পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা হাতাচ্ছে কারা? রাজ্য জুড়ে যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে নয়া প্রতারণা চক্র

Tab for Student: জানা গিয়েছে, মালদহে অন্তত ১৫০ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। অন্তত তিনটি স্কুল থেকে উঠেছে একই রকম অনিয়মের অভিযোগ। ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে।

নতুন কেলেঙ্কারির নাম এখন ট্যাব। পড়ুয়াদের জন্য সরকারের দেওয়া ট্যাব নিয়েই নাকি চলছে দেদার জালিয়াতি। একাধিক জায়গা থেকে আসছে অভিযোগ। পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন কোণা থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে। ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্য নিয়ে চলতি বছরেই 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার আওতায় ট্যাব বা মোবাইল কেনার জন্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই টাকা নিয়েই উঠছে দেদার নয়ছয়ের অভিযোগ।

প্রাথমিক ভাবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যই এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। এবার সেই টাকা নিয়েই রাজ্য জুড়ে চলছে দেদার জালিয়াতি। পড়ুয়াদের নামে ট্যাবের টাকা আসছে, কিন্তু সেই টাকা মাঝপথ থেকে চলে যাচ্ছে কোনও ভূতুড়ে অ্যাকাউন্টে। পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার পরে মালদহেও উঠেছে একই রকম অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, মালদহে অন্তত ১৫০ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। অন্তত তিনটি স্কুল থেকে উঠেছে একই রকম অনিয়মের অভিযোগ। ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে তালিকায় পুড়য়াদের নাম ঠিক রয়েছে কিন্তু তাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে গিয়েছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। মালদহের ১৫টি ব্লকের মধ্যে ৩ ব্লকে এমন ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি হল হবিবপুর, গাজোল ও হরিশচন্দ্রপুর। ওইসব ব্লকের ৩টি স্কুলে সরকারের দেওয়া ১০ হাজার করে টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট বদলে ফেলা হয়েছে। ওই টাকার পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এনিয়ে হবিবপুর থানা তদন্তে নেমেছে। এরকম খবর আসছে হরিশচন্দ্পুর ও গাজোল থেকেও। ওই স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, পড়ুয়াদের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। বিষয়টি ডিআইকে জানানো হয়েছে। কীভাবে অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল হলে তা নিয়ে হতভম্ব জেলাশাসকও। সরকারি সিস্টেম হ্যাক হয়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: ছয়টি ফ্ল্যাট, ক্রেতা ১২৫ জন! যে ভয়াবহ জালিয়াতির কবলে পড়তে পারেন আপনিও

এদিকে বর্ধমান এবং বনগাঁ থেকেও একই রকম অভিযোগ। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ নিয়ে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফলে সরকারি স্তরে গোলমালের কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অর্থাত্ ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে গোলযোগ হতে পারে। তবে এনিয়ে প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করে কিছু বলা হচ্ছে না। তবে ব্যাঙ্ক কীভাবে অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে নাম না মিলিয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে এনিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও এরই মধ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারি মামলায় মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে চার অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে বর্ধমান জেলা পুলিশ। অভিযোগ, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে রাজ্য সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার টাকা হাতিয়েছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যেই সরকার পোষিত এবং সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলের প্রধানদের সংগঠন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য ট্যাবলেট কেনার জন্য বরাদ্দ তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। দ্য অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস (এএসএফএইচএম) সংগঠনটি রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে এ বিষয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে। সংগঠনটি আরও দাবি জানিয়েছে, যে প্রধান শিক্ষকদের ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ এরফলে তাদের হয়রানি এবং মানসিক চাপ বাড়ছে। শিক্ষা দফতরকে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর সহ বেশ কিছু জেলায় তা প্রাপকদের কাছে পৌঁছায়নি। বাংলার শিক্ষা পোর্টালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্বলতার দিকটি তুলে ধরে সংগঠনটি জানিয়েছে, এরফলে ভবিষ্যতে স্কুলগুলি সমস্যায় পড়তে পারে। তাই অবিলম্বে নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, যে টাকা এইভাবে ভুল অ্যাকাউন্টে তখনই যেতে পারে যখন পড়ুয়াদের তথ্য হ্যাক করা হয়। তিনি উল্লেখ করেছেন ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের জন্য ওটিপি-ভিত্তিক লগইন শুধুমাত্র তালিকার চূড়ান্ত করাকেই যাচাই করে। কিন্তু, ব্যাঙ্কের বিবরণ পরিবর্তন বা ভুয়ো ছাত্র প্রোফাইল তৈরিতে কোনও বাধা দেয় না। চন্দন মাইতি বলেন, প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষিকারা শুধুমাত্র তাদের দেওয়া তালিকার উপর কাজ করে। এইভাবে কোনও অসঙ্গতির জন্য তাঁরা দায়ী নন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন চারজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরেই এই দাবি উঠেছে। যদিও ওই প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এর সঙ্গে জড়িত। মালদা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেও একই রকম অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে প্রধান শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। চিঠিতে, অ্যাসোসিয়েশন এরফলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের উপর যে মানসিক চাপ পড়ছে তা তুলে ধরেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মালদহ থেকে এক জন এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থানা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে ধৃত ব্যক্তির নাম হাসেম আলি। তিনি মালদহের বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। ওই যুবক স্থানীয় একটি সাইবার ক্যাফের মালিক। এ ছাড়াও উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে ধরা পড়েছেন আশারুল হোসেন। তিনি রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। অপর দুই ধৃতের নাম সাদ্দিক হোসেন ও মোবারক হোসেন। তাঁরা দু’জনেই চোপড়া থানার দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে তাঁরাই ট্যাব কেনার টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করছে, ধৃত যুবকেরা ছাড়াও এই চক্রে আরও কয়েক জন জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের খুঁজতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। ধৃতদের সকলেরই বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে করা হয়েছে এই ট্যাব জালিয়াতি? বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে জানা যায়, জুলাই মাসে হাসেম মোবাইলে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ঢোকেন। এর পর একটি অ্যাকাউন্টে ঢুকে তথ্যও বদলে দেন তিনি। যে মোবাইলটি হাসেম ব্যবহার করতেন সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি যে তিন জন ধরা পড়েছেন, তাঁরা পেশায় শ্রমিক। পাশাপাশি সাইবার ক্যাফেতেও কাজ করতেন তাঁরা। ধৃতদের সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে মঙ্গলবারই আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যদিও পূর্ব বর্ধমানের ২৮ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা ফেরত পেয়েছে বলে খবর। দিন কয়েক আগেই অভিযোগ উঠেছিল, ওই ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। তা নিয়ে শোরগোল পড়তেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সেই ২৮ জন টাকা পেল। পুজোর ছুটির আগেই রাজ্যের স্কুলগুলি নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন জানিয়েছে ওই টাকার জন্য। কিন্তু অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই বরাদ্দ টাকা ঢোকেনি। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করে, তাদের বরাদ্দ টাকা চলে গিয়েছে অন্যত্র! বর্ধমান শহরের সিএমএস স্কুল থেকেই অভিযোগ এসেছিল প্রথম দিকে। ওই স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে ৪১২ জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার জন্য আবেদন করেছিল সংশ্লিষ্ট পোর্টালে। তবে ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক মিন্টু রায় জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। তাঁর কথায়, ‘‘গত ২১ ও ২২ অক্টোবর ফোন করে স্কুলের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া জানায়, তারা ট্যাবের জন্য দেওয়া ১০ হাজার টাকা পায়নি।’’ পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের বরাদ্দ টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।

স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছিল জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই), অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), ডিপিওকে। পাশাপাশি, স্কুল পরিদর্শকের পরামর্শ মতো সাইবার থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ট্যাবের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়েও। বিতর্কের মধ্যেই প্রশাসন ট্যাবের টাকা সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। সোমবার বিকেলেই এই বিষয় নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। কেন বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না পড়ুয়ারা, কার গাফিলতিতে এই সমস্যা হচ্ছে, সেই সব প্রশ্নই বৈঠকে উঠেছে বলে সূত্রের খবর। তার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের ২৮ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা ফিরে পেয়েছে।

আরও পড়ুন: শহর জুড়ে আধার জালিয়াতি, কী ভাবে বাঁচাবেন আপনার সঞ্চয়?

এদিকে একদিকে যখন পড়ুয়াদের হকের টাকা চলে যাচ্ছে জালিয়াতদের অ্যাকাউন্টে, সেখানে উল্টো ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। সেখানে শিক্ষা দফতরের ভুলে ২ বার করে ট্যাব কেনার টাকা পেয়ে গিয়েছেন কয়েক হাজার পড়ুয়া। টাকা ফেরত পেতে এখন তাণ্ডব চলছে মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা দফতরে। জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের ১৭টি স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৪,৮৪১ জন ছাত্রছাত্রী ২ বার করে ট্যাবের ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন। যার ফলে তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা পাঠাতে পারছে না শিক্ষা দফতর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়দানে নেমেছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল। তিনি যে ১৭টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল তাদের চিঠি দিয়ে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন বন্ধ রাখতে বলেছেন। সঙ্গে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। চিঠি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদেরও।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যারা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে তা তুলে খরচও করে ফেলেছেন, তাদের কাছ থেকে কী করে টাকা ফেরত নেবে শিক্ষা দফতর? পাশাপাশি এই ভুলে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে কি কোনও পদক্ষেপ করবে স্বাস্থ্যদফতর, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে সরকারি প্রকল্পের আওতায় এই ট্যাব দেওয়ার টাকা নিয়ে যেভাবে রাজ্য জুড়ে জালিয়াতেরা মাথা চাড়া দিয়েছে, তাতে উদ্বেগে রাজ্য সরকার। শেষ লোকসভা ভোটে কার্যত তৃণমূল সরকারের জনদরদী প্রকল্পগুলিই হয়ে উঠেছিল রাজ্য সরকারের সাফল্যের অন্যতম কারণ। তেমনই এক প্রকল্প নিয়ে এই প্রতারণাচক্র কি সরকারের সেই জায়গায় খানিকটা হলেও ধাক্কা দেবে? এই ধরনের জালিয়াতি আটকাতে কী পদক্ষেপ করবে সরকার? উঠেছে সেই প্রশ্নও।

More Articles