কেন বারবার ব্যোমকেশই জিতে যায়? ফেলুদা-কিরীটির থেকে কোথায় এগিয়ে সে!

Feluda Vs Byomkesh: একেবারে ধুতি-পাঞ্জাবি পরা হ্যারিসন রোড-কেয়াতলার মতো সাবেক কলকাতার বাঙালি বাসিন্দা ব্যোমকেশ কেন বারবার শেষ হাসিটা হাসে?

সুদূর মার্কিন মুলুকে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে 'মার্ডার মিস্ট্রি নাইট' বলে একটি খেলা চলছে। খেলার নিয়ম খুব সহজ। ঘরে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে একজন খুন হবে, মানে ভিকটিমের অভিনয় করবে। ঘরের বাকিদের মধ্যে একজন খুনি। বিভিন্ন ক্লু-এর মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে সেই খুনিকে। এই খেলার মাঝে এক দক্ষিণ ভারতীয় অনাবাসী হঠাৎ এক আমেরিকান বন্ধুকে প্রশংসাসূচক ভঙ্গিতে বলে, 'ইউ আর এ রেগুলার ব্যোমকেশ বক্সী!' এবং সেই সূত্রেই কথা প্রসঙ্গে ব্যোমকেশ বক্সী ভারতীয় শার্লক হোমস না কি শার্লক হোমস পশ্চিমের ব্যোমকেশ বক্সী- এ নিয়ে কিঞ্চিৎ লঘু চালের চর্চাও হয়।

বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় মার্কিন সিটকম সিরিজ 'দ্য বিগ ব্যাং থিওরি'-র একটি দৃশ্য। প্রসঙ্গত, এই বহুচর্চিত সিটকমটির চরিত্ররা অহোরাত্র সুপারহিরো ও সাই-ফাই সিরিজের নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে আলোচনায় মগ্ন থাকে। তেমন একটি সিরিজে এক প্রবাসী ভারতীয় চরিত্রের সংলাপে ব্যোমকেশের নাম বাঙালি দর্শকের মননে যে প্রভাব ফেলবে, নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, অন্য কোনও ভাষাভাষী দর্শক তার সিকিভাগও অনুভব করতে পারবে না। কেউ বলতেই পারেন, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনার থেকেও এখানে বেশি জরুরি ভূমিকা পালন করছে নয়ের দশকে ঝড় তোলা বাসু চ্যাটার্জির পরিচালনায় হিন্দি দূরদর্শনের সিরিজ 'ব্যোমকেশ বক্সী', এমনকী, যখন এই সিরিজটির এই সিজনটি দেখা যাচ্ছে, ততদিনে দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী'-ও মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষত হরেদরে বিষয়টা একই রয়ে যায়। ফেলুদার মতো আন্তর্জাতিক বাঙালি নয়, স্বপনকুমারের ইন্দ্রজালসুলভ নায়ক দীপক চ্যাটার্জিও নয়, একেবারে ধুতি-পাঞ্জাবি পরা হ্যারিসন রোড-কেয়াতলার মতো সাবেক কলকাতার বাঙালি বাসিন্দা ব্যোমকেশ কেন বারবার শেষ হাসিটা হাসে?

এর উত্তর দীর্ঘ ও সমাজতাত্ত্বিক হতে পারে, তবে তার মধ্যে না ঢুকেও এর একটা সরলরৈখিক ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে। ব্যোমকেশ আদতেই প্রতিবেশী, এবং 'ইউনিভার্সালি অ্যাডাল্ট'। ফেলুদার গল্প কেন মহিলাবর্জিত, তা নিয়ে চর্চা কম হয়নি। সত্যজিতের নিজের মন্তব্য ছিল, মহিলারা গোয়েন্দা গল্পে প্রবেশ করলে তা একটু 'বড়দের' হয়ে যেতে বাধ্য। রবার্ট ব্লেক, সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ই যার 'গ্রে প্যান্থার' নামে একটি নিজস্ব উড়োজাহাজ ছিল, তার স্রষ্টা দীনেন্দ্রকুমার রায়ও বলেছিলেন যে ডিটেকটিভ গল্পের প্রতি শিক্ষিতদের শ্রদ্ধা নেই, কারণ ডিটেকটিভ গল্পে খুনজখম আর 'কলঙ্কিনীর নৈশ অভিসার', 'কুলবালার সতীত্ব নাশ'-ই গল্পের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন- কলকাতায় সত্যিই রয়েছে ফেলুদার বাড়ি?

পাঁচকড়ি দে থেকে শুরু করে কিরীটি রায়, সর্বত্র তেমনই প্রমাণ পেয়েছিলেন বটে সত্যজিৎ, তাঁর নিজের লেখার ক্ষেত্রেও, 'অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য' বাদে, যখনই ফেলুদার গল্পে মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ চ‍রিত্রে এসেছে, সে 'শকুন্তলার কণ্ঠহার' হোক, 'ছিন্নমস্তার অভিশাপ' হোক বা 'ডা: মুনসীর ডায়রি'- বারবার গল্প কিঞ্চিৎ পরিণত মনের দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু এমন নিষিদ্ধের বেড়াজাল ব্যোমকেশের ক্ষেত্রে এমন মিলেমিশে গিয়েছে সার্বজনীন পাঠের সঙ্গে, সেখানেই বাজিমাত হয়েছে।

পুলিশি কাহিনি বাদে বাংলায় গোয়েন্দা কাহিনির সূত্রপাতের মূলে ছিল গুপ্তকথা। ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের 'হরিদাসের গুপ্তকথা'-কে এক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক ধরা হয় (যদিও আসলে বইটি ভুবনচন্দ্রেরই কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে)। সুকুমার সেন এমনকী বঙ্কিমের 'কৃষ্ণকান্তের উইল'-কেও ক্রাইম কাহিনির শুরুর সলতে পাকানো মনে করেছেন। মোদ্দায়, নকশা সাহিত্য যখন লেখা হচ্ছে, বটতলা কাঁপাচ্ছে কিসসা, সেই উনিশ শতকের মধ্যভাগে সামাজিকভাবে কেচ্ছা চর্চার একটা পরিসর তৈরি হয়েছিল। বড় মানুষের গোপন কথা এবং সেখান থেকে উদ্ভুত অপরাধ নিয়ে জনপরিসরে নানাবিধ ফিসফাসে আসলে তো এক ধরনের ডিটেকশনের বীজও লুকিয়ে ছিল। আধুনিক যুক্তিবাদী মননের 'সায়েন্স অফ ডিডাকশন', যার শেকড় হয়তো ফ্রান্সিস বেকনে পাওয়া যাবে, তা এই স্বাভাবিক কেচ্ছা-কৌতূহলের সঙ্গে জুড়েই গোয়েন্দার জন্ম দিচ্ছিল বাংলায়। কালো কোট আর পাইপের কলোনিয়াল গাম্ভীর্যে তা ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল, ব্যোমকেশ একেবারে হ্যারিসন রোডের মেসবাড়ির বাঙালি হিসেবে সেই কেচ্ছাপ্রিয়তাকে প্রায় উদোম করেছিল।

১৯৩৩ সালে পাকুড়ের জমিদার পরিবারের সন্তান অমরেন্দ্রচন্দ্র পান্ডেকে খুন করা হয় হাওড়া স্টেশনে পিন ফুটিয়ে শরীরে প্লেগের জীবাণু চালান করে। এর আগেই লেখা 'পথের কাঁটা', যা আদতে প্রথম লেখা ব্যোমকেশ কাহিনি। গ্রামোফোন পিন সাইকেলের ঘন্টি থেকে নিক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে সমাজের উচ্চবর্গের মানুষের। এরপর অপরাধের বিবিধ গলিপথ ঘুরেছে ব্যোমকেশ। 'চিড়িয়াখানা'-র ডাক্তার খুনির মোডাস অপারেন্ডি স্মর্তব্য। স্যান্ড ব্যাগ কায়দায় নিশানাথবাবুর ঘাড়ে মোলায়েম ঘা মেরে তাকে অজ্ঞান করে পায়ে মোজা পরিয়ে দড়ি দিয়ে পা বেঁধে কড়িকাঠ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। এতে ব্লাডপ্রেসারের রুগি নিশানাথের রক্তচাপ বেড়ে গেল। মাথার শিরা ছিঁড়ে মৃত্যু হল। প্রত্যক্ষদর্শী পানুর কানের ওষুধে বিষ মেশানো হল। আবার 'দূর্গরহস্য'-তে পেনের গোড়ায় মাখানো হল সাপের বিষ। তবে নানাবিধ কায়দা থাকলেও এসব খুনের আসল জায়গা হল মোটিভ। খুনের ধরন নিয়ে একটা পর্যায়ে ব্যোমকেশ অনায়াসেই নিশ্চিত হয়ে যায়, তারপর থাকে কারণ অনুসন্ধানের পালা। আর সেখানেই কেচ্ছা তার ভূমিকা অবলম্বন করে।

'পথের কাঁটা'-র কথা ধরা যাক। গোটা শহর উত্তাল, কেউ জানে না, কোন অজ্ঞাত পদ্ধতিতে গ্রামোফোন পিন প্রবেশ করে যাচ্ছে পথচলতি মানুষের শরীরে, এবং তৎক্ষণাৎ ঘটছে মৃত্যু। এরই মধ্যে ব্যোমকেশের চোখে পড়ে যায় একটি বিজ্ঞাপন, সেখানে 'পথের কাঁটা' নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে জনৈক ব্যক্তি। আশুতোষ মিত্র বলে একজন আসেন ব্যোমকেশের কাছে যিনি এই সিরিয়াল কিলিং-এর শিকার হতে হতেও হননি। সমাজের উচ্চকোটির একজন মানুষ কেন পুলিশের কাছে না গিয়ে একজন বেসরকারি গোয়েন্দার কাছে আসছেন? পুলিশ গ্রামোফোন পিন রহস্য নিয়ে যে তুমুল তৎপরতায় তদন্ত চালাচ্ছে তা 'দৈনিক কালকেতু'-র মতন সংবাদপত্রে লেখা হচ্ছে। তাহলে? আশুতোষ মিত্র জানান, পুলিশের ওপর তিনি ভরসা রাখতে পারছেন না, তাই ব্যোমকেশের অতুলনীয় বুদ্ধিমত্তার শরণাপন্ন হওয়া, কিন্তু শুধুমাত্র এই যে আশুতোষবাবুর ব্যোমকেশের কাছে আসার কারণ নয়, তা বোঝা যায় কিছুক্ষণ পর। যে আশুতোষবাবু নিজের মাতাল জুয়াড়ি ভাইপোর কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন না, সেই আশুতোষবাবু সংকুচিত হন অন্য এক প্রসঙ্গ উঠতেই।

" 'কার নামে সম্পত্তি উইল করেছেন?'

আশুবাবুর গৌরবর্ণ মুখ ধীরে ধীরে রক্তাভ হইয়া উঠিতেছিল, তিনি কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া সঙ্কোচ-জড়িত স্বরে বলিলেন- 'আমাকে আর সব কথা জিজ্ঞাসা করুন, শুধু ঐ প্রশ্নটি আমায় করবেন না। ওটা আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব কথা-প্রাইভেট-' বলিতে বলিতে অপ্রতিভভাবে থামিয়া গেলেন।''

এই 'প্রাইভেট'-এর মধ্যেই কিন্তু রহস্য সমাধানের বীজ লুকিয়ে ছিল। জোড়াসাঁকোর এক গায়িকা 'স্ত্রীলোক'-এর সঙ্গে আশুতোষ মিত্রর সম্পর্ক, এবং সেই 'স্ত্রীলোক'-এর সঙ্গে আশুতোষবাবুর উকিল বিলাস মল্লিকের গোপন সম্পর্ক, আশুতোষবাবুকে খুনের ষড়যন্ত্র এবং শেষত পলায়ন- এসবই রহস্যের চাবিকাঠি হয়ে থাকে। যদিও গ্রামোফোন পিন-এর রহস্য এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়েও স্বতন্ত্র।

আরও পড়ুন-অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালককে থাপ্পড় মনে করাচ্ছে ঋতু-মীরের বাকযুদ্ধ

ব্যোমকেশ-অজিত নৈর্ব্যক্তিক ভঙ্গিতে বিভিন্ন চরিত্রের ব্যক্তিগত সম্পর্কের এব‌ং চারিত্রিক গুণাবলি নিয়ে যে সরস আলোচনা করেছে, তা অনেকাংশেই কেচ্ছাচর্চার মতো। ব্যোমকেশ নিজেই স্বীকার করে, ঔৎসুক্য তার প্রবল। আশুতোষ মিত্রের রক্ষিতাকে 'কি রকম দেখতে শুনতে' একথাও জানতে চায় অজিত। ব্যোমকেশ বলে সে রূপের বর্ণনা দিয়ে অজিতের চিত্তচাঞ্চল্য ঘটাতে চায় না। 'মাকড়সার রস'-এ যখন নন্দদুলালবাবুর ছেলে অরুণ জানায় তার বাবার রেবেকা লাইট-কে টাকা পাঠানোর কারণ সে জানে না, অজিত মনে মনে ভাবে 'পেনশন'। 'চিত্রচোর'-এ ডাক্তার ঘটক-প্রোফেসর সোম-রজনী ত্রিকোণের টানাপোড়েন নিয়েও সরস আলোচনা করেছে ব্যোমকেশ-অজিত। 'চিড়িয়াখানা'-তে অজিত এক জায়গায় ভাবে দময়ন্তী প্রকৃতপক্ষে 'স্বৈরিণী' বা 'কুহকিনী' কি না। 'আদিম রিপু' গল্পে বিকাশ নামক একটি চরিত্র ব্যোমকেশের কাছে গোপন খবর এনে দিত। শিউলি এবং গদানন্দর পালিয়ে যাওয়ার খবর সে বহন করে নিয়ে আসে, একইভাবে 'চিড়িয়াখানা'-তেও সে ডাক্তার ভুজঙ্গধরের গোপন ডেরার খবর পৌঁছে দেয় ব্যোমকেশকে, বলে, 'ও বাড়িতে দুটো বস্তাপচা ইস্ত্রীলোক থাকে।' যে ভঙ্গিতে সে ব্যোমকেশের কাছে খবরগুলি পেশ করে, তাতেই নিহিত কথিত হওয়া কেচ্ছার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। আরও বহু জায়গায় অজিত এবং ব্যোমকেশের পর্যবেক্ষণ শুনলে বোঝা যায় কেচ্ছা উপভোগ করার মানসিকতা তাদেরও আছে। মনে রাখতে হবে, এই কেচ্ছাচর্চার মধ্য দিয়েই একটু একটু করে রহস্যের জট ছাড়াচ্ছে ব্যোমকেশ।

ব্যোমকেশ এবং অজিত এই সমস্ত কেচ্ছার নৈতিক বিচারক যতটা না, তার চেয়ে বেশি নীরব দর্শক। বিবিধ কেচ্ছার প্রতিক্রিয়ায় তাদের নানাবিধ টিপ্পনীতে প্রকাশ পায় যে তারা সাধারণের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে নিজেদের খুব কিছু এগিয়েও রাখছে না। সত্যবতীও কিন্তু তাতে শামিল হয়। এইসব বাঁকা কথার নেপথ্যে অধিকাংশ সময় যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজকাঠামোর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব থেকে যায়, ব্যোমকেশ এবং অজিত তার বিশেষ বাইরে নেই। 

কিন্তু এর পাশাপাশি যদি 'চোরাবালি'-তে পদস্খলন হওয়া কিশোরী বিধবার প্রতি ব্যোমকেশের মনোভাব দেখা যায়, 'আদিম রিপু'-তে স্বাধীনতার ভোরে প্রভাতকে যখন তার পিতৃপরিচয় জানায় ব্যোমকেশ, তখন ব্যোমকেশের মনের মধ্যে যদি ঘাই মারা যায়, তাহলে কিন্তু আসলে মানবিক মূল্যবোধের পরিচয়টাই প্রকট হয়। যেজন্য ব্যোমকেশের জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠে খুনের সন্দেহভাজনের বোন, এমনকী, সত্যবতী নিজেও হয়ে উঠতে পারত সাসপেক্ট। ভ্যান ডাইন বলেছিলেন, গোয়েন্দার ভেতরেও একজন খুনি লুকিয়ে, সুকুমার সেন বলেছিলেন, গোয়েন্দা আদতে শিকারি। কিন্তু দূর থেকে দেখা, সময়কে ধারণ করাও তো গোয়েন্দারই কাজ। ব্যোমকেশ তেমনভাবেই বাঙালি জীবনের এমন এক সময়কে ধরে রেখেছে, যার অন্দরমহলে বারবার উঁকি দেওয়ার লোভ কেউ সামলাতে পারে না।

 

তাই বেস্টসেলার থেকে বড়পর্দা, টিভি থেকে ওটিটি- সর্বত্র বাজার ধরাতেও ব্যোমকেশের জুড়ি নেই। সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শরদিন্দু বলেছিলেন, ব্যোমকেশ কায়স্থ, কারণ ব্রাহ্মণদের থেকে কায়স্থরা অনেক বেশি বুদ্ধি ধরে। আসলে বাংলা গোয়েন্দা গল্পের ব্রাহ্মণ্যবাদের কোনও রূপক ধারণা থাকলে, ব্যোমকেশ সবসময়েই তার প্রতিস্পর্ধী, এবং দক্ষিণ ভারতের সিনেমার মতো, সময়ের সঙ্গে ক্রমে ক্রমে সেও দখল করে নিয়েছে সিংহাসন।

More Articles