মস্তান থেকে নকশাল কমান্ডার: ননী আইচ এক জ্যান্ত রূপকথার নাম
Mastan Noni Aich: স্কোয়াডের খরচ চালাতে বিভিন্ন ধনী এলাকায় ডাকাতির অভিযোগ ছিল ননীর দলবলের বিরুদ্ধে কিন্তু গরিব মানুষের মধ্যে তাঁর তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল।
বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ বাংলার শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের আকর্ষণ করছিল নতুন এক আন্দোলনের পথে। 'এক হি রাস্তা এক হি রাস্তা/নকশাল বাড়ি এক হি রাস্তা' — এই স্লোগান দিয়ে তাঁরা প্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করলেন। দ্রুত বিপ্লব সম্পন্ন করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার স্বপ্ন তখন ফেরি হচ্ছে বাংলা পেরিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। ঠিক এই সময় নকশালবাড়ি অভ্যুত্থানের প্রভাবে মেধাবী তরুণরা ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ভীষণ উল্ল্যেখযোগ্য, এই আন্দোলনে জড়িয়ে ছিলেন বহু কংগ্রেসি তরুণ মস্তান। এদের সঙ্গে নেওয়ার ক্ষেত্রে নকশালপন্থীদেরও একটা উদ্যোগ ছিল। সিপিআইএমের সংগঠিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বাহুবল বাড়াতে কংগ্রেসের এই সব মস্তানরা সহায়ক হবে বলে মনে করেছিলেন নকশালপন্থীরা। নকশাল নেতা পণ্ডিত দাসের মতে, "আমাদের মনে হয়েছিল, ওদের বাহুবল আছে কিন্তু মতাদর্শ কিছু নেই। তাই ওদের ফাঁকা মাথায় মতাদর্শ দিতে পারলে ওরা লড়াইয়ে সহায়ক হবে। তাই অনেক কংগ্রেসি বাহুবলী আমাদের সঙ্গে ভিড়েছিল"।
এই প্রেক্ষাপটেই ননী আইচ মস্তান থেকে নকশালপন্থী কমান্ডার হয়েছিলেন। নকশালবাড়ি রাজনীতি সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য— সব ক্ষেত্রেই যেমন প্রভাব বিস্তার করেছিল, ঠিক তেমনই প্রভাবিত করেছিল মানুষের মনকেও। আবার অনেকে এই বিপুল স্রোতে গা ভাসিয়ে ভিড়ে গেছেন। ভিড়ে গেছেন বহু তরুণ কংগ্রেসি বাহুবলী। ননী আইচ তাদেরই একজন। আবার হয়তো একটু আলাদাও। একথা এই জন্যই বলা কারণ, সারা বাংলা বিশেষত দুই চব্বিশ পরগনার শহরতলি এলাকায় এরকম বহু তরুণ কংগ্রেস মস্তান নকশাল আন্দোলনে গা ভাসিয়েছেন। কিন্তু কুঁদঘাটের ননী আইচের জীবনের উত্তরণ অন্য কারও মধ্যে দেখা যায়নি বোধহয়। এই জন্যই ননী আইচ অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা। আর সেই কারণেই তাঁর গণভিত্তিও ছিল মারাত্মক।
আরও পড়ুন- ‘চাকরি দিলাম, মা-কে খাওয়াবি’! জ্যোতি বসুকেও থামিয়ে দিতেন মস্তান-মন্ত্রী রাম চ্যাটার্জি
সিপিআইএমে যেমন প্লেনাম করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল, সিপিআইএমএল-এর ক্ষেত্রে ছিল ঠিক উল্টো। কোনও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এলাকাভিত্তিক, বিভিন্ন গ্রাম সুরক্ষা বাহিনী তৈরি করা হয়। তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতেন। এটাই ছিল পার্টির নীতি। সেই ভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন স্কোয়াড গড়ে ওঠে। যাদবপুরে আশু মজুমদারের নেতৃত্বাধীন স্কোয়াড ছিল। পাশে কসবা অঞ্চল ছিল নকশালপন্থীদের আশ্রয় নেওয়ার পছন্দসই জায়গা। অন্যদিকে রুবির পেছন দিক থেকে বিস্তীর্ণ এলাকায় নকশালপন্থী রাজনীতি ছড়িয়েছিল। বেশ কয়েকজন সিপিআইএম নেতাও দলে থেকে মনে মনে নকশালবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং নকশালপন্থীদের আশ্রয়দাতার ভূমিকা পালন করতেন। এই অঞ্চলে নকশালবাড়ি লাইন বনাম সোনারপুর লাইন নিয়ে চর্চা ছিল। নকশালপন্থীরা জমির পূর্ণ অধিকারের পক্ষে আর সোনারপুর লাইন হলো জমিতে বর্গা হিসেবে রেকর্ড নথিভুক্ত করার একটা মধ্যপন্থা। এই সবের মাঝেই সিআরপিএফ-এর আক্রমণে নকশালীদের মৃতদেহের স্তূপ দেখেছে রুবির মোড়। আবার অন্য পাশে কালীঘাটের প্রতাপাদিত্য রোডের তরুণরা বোমা নিয়ে স্থানীয় ফাঁড়ি আক্রমণ করে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। অসীম চট্টোপাধ্যায়, আজিজুল হকদের নাম ছড়াচ্ছে উল্কাবেগে। ছাত্র-যুবর আইকন তারা। এই রকম একটা সময়ে কুঁদঘাটের মানুষ ননী আইচকে চিনত একজন নকশালপন্থী বিপ্লবী হিসেবেই।
ননী আইচের গল্প রূপকথাকেও হার মানাবে। কুঁদঘাট অঞ্চলে তিনি প্রায় একাই নকশালবাড়ির পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে রেখেছিলেন। নিজের এলাকা তো বটেই, আশপাশের 'যোদ্ধা'-দের তিনি ছিলেন আশ্রয়দাতা। গরিব, নিম্নবিত্ত অঞ্চল জুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল বিপুল। ননী আইচ প্রথম জীবনে ননী দত্তর মস্তান বাহিনীতে যুক্ত ছিলেন বলেই জনশ্রুতি। সেই সময় থেকেই সিপিআইএম-এর বাহিনীর সঙ্গে তাঁর সশস্ত্র লড়াই চলেছে। প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে সারা রাজ্যের বাঙাল অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির মতোই দক্ষিণ শহরতলিতেও সিপিআইএম শক্তিশালী হয়। কোণঠাসা হয় কংগ্রেস ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মস্তান বাহিনী। এর মধ্যেই এল নকশালবাড়ি অধ্যায়। নতুন রাজনীতির টানে জেগে উঠল যুব সম্প্রদায়। কংগ্রেসের রইস মস্তানদের তারা টলিয়ে দিল। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল সিপিআইএম-এর দিকেও। ননী আইচ নকশালপন্থী হয়ে গেলেও বিভিন্ন সূত্রে দেখা যাচ্ছে, ননী দত্তর সঙ্গে তাঁর সংযোগ রয়েছে। কিম্বা বোমের সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব ফিকে হয়ে যায়নি। ননীর প্রধান শত্রু ছিল সিপিআইএম। ননীর প্রথম জীবনে মস্তান কানেকশন ছিল জোরালো। সেই যোগাযোগগুলিকেই নকশালবাদের পতাকার তলায় জড় করেছিলেন ননী। বিরাট স্কোয়াড ছিল ননী আইচের। আশু মজুমদারের কাছে যেমন কামান ছিল, ননী আইচের সংগ্রহেও কামান ছিল। পুঁটিয়ারি অঞ্চলের খালপাড়ে সেই কামান তাক করানো থাকত। পুলিশ, সিআরপিএফকে এক প্রকার নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন ননী আইচ।
আরও পড়ুন-বিস্ফোরণে উড়েছিল ডান হাত! এক হাতে এলাকা কাঁপিয়েও খুন হন মস্তান দেবা দত্ত
আগেই বলেছি, ননীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল গণভিত্তি। মানুষ বিপুল ভালোবাসত ননীকে। ননী আইচের বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছে। বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে বস্তা হাতে বাজারে উপস্থিত ননী। ননীকে বস্তা হাতে বাজারে আসতে দেখে দোকানিরা দোকান ফেলে তাঁর কাছে এল। জানাল, "তোমাকে বস্তা নিয়ে আসতে হবে না। তোমার বোনের বিয়ের জন্য যা লাগে আমরা দেব। তুমি চলে যাও। আমরা বাড়ি পৌঁছে দেব"। এইরকম ভালোবাসা ছিল ননীর সঙ্গে এলাকাবাসীর। স্কোয়াডের খরচ চালাতে বিভিন্ন ধনী এলাকায় ডাকাতির অভিযোগ ছিল ননীর দলবলের বিরুদ্ধে কিন্তু গরিব মানুষের মধ্যে তাঁর তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। ননী আইচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বর্তমানে তৃণমূল নেতা, প্রক্তন মন্ত্রী সত্তরের দশকের আগুনখোর নকশালপন্থী পূর্ণেন্দু বসু বলেছেন, "ননী আইচ ছিলেন অনেকটা রবিন হুডের মতো একটা চরিত্র। বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। একথা ঠিক যে তিনি প্রথম জীবনে কংগ্রেসি ছিলেন। পরে কুঁদঘাট অঞ্চলের বেশ কিছু নকশাল তাত্ত্বিক নেতাদের হাত ধরে তিনি নকশালপন্থায় আকৃষ্ট হন। কুঁদঘাট থেকে নাকতলা পর্যন্ত একপ্রকার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল ননী আইচের"।
ননী আইচ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে 'এবং জলার্ক'। তাদের চারু মজুমদার ২০ তম সংখ্যায় দুই ব্যক্তির সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। ওই সাক্ষাৎকার দু'টিতে ননী আইচ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। বাঁশদ্রোণী অঞ্চলের রণ মুখোপাধ্যায় বলে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার রয়েছে ওই সংখ্যায়। তাতে এক জায়গায় ওই ব্যক্তি ননী সম্পর্কে বলছেন,
"ননী আইচ প্রথমদিকে নকশালবাড়ি আন্দোলনে ছিল না। ও তখন কংগ্রেসের এক প্রধান সমর্থক হিসাবে পরিচিত ছিল। কুঁদঘাটে ওদের একটা মাংসের দোকান ছিল। আমি রাঁচি থেকে ফিরে দেখলাম ননীর প্রাধান্য। আসলে এই অঞ্চলে সিপিএম-এর সঙ্গে যুদ্ধটা কঠিন ছিল। তখন এখানে সিপিএম-এর নেতা ছিলেন অর্ধেন্দু দত্ত, শান্তি ভট্টাচার্য, সোমেশ বিশ্বাস, অমল মিত্র। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি ছিল পুলিশ। ফলে টিকে থাকতে হলে বন্দুক ছাড়া চলবে না। আমরা বন্দুক চালাব কী, ছুরি ধরতেই পারি না। লড়াই যারা করতে পারে তারা সামনে চলে এল। রাজনীতি সরে গেল। নিয়মিত পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেল।"
ওই পত্রিকাতেই আরেক নামহীন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ছাপা হয়েছে। তাতে এক জায়গায় তিনি বলছেন, "এখানে তখন রাজনৈতিক নেতা দেব কুমার বা ডিকে। আমি বললাম, তিনটে স্কোয়াড হবে। ননী আইচ, রতন মাস্টার আর আমার নেতৃত্বে। রতন মাস্টার খুব তাত্ত্বিক ছিল। বলত মার কা বদলা মার। ডিকে বলল হঠকারিতা হয়ে যাবে। আমি বললাম, তাহলে বাড়ি চলে যাব। আক্রমণ না করলে আমাদের ছেলেরা বাড়ি ঢুকতে পারবে না। এই অ্যাকশনে দুটো সিপিএম ছেলে মারা যায়। ১৯৭১-এ এখানকার এক পুলিশকে খতম করা হয়। বর্মন। জানা গিয়েছিল, ও ননীর ছবি তুলেছে। ওই রেইড করিয়ে দিত। খাদুরা ওই অ্যাকশনে ছিল। ১৯৭১-এর অগাস্টের গোড়ায় সিপিএম-এর সঙ্গে আমাদের অনাক্রমণ চুক্তি হয়। সিপিএম কিন্তু কথা রেখেছিল। ননী মৃত্যুর পরেও আক্রমণ করেনি।"
আরও পড়ুন-হোটেল থেকে অমিতাভকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুজোয়! মস্তান ফাটাকেষ্ট আজও মিথ
এই প্রতিবেদনে এক জায়গায় ওই ব্যক্তি বলছেন, "১৯৭১-এর ২২ অগাস্টের দুপুর। ননী দত্ত বলে একজন কোর্টে চাকরি করত। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এসে বলল, আজ 'ঝটিকা বাহিনী' বের হবে। ননী আইচকে খবর দিলাম। ওর সঙ্গে একটা মেয়ের সম্পর্ক ছিল। ওখানেই ছিল। ননী এল আমাদের কাছে। জায়গাটা নিউ টালিগঞ্জ। টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে। ননী জিজ্ঞেস করল, খাওয়াদাওয়া কেমন হচ্ছে? অশোক বলল, কুকুরের মাংস খেলে হয় না? ননী বলল, খায় তো লোকে। এই বলতে বলতেই দেখি পুলিশ। আমি, অশোক বেরিয়ে যাই ডানদিকে গঙ্গাপুরী, সাহাপাড়ার দিকে। ননী বের হলো বাঁদিকে। বন্দীপুর রোড ধরে গেলে যে মসজিদ সেই দিকে। ওদিকে ধানক্ষেত, সবজি বাগান— ওখানেই লুকাতে চেয়েছিল ও। এবার বোমা পড়া শুরু হয়েছে। পুলিশ ছুটছে ননীর পেছনে। মসজিদের পাশে একটা পুকুর ছিল। ছোটার পথে ননী কোনওভাবে পুকুরে পড়ে যায়। পুলিশ চারদিক ঘিরে ফেলে। পুলিশ ওকে ধরে বন্দীপুর রোডের বাড়িতে আনে। ননীর বোনকে জিজ্ঞাসা করে, তোর দাদা না? ননীর বোন কেঁদে ফেলেছে। তখন ওখানেই পুলিশ প্রথম গুলি করে। পথে আবার গুলি করে।"
ওই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের শেষ পর্বে লেখা,
"ননী আইচ সিপিআইএমএল-এ আসে ১৯৭০ সালে। চণ্ডীতলা অঞ্চলের অনেকের বক্তব্য, তার আগে ননী আইচ ফরোয়ার্ড ব্লক করত। ননী আইচের কংগ্রেসি গুন্ডা হিসেবে পরিচিতি মূলত এসেছিল এমসিসির প্রচার থেকে। নকশালদের বাইরে যে আদর্শবাদী অংশটা ছিল, ননী আইচ তাদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে শোনা যায়। ননী আইচ না থাকলে সিপিআইএমএল-এর অন্তত আড়াইশো ছেলে মারা যেত বলে অনেকে মনে করেন। ননী আইচ নিয়ে অনেক গল্প প্রচারিত আছে টালিগঞ্জ অঞ্চলে। ননী আইচ তখন মস্তান। চণ্ডীতলা পাড়ার মানুষের মহিলাদের নিরাপত্তা দিত ননী আইচ। পুলিশ মিলিটারি সামনে এলে ননী আইচ গুলি চালাত। পেছন থেকে ক্যাডাররা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেত। কভার ফায়ার করে ননী আইচ একবার বাইশজনকে বের করে দেয়। ননী আইচের মৃত্যুর দিন বহু লোক ট্রাম ডিপোতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে বাধ্য হয়েছিল যেহেতু মিলিটারি তারকাঁটা দিয়ে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছিল। অনেকেই সেদিন দেখেছে, ননী আইচের মৃতদেহ দড়ি বেঁধে টানতে টানতে পুলিশ নিয়ে আসছিল। মিলিটারি প্রহরায় ননী আইচকে কেওড়াতলায় দাহ করা হয়। সেদিন শোনা যায়, কালীঘাট ব্রিজের ওপর অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন। দাহ হওয়ার সময় মিলিটারি অফিসার ও তার পুরো প্লাটুন মাথার টুপি নামিয়ে রেখেছিলেন।"