ইন্দ্রাণী সেই সুন্দরী, যার সঙ্গে ফ্লার্ট করে আমার মনন আরাম পেয়েছে
Indrani Haldar: ইন্দ্রাণীর বাড়িতে কতবার যে গেছি আমার প্রিয় পানীয় সেবন করতে এবং ইন্দ্রাণীর সঙ্গে উজ্জ্বল সংলাপে আনন্দ পেতে!
ইন্দ্রাণী হালদারের সঙ্গে আমার অনেক বছরের ভাব ভালোবাসা। ইন্দ্রাণীকে আমি ভালোবাসি অনেক কারণে। প্রথমত, ইন্দ্রাণীর মনটা যত সুন্দর ততটাই ওকে দেখতে ভালো। আমার চোখে আবার সেই নারী সুন্দরী নয় যার বোধবুদ্ধি নেই। চোখে, মুখে, হাসিতে এবং ব্যবহারে বুদ্ধির ঝলক না থাকলে নারী যত সুন্দরী হোক, তার সৌন্দর্য আমাকে টানেনা। ইন্দ্রাণী আমাকে টানে। কারণ ওর আবেদনে সৌন্দর্য মিশেছে বোধের আলোতে। ইন্দ্রাণী নিজে সুন্দর। আমার চোখ মুগ্ধ হয় ওর দিকে তাকালে। আমার মন প্রেমে পড়ে থাকে ওর ব্যবহারের, ওর সংলাপের, ওর সংবেদী আঁখি পাতের, ওর মিষ্টি স্পর্শের। ওর সঙ্গে রোজ কথাও হয় না। দেখাও হয় না। কিন্তু ছিন্ন হয় না যোগসূত্র। ওর জন্য মন কেমন করে। ওকে সে কথা জানাই না। এই না জানানোটা আমার ভালোবাসার চিহ্ন ইন্দ্রাণীর প্রতি।
এক সময় ছিল রোজ দেখা হতো, এ কথা ঠিক। তখন আমি চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক লেখালেখি করতাম। সিনেমার পার্টিতে যেতাম। এবং অনেক বেশি সামাজিক ছিলাম। করোনা মহামারীর পর থেকে পার্টিতে যাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। আমার অনেক বন্ধুই আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। ইন্দ্রাণী তাদের একজন। তাছাড়া ইন্দ্রাণীর ব্যস্ততা। ইন্দ্রাণীর মতো অত বড় মাপের অভিনেত্রী এখন টালিগঞ্জে নেই বললেই চলে। ইন্দ্রাণীর অভিনয়ে কোনও কৃত্রিমতা থাকে না। ওর অভিনয় অনর্গল, স্বাভাবিক। সুতরাং ওর তো ব্যস্ততা থাকবেই।
আরও পড়ুন- পতৌদি-শর্মিলার প্রাইভেট রুমে বজ্রপাত! বিখ্যাত দাম্পত্যের বিস্ফোরক সত্যি
মনে আছে, তখন টিভিতে চলছে সুপার হিট সিরিয়াল গোয়েন্দা গিন্নি। গোয়েন্দা গিন্নির ভূমিকায় অসাধারণ ইন্দ্রাণী। আমি একটা শো-ও মিস করতাম না। আর প্রতিদিন ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে জানাতাম কেমন লাগছে আমার। আমাদের পুরনো ভাব ভালোবাসা এই সময়ে আরও জমে গেল। ইন্দ্রাণীর একটা মস্ত গুণ, ও দারুণ আড্ডা দিতে পারে। মন খুলে কথা বলতে পারে। ইন্দ্রাণী সেই সুন্দরী যার সঙ্গে সুসভ্য, সুরম্য, মার্জিত ফ্লার্ট করে আমার মন ও মনন আরাম পেয়েছে। ইন্দ্রাণীর মন তুলনাহীন। যখন ইন্দ্রাণী বাড়িতে ওর ভালোবাসার জগন্নাথকে পুজো করে আমাকে মহাপ্রসাদ খাওয়ায়, সেই সাধিকা ইন্দ্রাণী এক অন্য নারী। আমি মুগ্ধ হই। আবার যে ইন্দ্রাণী রাত্রে ডিনার খেতে এসেছে আমার সঙ্গে সেই ইন্দ্রাণী আর এক নারী। আমি প্রেমে পড়েছি। শুধু ডিনারে নয়। ইন্দ্রাণী আসে আমার সব অনুষ্ঠানে। আর এসেই জমিয়ে দেয়। ইন্দ্রাণীর মধ্যে একটা সরল আনন্দের হই হই আছে। আছে চোখে, মুখে, শরীরে হাসির প্রকাশ। আমার ভালো লাগে এই সানন্দাকে। ইন্দ্রাণী সত্যিই আমার সানন্দা।
ইন্দ্রাণী একদিন আমাকে ডাক দিল ওর গোয়েন্দা গিন্নি সিরিয়ালে অভিনয় করতে এক সাংবাদিকের চরিত্রে। আমি আমতা আমতা করে রাজি। কিন্তু অভিনয় করা যে কত শক্ত কাজ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারলাম। ভেবেছিলাম ইন্দ্রাণী বলবে, কাল থেকে আর তোমাকে কষ্ট দেব না। কিন্তু ঠিক উল্টো ব্যাপার ঘটল। ইন্দ্রাণী আমাকে রীতিমতো অভিনয় শেখাতে লাগল। আমিও শিখতে লাগলাম এবং আমাকে সেই পরিশ্রমের জন্য বেশ কিছু টাকাও পাইয়ে দিল ইন্দ্রাণী। ইন্দ্রাণীর মধ্যে সত্যি খুব সুন্দর দয়া মায়া আছে । এই জন্য বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ও মামনি। মামনি কে সবাই ভালোবাসে। আমিও।
আরও পড়ুন- ‘সৃষ্টির তাড়নাই আমার কাছে যৌনতা’, বলেছিল প্রসেনজিৎ
ইন্দ্রাণী গোয়েন্দা গিন্নির শুটিং করত যে স্টুডিওতে, তার কাছেই আমার ক্লাব। মাঝে মাঝে লাঞ্চে ডাকতাম ইন্দ্রাণীকে। যেদিন ফাঁক পেত চলে আসত। কখনও বা পাঠিয়ে দিতাম লাঞ্চ। ইন্দ্রাণী খুব ভালোবাসে আমার ক্লাবের পাস্তা। আমার বাকি জীবন মনে থাকবে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে লাঞ্চ এবং ডিনারের প্লেজার। কারণ ইন্দ্রাণী জানে সংলাপের উষ্ণতা ছাড়া লাঞ্চ ডিনার অসাড়। ঠিক সময় ঠিক কথা, সেন্স অফ হিউমার, চোখের ভাষা, আলতো ছোঁয়া, সুরম্য ব্যবহারের জাদু, সব ইন্দ্রাণীর নখের আরশিতে ঝলমল করছে।
ইন্দ্রাণীর বাড়িতে কতবার যে গেছি আমার প্রিয় পানীয় সেবন করতে এবং ইন্দ্রাণীর সঙ্গে উজ্জ্বল সংলাপে আনন্দ পেতে! আবার অনেক দিন যাইওনি! ইন্দ্রাণী সেই নারী যে কোনওদিন আমার জীবনে ফুরিয়ে যাবে না। ফুরিয়ে যাবেনা ওর হাসির ডাক। ওর ভ্রু ভঙ্গির চন্দন বন, ওর আঁখি পাতের শৌভিক আবেদন। ইন্দ্রাণী আমার জীবনে ও স্বপ্নে অপরিমেয়!