ঋণে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ, কোন ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে?

রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর করা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, 'জিএসডিপি এবং ঋণের অনুপাত অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে দরিদ্র ১০টি রাজ্যের মাথায় এই মুহূর্তে রয়েছে একটা বিশাল ঋণের...

 

শ্রীলঙ্কার মতোই আর্থিক বিপর্যয়ের খাঁড়া নেমে আসতে পারে ভারতের ৫টি রাজ্যের ওপর। আর এই তালিকায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত পশ্চিমবঙ্গের নামও। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নয়া নির্দেশিকায় জানা যাচ্ছে, বিহার, কেরল, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ- ভারতের এই পাঁচটি রাজ্যের গৃহীত ঋণ এবং আদায় করা রাজস্বের পরিমাণ খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। প্রত্যেকটি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই দেখা যাচ্ছে, ভারতের এই ৫টি রাজ্য বর্তমানে হয়ে উঠেছে 'বিমারু', অর্থাৎ দরিদ্র রাজ্য।

রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর করা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, 'জিএসডিপি এবং ঋণের অনুপাত অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে দরিদ্র ১০টি রাজ্যের মাথায় এই মুহূর্তে রয়েছে একটা বিশাল ঋণের বোঝা। নিজস্ব ট্যাক্স এবং রাজস্বের মন্দা, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যয়ের একটা উচ্চ অংশ এবং ক্রমবর্ধমান ভরতুকি মূলত এই পরিসংখ্যান নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়েছিল। একে তো এই সমস্ত রাজ্যের রাজস্ব আদায় এবং গৃহীত ঋণের অনুপাত খুবই খারাপ জায়গায় দাঁড়িয়েছিল আগে থেকেই। আর এই বিষয়টিকে আরও প্রসারিত করেছে করোনাভাইরাস অতিমারী।'

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ২০২২ বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ এই পাঁচটি ঋণগ্রস্ত রাজ্যের জন্য ঋণের স্টক আর একেবারেই টেকসই নয়। ঋণের বৃদ্ধি গত পাঁচ বছরে তাদের মোট রাষ্ট্রীয় দেশীয় পণ্য (জিএসডিপি) বৃদ্ধিকে ছাপিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান থেকে উঠে আসছে, 'এই মুহূর্তে যে-সমস্ত রাজ্যগুলিতে আর্থিক ঝুঁকির পরিমাণ সর্বাধিক, সেখানে কিছু বিশেষ আর্থিক বোঝা সর্বাধিক কার্যকর। এদের মধ্যে অবশ্যই রয়েছে পুরনো পেনশন স্কিম পুনরায় চালু করা, বিনা মূল্যে সেই রাজ্যের আবাসিকদের বেশকিছু সাবসিডি প্রদান করা, ভাতা দেওয়া, ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং কৌশলগত সংশোধনমূলক ব্যবস্থার অনুন্নয়ন।'

আরও পড়ুন: চরমে কাগজ সংকট, বই নেই পড়ুয়াদের! পাকিস্তান এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কার পথেই?

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাঞ্জাব এই মুহূর্তে ভারতের সবথেকে 'বিমারু' রাজ্য। ২০২৬-'২৭ সালে উত্তর-পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যটির ঋণ এবং জিএসডিপি অনুপাত প্রায় ৪৫ শতাংশ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে, রাজস্থান, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও বিশেষ একটা ভালো নয়। আগামী ২০২৬-'২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে এই তিনটি রাজ্যের ঋণ এবং জিএসডিপি অনুপাত প্রায় ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের, যা আর্থিকভাবে আরও পঙ্গু করে তুলবে ভারতের এই রাজ্যগুলিকে।

কী কারণে আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে?
শ্রীলঙ্কার সংকটের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সমস্ত রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের একটি বিশদ মূল্যায়ন করেছে এবং প্রত্যেকটি রাজ্যকেই দিয়েছে সতর্কবার্তা। এই মূল্যায়নের বাইরে নগদ ভরতুকি দেওয়া, বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ এবং জলের মতো সুবিধা দেওয়া, ওল্ড পেনশন প্রকল্প বাস্তবায়নের মতো পদক্ষেপ রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যকে নষ্ট করতে পারে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১-'১২ থেকে ২০১৯-'২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রাজ্যগুলির মোট রাজস্ব ঘাটতি এবং জিএসডিপির অনুপাত ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ। রাজ্যগুলিকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত এটি বজায় রাখতে হবে। কিন্তু এই অনুপাতে অনেক রাজ্যের ক্ষেত্রেই তারতম্য রয়েছে। এবং এই তালিকায় একেবারেই নিচের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর পর এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, সারা ভারতে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলছে, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্নাটক এবং উড়িষ্যা এই সময় পারফরম্যান্স করেছে বেশ ভালো। আগামী বছরগুলিতে এই অনুপাতের উন্নতি সম্ভব। কিন্তু ভারতের বাকি রাজ্যগুলির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ঋণের দিক থেকে হোক, অথবা রাজস্ব আদায়ের ঘাটতির দিক থেকে, ভারতের অধিকাংশ রাজ্যই এই মুহূর্তে বেহাল অর্থনীতির ভারে নুয়ে পড়েছে।

কোন রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা কতটা?
ঋণ এবং জিএসডিপি অনুপাত অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের যে ১০টি রাজ্যের ঘাড়ে সবথেকে বেশি ঋণের বোঝা রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব, রাজস্থান, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা। এই ১০টি রাজ্যের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান এবং পাঞ্জাব এই চারটি রাজ্য ঋণ এবং রাজস্ব ঘাটতি দুই দিক থেকেই বেশ খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ২০২০-'২১ সালে অনুষ্ঠিত, পঞ্চদশ আর্থিক কমিশনের সেট করা টার্গেট অনুযায়ী, যে-সমস্ত রাজ্য ঋণ এবং রাজস্ব ঘাটতি- এই দু'টি প্যারামিটারকে স্পর্শ করবে, তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ বলে চিহ্নিত করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

এই মাপকাঠিতে বিচার করলে, সবচেয়ে দরিদ্র ১০ রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং কেরল থাকলেও, এই আর্থিক বছরে তাদের রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ হয়েছে। তবে ঋণের দিক থেকে এই তিনটি রাজ্য এখনও বেশ খারাপ জায়গাতেই রয়েছে। এদিকে আবার, মধ্যপ্রদেশ ঋণের দিক থেকে সন্তোষজনক জায়গায় থাকলেও এই রাজ্যের রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ হয়নি এই অর্থবর্ষে। খুব অদ্ভুতভাবে, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ তাদের রাজস্ব টার্গেট এবং তাদের ঋণের টার্গেট দুই দিকেই রয়েছে সন্তোষজনক জায়গায়। তবে সম্ভাবনা অনুযায়ী, আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২২-'২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে আরও খারাপ হবে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা। আরবিআই-এর আশঙ্কা, আগামী বছর ঋণের টার্গেট এবং রাজস্ব আদায়ের টার্গেট, দুই দিকেই বেশ বড় ঘাটতির সম্মুখীন হবে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি।

আরও তলানিতে যেতে পারে আর্থিক অবস্থা
ভারতের এই পাঁচটি রাজ্যের আর্থিক অবনতি বেশ অনেকটাই নির্ভর করছে মূলত সেই সমস্ত রাজ্যে থাকা রাজ্য সরকারগুলির গাফিলতি এবং তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলির ওপরেই। আর্থিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী ২০২৬-'২৭ অর্থবর্ষে পাঞ্জাবের ঋণ এবং জিএসডিপি অনুপাত ৪৫% অতিক্রম করে যাবে। এই রাজ্যে নবনির্বাচিত আম আদমি পার্টি সরকার ১ জুলাই থেকে প্রতিটি বাড়িতে ৩০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে আবার, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার যেভাবে ফি-বছর নতুন নতুন ভাতা এবং ফ্রি-বিজ নিয়ে সামনে আসছে, সেদিক থেকে দেখতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের ঋণ এবং জিএসডিপি অনুপাত আগামী ২০২৬-'২৭ আর্থিক বছরে ৩৫ শতাংশের ওপরে চলে যাওয়াটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকটের উদ্ধৃতি দিয়ে, ভারতের এই দশটি রাজ্যকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সতর্ক করে দিয়েছে, ভারতের প্রতিবেশী সার্বভৌম দেশে যেভাবে ঋণ সংকট করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে চরম আকারে দেখা দিয়েছিল, সেরকম যেন ভারতের এই সমস্ত রাজ্যের না হয়। এই মুহূর্তেই ভারতের এই সমস্ত রাজ্যের প্রয়োজন কিছু কড়া পদক্ষেপের। পুরনো পেনশন এবং নতুন ভরতুকির কোনও স্কিম চালু না করে বরং এই মুহূর্তেই প্রয়োজন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের সর্বাধিক ঋণগ্রস্ত ১০টি রাজ্যের মোট রাজস্ব ব্যয়ের ১২.৪ শতাংশ খরচ হয় শুধুমাত্র পেনশনের খাতে। অন্যদিকে, ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের সাম্প্রতিক নিবন্ধ অনুসারে, ২০১৯-'২০ সালে কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ার পর, ২০২০-'২১ ও ২০২১-'২২ আর্থিক বছরে ভরতুকি এবং ভাতা-পিছু এই রাজ্যগুলির খরচ বেড়েছে যথাক্রমে ১২.৯% ও ১১.২%। রাজ্যগুলির মোট রাজস্ব ব্যয়ের ভর্তুকির অংশও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ২০১৯-'২০ অর্থবর্ষের পর। ভারতের এই ১০টি রাজ্যের মধ্যেই জনগণকে খুশি করার জন্য অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপলব্ধ পরিসংখ্যান বলছে, এই ভাতা দেওয়া এবং পেনশন দেওয়ার প্রবণতাটাই কিন্তু একদিক থেকে ডুবিয়ে দিচ্ছে এই সমস্ত রাজ্যের অর্থনীতিকে।

এই রাজ্যগুলি অনেক বেশি ভরতুকি দেয়
তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং কেরলের মতো রাজ্যগুলি রাজস্ব অ্যাকাউন্টের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ টাকা ব্যয় করছে ভরতুকির জন্য। অন্যদিকে, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলি ভরতুকিতে ব্যয় করছে মাত্র ১০ শতাংশ রাজস্ব ব্যয়ের টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, রাজ্যগুলির বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমন বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, বিনামূল্যে জল, বিনামূল্যে পরিবহণ, কৃষকদের ঋণ মকুব, বেসরকারি বিনিয়োগের সুবিধাগুলিকে বাধা দেওয়া- সবকিছুই রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ করলে যেরকমভাবে পরিবেশের ক্ষতি হয়, তেমনই কিন্তু ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনেকটা নেমে যায়।

অন্যদিকে আবার যদি বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং বিনামূল্যে পরিবহণ দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজস্ব। এছাড়াও, বিভিন্নরকম ভাতা দেওয়ার ফলেও ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে সেই রাজ্যের অর্থনীতি। আর ঠিক সেরকমই একটা প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের ওপরেও।

প্রয়োজন কড়া পদক্ষেপ
ভারতের যে পাঁচটি রাজ্য এই মুহূর্তে একেবারে ঋণের ভারে জর্জরিত, তারা যদি এখনই কোনও বড় পদক্ষেপ না গ্রহণ করে, তবে সেই সমস্ত রাজ্যের অবস্থা হতে পারে খানিকটা শ্রীলঙ্কার বর্তমান অবস্থার মতোই। এই মুহূর্তে যে হারে ঋণের সুদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এই পাঁচটি রাজ্যের ঘাড়ে আরও ঋণের বোঝা চাপতে পারে। তাই, সবার আগে প্রয়োজন কিছু কড়া পদক্ষেপের।

এই পাঁচটি রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগামী আর্থিক বছরের মধ্যে এই ৫টি রাজ্যকে তাদের খরচ কমানোর দিকে নজর দিতেই হবে। কোনওরকমের অতিরিক্ত ভরতুকি এবং ভাতা দেওয়া যাবে না। কোনও বাড়তি খরচ করা যাবে না। মধ্যবর্তী অবস্থায় প্রতিটি রাজ্যকে তাদের ঋণের পরিমাণ কম করার দিকে লক্ষ রাখতে হবে।

শক্তি উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি যাতে রাজ্যে ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, কলকারখানার সংখ্যা বাড়ে, বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করেন, সেই দিকে নজর রাখতে হবে। শিল্প উন্নয়নের দিকে উদ্যোগী হতে হবে সেই পাঁচটি রাজ্যকে। তৎক্ষণাৎ ডিসকম যোজনা চালু করতে হবে এবং শক্তি উৎপাদক সংস্থাগুলিকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করে তুলতে হবে।

এই সমস্ত পদক্ষেপ করলে কিছুটা হলেও ঋণের বোঝা লঘু করতে পারবে ঋণ-জর্জরিত এই পাঁচটি রাজ্য। তবে যদি দীর্ঘমেয়াদি লাভ করতে হয়, তবে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে বড় ব্যবসার দিকে। এছাড়াও রেভিনিউ তৈরি করে অপারেশনাল ফ্রিকোয়েন্সি আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভরতুকি এবং বাড়তি খরচের দিকটা মাথায় রেখে এই সমস্ত পদক্ষেপ করলে আগামী কিছু অর্থবর্ষের মধ্যে অনেকটাই হয়তো হাল ফিরবে এই পাঁচটি দরিদ্র রাজ্যের।

More Articles