শীতকাল মানেই জ্বর, সর্দি অথবা হজমের সমস্যা! বাড়ছে দুশ্চিন্তা! সব সমস্যা মিটবে যে ডায়েটে
Winter Diet : এই শীতে সুস্থ থাকতে হলে দেখে নিন সঠিক খাদ্য তালিকা
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকৃতি যেমন সদা পরিবর্তনশীল ঠিক তেমনি ঋতুর সঙ্গে পাল্লা দিতে মানবদেহেও প্রয়োজন মৌসুমী পরিবর্তনের। প্রয়োজন খাদ্যাভাসের সঠিক তালিকা। শীত ইতিমধ্যেই কড়া নাড়ছে দরজায়। বাতাসে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের মধ্যেও ঘটে বেশ কিছু পরিবর্তন। অচিরেই কমে যায় জল খাওয়া। আর এই পরিমাণ শরীরে ডেকে আনতে পারে আরও হাজারটা সমস্যা তাই সুস্থ থাকার জন্য ঋতুর এ পরিবর্তনে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। আসুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক শীতকালের সঠিক ডায়েট চার্ট কী হতে পারে।
এই সময়ে ঠান্ডা লাগার ভয়ে জল খাওয়া এড়িয়ে গেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, তাই প্রয়োজনে জল কুসুম গরম করে খেতে পারেন। অনেকেই মনে করেন শীতকালে ডাবের জল খেলে ঠান্ডা লেগে বিপদ বাড়তে পারে তবে জেনে রাখা দরকার, এই সময় শরীর চাঙ্গা রাখতে প্রয়োজন ডাবের জল। ডাব কাটার পর কিছুক্ষণ রেখে তারপর ডাবের জল পান করুন। এতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমে। আর শীতকাল মানেই বাজার ভর্তি প্রচুর শাক সবজি। তাই সবজির সঙ্গে আমিষ মিশিয়ে তৈরি গরম স্যুপও রাখতে পারেন তালিকায়। অন্যদিকে এসময় বাতাসে আদ্রতা কম থাকায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্বক সুস্থ রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি খাওয়া বাধ্যতামূলক। রঙিন শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে; সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’ সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব পূরণ করবে। এগুলো ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে। তাই খাবারের তালিকায় কমলা, গাজর, বিট, সবুজ সবজি রাখার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন - ডায়েটে আসলে বাড়ছে ওজন! কোন কোন ডায়েট ফুড আসলে মরণফাঁদ?
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারও এসময় অপরিহার্য। তাই শাক সবজির সঙ্গে প্রয়োজন মৌসুমি ফল এবং মটরশুটি খাওয়া। এছাড়াও শীতে বাড়তি নিরাপত্তা পেতে ওটস, বার্লি, ব্রাউন রাইস, বাজরার মতো হোল-গ্রেন কার্বোহাইড্রেটও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শুধু তাই নয় এ সময় শরীরের প্রয়োজন পরিমিত প্রোটিন ডায়েট। ডাল, ডিম, মাছ, মাংস, সয়াবিন জাতীয় খাবারগুলি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কর্মক্ষতাও বাড়ায়।আজকাল অনেকেই মেদ বাড়ার ভয়ে ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলেন কিন্তু চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই মান্যতা দেন না। শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন, প্রোটিন যেমন প্রয়োজন তেমনই উপকারি ফ্যাটও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওয়েট লসের ভাবনায় ফ্যাট সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। অল্প তেল, ঘি, কাঁচা বাদাম, ডিমের কুসুম ইত্যাদি শীতকালীন খাদ্যতালিকায় অবশ্য প্রয়োজনীয়। শুধু তাই নয় এইসব খবার ত্বকের জন্যও উপকারী, লালিত্য বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে এসবের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। তাই কোনওকিছুই অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই সময় কোল্ড ড্রিঙ্ক, দই, অতিরিক্ত চিনি, কাঁচা খাবার এড়িয়ে চলাই উচিৎ। শীতকাল জুড়ে চলে উৎসবের আদর তাই খাইয়া দাওয়া এমনিতেই বাধ ছাড়ায় অনেকসময়। অতিরিক্ত মিষ্টি, কেক, আইস্ক্রিম অথবা রেড মিট খেয়ে উৎসব শেষে ক্ষতি দেজে আবার কোনো মানে হয় না।