২০৭১ সাল দেখাবে এই 'ভবিষ্যতের জাদুঘর'! কী কী আছে এর অন্দরে, জানলে আঁতকে উঠবেন
Museum of Future in Dubai: এই জাদুঘরকে নিছক মিউজিয়াম বললে সবটা বলা হয় না। বরং একে ডাকা যেতে পারে টাইম ক্যাপসুল নামে, যা আপনাকে ভবিষ্যতে নিয়ে যাবে।
দুবাই! শুনেই সোনা, তেল, বুর্জ খলিফা, সাদা জোব্বা ঢাকা শেখদের কথা মাথায় আসাই স্বাভাবিক। নিজের সম্পদের আতিশয্য দিয়ে বরাবর পৃথিবীকে তাক লাগিয়েছে দুবাই। একের পর এক বিস্ময় জাগানো স্থাপত্য গড়ে পৃথিবীর প্রযুক্তিকে বারবার চ্যালেঞ্জ করতে ভালোবাসে দুবাই। এবার এক বিচিত্র জাদুঘর গড়ে রেকর্ড গড়েছে সে। মনুষ্যসৃষ্ট এই জাদুঘরকে নিছক মিউজিয়াম বললে সবটা বলা হয় না। বরং একে ডাকা যেতে পারে টাইম ক্যাপসুল নামে, যা আপনাকে ভবিষ্যতে নিয়ে যাবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই উদ্বোধন করা হয়েছে এই জাদুঘরের। শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আরবি কবিতার অংশ ক্যালিগ্রাফিতে খোদাই করা হয়েছে এই জাদুঘরের বহিরাঙ্গে, যা পুরোটাই তৈরি স্টিল দিয়ে। চোখের আকৃতির এই জাদুঘরে কোনও পিলার নেই, কোনও কোণ নেই এবং প্রাকৃতিক আলোর বিস্ময় এখানে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করবেই।
এই জাদুঘরের পঞ্চম তলায় রয়েছে সত্যিকারের একটি স্পেস স্টেশন, যা নাসা অনুমদিত। চতুর্থ তলায় রয়েছে সত্যিকারের রেন ফরেস্ট। উড়ন্ত ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, রোবোটিক কুকুরের মতো অদ্ভুত সব জিনিস দিয়ে ভরা দ্বিতীয় তল! এই বিস্ময়কর কাঠামোটির নকশা করেছেন শিল্পী মাত্তার বিন লাহেজ এবং ডিজাইনার শন কিল্লা।
আরও পড়ুন- আর কিছুদিনেই পরিত্যক্ত নগরী হতে চলেছে রাজধানী দিল্লি! বিষের বাষ্পে যে ইঙ্গিত
ভবিষ্যতের এই জাদুঘরের মূল বিষয় তিনটি, মানবতা, পৃথিবী এবং মহাকাশ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং মানব-মেশিনের মতো বিষয়গুলির উপর তাক লাগানো উচ্চ-প্রযুক্তির গবেষণা করা হয়েছে এই জাদুঘরে। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, আধ্যাত্মিকতা, মানুষের ভবিষ্যৎ এবং মহাকাশ নিয়ে অবাক করা প্রদর্শনীর আয়োজন রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ও সেরা এই জাদুঘরে। দুবাইয়ে গিয়ে এই জাদুঘরে ঢুকতে ভারতীয় মুদ্রায় আপনাকে খসাতে হবে প্রায় ৩,২২২ টাকা।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডং বুর্জ খলিফা থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে শহরের প্রধান সড়ক শেখ জায়েদ রোডের উপর অবস্থিত ভবিষ্যতের এই সাততলা জাদুঘর। এই জাদুঘরের ভেতরে ঠিক কী কী আছে, এ বলে বা লিখে বোঝানো কার্যত অসম্ভব। কারণ জাদুঘর কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, ডিজাইন এবং প্রযুক্তির উদ্ভাবনে এখানে এমন কিছু ঘটানো হয়েছে যা মানুষকে নিয়ে যাবে সোজা ২০৭১ সালে! মহম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টার টুইট করে জানিয়েছিল, “৭৭-মিটার-লম্বা এই স্থাপত্য বিস্ময় বিশ্বের সবচেয়ে সুবিন্যস্ত বিল্ডিং।”
আরও পড়ুন- চুলের ওজন এক কেজি, দৈর্ঘ্যে ৭ ফুট! যা দেখতে এই গ্রামে আসেন সারা পৃথিবীর পর্যটক
৩০,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই সাততলা জাদুঘরটি এই ভবনের সঙ্গেই যুক্ত একটি স্টেশন দ্বারা উত্পাদিত ৪,০০০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি দ্বারা চালিত হয়। জাদুঘরের আশেপাশে প্রায় ৮০ প্রজাতির গাছপালা রয়েছে যার দেখভাল করে অত্যাধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় সেচ ব্যবস্থা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এই জাদুঘরটিকে বিশ্বের ১৪ টি সবচেয়ে সুন্দর জাদুঘরের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।