ফুটবল জানে এক আশ্চর্য জাদুকরের নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

Cristiano Ronaldo: আছে শুধু একটাই জিনিস, অদম্য জেদ, হাল না ছেড়ে লড়াই করে যাওয়ার একটা অদম্য মানসিকতা। পুরো দেশের ভরসা একা কাঁধে বয়ে নিয়ে চলার ক্ষমতা।

সমালোচকেরা বলেন, তিনি নাকি ভালো খেলতে পারেন না। তাঁর পায়ে জাদু নেই, নেই কোনও রকম এলিয়েন তকমাও। এমনকী বিশ্বকাপের ট্রফিটাও তাঁর জীবনে অধরাই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবু আছে শুধু একটাই জিনিস, অদম্য জেদ, হাল না ছেড়ে লড়াই করে যাওয়ার একটা অদম্য মানসিকতা। পুরো দেশের ভরসা একা কাঁধে বয়ে নিয়ে চলার ক্ষমতা। তিনি নাকি ফুটবলের মাঠে একেবারেই চলেন না। না, তিনি চান্স ক্রিয়েট করতে পারেন, না তিনি পাস দিতে পারেন, ড্রিবলিং করার ক্ষমতাও তাঁর খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে যেটা তাঁকে এখনও বিশ্ব ময়দানে সেরার তালিকায় স্থান দিয়েছে, সেটা হল গোলসংখ্যা। সেই কাজটাই তিনি অক্লেশে করে চলেন সবসময়।

কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপের মুহূর্তটা ছিল নানা তিক্ততায় ভরা। একের পর এক সমালোচনা তাঁকে ঘিরে। ৩৮ বছর বয়সেও তিনি কেন এখনও জাতীয় দলে টিকে রয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। সেই সময় তাঁর অশ্রুসিক্ত নয়নে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যাবার দৃশ্যটা দেখেছিল সারা বিশ্ব। মরক্কোর সমর্থকেরা তাঁকে 'ক্রাই বেবি' বলে তিরস্কার করতেও ছাড়েননি। তবে সেই বিষয়টাকে কখনওই বড় করে দেখেননি রোনাল্ডো। বরং মরক্কো যখন ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, সেই সময় নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের স্টোরিতে তাঁদের জন্য সহানুভূতি জানিয়ে একটি বার্তাও লিখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো।

কাতার বিশ্বকাপে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী মরক্কোর কাছে হারের পরে অনেকেই ভেবেছিলেন, সেটাই হয়তো ৩৮ বছর বয়সী রোনাল্ডোর জীবনের শেষ ম্যাচ হবে দেশের জার্সিতে। কিন্তু তা হয়নি। বরং বয়সটা শুধুমাত্র একটি সংখ্যা প্রমাণ করে, আবারও দেশের জার্সিতে নিজেকে সাজিয়েছেন রোনাল্ডো। লক্ষ্য ইউরো ২০২৪। পর্তুগিজ কোচ সান্তোসের প্রস্থানের পরে রোনাল্ডোদের নতুন কোচ হয়ে এলেন বেলজিয়ামের রবার্তো মার্টিনেজ। বলতে গেলে ইউরোপের ফুটবলে তিনি একজন মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান। আর সেই কোচের অধীনেই নতুন শুরু করলেন পর্তুগালের এই বুড়ো ঘোড়া।

আরও পড়ুন: বুড়ো হাড়ে ভেলকি রোনাল্ডোর, শেষ ইউরোয় অমরত্বের হাতছানি

রোনাল্ডোর বয়স এখন অনেকটাই বেশি। কেরিয়ারের মধ্যগগন পেরিয়ে এসেছেন অনেকদিন। এখন ফুটবল জীবন বলতে গেলে একেবারে শেষের পথে। এমতাবস্থায়, পর্তুগালের কোচ এখন নতুন করে রণকৌশল সাজাচ্ছেন রোনাল্ডোর জন্য। তিনি চাইছেন, একেবারে শেষ লগ্নে যেন রোনাল্ডোর কাছ থেকে একেবারে সেরাটা পাওয়া যায়। মার্টিনেজের পরিকল্পনামাফিক ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে এখন খেলতে নামছে পর্তুগাল। আর তার ফলে সুফল হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। প্লে মেকিং এর জন্য খুব একটা বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। মাঝমাঠে অ্যাটাক করছেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ এবং বার্নার্ডো সিলভা। অন্যদিকে, ফোকাল পয়েন্টে থাকছেন রোনাল্ডো। শক্ত রক্ষণ এবং আক্রমণাত্মক মধ্যভাগ সব মিলিয়ে পর্তুগাল রয়েছে বেশ ভালো ছন্দে।

পর্তুগাল ভালো ছন্দে থাকলেও, ২০২৪ সালের ইউরোতে এখনো গোলের মুখ দেখতে পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সফল পেনাল্টি টেকার মানা হয় রোনাল্ডোকে। ক্লাব ফুটবল থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে পেনাল্টি এবং স্পট কিক থেকে গোল আদায় দিয়েছেন এই খেলোয়াড়। ফ্রি কিক অথবা পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ আসলে, পর্তুগালের সব থেকে বড় ভরসা হয়ে ওঠেন এই রোনাল্ডোই। তবে চলমান ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে গোল আসতে আসতেও আসেনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পায়ে।

৯০ মিনিটে খেলা শেষ না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছিল সেই ম্যাচ। সেই ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে একটা পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগাল। সেই সময়, রোনাল্ডো সেই পেনাল্টি শট নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, দলের হয়ে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এই তারকা খেলোয়াড়। সেই সময়ে তার বাঁদিকে করা শট ঝাপিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। সেই সময় দু'হাতে মুখ ঢেকে শিশুর মত কেঁদেছিলেন রোনাল্ডো। এটা দেখে তার সতীর্থরাও সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাননি। তা দেখে অনেকেই তাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, পেনাল্টি না পাওয়ার পরে রোনাল্ডো আবার নিজের পুরনো রঙে ফিরে এসেছে। আগের ম্যাচ, ব্রুনো ফার্নান্ডেজকে পাস দেওয়াটা ছিল শুধু একটা নতুন রেকর্ড করার জন্য। তবে সেসবে খুব একটা বেশি বিচলিত হন না রোনাল্ডো। কারণ, সমালোচনা তার জীবনের সঙ্গে সব সময়ই জড়িয়ে।

Cristiano Ronaldo The undoubted GOAT of Football by Sourish Das Robibarer Royak

অতিরিক্ত সময়ের পরেও গোল না হওয়ায় শেষমেষ খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। সেই সময়ে পর্তুগালের হয়ে প্রথম শট নিতে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। তবে সেই সময় ভুল করেননি তিনি। মাথা ঠান্ডা রেখে গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে জালে বল জড়িয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর এর সুবাদেই কোয়াটার ফাইনালে পৌঁছায় পর্তুগাল।

তবে তিনি কি শুধুই পেনাল্টি দিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন দলকে? তেমব ভাবা একেবারেই বোকামি হবে। ২০১৬ সালের ইউরো কাপের কথাই ধরা যাক। সেই সময়, পর্তুগাল ছিল একেবারেই আন্ডারডগ। বরং ফ্রান্সে সেই সময় রয়েছেন বাঘা বাঘা খেলোয়াড়েরা। অলিভিয়া জিরু, আন্তোইনি গ্রিজম্যান, পল পোগবা রয়েছেন নিজের জীবনের সেরা ফর্মে। অন্যদিকে, চোট সমস্যায় জর্জরিত পর্তুগাল অনেকটাই পিছিয়ে। রোনাল্ডোর প্রায় একার লড়াইয়ের ভর করেই ২০১৬ সালের ফাইনালে পৌঁছয় পর্তুগাল।

ফাইনাল ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ২৪ মিনিট সেই সময় গুরুতর আঘাতে মাঠের বাইরে চলে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেই জায়গা থেকে কেউই ভাবতে পারেননি, ২০১৬ সালে পর্তুগাল হবে ইউরোপ সেরা। তাই ব্যান্ডেজ নিয়েও রোনাল্ডো ফিরে এলেন মাঠে। খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই নয়, কারণ ততক্ষণে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তার বদলে খেলতে নেমেছেন কোয়ারেজমা। কিন্তু, চিয়ারলিডিং করেও যে ফাইনাল জিতে নেওয়া যায়, সেটা সেদিন প্রমাণ করে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো।

হাফ টাইমে সতীর্থদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি বলেছিলেন, "মাঠে এখন আমি নেই। কিন্তু আমি চাই তোমরা নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখো। এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। ভুল করেও লড়াই করা ছেড়ো না। আমরা জিতবই।"

Cristiano Ronaldo The undoubted GOAT of Football by Sourish Das Robibarer Royak

খেলার ৭৯ মিনিটের মাথায়, সানচেজের সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামলেন এডার লোপেজ। ওই ম্যাচের আগে পর্যন্ত, তিনি একটাও গোল করতে পারেননি নিজের দেশের হয়ে। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন ওই সাবস্টিটিউট প্লেয়ার। এডার যখন মাঠে নামছেন সেই সময় ক্রিশ্চিয়ানো তাঁকে কানে কানে কিছু কথা বলে দিয়েছিলেন। আর সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন এডার। ফলাফল পর্তুগালের ইউরো জয়। ১০৯ মিনিটের মাথায় অনেকটা দূর থেকে ডান পায়ে সজোরে ফ্রান্সের গোলপোস্টের দিকে বল এগিয়ে দিলেন এডার। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস ধারণাই করতে পারেননি, ডি বক্সের বাইরে থেকে এইরকম শট নেবেন তিনি। ফলে লরিস একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। বল সোজা তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল জালে। ইতিহাস রচনা করে ফেললেন এডার লোপেজ।

এখন তার জীবনের সাফল্য বা সম্পদ কোনটাই খুব একটা কম কিছু নয়। তবে তার শুরুটা একেবারেই সহজ ছিল না। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে তবে এই জায়গায় এসেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গরিব পরিবারে জন্ম। বাবা হোসে দিনিস ছিলেন মিউনিসিপ্যাল বাগানের মালি। মা মারিয়া ডলোরেস সে সময় বাড়িতে বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। চার ভাই বোনের পরিবারের রোনাল্ডো ছিলেন সব থেকে ছোট। সকলের খুব আদরেরও ছিলেন তিনি। আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রিগানের নাম অনুসারে সেই সময় তার নাম রাখা হয়েছিল রোনাল্ডো।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফুটবল রোনাল্ডোর প্রথম পছন্দ হয়ে উঠতে শুরু করে। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে পায়ে তাঁর ফুটবল। তবে খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না তার জন্য। যখন তাঁর বয়স মাত্র আট, সেই সময় স্থানীয় এক অপেশাদার ফুটবল ক্লাবে খেলার সুযোগ পান। এর কয়েক বছর পর আসে মাদেরার জনপ্রিয় ফুটবল দল সিডি ন্যাশনাল ক্লাবে খেলার সুযোগ। ১৯৯৬ সালে পর্তুগালের অন্যতম সেরা ক্লাব স্পোর্টিং লিজবনে খেলার সুযোগ পান রোনাল্ডো। জীবনের এই জায়গায় নিজের পরিবারকে ছেড়ে অনেকটা দূরে চলে আসতে হয়েছিল রোনাল্ডোকে। কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে কখনও আত্মবিশ্বাস হারাতে দেখা যায়নি রোনাল্ডোকে।

ওই ক্লাবে খেলার সময় থেকেই তার স্কিল দেখে সবাই চমকে যেতে শুরু করে। তার দ্রুততা এবং তীব্রতা মাঠে এতটাই বেশি থাকত যে, কেউ পেরে উঠতো না তাঁর সঙ্গে। আর এত বছর পরেও, রোনাল্ডোর গতি কিন্তু একই রকম রয়ে গিয়েছে ফুটবলের মাঠে। লিসবনে খেলার সময় থেকেই বিশ্বের ফুটবলারদের চোখে পড়তে শুরু করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেই ক্লাব থেকেই সরাসরি তিনি খেলার সুযোগ পান ইংল্যান্ডের তৎকালীন সফলতম ফুটবল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে। সেটা যেন তার কাছে একটা স্বপ্ন পূরণের মত। ডেভিড বেকহামের ছেড়ে যাওয়া সাত নম্বর জার্সি গায়ে জড়ালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর সেদিন থেকেই তিনি হয়ে উঠলেন সি আর সেভেন। 

Cristiano Ronaldo The undoubted GOAT of Football by Sourish Das Robibarer Royak

এরপর ম্যানচেস্টার থেকে রিয়াল মাদ্রিদ - এই সময়টায় সাফল্যের একেবারে চূড়ায় ছিলেন রোনাল্ডো। সাফল্যের এই ধারা চলমান ছিল ইতালির ক্লাব জুভেন্তাসের হয়েও। এরপর আবারো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তার ফিরে আসা ছিল আরও একটা স্বপ্নের মতো। কিন্তু সেটা বেশি দিনের জন্য স্থায়ী হয়নি। বিতর্ক ছড়িয়ে এই মুহূর্তে তিনি সৌদি লিগে আল নাসেরের হয়ে খেলছেন পুরোদমে। অনেকে বলেন তিনি এখন শুধু টাকার জন্য খেলেন। অনেকে আবার বলছেন তিনি নিজের সেরা সময়টা হারিয়ে ফেলেছেন। হয়তো তিনি কিছুটা ফিকে হয়েছেন, তবে হারিয়ে যে যাননি এটা বারেবারে প্রমাণ করেছেন এই তারকা। লিওনেল মেসির সঙ্গে তাঁর লড়াইটাও জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

আরও পড়ুন: মেসি-রোনাল্ডোর সঙ্গে এক মঞ্চে বিগ বি! আরব্য রজনীর দ্বৈরথে যে ভাবে জুড়ে রইল ভারতও

এই শেষ বয়সে এসেও মাঠে ঝড় তুলছেন রোনাল্ডো। হয়তো আর খুব বেশিদিন ফুটবলপ্রেমীরা তাঁকে দেখতে পাবেন না। কারণ বয়স। এখন তিনি ৩৮। তাই তাঁকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করাটা খুব একটা সঠিক কাজ হবে না। তাঁর জায়গায় দলে অন্য একজন স্ট্রাইকার তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে রাতারাতি নতুন স্ট্রাইকার তৈরি তো আর মুখের কথা নয়। তাই হয়তো এবারের ইউরোতে রোনাল্ডোর উপরেই ভরসা রেখেছেন কোচ। রবার্তো মার্টিনেজ বারবার বলছেন, রোনাল্ডোর থেকে এবারে আমরা ভালো কিছু পাব। এখনো হয়তো রোনাল্ডো সেটা করতে পারেননি। তবে, ইউরোতে পর্তুগালের দৌড় এখনো বাকি। রোনাল্ডো কি পারবেন কোচের স্বপ্ন পূরণ করতে? আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের একটা পুনর্জন্ম কি ঘটতে পারে এই ২০২৪ ইউরোতেই? সেটা দেখার জন্য আমাদের আরো কিছুদিনের অপেক্ষা করতেই হবে।

More Articles