পথের নাম নৈরাজ্য, মৃত গান্ধী জীবিত গান্ধীর চেয়েও শক্তিশালী যেভাবে

Mahatma Gandhi Death: মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই তিনি কংগ্রেস দলটির অবলুপ্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন, স্বাধীনতা লাভের পর কংগ্রেসের প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

৭৫ বছর আগে ৩০ জানুয়ারি খুন হয়ে যাওয়া মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন একজন নৈরাজ্যবাদী। ৭৫ বছর! ও, তার মানে এটা মৃত্যুর হীরক জয়ন্তী! গান্ধীর কাছে স্বরাজ মানে প্রত্যেক মানুষের নিজের জীবনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ। তিনি বলেছিলেন, এটা সম্ভব হতে পারে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে, কারণ কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাই হিংসার উৎস। হিংসা বলতে শুধু শারীরিক নিগ্রহ ও রক্তপাত নয়, ব্যক্তিত্বের ধ্বংসও হিংসা। এ রকম দমনমূলক কেন্দ্রীকরণের চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত হল রাষ্ট্র। ব্যক্তিগত স্তরে স্বয়ম্ভরতা দিয়ে সেই হিংসার প্রতিরোধ প্রয়োজন। বেঁচে থাকার জরুরি প্রয়োজনগুলি মেটাবার জন্য মানুষকে পরস্পরের উপর নির্ভর করতেই হয়। তার জন্য গান্ধীর বিকল্প ব্যবস্থা সমবায়, যাতে কেউ কারও উপর আধিপত্য বিস্তার করবে না, কেউ কারও অধীন হবে না। সমমর্যাদার মানুষরা স্বেচ্ছায় সামাজিক নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবে নিজেদের প্রত্যেকের ও সমগ্র সমাজের মঙ্গলের জন্য। গান্ধীর বিকেন্দ্রীকরণ প্রকল্পের একক হল গ্রাম, যা শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, প্রশাসনের ক্ষেত্রেও স্বয়ম্ভর হবে। কোনও ক্ষেত্রে গ্রামস্তরের সংগঠন যথেষ্ট না হলে একই নীতির ভিত্তিতে একাধিক গ্রামের সমবায় গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই তিনি কংগ্রেস দলটির অবলুপ্তির…

Continue Reading

Support quality writing

Encourge writers

Access on any device

Rental includes 30 days of reading from the date of purchase
Already a member of Inscript.me family? Login Already a member of Inscript.me family? Login

More Articles