ফলের দোকান থেকে বলিউডের শেষ কথা! ধাপে ধাপে যেভাবে তৈরি হয়েছে টি-সিরিজের সাম্রাজ্য
T-Series: চলুন জেনে নেওয়া যাক, গুলশন কুমারের টি-সিরিজ তৈরির গল্পটা।
টি-সিরিজ মানেই আজ বলিউড মিউজিকের শেষ কথা। শুধু মিউজিক নয়, বলিউডের প্রোডাকশনেও এখন এই কোম্পানির রমরমা সবদিকে। একাধিক সুপারহিট ছবি জন্ম দিয়েছে এই টি-সিরিজ প্রোডাকশন হাউজ। তবে বলিপাড়ায় এই টি-সিরিজের সাম্রাজ্য কিন্তু একদিনের স্থাপন হয়নি। এর পিছনে ছিল একটা দীর্ঘ লড়াই। এই সাম্রাজ্যের পিছনে জড়িয়ে ছিলেন দিল্লির একজন ভাগ্যান্বেষী তরুণ, যাঁর নাম গুলশন কুমার। তার মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রম দিয়ে এই দিনে তিলে তিলে তৈরি করেছেন তার সাম্রাজ্যকে। একজন অতি সাধারণ রাস্তার পাশে বসার ফলের ব্যবসায়ী থেকে তিনি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় তৈরি করেছেন এই কোম্পানিকে। ব্রেক দিয়েছেন হাজার হাজার নতুন শিল্পীকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গুলশন কুমারের টি-সিরিজ তৈরির গল্পটা।
সালটা ছিল ১৯৮৩। গুলশন সেই সময় ছিলেন মাত্র ২৭ বছরের একজন তরুণ। দিল্লির রাস্তায় গুলশন কুমারের বাবা ফল বিক্রি করতেন। কখনও কখনও আবার গুলশন হাত লাগাতেন সেই কাজে। ধীরে ধীরে গুলশন নিজেই নিজের একটি ফলের দোকান স্থাপন করলেন দিল্লির রাস্তায়। তবে সেই ফলের ব্যবসা তখন খুব ভালো চলছিল না। দরকার ছিল নতুন কিছু করার। তাই ধার-দেনা করে একটি ফলের রসের মেশিন ক্রয় করে দিল্লির রাস্তায় গুলশন তৈরি করলেন নিজের ফলের রসের দোকান। আজকের দিনে জায়গায় জায়গায় ফলের রসের দোকান থাকলেও, সেই সময় এরকম দোকান ছিল একেবারে বিরল। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই হিট হয়ে গেল গুলশন কুমারের সেই ব্যবসা। দিল্লির রাস্তায় রমরমিয়ে চলতে শুরু করল গুলশন কুমারের ফলের রসের দোকান।
কিন্তু ফলের রস বিক্রি করে আর কত দিন? তার সঙ্গেই, বাবার মৃত্যুর পর নিজের পুরো পরিবারের দায়িত্ব চলে এসেছিল গুলশন কুমারের কাঁধে। তাই প্রয়োজন ছিল আরও টাকার। গুলশন রাজধানীর রাস্তায় নিজের ভাগ্যের সন্ধানে ঘুরতেন। তবে তাঁর মাথায় সবসময় থাকত টাকা রোজগারের ভাবনা। তখনই তাঁর মাথায় এল, একবার ভারতের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুঁ মেরে আসলে কেমন হয়? দেখাই যাক না, লাভ হয় কি না। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। সালটা তখন ১৯৮৩, ভারতের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করল সুপার ক্যাসেটস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নামের একটি ছোটখাটো মিউজিক রেকর্ডিং কম্পানি। আর তার পথপ্রদর্শক ছিলেন এই গুলশন কুমার।
আরও পড়ুন: চা খেতে ডেকেছিলেন খোদ দাউদ ইব্রাহিম! ঋষি কাপুরের বয়ানেই স্পষ্ট বলিউডের মাফিয়া যোগ?
সাতের দশক পর্যন্ত ভারতে সংগীত ছিল শুধুমাত্র বিত্তবানদের শখের জিনিস। অভিজাত সম্প্রদায়ের বাড়িতে দেখা মিলত গ্রামাফোনের। তবে সেই গ্রামফোনের রেকর্ড এতটাই দামি ছিল যে, তা ছিল জনসাধারণের আওতার বাইরে। ফলে ভারতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি বলতে তেমন কিছু ছিলই না। তেমন কনজিউমারই ছিল না ভারতে। কিন্তু ১৯৭৮ সাল থেকে ভারতের সংগীতের পালে হাওয়া বইতে শুরু করে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই সেই সময় ভারতের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় কিছু পরিবর্তন আনা শুরু করেন। ফলে তখন থেকেই বাইরের দেশ থেকে ক্যাসেট প্লেয়ার নিয়ে আসার চল শুরু হয়। সাধারণ মানুষ দেখল, এখন আর গান শোনার জন্য এত চড়া দামে গ্রামোফোন কিনতে হয় না। সস্তার মধ্যেই ক্যাসেট প্লেয়ার কিনে নিয়ে গান শোনা যায়।
কিন্তু, শুধুমাত্র ক্যাসেট প্লেয়ার কিনলেই তো হবে না, গান চালানোর জন্য ক্যাসেটেরও তো দরকার! ক্যাসেট ছিল বইকি, তবে সেই ক্যাসেট যেমন ছিল দামে চড়া, তেমনই ছিল সংখ্যায় অত্যন্ত কম। পাশাপাশি ক্যাসেট প্লেয়ারের দোকানও ছিল খুবই হাতে গোনা। ফলে নতুন কোনও ক্যাসেট বের হলেই তা মুহূর্তের মধ্যে স্টক আউট হয়ে যেত। আর শূন্য হাতে ঘরে ফিরতে হতো ক্রেতাদের। গুলশন কুমার এই পরিস্থিতিটাকেই লাগালেন কাজে। সেকালে কপিরাইট আইনের ফাঁক-ফোঁকরের ফায়দা নিয়ে, বড় বড় শিল্পীদের গানের ডুপ্লিকেট কপি বের করতে শুরু করলেন গুলশন কুমার। নিশ্চিত করলেন, যেন জোগান থাকে বিশাল, যাতে ক্রেতাদের শূন্য হাতে বাড়িতে না ফিরতে হয়। ব্যস, মুহূর্তের মধ্যেই ব্যবসা একেবারে জমে গেল গুলশন কুমারের। ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে রমরমা ব্যবসা করতে শুরু করল সুপার ক্যাসেটস কোম্পানি। বড় অঙ্কের লাভ হতে শুরু করল গুলশন কুমারের।
তবে, কপালে সুখ বেশি দিন টিকল না তাঁর। সেই সময় ভারতের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সবথেকে বড় মিউজিক লেভেল ছিল মিউজিক ইন্ডিয়া এবং পলিডর। এতদিন পর্যন্ত তারা শুধুমাত্র গ্রামোফোনের রেকর্ড বানাত। কিন্তু এবার তারা ক্যাসেট ব্যবসায় প্রবেশ করতে শুরু করল। অথৈ জলে পড়লেন গুলশন কুমার। এই দু'টি কোম্পানির নাম অনেক আগে থেকেই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ প্রতিষ্ঠিত। তার তুলনায় গুলশন কুমারের সুপার ক্যাসেটস অনেক ছোট কোম্পানি। তাই প্রতিযোগিতায় এঁটে ওঠা তো দূরের কথা, পাশাপাশি দাঁড়াতে পর্যন্ত পারলেন না গুলশন কুমার। প্রায় সব ডিস্ট্রিবিউটর এবং রিটেলাররা মিউজিক ইন্ডিয়া এবং পলিডরের ওপর ভরসা করতে শুরু করলেন। ব্যবসায় ক্ষতি হতে শুরু করল গুলশন কুমারের।
তাহলে এখন উপায়? কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন ব্যবসার আইডিয়া বের করে ফেললেন গুলশন কুমার। ভরসা করলেন জিরো লায়াবিলিটি মডেলের ওপর। প্রোডাকশন হাউজ থেকে খুচরা বিক্রেতার কাছে ক্যাসেট পৌঁছনোর সময় অনেক ক্যাসেট ড্যামেজ হয়ে যেত। আবার কোনও কোনও সময় ক্রেতারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ক্যাসেট ফেরত দিয়ে যেত। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তেন খুচরা বিক্রেতারা। তাদের সুবিধার্থেই এগিয়ে এলেন গুলশন কুমার। পেশ করলেন তার নতুন বিজনেস মডেল। তিনি জানালেন, তোমাদের লোকসান করার দরকার নেই, লোকসান যা হওয়ার সব আমার হোক। কোনও প্রোডাক্ট ড্যামেজ হয়ে গেছে কিংবা ক্রেতারা ফেরত দিয়ে গেছে অথবা বিক্রি হচ্ছে না, যে-কোনও কারণই হোক না কেন, এই সমস্ত ক্যাসেট খুচরো বিক্রেতারা আবার ফেরত পাঠাতে পারবে এবং তাদের মূল্য ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ব্যস! এখানেই বাজিমাত করে ফেললেন গুলশন কুমার। রাতারাতি সমস্ত ক্যাসেট ব্যবসায়ীরা গুলশন কুমারের কোম্পানির ক্যাসেট বিক্রির দিকে ঝুঁকে পড়লেন। ক্যাসেটের দোকানের সংখ্যাও বাড়তে লাগল হু হু করে। সব জায়গাতে বাজতে শুরু করল গুলশন কুমারের ক্যাসেট। আর গুলশন কুমারের বিজনেসও হয়ে উঠল একেবারে লালে লাল।
নয়ের দশকে সবথেকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ছিলেন আশা ভোঁসলে এবং লতা মঙ্গেশকর। তাঁদের দু'জনের ডিমান্ড এতই বেশি ছিল যে, তাঁদের দিয়ে গান গাওয়ানোর মতো টাকা গুলশন কুমারের ছিল না। গুলশন কুমার আবারও নিজের ব্যবসায়ী দূরদৃষ্টির পরিচয় দিলেন। সে-যুগের কপিরাইট আইন অনুসারে, একটি নতুন গান বের হওয়ার তিন বছর পার হয়ে গেলে সেই গান সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে তৈরি করে আবারও নতুন শিল্পীর গলায় কভার করে বাজারে ছাড়া যেত। সেই কাজ করতে শুরু করল গুলশন কুমারের কোম্পানি টি-সিরিজ। আশা ভোঁসলে এবং লতা মঙ্গেশকরদের মতো শিল্পীদের গান নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে অখ্যাত অথচ প্রতিভাবান শিল্পীদের দিয়ে গাইয়ে বাজারে ছাড়তে শুরু করল টি-সিরিজ। আর সাধারণ ক্যাসেটের তুলনায় এই সমস্ত ক্যাসেট ছিল দামে অনেকটা সস্তা। ফলে ভারতের বাজারে বিক্রি হতে শুরু করল ব্যাপকভাবে। ছেলে থেকে বুড়ো, সকলেই পছন্দ করতে শুরু করল এই সমস্ত কভার সং।
কিন্তু কপিরাইট আইনের ফাঁক-ফোঁকর গলে আর কতদিন। কিছু একটা নতুন তো বের করতেই হবে। সেই ভাবতে ভাবতেই ১৯৮৮ সালে বলিউডের মুক্তি পেল আমির খান এবং জুহি চাওলা অভিনীত কালজয়ী ছবি 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক'। আর এই ছবির মিউজিক লেভেলের দায়িত্ব পেল গুলশন কুমারের কোম্পানি টি-সিরিজ। এই ছবি মিউজিক অ্যালবাম গুলশনের কোম্পানিকে একধাক্কায় এগিয়ে দিল অনেকটা। তবে একজায়গায় বেশি দিন আটকে থাকার লোক ছিলেন না গুলশন। ছোটখাটো টিভি ফিল্ম প্রযোজনা করে টি-সিরিজ ব্র্যান্ডটির মার্কেট ভ্যালু তৈরি করতে শুরু করলেন তিনি। গুলশন কুমারের সঙ্গে এই সময় হাত মিলালেন তার ভাই কৃষাণ কুমারও। দুই ভাই মিলে বড় সাফল্য পেলেন 'আশিকি' ছবিতে।
তবে কয়েকটি ছবিতে মিউজিক লেভেলের কাজ পেলেও, একটা নিয়মিত আয়ের উৎসের সন্ধান করছিলেন গুলশন কুমার। সেই সময় একটা দারুণ আইডিয়া নিয়ে এলেন গুলশন। ভারতীয় সমাজে ভক্তিমূলক গান তো সবসময়ই জনপ্রিয়। তবে সেই সময় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের গান ছিল না বললেই চলে। সেই সুযোগটাই গ্রহণ করলেন গুলশন কুমার। বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ভিডিও তুলে তার সঙ্গে ভক্তিমূলক গান জুড়ে দিয়ে তার ভিডিও বানিয়ে বিক্রি করতে শুরু করল টি-সিরিজ। ধর্মপ্রাণ ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করল এই বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে টি-সিরিজের ব্যবসা। আর পিছন ফিরে তাকাতে হলো না গুলশান কুমারকে। অডিও ক্যাসেট থেকে শুরু করে ভিডিও ক্যাসেটের ব্যবসাতেও নজর দিতে শুরু করলেন গুলশন।
শুধু মিউজিক আর ফিল্ম প্রোডাকশন নয়, নয়ের দশকে সাবান থেকে শুরু করে ডিটারজেন্ট, ইলেকট্রনিক্স- নানা ব্যবসায় টাকা ঢেলেছিলেন গুলশন। সমাজকর্মী হিসেবেও দারুণ পরিচিতি ছিল তাঁর। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে লঙ্গরখানা চালাতেন গুলশন, গরিব এবং অভুক্তরা সেখানে খেতে পেতেন।
তবে ১৯৯৭ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে মুম্বইয়ের অন্যতম ডন আবু সালেমের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। প্রকাশ্য রাস্তায় গুলশনকে ১৬ রাউন্ড গুলিতে ঝাজরা করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গুলশানের মৃত্যুর পর টি-সিরিজের পুরো দায়িত্ব চলে এলো তার ছেলে ভূষণ কুমারের হাতে। আর বাবা গুলশন কুমারের মতোই ছেলে ভূষণ কুমারও একই রকম দূরদৃষ্টিবান। সময় আসার আগে নিজেদেরকে পরিবর্তন না করে ফেললে যে চলবে না, সেটা তিনি আগেই বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। তিনি জানতেন, সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কনজিউমারের শখ বদলায়, রুচি বদলায়। ক্যাসেটের যুগ শেষ হতে শুরু করল, আর তার জায়গা দখল করতে লাগল ওয়াকম্যান এবং অন্যান্য মিউজিক প্লেয়ার। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলেন না ভূষণ কুমার। বাবার রেখে যাওয়া কোম্পানিকে, রীতিমতো একটি মিউজিক প্রোডাকশন হাউজে রূপান্তর করে ফেললেন ভূষণ। মিডিয়া ডিস্ট্রিবিউশন রয়্যালটি থেকে শুরু করে মিউজিক ভিডিও স্ট্রিমিং, রেভিনিউ জেনারেট করার হাজারও পন্থা এই মুহূর্তে রয়েছে টি-সিরিজের হাতে। এই মুহূর্তে টি-সিরিজ কোম্পানির বার্ষিক রেভিনিউ তাদের সব থেকে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী সারেগামার প্রায় দ্বিগুণ। পৃথিবীর সব থেকে বড় ইউটিউব চ্যানেল এই মুহূর্তে তাদের কাছেই রয়েছে। শুধুমাত্র ইউটিউব থেকেই প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা আয় করে এই টি-সিরিজ।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ভারতে যে ক'টি গান সবথেকে বেশি হিট হয়, তার মধ্যে অধিকাংশ গানেরই মিউজিক লেভেল টি-সিরিজ। কিন্তু ভূষণ কুমারের এই কোম্পানিটি এরকম গান আনে কী করে? যে কোনও গান প্রোডাকশন করার আগে টি-সিরিজ বেশ কিছু বিষয় আগে মাথায় রাখে। প্রথম বিষয়টি হলো রিসার্চ। কোন ধরনের গান এই মুহূর্তে মানুষ বেশি শুনছে কিংবা কোন ধরনের লিরিক্স মানুষ বেশি শুনতে চাইছে, তা নিয়ে রিসার্চ করার জন্য তাদের একটি টিম রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তারা সবসময় নিজেদের গানগুলিকে মেলোডিয়াস রাখার চেষ্টা করে। কারণ যদি গান শ্রুতিমধুর না হয়, তাহলে সেই গান জনপ্রিয়তা পাবে না। তৃতীয়ত, সেই গানের লিরিক্স গুনগুন করে গাওয়া যাবে। যে গান মানুষ বেশি গুনগুন করবেন কিংবা ইনস্টাগ্রাম রিলে ব্যবহার করবেন, সেই গানের ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তার পাশাপাশি টি-সিরিজের প্রত্যেকটি গানে বর্তমান আমলের ফ্লেভার থাকার পাশাপাশি কাল্ট ক্লাসিকের রেশটাও থাকে। পরে দিনের শেষে ছেলে থেকে বুড়ো সবাই এই গান পছন্দ করে ফেলেন। হ্যাঁ, আর এভাবেই ভারতের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বুক চিরে এগিয়ে চলেছে টি-সিরিজের সাম্পান।