নেই নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি! ইস্তফা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী!

Dutch PM Cycling: নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের বয়স ৫৬ বছর। সাইকেল চালাতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন তিনি।

তাঁর মেয়াদ শেষ। বিদায়ের পালা। নেদারল্যান্ডসে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। ১৪ বছরের মেয়াদ শেষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট যখন বিদায় নিচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে, তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন সাইকেলে। কোনও বাড়াবাড়ি রকমের নিরাপত্তা নেই, উপচে পড়া ভিড় নেই। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো, আর দশটা সাধারণ দিনের মতোই একজন মানুষ সাইকেলে চেপে বেরিয়ে যাচ্ছেন অফিস থেকে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট হেগে তাঁর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে সাইকেলেই বেরিয়ে যান৷ রুটের জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান ডিক শুফ। রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের সভাপতিত্বে একটি অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি।

নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের বয়স ৫৬ বছর। সাইকেল চালাতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন তিনি। আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মতোই সাইকেলে চড়েন তিনি! ডাচ দেশ নেদারল্যান্ড অবশ্য সাইকেলের জন্যই বিখ্যাত। সাইকেল চালানো এদেশের ঐতিহ্যের মধ্যেই পড়ে।

 

আরও পড়ুন- পরিবেশ বাঁচাতে সাইকেল চালাচ্ছেন? সবচেয়ে বেশি মৃত্যুমুখে পড়ছেন আপনিই

মার্ক রুট আগেও বলেছেন, গত দশ ১০ বছর ধরে খুব বেশি সাইকেল চালাননি রিনি কিন্তু গত দুই বছর ধরে ইচ্ছে হলে সাইকেলেই যাতায়াত সেরেছেন। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী কোনও নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি ছাড়া সাইকেলে চেপেই অফিসে যেতেন। ডাচরা বরাবরই সাইক্লিং পছন্দ করে। নেদারল্যান্ড ছোট্ট একটা দেশ। দূরে যেতে হলে গাড়ি ছাড়া বিকল্প নেই ঠিকই কিন্তু আশেপাশে, অল্পদূরে যেতে হলে সাইকেলই ভরসা। যানজটও কমে আর পরিবেশের জন্য সাইকেলের থেকে ভালো কীই বা হতে পারে। প্রায় ১৯ শতকের শেষের দিক থেকে সাইকেলে যাতায়াতেই অভ্যস্ত এদেশের মানুষ।

 

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বয়স ৫০ পেরোলে সাইকেল চালানো খুব কাজের কাজ। শুধু পরিবেশের জন্য নয়, নিজের স্বাস্থ্যের জন্যও। কার্ডিয়াক ফিটনেসের জন্য সাইকেল চালানো অন্যতম সেরা ব্যায়াম। শুধু ৫০-৬০ বছরের জন্য নয়, সব বয়সের জন্যই সাইকেল চালানো অত্যন্ত ভালো। হার্টের পাশাপাশি হাঁটুর জন্যও সাইকেল চালানো অত্যন্ত জরুরি। হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিস থাকলে সাইকেল চালানো উপকারি। সাইকেল চালালে হ্যামস্ট্রিং এবং কোয়াড্রিসেপ ব্যায়াম হয়ে যায় যা হাঁটুর তরুণাস্থির ক্ষয় কমাতে এবং অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমাতে আরও সাহায্য করতে পারে।

এমনকী যারা নিয়মিত দৌড়ান, তাঁদেরও সপ্তাহে দুই দিন সাইকেল চালানো উচিত হাঁটু বা গোড়ালির আঘাতের ঝুঁকি কমাতে। প্রতিদিন দৌড়লে গোড়ালিতে চাপ পড়েই। সাইকেল চালালে ওজন হ্রাস পায়, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও কমে।

More Articles