রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না ভারতের সিদ্ধান্ত? বিশ্বজোড়া খাদ্যসংকটের জন্য দায়ী কে?

যেহেতু ভারত ততটা বড় গম রপ্তানিকারক দেশ নয়, তাই তাদের পক্ষেও খুব একটা বেশি সময়ের জন্য অতিরিক্ত গম রপ্তানি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সৃষ্টি হওয়া খাদ্যসংকটকে রোধ করতে এবং ভারতের বাজারে খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে গম রপ্তানি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরবর্তী সময় থেকেই ভারতে বাড়তে শুরু করেছে গমের দাম। প্রয়োজন বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় গমের। গমের দৈনিক খুচরো মূল্য গত ৯ মে ১৯.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ২৯.৪৯ টাকা, যেখানে এক বছর আগে এই দাম ছিল ২৪.৭১ টাকা। এই অবস্থায় যেখানে ভারতের গম রপ্তানির ফলে বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে, সেখানে ভারত সরকারের তরফ থেকে গম রপ্তানি বন্ধ করা হচ্ছে কেন?

 

গত শুক্রবার একটি বিবৃতিতে ভারত সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশীয় বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবে ভারতের বাইরে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হবে। ১৭ মে সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হলেও ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, গমের যেসব চালান পরীক্ষার জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ১৩ মে বা এর আগে তাদের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে, শুধুমাত্র সেই ধরনের চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। গমের মিশরগামী একটি চ্যানেলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। এছাড়াও বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেহেতু এই চালান কান্ডালা বন্দরে লোড করা হচ্ছিল, তাই মিশর সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে এটির ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়াও বাংলাদেশে গম রপ্তানি হবে বলে নিশ্চিত করেছে ভারত। কিন্তু, ভারত সরকারের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের কারণ কি?

 

সরকার কেন কম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে?

ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য এবং পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রকের কথা অনুযায়ী, গম রপ্তানি যদি সীমাবদ্ধ করা হয়, তাহলে খাদ্যের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এবং ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যেই গম আমদানিকারক দেশগুলি পড়েছে সমস্যার মধ্যে। সারা ভারতে গমের ফলন বেশ ভালো। তাই একটা সময় পর্যন্ত ভারত সমস্ত আমদানিকারক দেশগুলির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করত। কিন্তু সেখানেই ভারতের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পাওয়া গমের দাম।

 

আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়বে রান্নার তেল, খাদ্যদ্রব্যের দাম? সংকটের মুখে ভারতীয় অর্থনীতি?

 

রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী গমের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে সারা বিশ্বে গমের দাম। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বব্যাপী সবথেকে বড় গম এবং বার্লি রপ্তানিকারক দেশ ছিল। সারা বিশ্বের গম এবং বার্লি রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ যেত ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকেই। কিন্তু যুদ্ধের পর থেকেই ইউক্রেন এবং রাশিয়া গম রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় শুরু হয় আবিশ্ব গমের আকাল। ইউক্রেন এবং রাশিয়া গম রপ্তানি থেকে এই মুহূর্তে সরে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের গম প্রতি টন ৪২০-৪৮০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

 

এই প্রসঙ্গে ভারতের খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে বলছেন, গত বছরে ভারতে গম এবং গমের আটার খুচরো দাম ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই কারণে ভারতে মূল্যবৃদ্ধি একেবারে চরম অবস্থায়। ভারত সরকারের তরফ থেকে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ দাম মাত্র কিছুটা সময়ের মধ্যে কমিয়ে দেবে বলে আশা করছেন তিনি। কিন্তু সেরকমটা কি আদৌ হবে?

 

পরিসংখ্যান কিন্তু একেবারে উল্টো কথা বলছে। গত ৯ মে ভারতে গমের দৈনিক গড় খুচরা মূল্য ১৯.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৯.৪৯ টাকা প্রতি কেজি। বছরখানেক আগে এই দাম ছিল মোটামুটি ২৪ টাকার কাছাকাছি। একইভাবে খুচরো আটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.২৭ শতাংশ। বর্তমানে আটার খুচরা দাম ৩২.৯১ টাকা প্রতি কেজি, যা আগের বছর ছিল ২৮.৮ টাকা প্রতি কেজি। পাইকারি বাজারেও গমের দৈনিক গড় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২১.৫৫ শতাংশ। এই মুহূর্তে পাইকারি বাজারে গমের দৈনিক গড় মূল্য ২৫.৮২ টাকা, যা গত বছর ছিল ২১.২৪ টাকা প্রতি কিলো। আটার দাম ১৫.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ২৭.৮৯ টাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল মাত্র ২৪ টাকা।

 

দেশের গম উৎপাদন ২০২২-'২৩ বছরে অনেকাংশে কমেছে। উত্তর পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহের কারণে অনেকটাই কম হয়েছে এই বছরের গম উৎপাদন। আগের বছরের হিসেব অনুযায়ী সম্ভাবনা ছিল এ-বছর ১১১ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপন্ন হবে গম। কিন্তু সর্বসাকুল্যে দেখা গিয়েছে, এবছরের গম উৎপাদন ১০০ মিলিয়ন মেট্রিক টনের কাছাকাছি। এর ফলে একদিকে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে সারা ভারতে গমের অভাব, তেমনই বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম। তাই এই পরিস্থিতিতে গম রপ্তানি অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন অনেকেই।

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পান্ডে বলছেন, যদি ভারত সরকারের তরফ থেকে কিছুদিনের জন্য গম রপ্তানি বন্ধ থাকে, তাহলে অভ্যন্তরীণ দাম নিঃসন্দেহে এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকটা কমে যাবে। তবে দাম গত বছরের মতো জায়গায় আসবে কি না, সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। খাদ্য সচিবও পান্ডের কথার সুর ধরেই বললেন, "বিশ্বব্যাপী চাহিদা বাড়ছে এবং বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। আমরা এতদিন পর্যন্ত গম রপ্তানি করছিলাম, কারণ আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম ছিল। কিন্তু এই অবস্থায় আগে নিজের দেশের মানুষের চিন্তা করা উচিত। আমরা আশা করি, খুব শীঘ্রই ভারত সরকার আবারও গম রপ্তানি শুরু করবে।"

 

বিশ্বজুড়েই বাড়ছে দাম

ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গমের উৎপাদক দেশ। গত সপ্তাহে এই পণ্যের নতুন রপ্তানি চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বে যখন মুদ্রাস্ফীতি চরম পর্যায়ে, সেই অবস্থায় ভারতের এই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করেছেন গ্রুপ অফ সেভেন শিল্পোন্নত দেশগুলির মুখপাত্ররা। তবে শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বহির্বিশ্বেও কিন্তু গমের দাম লাগামছাড়া গতিতে বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার ভারতের তরফ থেকে রপ্তানি বন্ধ করার পর, ইউরোপিয়ান ট্রেডিং মার্কেটে প্রতি টন গমের দাম পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩৮.২৫ ইউরো বা ৪৫৬.৬৮ মার্কিন ডলারে। মঙ্গলবার বেশ কিছু ট্রাক অন্যান্য দেশে রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত চিন্তায় ফেলেছে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে। মঙ্গলবার ভারত সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি দেশের চালান রপ্তানির জন্য পাঠানো হলেও বহির্বিশ্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ এখনও কাটেনি।

 

মূল্যবৃদ্ধির জন্য কি শুধু ভারতই দায়ী?

সারা বিশ্বে গমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র ভারতকে দায়ী করলে কিন্তু হবে না। ভারতের গম রপ্তানির সিদ্ধান্ত অবশ্যই সারা বিশ্বে গমের মূল্যবৃদ্ধি করবে। কিন্তু গমের এই মূল্যবৃদ্ধি মূলত ঘটেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের জন্য। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা করে, তখন থেকেই বহির্বিশ্বে গম রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউক্রেন। সেই সময় বিশ্বের গম রপ্তানি যাতে একেবারেই বন্ধ না হয়ে যায়, তার জন্য এগিয়ে আসে ভারত। গত তিন মাস ধরে ১২ শতাংশর বেশি গম রপ্তানি করা শুরু করে এই দেশ। গত অর্থবছরে ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টনের পরিবর্তে ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম রপ্তানি করে ভারত। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ভারতের অভ্যন্তরীণ মূল্যবৃদ্ধি।

 

১৩ মে অবশেষে ভারতকে গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মঙ্গলবার এই গম রপ্তানির সিদ্ধান্ত কিছুটা শিথিল করলেও এখনও পুরোপুরি এই সিদ্ধান্ত তুলে নেয়নি ভারত সরকার। তবে, গম রপ্তানি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এর আগেও কিছুটা মতবিরোধ হয়েছে। এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের একটি বিশেষ বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে গম রফতানির অনুমতি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানেই বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের অভ্যন্তরীণ মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি।

 

ভারতে এই মুহূর্তে মূল্যবৃদ্ধির হার গত ৮ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি। অত্যধিক খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই মুহূর্তে ভারতের মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ৭.৭৯ শতাংশে। এপ্রিল মাসে প্রকাশিত এই রিপোর্ট ভারতের সাধারণ জনতার জন্য বেশ চিন্তার। এমনকী, ভারতের কমার্স সেক্রেটারি বি.ভি.আর সুব্রহ্ম‍ন‍্যমের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারতের কিছু কিছু অংশে গম এবং আটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এই মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের পকেটে টান ধরাচ্ছে না, বরং কৃষকদের ক্ষেত্রেও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এখন কিছু কৃষক তাদের ফসল সরাসরি সরকারকে নয়, বরং জোতদারদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

 

এই প্রসঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সেক্রেটারি সুব্রহ্ম‍ন‍্যম বললেন, "আমরা এমন পরিস্থিতিতে কোনওদিনই পৌঁছতে চাই না, যেখানে গমের জন্য সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। খাদ্য প্রত্যেক দেশের জনসাধারণের প্রথম অধিকার। এই বছর আমাদের গম উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে খুব শীঘ্রই এই দাম অনেকটা নিচের দিকে নেমে আসবে।"

 

ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন

বর্তমানে যেখানে ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে প্রত্যেকটি উন্নয়নশীল দেশ, সেখানেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। অন্যান্য দেশের বিরোধিতা করে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিন বলছে, "শুধুমাত্র ভারতকে দোষারোপ করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। জি সেভেন দেশের কৃষিক্ষেত্রের মুখপাত্ররা একসঙ্গে জড়ো হয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। কিন্তু তারা নিজেদের দেশের খাদ্যের মার্কেটকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কী করেছেন? শুধুমাত্র ভারতকে দোষ দিলে হবে না, সকলকে মিলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে এখন।"

 

বিশ্ববাজারে অভাবের কারণ

ভারতের রপ্তানি বন্ধ নয় বরং, বিশ্ববাজারে গমের অভাবের প্রধান কারণ হলো ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার আগে পর্যন্ত পুরো বিশ্বের গমের প্রয়োজনের এক-তৃতীয়াংশ প্রয়োজন মেটাতে পারত শুধুমাত্র এই দু'টি দেশ। সারা বিশ্বের সর্বাধিক গম রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে এই দু'টি দেশের নাম থাকত সবার শীর্ষে। এছাড়াও ৫৫ শতাংশ সূর্যমুখী তেল এবং ১৫ শতাংশ বার্লি রপ্তানি করত ইউক্রেন এবং রাশিয়া।

 

কিন্তু, যুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকেই রপ্তানি বন্ধ করে ইউক্রেন। তারপর থেকেই বিশ্বে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে গম এবং সূর্যমুখী তেলের দাম। স্বল্প সময়ের জন্য ভারত সরকারের তরফ থেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও যেহেতু ভারত ততটা বড় গম রপ্তানিকারক দেশ নয়, তাই তাদের পক্ষেও খুব একটা বেশি সময়ের জন্য অতিরিক্ত গম রপ্তানি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সরকারের এই ইউ-টার্ন সারা বিশ্বে কি পরিস্থিতি তৈরি করে এখন সেটাই দেখার।

More Articles