আম জনতার ইস্যু কই? রাহুলের বিস্তারিত ধর্ম আলোচনা নিয়ে সওয়াল চন্দ্রশেখরের

Chandrashekhar Azad Lok Sabha Speech: চন্দ্রশেখর আজাদের কথায়, "আমার কাছে বেকারত্ব আজ সবচেয়ে বড় সমস্যা। কর্মসংস্থান নিয়ে দল ও বিরোধী দল উভয়েরই আন্তরিক আলোচনা হওয়া উচিত।"

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধি সোমবারই শিবের নীতি উল্লেখ করেছিলেন। হিন্দুসহ সব ধর্ম নিয়েই কথা বলেছেন রাহুল গান্ধি। ধর্মের কথা উঠতেই ভারতীয় জনতা পার্টি স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণ করছে কংগ্রেস নেতাকে। লোকসভার রেকর্ড থেকে রাহুলের ধর্ম বিষয়ক বক্তব্য বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধির লোকসভার বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ময়দানে নেমে পড়েছে ফের। এরই মধ্যে নাগিনার সাংসদ এবং আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদও কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। লোকসভায় এই প্রথম সাংসদ হয়ে এসেছেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর, বলছেন, “আজ লোকসভায় ধর্ম নিয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি।"

চন্দ্রশেখর আজাদ রাহুল গান্ধির বক্তৃতা প্রসঙ্গে বলছেন, রাহুল যে পরিস্থিতিতে এবং যে বিষয়বস্তু নিয়ে তাঁর বক্তব্য সাজিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা করতে চান না তিনি। তবে জনগণের মৌলিক সমস্যা এবং জীবনের মূল অভাব-অভিযোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করাই সংসদের প্রয়োজন। দেশের একতা বড় অংশের মানুষ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের কথা বলাই সাংসদের কাজ। এই বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েওছে। কর্মসংস্থান, উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিষয় আলোচিত হচ্ছে সংসদে। এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যই সংসদে মানুষের প্রতিনিধি হয়ে আসা। নাগিনার সাংসদ চন্দ্রশেখর বলছেন, "আজকে সংসদ থেকে ধর্ম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান পেয়েছি। আমরা ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করি। এর মধ্যে ধর্ম অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ ধর্ম নিয়ে আলোচনা হলেই মূল বিষয়গুলো চলে যাবে। আমি আশা করি, সুযোগ পেলেই আমরা কৃষক, দরিদ্র, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু এবং কর্মসংস্থান, উন্নয়ন বা অন্যায়ের মতো মৌলিক সমস্যা নিয়ে কথা বলব।"

আরও পড়ুন- হিন্দু মানেই বিজেপি নয়, অযোধ্যা শিক্ষা দিয়েছে, লোকসভায়  রাহুল

সংসদে চন্দ্রশেখর আজাদও বিরোধীদের উত্থাপিত অগ্নিবীর ইস্যুকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলছেন, এই বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। অগ্নিবীর শহিদ হলে তখন তাঁর প্রাপ্যটুকু পাওয়া উচিত। ৫২ শতাংশ ওবিসিরা কবে সংরক্ষণ পাবে এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। চন্দ্রশেখর বলছেন, ২০১৪ সালে ওবিসি সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদি। "এখন দলিত, আদিবাসীদের থেকে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তার জবাব কে দেবে? করোনাকালে হাজারে হাজারে মানুষের মৃত্যু নিয়ে সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত, লাখে লাখে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেঁটে বাড়ি ফেরা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত," বছেন ভীম আর্মি প্রধান।

চন্দ্রশেখর আজাদের কথায়, "আমার কাছে বেকারত্ব আজ সবচেয়ে বড় সমস্যা। কর্মসংস্থান নিয়ে দল ও বিরোধী দল উভয়েরই আন্তরিক আলোচনা হওয়া উচিত। ছোট ছোট চাকরিগুলো হারিয়ে গেছে। কর্মসংস্থান হলে যুবসম্প্রদায়ের মুখে হাসি ফুটবে।" মণিপুর, দলিত ইস্যুতেও সরব হয়েছেন দলিত আন্দোলনের মুখ চন্দ্রশেখর। বলছেন, "মণিপুরের কথা হোক, নারীর উপর অত্যাচার নিয়েও আলোচনা করা উচিত। মুসলমান ও দলিতরা মরার জন্য জন্মায়নি। তাদের জীবনও যেন সুন্দর হয়। তাই এই নিয়ে সংসদে আলোচনা কাম্য।"

More Articles