বাংলাদেশ নিয়ে যে ১৩ টি মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি

Bangladesh Fake News: যে ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলি মিথ্যে প্রতিবেদন ছড়াচ্ছে, তাদের মধ্যে রিপাবলিক বাংলা আছে শীর্ষে! মোট পাঁচটি গুজব সম্প্রচার করেছে তারা।

মিথ্যার চেয়ে খণ্ড সত্য আরও ভয়ঙ্কর! বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ততর হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে যথেচ্ছ ভুয়ো খবর, অসংখ্য ভুয়ো ভিডিও। আরও লজ্জাজনক বিষয় হলো, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবহৃত এই ভিডিও ও ভুয়ো তথ্য সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে প্রথমসারির ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের থেকেই। সত্যকে সামনে আনার বদলে, সংবাদমাধ্যমের বড় অংশই কি তবে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়নেই কাজ করছে? স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার গত ৬ ডিসেম্বর ৪৯টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৩টি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের তালিকা প্রকাশ করেছে। গত ১২ অগাস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর অবধি প্রকাশিত এই ভুয়ো প্রতিবেদনগুলির বিষয় - সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা খবর।

রিউমার স্ক্যানার বলেছে, যে ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলি মিথ্যে প্রতিবেদন ছড়াচ্ছে, তাদের মধ্যে রিপাবলিক বাংলা আছে শীর্ষে! মোট পাঁচটি গুজব সম্প্রচার করেছে তারা। রিউমার স্ক্যানার বলছে, হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ এবং লাইভ মিন্ট প্রত্যেকে তিনটি করে গুজব ছড়িয়েছে। রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ, এবং আজ তক দু'টি করে গুজব সম্প্রচার করেছে।

বাকি ৪১টি সংবাদমাধ্যম: এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (ANI), এনডিটিভি, দ্য ইকোনমিক টাইমস, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ফার্স্টপোস্ট, ওপিইন্ডিয়া, ফ্রি প্রেস জার্নাল, মিরর নাও, ইন্ডিয়া.কম, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, আরটি_ইন্ডিয়া, সংবাদ প্রতিদিন, জি ২৪, দ্য প্রিন্ট, দ্য স্টেটসম্যান, WION, ওয়ানইন্ডিয়া, সিএনএন-নিউজ১৮, দ্য ওয়্যর, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, এই মুহূর্তে, মাত্রুভূমি, নিউজ৯, ক্যালকাটা নিউজ, হেডলাইনস ত্রিপুরা ন্যাশনাল, টাইমস নাও, দ্য ওয়াল, নিউজ ২৪, পূবের কলম, দ্য ট্রিবিউন, এনই ইন্ডিয়া ব্রডকাস্ট, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, টিভি৯, লোকমত টাইমস, পিটিসি নিউজ, নিউজএক্স, দ্য তত্ত্ব, স্বরাজ্য, নিউজবাইটস, ভাইবস অফ ইন্ডিয়া, বর্তমান- প্রতিটি একটি করে গুজব সম্প্রচার করেছে।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না করার হুমকি ভারতের ডাক্তাররা দিতে পারেন?

কী কী ভুয়ো সংবাদ ছড়ানো হয়েছে?

১) শেখ হাসিনার ভুয়ো খোলা চিঠি: গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসেন। এর পরেই, সংবাদে আসে যে তিনি একটি খোলা চিঠি জারি করে দাবি করেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে এই চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

পরে জানা যায়, শেখ হাসিনা এমন কোনও চিঠি জারি লেখেননি। রিউমার স্ক্যানারের তদন্তে দেখা গেছে, চিঠিটি প্রথমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে আগরতলার দৈনিক ত্রিপুরার মুদ্রিত সংস্করণে তা প্রকাশিত হয়। চিঠির স্ক্রিনশটগুলি ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয় এবং পরে ভারত ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা তা সম্প্রচারও করে।

২) ছেলের সন্ধানে ভুয়ো হিন্দু ব্যক্তি: অগাস্টে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করে যে, একজন হিন্দু ব্যক্তি তাঁর নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে মানববন্ধন করছেন। রিউমার স্ক্যানারের তদন্তে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম বাবুল হাওলাদার। তাঁর ছেলে ২০১৩ সাল থেকেই নিখোঁজ এবং তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল।

৩) ইউনূসের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মিথ্যা প্রতিবেদন: গত ৮ অগাস্ট মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, ভারতীয় মিডিয়া সংস্থাগুলি দাবি করে যে নোবেল বিজয়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীর ছবিও দেখানো হয়। রিউমার স্ক্যানারের তদন্তে জানা গেছে, ছবিটি মহম্মদ ইউনূসের নয়। ছবিটি সাম্প্রতিক বা বাংলাদেশেরই নয়। ইউনূস সুস্থই ছিলেন।

৪) জঙ্গি সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মিথ্যা দাবি: অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা দাবি করা হয় যে বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। রিউমার স্ক্যানার দলের তদন্তে এই দাবির কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি।

৫) ইউনূসের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার মিথ্যা দাবি: গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর ভারতীয় সংবাদে উঠে আসে যে মহম্মদ ইউনূস ফ্রান্সে পালিয়ে গেছেন। তাঁর পালানোর প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত ছবিটি আসলে ৮ অগাস্ট তোলা হয়েছিল, যখন ইউনূস ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন, জানাচ্ছে রিউমার স্ক্যানার।

৬) পাকিস্তান থেকে অস্ত্র চোরাচালান সম্পর্কে ভুয়ো খবর: গত ১৩ নভেম্বর, স্বাধীনতার পর প্রথম পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ এসে ভেড়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, জাহাজটি সেই একই পাকিস্তানি সামরিক জাহাজ 'সোয়াত’, যেটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বন্দর শহরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে এসেছিল। প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয় যে, জাহাজটি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল।

রিউমার স্ক্যানার বলছে, জাহাজটির নাম এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝান, এটি একটি বাণিজ্যিক জাহাজ যা বাংলাদেশে শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্য নিয়ে এসেছিল।

৭) খুন হওয়া অ্যাডভোকেট সাইফুল যে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী এই নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন: গত ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জেলে পাঠানোর প্রতিবাদ আয়োজিত একটি সভায় চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো মিথ্যা দাবি করে যে সাইফুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে কারণ তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী ছিলেন। রিউমার স্ক্যানার বলছে, এই দাবিটি মথ্যা। চিন্ময়ের আইনজীবী ছিলেন শুভাশীষ শর্মা, সাইফুল ইসলাম নন৷

৮) ভারতীয় চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞার মিথ্যা দাবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, ভারতীয় চ্যানেলগুলি এখনও বাংলাদেশে চালু রয়েছে। "তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং বাংলাদেশের কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন দুই-ই নিশ্চিত করেছে যে দাবিটি আসলে মিথ্যা গুজব," জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার।

৯) চিকেন নেকে বিমানঘাঁটি নির্মাণের মিথ্যা প্রতিবেদন: সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী চিনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় 'চিকেন নেক'-এর কাছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারবেস নির্মাণ করবে। বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমও এই মিথ্যা দাবি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। রিউমার স্ক্যানার বলছে, “লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে এবং এটির কাজকর্ম আবার শুরু করার মতো সাম্প্রতিক কোনও উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।"

১০) হিন্দু মন্দিরে মুসলমানদের হামলার ভুয়ো ভিডিও: সম্প্রতি, একটি ভিডিওতে মিথ্যা দাবি করা হয় যে, বাংলাদেশের মুসলিমরা একটি হিন্দু কালীমন্দিরে আক্রমণ করেছে এবং মূর্তি ভাংচুর করেছে। কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও তা প্রচার করে। রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, ভিডিওটি বাংলাদেশেরই নয়, ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার সুলতানপুর গ্রামের, যেখানে প্রতিমা বিসর্জনের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে হামলার কোনও সম্পর্কই নেই।

আরও পড়ুন- কালীমূর্তি ভাঙার দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, পশ্চিমবঙ্গের! জেনে নিন আসল তথ্য

১১) দুর্ঘটনাকে বাসে হামলা বলে মিথ্যা দাবি: ব্রাহ্মণবেড়িয়ার ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে যাতে ভারতীয় যাত্রীরা ছিলেন এবং একটি বাংলাদেশি ট্রাকের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ঘটে। কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই দুর্ঘটনাকে বাসে হামলা হিসেবে দেখায়। ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে এই ভুয়ো দাবিই করেন, যা ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে শেয়ার করে।

এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় শ্যামলী পরিবহনের বাসের সঙ্গে ট্রাকটি ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয় যে, স্থানীয় বাসিন্দারা পরে বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের হত্যার হুমকি দেয় এবং তাদের সামনে বিভিন্ন ভারত বিরোধী স্লোগান দেয়। রিউমার স্ক্যানার বলেছে, "ওভারটেকিংয়ের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে নয় এবং কোনও হুমকি বা ভারতবিরোধী স্লোগানের কোনও প্রমাণ নেই।"

১২) চিন্ময় দাসের আইনজীবীকে নিয়ে আরেকটি ভুয়ো প্রতিবেদন: বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদ সংস্থাআ চিন্ময় দাসের গ্রেফাতারিকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়ায়। একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন ব্যক্তির ছবি সম্বলিত প্রতিবেদনে মিথ্যা দাবি করা হয় যে ছবিটির লোকটি রমেন রায়। রমেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী এবং মুসলিমরা তাঁকে এবং তাঁর বাড়িতে আক্রমণ করেছিল।

রিউমার স্ক্যানার বলছে, রমেন রায় চিন্ময় দাসের আইনজীবী ছিলেন না। তিনি এই মামলায় জড়িতও নন। গত ২৫ নভেম্বর শাহবাগে সনাতন হিন্দুদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলায় রমেন রায় আহত হন। তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের কোনও খবর বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

১৩) যুক্তরাজ্য ভ্রমণ সতর্কতা বিষয়ক ভুল তথ্য: সম্প্রতি যুক্তরাজ্য হিংসার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম এড়াতে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে একটি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। কিছু ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে যে, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করেছে। আসলে ওই নির্দেশিকাটি বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট ছিলই না। এটি একটি বিস্তৃত সতর্কতার অংশ যাতে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশগুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

রিউমার স্ক্যানার বলছে, ঘটমান হিংসার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য একটি নির্দিষ্ট সতর্কতা জারি করা হলেও, বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য এই ধরনের কোনও পরামর্শ জারি করা হয়নি। যুক্তরাজ্যের নির্দেশিকায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশের তুলনায় ভারত, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মতো দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঝুঁকি বেশি।

More Articles