দি মারিয়ার পায়ে রচিত রূপকথায় শেষ রাগিণীর সুর
Ángel Di María: এবারের কোপা জিতে বুটজোড়া তুলে রাখতে চায় সে। কিন্তু ইউরোপ, আমেরিকার মাঠের ঘাসে কান পাতলে দি মারিয়ার তুরঙ্গ-গতির রেশ শোনা যাবে।
মরা হাতির সমান্তরালে বুড়ো ঘোড়াকে নিয়ে কোনো প্রবাদ কিংবা প্রবচন শুনেছেন? বুড়ো ঘোড়ার পরিণতির ইতিহাস খুব ভালো নয়। মরা হাতির দর পায় না সে, বরং লাখেরাজ তার অন্তিম নিঃশ্বাস। নিষ্কর জমির মূল্যায়নে কারই-বা আগ্রহ থাকে। রেসের ঘোড়াও নয় যে কোনো আনন্দগোপাল সেনগুপ্ত লিখে ফেলবেন ‘ঘোড়া করো ভগবান’। কিন্তু সবুজ মাঠের বাঁ-দিক কিংবা ডান দিকের সাইড লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ চমকের মতো দৌড় লাগানো দি মারিয়াকে বুড়ো বলে কার সাধ্যি। এবারের কোপা জিতে বুটজোড়া তুলে রাখতে চায় সে। কিন্তু ইউরোপ, আমেরিকার মাঠের ঘাসে কান পাতলে দি মারিয়ার তুরঙ্গ-গতির রেশ শোনা যাবে। আর ‘কার হেন সাধ্য যে সে রোধে তার গতি’।
ফুটবলের ইতিহাসে তাঁর জন্য সসম্মানে জায়গা ছাড়া থাকবে। যদি একটা আস্ত অধ্যায় লেখা না-ও যায়, অন্তত কয়েকটা অনুচ্ছেদ তো লিখতেই হবে। কিন্তু পিটার ড্রুরির মতো ধারাভাষ্যকার, স্বয়ং সরস্বতী যাঁর ঠোঁটে ভর করেন নিরন্তর, তিনিও যখন রোসারিয়োর ছোট্ট ছেলেটার কথা বলেন, তখন শুধুই মেসির কথা আসে। বিশ্বকাপ ফাইনালের রাতে তুমুল প্রতিভাবান এমবাপেকে তিনি মহান ফুটবলারদের সৌরজগতে ঠাঁই দেন। আরহেন্তিনার প্রশিক্ষক স্কালোনিকে ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। মেসিকে সন্তত্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। কিন্তু দি মারিয়ার বেলায় তিনি নীরব। দি মারিয়া কাব্যে উপেক্ষিত। তোবড়ানো গাল, লিকলিকে চেহারা, বড়ো বড়ো কান নিয়ে দি মারিয়া চিরকাল থেকে যায় ক্যামেরার ফোকাসের বাইরে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ফুটবল ম্যাজিক, মেসির ৮০০তম গোল, বিশ্বজয়ের মুহূর্তই যেন ফিরে এল আর্জেন্টিনায়
কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে চার্নকের নৌকা ভিড়বার প্রায় একশো বছর পর ১৭৯৩ সনে বুয়েনস আইরেসের ১৮৬ মাইল উত্তর-পশ্চিমে গড়ে উঠেছিল রোসারিয়ো শহর। পারানা নদীর পশ্চিম কূল বারাণসী সমতুল কিনা জানি না, তবে ধর্মীয় ঐতিহ্য সে-শহরের কম নয়। সে-ধর্মের কাড়া-নাকাড়া, ধুন্ধুমারও নেহাত কম নয়। কিন্তু মানবজাতির পক্ষে মঙ্গলজনক যে সেই রণ-দামামা এমন এক ধর্মকে ঘিরে যার উপাসনার সময় মাত্রই নব্বই মিনিট। গোটা তিনেক ক্লাব আছে সে-শহরে। তাঁর মধ্যে নিউওয়েল আর সেন্ট্রাল ক্লাবই গোটা শহরটাকে দু-ভাগ করে দেয়। ফুটবল যেমন মানুষকে জোড়ে, তেমন বিভাজিতও করে। আমাদের মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের বাইনারি তো সবার জানা। ফুটবল পাগল রোসারিয়ো তেমনই বিভাজিত সেন্ট্রাল আর নিউওয়েল ক্লাবে। শহরের আধা-আধি নাগরিকের হৃদয়ের মালিকানা নিয়ে রেখেছে তারা। পাগলামি এমনই চূড়ান্ত পর্যায়ে যে, ১৯৮৮-তে কোপা ক্লাব কাপে উরুগুয়ের নাসিওনাল ক্লাব নিউওয়েলকে হারিয়ে দিলে তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী রোসারিও সেন্ট্রাল ক্লাবের সমর্থকেরা সেদিন দলে দলে রাস্তায় নেমে বিদেশি ক্লাবের কাছে নিউওয়েলের হার উদ্যাপন করে। আধুনিক ফুটবলে রোসারিয়োর দুটি দলেরই অবদান আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। এই শহরেই ১৯৮৭-র ২৪ জুন জন্মেছে লিয়োনেল মেসি আর ১৯৮৮-র ১৪ ফেব্রুয়ারি অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া। আরহেন্তিনার সান্তা ফে প্রদেশের এই শহর জানে মেসি আর দি মারিয়ার প্রথম সব কিছু। মেসি প্রথম খেলে নিউওয়েলের হয়ে আর দি মারিয়া সেন্ট্রালের হয়ে। কেউই বেশিদিন খেলেনি প্রথম ক্লাবে। আর বাকিটা ইতিহাস হয়ে আছে।
দি মারিয়ার জীবনের গল্পের সঙ্গে বাঙালির মেজাজের অনেক মিল। এক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন, এই বাঙালিও কয়েক দশকের পুরনো। যখন আমরা সত্যিই মাঠে নেমে পড়তাম বল পেটাতে। টিভিতে ফুটবল দেখা আর কম্পিউটার গেমসে ফিফা খেলাই মোক্ষলাভের একমাত্র উপায় ছিল না গোটা জাতির কাছে। তখন মতি নন্দী বাংলায় ফুটবলের জগৎ নিয়ে লিখতেন ‘স্টপার’, ‘স্ট্রাইকার’। ‘আনন্দমেলা’র পাতায় ছাপা হত ‘রোভার্সের রয়’। গরিব ঘরের হাট্টাকাট্টা ছেলেরা স্বপ্ন দেখত ফুটবল খেলে জীবন বদলে নেবে। ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় নীতার ছোটো ভাই মন্টু কী খেলত? আশি-নব্বইয়ের দশকেও বাংলার উদ্বাস্তু কলোনিগুলোতে বর্ষার বিকেলে রেডিয়োতে ধারাবিবরণী চলত কলকাতা লিগের। কলোনির বাতাস মথিত হত নাকতলার কৃশানুর পায়ে বল গেলে।
দি মারিয়ার বাবা বাড়ির টিনের চালের নীচে বসে বানাতেন কয়লার গুল। তাদের বাড়ির সর্বত্র কালো কয়লার ম্লানিমা। হাতে-মুখে, জামা-প্যান্টে কালি। অ্যাঙ্খেল আর তার দুই বোন হাত লাগাত বাবার সঙ্গে। সকালের কাজ সেরে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ত স্কুলের দিকে। সেই ছোটোবেলা থেকে দৌড়েই প্রাণের আরাম তার। দু-পাশে দ্রুত সরে যাওয়া গাছপালা, বাড়িঘর দেখার নেশা। আজ বলতে অসুবিধে নেই এই দৌড়ই তাকে জীবনের রাস্তায় এগিয়ে দিয়েছে অনেক কদম।
একেবারে ছোটোবেলায় যখন তার বাবা গুল বানানোর ব্যবসায় আসেননি তখন বাড়িতে দোকান ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। ছোটোখাটো মুদিখানা-নটকোনা জাতীয় দোকান। রাস্তার ওপর বাড়ি আর তাতে খদ্দেরদের আসা যাওয়ার জন্য দরজা হামেশাই হাট হয়ে থাকত। ছোট্ট অ্যাঙ্খেল একবার ছুটে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে পড়েছিল চলন্ত গাড়ির সামনে। ‘গেল! গেল!’ আওয়াজ উঠেছিল, কিন্তু সতর্ক ছিলেন গর্ভধারিণী। প্রাণে বেঁচে যায় সে। কিন্তু মিগেল আর ডায়ানার সংসারে তখন যেন শনির দশা। কায়ক্লেশে চলছে দিন। এমন সময় দোকান নামক সেই খোঁড়া অজুহাতটিও বন্ধ হয়ে যায়।
তারপর থেকেই কালিঝুলি মাখা গুলের কারখানা। রোদজলে টিনের চালের নীচে বাপ-মা-ভাই-বোনের বাঁচার লড়াই। পাঁচ জোড়া হাতে একটুখানি বাড়তি উৎপাদন মানে পরদিন সকালে খানিকটা নিশ্চিন্তে ঘুম থেকে ওঠা। কিন্তু সংসারের ওই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় দিন কাটে ডায়ানার। এত দুরন্ত, হাতে-পায়ে লক্ষ্মী বললেও কম বলা হয় ! শেষমেশ এক ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় অ্যাঙ্খেলের বাবা-মা। সেই ডাক্তারবাবুই ফেরেশতা হয়ে এলেন ছটফটে ছেলেটির জীবনে। নিদান দিলেন বাচ্চাটিকে ফুটবল কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার। তাতেই না কি বদলাবে বাচ্চাটার স্বভাব। ওই ডাক্তারবাবু নিশ্চয়ই ফুটবলের নেশায় বুঁদ ছিলেন আর পাঁচজন রোসারিয়ো-বাসীর মতো। নইলে আধুনিক যুগে স্বপ্নাদিষ্টের মতো এমন কথা বলতে পারে কোন তাইরেসিয়াস! তারপর থেকেই একটু একটু করে বদলাতে লাগল দি মারিয়া পরিবার।
এই সময় থেকেই তাঁর দুই সঙ্গী একটা ভাঙা মাডগার্ডের হলুদ সাইকেল আর একজোড়া ফুটবল বুট। সাইকেল দিনে দিনে প্রত্ন-প্রাচীন হয়েছে, বুটজোড়াও তাপ্পি লাগাতে লাগাতে জীর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই দু'টো ডানা অ্যাঙ্খেলকে দিয়েছে আকাশে ওড়ার স্বাধীনতা। রোসারিয়ো সেন্ট্রালের অ্যাকাডেমিতে মা নিয়ে যেত প্রথম দিকে, মায়ের হাত ধরে ছোটো বোনেরাও দেখতে যেত দাদার বল পায়ে দৌড়। তবে গল্পটা এতটা সরলরৈখিক নয়। সাফল্য ছেলের হাতের মোয়াও নয়। একদিকে দারিদ্র্য, ছেঁড়া-ফাটা বুটে তাপ্পি মেরে মেরে খেলা। অন্যদিকে কোচের অপছন্দের খেলোয়াড় হয়ে যাওয়া। প্রতিবন্ধকতার যতগুলো ধাপ পেরোতে হয় সব পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে সে। আঠারো বছর বয়সে প্রথম সুযোগ পেল রোসারিয়ো সেন্ট্রাল দলে। দু'বছরে খেলল ৩৫টা ম্যাচ। গোল ৬টা। ২০০৭ সাল তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সে-বছর আরহেন্তিনার অনূর্ধ্ব ২০-র বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেয় সে। ১১টা ম্যাচে ৫টা গোল করে। আরহেন্তিনা চ্যাম্পিয়ন হয় সেবার। এই বিশ্বকাপেই দি মারিয়া নজরে পড়ে যায় লিসবোঁয়ার বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বেনফিকার স্পটারদের। দি মারিয়া আর সাতপাঁচ না ভেবেই উড়াল দেয় পর্তুগালের উদ্দেশ্যে। সেখানে মানিয়ে নিতে নিতেই ফের ডাক আসে স্বদেশের। এবার বেইজিং অলিম্পিক ২০০৮। ফাইনালে নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই জিতল আরহেন্তিনা। তৈরি হল মেসি-র সঙ্গে জুটিও। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ল্যাগব্যাগার্নিসের মতো চেহারার জন্য বন্ধুরা যতই তাকে মজা করে চাউ-চাউ (নুডল) বলে ডাকুক, সবাই জানে বড়ো খেলায় অ্যাঙ্খেলের পায়ে জাদু আছে। রাতারাতি জাতীয় নায়ক হয়ে উঠতে থাকে সে।
এদোয়ার্দো গালেয়ানো সেই কবেই বানিয়ে দিয়েছেন ফুটবলের নায়কদের কোষ্ঠী-ঠিকুজি: ‘একদিন হাওয়ার দেবী আলতো ঠোঁট ছোঁয়ালেন মানুষের পায়ে চিরকালের অশ্রদ্ধা আর অবহেলার পায়ে সেই চুম্বন থেকে জন্ম হল ফুটবলের নায়কের। সে জন্মেছে টিনের চালের খুপরি ঘরে, খড়ের বিছানায়। প্রায় তখন থেকেই সে বলের সঙ্গে সেঁটে থাকে। ... এদিকে হাঁটি-হাঁটি পা-পা-এর বয়স থেকেই সে শিখে যায় ফুটবল কীভাবে খেলতে হয়। একেবারে শুরুর দিকে পাড়ার ছোট্ট একচিলতে মাঠে খুশির হাওয়া বইয়ে দেয়। বস্তির পিছন দিকের গলিতে রাত না-নামা পর্যন্ত পাগলের মতো বল পেটায়, তখন হয়তো আর বল দেখাই যাচ্ছে না তবু খেলে যায়। খানিক বড়ো হয়েই ছেলেটি উড়োজাহাজে চড়ে বসে আর স্টেডিয়ামগুলোও তার সঙ্গে সঙ্গে উড়তে থাকে একটা জয় থেকে আরেকটা জয়ে, সংবর্ধনা থেকে সংবর্ধনায়।’ খেয়াল করে দেখুন রূপকথার মরফোলজি মেনে এই গল্প অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার জীবনেও কেমন সত্যি হয়ে গেছে।
বেনফিকার পর রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পারি সাঁ-জরমঁ, জুভেন্টাস হয়ে ফের বেনফিকায় ফিরেছে সে। ওদিকে ২০১০-এ সে মারাদোনার নজরে পড়ে যায়। এবং মুখঠোর মারাদোনা, স্পষ্ট উচ্চারণে সিদ্ধবাক্, দৈববাণীর মতো ঘোষণা করে দিয়েছিলেন আরহেন্তিনার পরবর্তী মহানায়ক অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া। মারাদোনার স্নেহে-প্রশ্রয়ে আরও শানিয়ে নিয়েছে সে নিজেকে। তার বড়ো ম্যাচে গোল করার জাদুও অমলিন থেকে গেছে। ভেবে দেখুন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটার কথা। আলভারেজ়ের বাড়ানো বল নিয়ে তখন ফ্রান্সের ডিফেন্স চিড়ে ফেলছে ম্যাক-অ্যালিস্তার, ক্যামেরার ফোকাসের বাইরে থেকে গেল টাট্টু ঘোড়ার মতো বল ছাড়াই দৌড়ে যাওয়া ৩৪ বছরের এক যুবক। ম্যাক-আলিস্তার ডান পায়ে বক্সের মধ্যে বলটা বাঁ-দিকে ঠেলতেই যেন অতল থেকে উঠে এল দি মারিয়া। বাঁ-পায়ের আলতো টোকায় বল জড়িয়ে গেল জালে। তারপর চিরপরিচিত সেই ভালোবাসার স্মারক দু-হাতের মুদ্রায়।
আরও পড়ুন: পেরিয়ে গিয়েছে আরও বিশ্বকাপ, কোথায় রয়েছেন ‘৮৬-র বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা?
রূপকথার সেই দৌড় শেষ হবে এবার। শেষ হবে উইং প্লে-র জাদু। ফুটবল মাঠে প্রতিদিন জেতার দায়ে মাঠে নামা যন্ত্রমানবদের মধ্যে অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার মতো সৃজনশীল খেলোয়াড় ঝাঁকে ঝাঁকে আসে না। চির উত্তেজিত হিস্পানি ধারাভাষ্যকাররা ফের নতুন প্রতিভার জয়গান করবেন। কিন্তু মাঝমাঠে দি মারিয়ার পায়ে বল পড়লে গোলের পরে চেঁচানোর জন্য এখনও তাঁদেরকে বাড়তি দম নিতে হয়। বড়ো লম্বা লম্বা পা ফেলে দৌড়য় সে। আর লম্বা লম্বা পা ফেলেই মাঠ থেকে বিদায় নেবে। পৃথিবীর বড়ো বড়ো স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো সাক্ষী অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া কত বড়ো ফুটবলার।
রোসারিয়োর দুরন্ত ছেলেটা এখন মিয়া আর পিয়া নামে দুই মেয়ের বাবা। সাঁইত্রিশের যুবক। কিন্তু পেশাদার ফুটবলের দুনিয়া স্বার্থপর, নিষ্ঠুর। ফুটবলের সারসত্য দাঁড়িয়েছে মাধুর্য ছেঁটে ফেলে কর্তব্যের কাতরানির দিকে ঘষটে চলা। তাই দর্শকের আবেগ নয়, সে চায় ফল। আর বয়স তার দু'চোখের বিষ। বয়সের স্কোরবোর্ডে দি মারিয়া নিজের নামের পাশে অনেকটাই ভারী সংখ্যা বসিয়ে ফেলেছে। কিন্তু একবার কি ভাববেন না নেভিল কার্ডাস স্কোরবোর্ডকে কী বলেছিলেন?