সুন্দরবনে কত বাড়ল বাঘের সংখ্যা, গণনায় উঠে আসবে যে তথ্য

Tiger : ক্যামেরা ফাঁদ পদ্ধতিতে আগামী তিন মাস চলবে বাঘ গণনা

জাতীয় পশু বলে কথা, বাঘ নিয়ে বাঘা বাঘা পদক্ষেপ না নিলে চলবে কেন! প্রতি চারবছর অন্তর তাই সারা দেশ জুড়েই চলে বাঘ শুমারি পদ্ধতি। কিন্তু বাংলার বিশেষত্ব হল সুন্দরবনের রয়াল বেঙ্গল টাইগার। তাই এ বিষয়ে বাড়তি দায়ভার থাকেই।

এবছর বাঘ মূল্যায়ণের ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। এখন আর কেবল পায়ের ছাপ দেখে গণনা কাজ করা হয় না। সময়ের সঙ্গে আধুনিক হয়েছে পদ্ধতি। বাঘের গতিবিধি নজরে রাখা হয় ক্যামেরার সাহায্যে। সেই উদ্যোগেই এবছর বাড়তি সংযোজন আরও ১৪৯৬ টি ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে আগের থেকে এই ক্যামেরাগুলি অনেক বেশি উন্নত মানের। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, আগামী ৩৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে ক্যামেরা বসানোর কাজ।

বাঘ যখন তখন বিষয়টা মোটেই খেলো নয়। তার ওপর বনকর্মীরা কেউই তো সত্যজিৎ রায়ের গুপী-বাঘার মতো গান জানেন না যে তাতেই বশ মানাতে পারবেন মহারাজকে। সুতরাং প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণের। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের সজনেখালিতে বনকর্মীদের জন্য বাঘ গননার বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। ক্যামেরা বসানো থেকে শুরু করে কীভাবে বাঘ গননার কাজ করা হবে সেই বিষয়ে পূণাঙ্গ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় হাতে কলমে। শুধু তাই নয়, এই কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য আর্থিক অনুদানও তুলে দেওয়া হয়েছে বনকর্মীদের হাতে।

আরও পড়ুন : উদ্বাস্তু হচ্ছে বাঘও! কেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসছে বাঘের দল?

সুন্দরবনে বিগত বাঘ গননায় বাঘের সংখ্যা উঠে এসেছিল মাত্র ৯৬ টি।এদিকে সুন্দরবনের বসিরহাট রেঞ্জ, সজনেখালি ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি রেঞ্জ, ন্যাশনাল পার্ক ইস্ট রেঞ্জ ও ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্ট রেঞ্জের বনকর্মীদের সাথে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত মাতলা রেঞ্জ,রায়দিঘি রেঞ্জ ও রামগঙ্গা রেঞ্জের বনকর্মীরা অংশ নিয়েছে ৫ ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় প্রথম ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে। এই কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১০টি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দলেই থাকবেন ১২ থেকে ১৪ জন করে সদস্য। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গোটা সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় বসানো হবে ৮০০ টি ক্যামেরা। বাকি ক্যামেরাগুলো বসানো হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভাগীয় বনাধিকারিকের অন্তর্গত অঞ্চলে ১৩৬ টি পয়েন্ট। এই অত্যাধুনিক ক্যামেরাগুলির মধ্যে ৪০০ টি ক্যামেরা দিয়ে সাহায্য করছে ডাবলু ডাবলু এফ।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে বাঘ গণনার কাজ। ক্যামেরা ফাঁদ পদ্ধতিতে আগামী তিন মাস চলবে এই কার্যক্রম। ব্যয় হবে ৬৬ কোটি টাকা। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমেই উঠে আসবে এদেশে বাঘের সঠিক সংখ্যা।

More Articles