গ্রেফতারি পরোয়ানা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে, ২২ হাজার কোটির ঘুষ প্রস্তাবের অভিযোগ
Goutam Adani সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য সরকারি আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিপথে চালনা করার অভিযোগ এবার আদানিদের বিরুদ্ধে।
ভারতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য সরকারি আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিপথে চালনা করা, চুক্তি সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে বন্ডে টাকা তোলার অভিযোগ এবার আদানিদের বিরুদ্ধে। মার্কিন প্রশাসন ইতোমধ্যেই এই ঘুষকাণ্ডে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করেছে। এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে গৌতম আদানির ভাইপো সাগর আদানিরও। এছাড়াও অভিযুক্ত আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, রূপেশ আগরওয়াল, সৌরভ আগরওয়াল,দীপক মালহোত্রা,সিরিল ক্যাবানেস। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবিসি-র মতে, গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারির পরোয়ানা ফরেন বোর্ড এনফোর্সমেন্টের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ,আগামী কুড়ি বছরে কর বাদ দিয়ে ২০০ কোটি ডলার লাভ হতে পারে এমন একটি প্রকল্পের জন্য সরকারি আধিকারিকদের ২২ হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন আদানিরা। অভিযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে এই ঘুষের ব্যাপারে গৌতম আদানি নিজেই বেশ কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। অভিযুক্তরা একে অন্যের সঙ্গে করে প্রায়শই বৈঠক করে, একটি মেসেজিং অ্যাপে এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। অভিযোগ ঘুষ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের জন্য সাগর আদানি এবং বিনীত এস জৈন নিজেদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। এছাড়া মাইক্রোসফটের দুটি অ্যাপ্লিকেশন পাওয়ারপয়েন্ট এবং এক্সেল ব্যবহার করে কাকে কোথায় কত টাকা দিতে হবে তা সরলীকরণ করতেন রূপেশ আগরওয়াল সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন:ভুখা দেশে ৪০০ কোটির বাড়িতে থাকেন আদানি ?
অভিযোগে বলা হয়েছে গৌতম আদানি,সাগর আদানি এবং বিনীত এস জৈন ভারতীয় এনার্জি সংস্থার ঘুষ এবং দুর্নীতি বিরোধী নীতিকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন বিনিয়োগকারীদের সামনে। প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য মিথ্যে বিবৃতি দিয়েছেন তাঁরা।
মার্কিন প্রশাসনের বিবৃতিতে আরও বলা হচ্ছে, গৌতম আদানি, সাগর আদানি এবং বিনীত এস জৈন
(১) দু'টি মার্কিন সিন্ডিকেটকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বিবৃতির ভিত্তিতে ভারতের একটি এনার্জি কোম্পানি ও তার কয়েকটি সহায়ক সংস্থাকে মূলধন দিতে বাধ্য করেছিলেন। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে গঠিত ঋণদাতা গোষ্ঠীর থেকে মোট ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:একদিনে আবার এত বড় ক্ষতি, কেন এমন অবস্থা আদানির?
(২) দু'টি ১৪৪এ রুল বন্ড যা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা সাক্ষর করা, যার বাজার মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও অন্যান্য জায়গায় বিনিয়োগকারীদের কাছে বিপণন ও বিক্রি করা হয়েছিল৷ এছাড়াও অভিযোগ, গৌতম আদানি, সাগর আদানি এবং বিনীত জৈনের প্ররোচনায় ভারতীয় এনার্জি সংস্থা বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের আর্থিক বিবৃতিতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
অভিযোগে এ-ও বলা হয়েছে, এফবিআই, মার্কিন সিকিওরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই ঘুষকাণ্ডে তদন্ত থেকে বিরত থাকে, সে ব্যাপারেও চেষ্টার কসুর করেননি দীপক মালহোত্রা, রূপেশ আগরওয়াল-রা।