ হলে, পারখা ভ্রমণপিপাসুদের তালিকায় আরও প্রথমের দিকে উঠে আসবে বলে আশা করা যায়।

 

কমলদাদার মুখে শুনেছিলাম, গাংচুং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখা যায়। সকালবেলায় কালিম্পং-এর গাড়ি ধরার জন্য যখন প্যাকয়ং আসছি, ফিরতি পথের বিস্ময়ে গাংচুং আমায় হতাশ করেনি। সকালের আলোয় ফুটে ওঠা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গকে দেখে, সদ্য শেখা নেপালিতে মনে মনে বলেছিলাম, ‘তিমি রামরি ছাও’। সেইসঙ্গে আরও বলেছিলাম, পারখা, প্রিয় গ্রাম আমার, তুমিও অপরূপ সুন্দর। আমাদের যেন শিগগির আবার দেখা হয়। আর একা যে মেয়েটা পথে বেরিয়েছিল, তার কী হল? তার দু'-হাত জোড়া তখন সদ্য তৈরি হওয়া পরিবারের জড়িয়ে ধরার আদর, যত্ন, আর ফিরে আসার পিছুটান। যে বইখানা সে নিয়ে বেরিয়েছিল, সেটা তখন গীতাদিদি পড়ছে। আর কমলদাদা গাড়ির পাশ থেকে মেয়েটার হাত জড়িয়ে নিয়ে বলছে, পরেরবার এলে ছবি তুলব একসঙ্গে। বইনি, অন্তত এইজন্যই তোমায় আবার আসতে হবে। নিজের কপালে পথের দেবতার সেই অদৃশ্য তিলকের ছোঁয়া পেয়ে, নাকি ঠান্ডা হাওয়ায়, কে জানে কেন, আমূল কেঁপে ওঠে মেয়েটি। কোন পথ যে ঘরে ফেরার, আর কোন পথ যে চিরকালের ঘর ছাড়ার দিকে পা বাড়ানোর ভূমিকা, গুলিয়ে যায় সব। সুধী পাঠক, এইবার আমরাও সেই পথে খানিক এগিয়ে যাই, নাকি!

 

কীভাবে যাবেন
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১৫০ কিমি আর বাগডোগরা থেকে ১৭০ কিমি। নিজস্ব গাড়ি নিতে পারেন। শেয়ার গাড়ি হলে, এনজেপি থেকে কালিম্পং হয়ে প্যাকয়ং, সেখান থেকে পারখা। রানিপুল থেকেও প্যাকয়ং ও পারখার গাড়ি পাওয়া যায়। কমলদাদার থেকে খোঁজ নিয়ে শেয়ার গাড়ির ড্রাইভার দাদাদের যোগাযোগের নম্বর নিয়ে নিলে কোনও অসুবিধেই হবে না।

 

 

More Articles