ফিরে দেখা ২০২৩: যে ভারতীয় ক্রিকেট তারকারা নজর কাড়লেন

Rising Stars of Indian Cricket: বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ বছর ভারত পেয়েছে এক ঝাঁক নতুন তারকা। তাঁদের মধ্যে চোখ কাড়ল কোন কোন তরুণের খেলা? কোন কোন উঠতি খেলোয়াড়দের এগিয়ে রাখছেন দর্শক?

ভারতে যে সব খেলার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, তাদের মধ্যে ক্রিকেট অন্যতম। বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ বছর ভারত পেয়েছে এক ঝাঁক নতুন তারকা। তাঁদের মধ্যে চোখ কাড়ল কোন কোন তরুণের খেলা? কোন কোন উঠতি খেলোয়াড়দের এগিয়ে রাখছেন দর্শক? আসুন, বর্ষশেষে এক ঝলক ফিরে দেখি তাঁদের─

শুভমন গিল

শুভমনকে ছাড়া ক্রিকেট জগতের উঠতি তারকাদের তালিকা অসম্পূর্ণ। একদিনের খেলায় নিজের জায়গা ইতিমধ্যে বেশ পোক্ত করে ফেলেছেন এই ব্যাটার। তাঁর জন্ম ১৯৯৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। বছর ২৪-এর এই পাঞ্জাবি ব্যাটার ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন। ২০২৩-এ তিনিই প্রথম ২০০০ রান সম্পূর্ণ করেন। ২৯টি ওডিআই ম্যাচে তাঁর রানসংখ্যা ১৫৮৪। তার মধ্যে পাঁচটি সেঞ্চুরি এবং ন'টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। ১৭টি আইপিএল ম্যাচে তিনি ৮৯০ রান করেছেন। গড়ে ম্যাচপ্রতি যা ৫৯.৩৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৮০।

player

যশস্বী জয়সওয়াল

বাইশ বছর বয়েসি এই বাঁ-হাতি খেলোয়াড়ের খেলায় মজেছে ভারত তথা সারা বিশ্ব। যশস্বীর জন্ম ২০০১-এর ২৮ ডিসেম্বর। মুম্বইয়ের এই তরুণ যাত্রা শুরু করেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দল থেকে। ধীরে ধীরে ভারত এবং রাজস্থান রয়্যালসে জায়গা করে নেন তিনি। ১৪টি আইপিএল ম্যাচে তাঁর রানসংখ্যা ৬২৫। গড়ে ম্যাচপ্রতি তাঁর রান ৪৮.০৮। স্ট্রাইক রেট ১৬৩.৬১। এ বছর আইপিএল-এ শতরান করেছেন তিনি।

player

তিলক বর্মা

তিলক বর্মা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। তাঁর জন্ম ২০০২ সালের ৮ নভেম্বর। একুশ বছরের এই যুবক খেলায় মোহিত করেছেন মানুষকে। এবছর ৩ অগাস্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা শুরু করেন তিনি। হায়দ্রাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আইপিএল-এর ম্যাচপ্রতি তাঁর গড় রান ৪২.৮৮ এবং স্ট্রাইকরেট ১৬৪.১১। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতাই ভবিষ্যতে তাঁকে তারকা করে তুলতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

player

আরও পড়ুন: ২০২৩ বর্ষশেষের সেরা ভারতীয় সিনেমা, এখনও দেখেননি?

রিঙ্কু সিং

রিঙ্কু সিং ভারতীয় ক্রিকেটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম হয়ে ওঠার যোগ্যতা রাখেন। ২৬ বছর বয়েসি এই খেলোয়াড়কে মানুষ চেনেন তাঁর ছয় মারার অসামান্য দক্ষতার জন্যেই। একা হাতে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন যে গুটিকয়েক ক্রিকেটার, রিঙ্কু তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৭ সালের ১২ অক্টোবর জন্ম তাঁর। তিনি একাধারে বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার এবং ডানহাতি অফ ব্রেক বোলারও। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন উত্তর প্রদেশের হয়ে। এ বছরই অগাস্টে আয়ারল্যান্ড-ভারত ম্যাচে প্রথম আন্তর্জাতিক খেলার ক্ষেত্রটিতে পা রাখেন রিঙ্কু।

player

তুষার দেশপান্ডে

তুষার দেশপান্ডের খেলার সঙ্গে বর্তমানে পরিচিত নন, এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। আঠাশ বছর বয়েসি এই স্পিন বোলার একের পর এক উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আইপিএলের সর্বোচ্চ পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে স্থান দখল করে নিয়েছেন তুষার। তাঁর বোলিং-এর অনন্যতা প্রায় সর্বজনবিদিত। ১৯৯৫-এর ১৫ মে জন্ম তুষারের। ২০১৬-২০১৭ বর্ষের রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালেই আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস কিনে নিয়েছিল তাঁকে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাই সুপার কিংস কিনে নিয়েছে তুষারকে।

player

মুকেশ কুমার

মুকেশের জন্ম ১৯৯৩ সালের ১২ অক্টোবর। এই বাঁ হাতি বোলার ক্রমাগত নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করে চলেছেন। প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। স্পিন বোলিং-এ তাঁর পারদর্শিতা তাঁকে ভারতের বিখ্যাত স্পিনারদের উত্তরসূরি করে তুলেছে। এবছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলতে দেখা গেল তাঁকে। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন তিনি।

player

জিতেশ শর্মা

২৭ বছর বয়েসের এই উইকেটকিপার-ব্যাটার খেলোয়াড়ের উল্লেখ ছাড়া এই তালিকা অসম্পূর্ণ। তাঁর স্ট্রাইকরেটও ঈর্ষনীয়। সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় হিসেবে এই তরুণও দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এ বছর এশিয়ান গেমস চলাকালীন নেপালের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছ তাঁকে। আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস-এর তরফে খেলেন জিতেশ।

player

More Articles