স্বপ্ন, আবেগ ও অভিমানে 'শত বছরের নিঃসঙ্গ জীবন' কাটিয়ে গেলেন বুদ্ধদেব

Buddhadeb Bhattacharjee: আবেগের বশে চলতে গিয়েই তিনি যেমন দলের বড় ভরসা শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

আমাদের তখন প্রায় মুখস্থ হয়ে গেছে তিনি তাঁর ভাষণে ঠিক কী কী বলতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম, তার একটা লম্বা তালিকা ছিল তাঁর ভাষণের অন্যতম অঙ্গ। আমরা গড়গড় করে সেই তালিকা বলে দিতে পারতাম। আমরা মানে সাংবাদিকরা। সেই তালিকা শেষ হলেই তিনি চলে যেতেন, কত নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হয়েছে এ রাজ্যে। কোন কোন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এ রাজ্যে বিনিয়োগ করেছে বা করবে। নিজের হাত তুলে দেখাতেন, যুবকের হাত কাজ চায়। কত কাজের সংস্থান তিনি করতে চান ইত্যাদি। এ ছিল রোজের পরিসংখ্যান। তাঁর চোখে মুখে তখন শিল্পায়নের স্বপ্ন। এটি তাঁর দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরের সময়।

তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ তাঁকে সবাই এই একটি শব্দের জন্যই বেশি করে মনে করছেন — শিল্পায়ন। সেটিই তাঁর স্বপ্ন এবং সেটিই তাঁর পতনের কারণ হয়ে রইল। আর সেই স্বপ্ন ঘিরে তাঁর আবেগ ও জেদ থেকে তীব্র অভিমান তাঁকে আরও একাকী করে দিল জীবনের শেষ লগ্নে।

নন্দনের একটি ঘরে বসে নিয়মিত শিল্প-সাহিত্য-সিনেমার আলোচনা করা এক আদ্যোপান্ত সংস্কৃতি-মনস্ক, সৃজনশীল, সুলেখক, সুচিন্তক বাঙালি ভদ্রলোক হঠাৎ কলকারখানা গড়ার চিন্তায় বিভোর হয়ে যাবেন, এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সিপিআইএম-এর মাস্টারস্ট্রোক ছিল ২০০১ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জ্যোতি বসুর জায়গায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো। জ্যোতি বসুর দীর্ঘ শাসনকালের শেষের দিকে একটি প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া উঠতে শুরু করছিল। ভারতে নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই অর্থনীতিতে খোলা হাওয়া বইতে আরম্ভ করেছে। কেন্দ্রের লাইসেন্স-রাজ শেষ হয়েছে। মধ্যবিত্তের মনে উচ্চাকাঙ্খা বাড়ছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি (তা সে কেন্দ্রীয় নীতির কারণেই হোক বা বামপন্থী জঙ্গি শ্রমিক আন্দোলনের কারণে) ক্রমশ স্থবিরতার দিকে যাচ্ছে। সারা দেশ জুড়েই এক ধরনের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তখন। জ্যোতি বসু শিল্পায়নের পথ খুঁজছেন ঠিকই কিন্তু দলকে ফেলতে পারছেন না।

হাল ধরেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নতুন মুখ আসায় ক্রমশ ধামাচাপা পড়েছিল জ্যোতি বসুর আমলের দুর্বলতাগুলি। বুদ্ধদেবের আগমনে নতুন হাওয়া খেলে গেল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। সেই হাওয়াতে ভরসা রেখেই বামফ্রন্ট ২০০১-এ তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোটকে উড়িয়ে দিয়ে আবার সরকারে ফিরে এল।

আরও পড়ুন- নিঃশব্দে যে যায় লাল পতাকা মুড়ে… বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যা শিখিয়ে গেলেন বাংলাকে

১৯৭৭-এ যখন বামফ্রন্ট সরকার গড়ছে পশ্চিমবঙ্গে তখন বাম-আন্দোলনের স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে আমরা দেখছি ভূমি-সংস্কার। বড় কৃষক বা জমির মালিকের হাত থেকে জমি নিয়ে ছোট কৃষক বা বর্গাদারদের হাতে জমির মালিকানা দেওয়ার কাজ। সমবায় গড়ে ওঠা ইত্যাদি। অন্যদিকে শ্রমিকরাও গলার আওয়াজ খুঁজে পাচ্ছেন। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে নিচু তলার গণতান্ত্রিক পদ্ধতি জোর পাচ্ছে। উদ্বাস্তু আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলছে তারা কিন্তু ২০০০ সালে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্টের হাতে সেই বস্তাপচা ভূমি-সংস্কার ছাড়া দেখানোর মতো বড় কিছুই নেই। বরং ততদিনে 'পার্টি-সমাজ' বা পাড়ায় পাড়ায় বাম নেতা-ইউনিয়ন-ক্যাডারদের রাজ পাকাপোক্ত হয়েছে। দলে বেনোজল ঢুকেছে কমিউনিস্ট আদর্শকে ভাসিয়ে দিয়ে।

এই পরিস্থিতিতে যখন শহুরে মধ্যবিত্তদের থেকে বামফ্রন্ট সরকার দূরে চলে যেতে শুরু করেছে, তখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নতুন স্বপ্ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন। সিপিআইএম-ও ভূমিসংস্কারের নস্টালজিয়া ছেড়ে নতুন পথ খুঁজতে শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতি হিসেবে পাঁচ বছর পরে 'কৃষি আমাদের ভিত্তি ও শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ' স্লোগানকে সামনে নিয়ে আসছে বামেরা। ২০০৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামেদের ব্রিগেডের সভা থেকে অনিল বিশ্বাস-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিচ্ছেন।

শুধু তো স্বপ্ন নয়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আবেগপ্রবণও বটে। নয়ত পোড় খাওয়া রাজনীতিক হলে বা রাজনীতির ঘোর প্যাঁচে দড়ি টানাটানির খেলায় দড় হলে তিনি জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বা নন্দনে আশ্রয় নেবেন কেন! রাজনীতিকে গৌণ করে কেন তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নাটক লিখতে! সরকারের মাথা হয়েও সেই আবেগেই ভাসলেন তিনি। কোনও রাখঢাক নেই তাঁর।

বুদ্ধবাবুর ভাষণের একটি ছক ছিল। চেনা কথা বক্তৃতার শুরুতে আর নতুন কথা ভাষণের একদম শেষের দিকে। কাজেই লাইভ-টিভি যুগের আগে তাঁর বক্তৃতার প্রথম অংশ ক্যামেরায় রেকর্ড না করলেও খুব একটা অসুবিধা হতো না কিন্তু একদিন তিনি সেই সব টিভি সাংবাদিকদের হঠাৎ গোল দিয়ে দিলেন।

বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলের বলরুমে একটি বাণিজ্য সংগঠনের সভায় বক্তৃতা শুরুই করলেন বোমা ফাটিয়ে! তিনি কতটা নিজের দলের ডাকা বনধ নিয়ে লজ্জিত, সেই কথা বলে। সবার সামনেই বললেন, তিনি নিরুপায় এমন একটি দলে তাঁকে থাকতে হচ্ছে। তার কয়েকদিন আগেই সিটুর ডাকা 'বাৎসরিক বনধ'-এ বিপর্যস্ত হয়েছিল এ রাজ্যও।

তখন তিনি রাজ্যে শিল্প পরিস্থিতি তৈরি করা নিয়ে এতটাই স্বপ্নে ভাসছেন যে, আবেগতাড়িত হয়ে প্রকাশ্যেই নিজের দলের শ্রমিক সংগঠনের সমালোচনা করে বসলেন এবং সঙ্গে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও উল্লেখ করলেন। পরে তিনি সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্মেলনে এটা দলের বাইরের মিটিংয়ে বলা উচিত হয়নি বলে স্বীকার করেছিলেন। এছাড়াও বহু সময়ে সাংবাদিক-সম্পাদক বা শিল্পপতি-আমলাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তাঁর নানা আবেগমথিত কথা সামনে এসেছে।

সৃজনশীল মানুষের এটা যেমন একটি গুণ, তেমন সমস্যাও। তবে এটাও ঠিক যে, তাঁর আবেগে গা ভাসিয়েছিলেন বাম সমর্থকদের একটি বড় অংশ। জ্যোতি বসুর মতো মাঠে ঘাটে রাস্তায় ঘুরে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে না এলেও, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জননেতা তকমা পেয়ে গেছেন অচিরেই। এক সময়ে বিভিন্ন জেলা থেকে রাজনৈতিক সভার নিমন্ত্রণ এত পেতে শুরু করেছিলেন যে তাতে রাশ টানতে হয়।

এই আবেগের বশে চলতে গিয়েই তিনি যেমন দলের বড় ভরসা শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন, তেমনই বামফ্রন্টের শরিকদলগুলির থেকেও বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছিলেন। কারণ তাঁর জেদ। নীতি-আদর্শ ও বৃহত্তর শুভকাজের জন্য তিনি যেন জীবন বাজি রাখতেও রাজি। তাই টাটা কর্তাদের সিঙ্গুরে প্রথম পা রাখার দিনই মহিলাদের ঝাঁটা উঠিয়ে তাড়া করার পরের দিনই সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে স্বয়ং জ্যোতিবাবুর কাছে তিরস্কৃত হতে হয়েছিল তাঁকে। কেন স্থানীয় কৃষক সভার নেতারা জানত না যে টাটা-কর্তারা যাবেন সিঙ্গুরে? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন জ্যোতিবাবু।

তবু রতন টাটার ন্যানো কারখানা গুজরাতে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণার আগে পর্যন্ত তিনি অটল ছিলেন এই কারখানা তিনি সিঙ্গুরেই করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র আন্দোলনের সামনেও মাথা নত করতে রাজি হননি। গৌতম দেবদের মধ্যস্থতায় একটি পথ বের করতে রাজি হলেও কারখানার জমি বদল করতে চাননি। কারণ তিনি টাটাদের কথা দিয়ে ফেলেছিলেন।

এমনই নিজস্ব রাজনৈতিক নীতিতে অটল থেকেই তিনি মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান নিয়ে প্রথমে দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন। এক বাম মতাদর্শের নেতা হয়ে অন্য একটি বাম মতাদর্শের আন্দোলনকে সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দেওয়াতে বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি। তাই কোণঠাসা হয়ে শেষে কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ অভিযান শুরু করতে বাধ্য হলেও মাওবাদী নেতা কিষেণজিকে সামনে পেয়েও তাঁর পুলিশবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেননি।

আবেগে চলা মানুষদের অভিমানও বোধহয় তীব্র হয়! তাঁর স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে ২০১১ সালে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে পা রাখল, তখনই তিনি খানিকটা রাশ টেনে নিলেন নিজের রাজনৈতিক জীবনে। নিজের যাদবপুর কেন্দ্রেই তিনি হেরে গেলেন অনেক মন্ত্রীদের মতোই। তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেক বাম সমর্থক শিল্পী-কলাকুশলীরা নাম লেখালেন কালীঘাটের পটুয়াপাড়ায়। রাজ্যের কৃষক-শ্রমিক-সংখ্যালঘুরা তাঁকে একা করে দিল। তাঁকে ডুবিয়ে আমলাকূলও 'শিবির-বদল' করে নিল।

প্রথমে কয়েক মাস সময় নিলেন আত্মপর্যালোচনার জন্য, তার পরে 'ঘুরে দাঁড়ানোর' ডাক দিলেন কিন্তু ২০১৬ সালেও যখন কোনও কাজ হলো না, বরং বাম সমর্থকেরাই মুখ ফিরিয়ে থাকলেন, তিনি গুটিয়ে নিতে থাকলেন নিজেকে। শারীরিক অসুস্থতা ছিলই। সঙ্গে হয়তো তীব্র মানসিক কষ্টও। অভিমানও।

আরও পড়ুন- ৪০০ স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাটে জীবন কাটল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের, সততার সহজপাঠ ছিল হাতের কাছেই

বুদ্ধবাবু বরাবরই মাছ-ভাত খাওয়া ছাপোষা বাঙালি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ডালহৌসি চত্বরের লোকজন ঘড়ির সময় মিলিয়ে নিতে পারতেন রাইটার্সে দিকে যাওয়া তাঁর কনভয় দেখে। সকালে ন'টা-সওয়া ন'টায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পার্টি অফিস হয়ে ঠিক ১১টায় রাইটার্সে ঢোকা। ১টা নাগাদ দুপুরের খাওয়ার জন্য বাড়ি যাওয়া। আবার ৪টে নাগাদ রাইটার্সে ফেরা। ৬টা নাগাদ বেরিয়ে নন্দন বা আলিমুদ্দিন হয়ে বাড়ি ফেরা। অন্য কোনও মিটিং বা সভা-সমিতি না থাকলে এটিই তাঁর রুটিন ছিল।

রাজনৈতিক কাজকর্ম থেকে 'অবসর' নিয়ে তিনি তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের ছোট্ট ফ্ল্যাটেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলেন জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত। সেই ছাপোষা 'অবসরপ্রাপ্ত' বাঙালির জীবনই কাটালেন। প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে রেখে। বরং কেউ কেউ তাঁকে কেন্দ্র করে প্রচারের আলো পাওয়ার চেষ্টায় করলেন। তাতে বাদ যায়নি তাঁর নিজের দলও। নয়তো নাকে অক্সিজেনের নল নিয়ে তাঁকে ব্রিগেডে হাজির করতে হয় না। তাঁকে বিলাসবহুল বাড়িতে রাখা বা হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে আবেদন-নিবেদন কম করা হয়নি। তবুও তিনি দু'কামরার ফ্ল্যাটেই থেকেছেন। চোখ ও ফুসফুসের সমস্যায় জর্জরিত হলেও তাঁর পছন্দের বই-গানেই কাটিয়েছেন একাকী জীবন।

তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে ও তার পরেও, তাঁর উপরের ফ্ল্যাটে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের কাছে যেতে কোনও দিন অসুবিধা হয়নি। পড়শি রাজ্যের সাংবাদিক-বন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীর 'বাংলো' দেখতে পাম অ্যাভিনিউ যাওয়া ও এই সাদামাটা সরকারি আবাসন দেখে তার স্বপ্নভঙ্গ হওয়াতে যেন গর্বিতই হয়েছি।

'শান্তিনিকেতন', 'জাহাজবাড়ি' বা '২২-লাখি গাড়ির' রাজনীতি দেখে তিনি নিশ্চয়ই হতাশ হয়েছেন। এক দশক মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ও পরেও তাঁর সততাই প্রধান আলোচ্য হয়ে থেকেছে। এখন তাঁর কাজের মূল্যয়ন করতে বসে অনেকেই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করাকে 'ঐতিহাসিক ভুল' বলে ভাবছেন। ইতিহাস তাঁকে 'ক্লিন চিট' না দিলেও বর্তমান হয়তো দিচ্ছে। কিন্তু এই সব আলোচনায় তাঁর কিচ্ছুটি যায় আসে না। এত আলোচনার মধ্যে থেকেও যেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য 'একশ বছরের নিঃসঙ্গ জীবন' কাটিয়ে জীবনের পথ সাঙ্গ করলেন। সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন একরাশ স্বপ্ন, জেদ ও অভিমান।

More Articles