আরজি কর: খুনের রাতে সল্টলেকের হোটেলে গা ঢাকা? আশিস পাণ্ডেকে কেন খুঁজছে সিবিআই?

RG Kar Medical College and Hospital Incident: সিবিআই সূত্রের খবর, এই আশিস পাণ্ডে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন হাউজস্টাফ। পাশাপাশি টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতিও বটে এই আশিস।

আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্তে বেশ খানিকটা এগিয়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের তরফে জমা দেওয়া হয়েছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট। আরজি কর চিকিৎসক খুনের তদন্তে এবার আরও এক ধাপ এগোল সিবিআই। এবার সিবিআইয়ের নজরে আশিস পাণ্ডে নামক এক কর্মী।

ইতিমধ্যেই আশিস পাণ্ডের বিষয়ে জানতে সল্টলেকের এক গেস্ট হাউসের কর্মীকে তলব করেছিল সিবিআই। তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে হোটেলের রেজিস্টার ও সিসিটিভি ফুটেজ। কিন্তু কেন হঠাৎ এই আশিস পাণ্ডের খোঁজ?

জানা গিয়েছে, যে রাতে খুন হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ওই তরুণী চিকিৎসক। সেদিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন এই ব্য়ক্তি। সেই কারণেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠায় সিবিআই। তাদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে সমস্ত নথি। বৃহস্পতিবার হোটেলের এক কর্মী রেজিস্টার, খাতা-সহ বেশ কিছু নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে পৌঁছন।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের নারকো পরীক্ষায় মিলল না কোর্টের অনুমতি, কেন তীরে এসে তরী ডুবল সিবিআইয়ের?

ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি কর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাদের হেফাজকেও নিয়েছে সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডের পরে পরেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলিন্টিয়ারকে। তার পরে সিবিআইয়ের ব়্যাডারে এই আশিস পাণ্ডে।

কে এই আশিস পাণ্ডে? সিবিআই সূত্রের খবর, এই আশিস পাণ্ডে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন হাউজস্টাফ। পাশাপাশি টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতিও বটে এই আশিস। ৯ অগস্ট রাতে ওই হোটেলে উঠেছিলেন তিনি। ১০ তারিখ হোটেল ছেড়ে দেন। সূত্রের খবর, ৯ তারিখ সকালে আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ইতিমধ্যেই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের দুটি বাড়ি ও নার্সিংহোমে আগেই পৌঁছেছিলেন ইডি ও সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয় এই চিকিৎসক-নেতাকে। সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই দিন সুদীপ্ত রায় বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তার কল ডিটেইলস ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের হাতে। এর আগে সেই কল রেকর্ডের সূত্র ধরেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজের MSVP-কে তলব করা হয়েছিল। ক্যালকাটা হার্ট রিসার্চ ক্লিনিকেরও এক চিকিৎসককে তলব করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন:জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে মরিয়া লড়াই! সুপ্রিম কোর্টে সিব্বলকে যোগ্য জবাব ইন্দিরার

এর পর সেই কল রেকর্ডের সূত্রেই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে আশিস পাণ্ডের নাম। আশিস পাণ্ডেকে ইতিমধ্যেই কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি গোয়েন্দারা। তাঁর উত্তর সন্তোষজনক কিনা তা মিলিয়ে দেখতেই এবার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

More Articles