কর্মবিরতি থেকে কাজে ফিরছেন কবে? যা জানালেন আন্দোলনরত ডাক্তারেরা

Junior Doctor's Protest: মঙ্গলবারের সুপ্রিম শুনানি সন্তোষজনক ছিল বলেই দাবি করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।

আরজি কর কাণ্ডের পর প্রায় ৩৯ দিন হয়ে গেল, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের একগুচ্ছ দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে নিরাপত্তা ও কাজ করার পরিবেশ উন্নত করার দাবিও। যা নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন উঠেছিল সুপ্রিম শুনানিতে। কার্যত সেখানেই চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের আইনজীবী করুণা নন্দীর সাফ জানান, কাজে না ফেরার জন্য নিরাপত্তাহীনতাই মূল কারণ। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারলে কাজে ফিরতে কোনও সমস্যা নেই তাঁদের। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং মঙ্গল কিংবা বুধবার জিবি বৈঠকের পরই আন্দোলনকারীরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

মঙ্গলবারের সুপ্রিম শুনানি সন্তোষজনক ছিল বলেই দাবি করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। সুপ্রিম কোর্টের লাইভ শুনানি দেখার পর তাঁরা জানান, আইনজীবী তাঁদের সমস্যাগুলি যথাযথ ভাবে আদালতে তুলে ধরেছেন। ইন্দিরার কথার সুর ধরেই তাঁরা জানান জেনারেল বডি মিটিংয়ের পরেই তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে মরিয়া লড়াই! সুপ্রিম কোর্টে সিব্বলকে যোগ্য জবাব ইন্দিরার

ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির একাংশ পূরণ করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের দাবি মেনেই সরানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে আইপিএস মনোজ ভর্মাকে। তবে সেই দাবি পূরণ হলেও আরজি করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার সবটা এখনও হয়নি বলেই দাবি করেন চিকিৎসকেরা। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি বা নিরাপত্তারক্ষী, কোনওটাই এখনও মোতায়েন হয়নি।

প্রসঙ্গত এদিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই ব্যাপারে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে রিপোর্টও জমা দেনন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। রাজ্য আদালতে জানিয়েছে, রাজ্যের সব হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য শৌচাগার, বিশ্রাম কক্ষ, সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। চিকিৎসকদের ডিউটি রুমে নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, “২৮টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে রাজ্যে। আরও ১৭টি হাসপাতাল সরকারের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে ১৮-২৩ বছরের তরুণীরা কাজ করেন। তাঁদের নিয়ে কাজ করতে হয়। তাঁদের নিরাপত্তায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হলে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।”

আরও পড়ুন:পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরলেন বিনীত! কেন মনোজেই আস্থা রাজ্য সরকারের?

এদিন আন্দোলনরত ছাত্ররাও জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মেটার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বেশ কয়েকটি দাবি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিলেও সেগুলি কার্যকর না-হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভও চলবে বলেই প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা ৷ এদিন বিকেলে জেনারেল বডির মিটিংয়ে বসার কথা থাকলেও সেই বৈঠক হয়নি বলেই খবর।  খুব শিগগিরই জিবি বৈঠক করে চিকিৎসকদের তরফে কর্মবিরতি নিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

More Articles