জ্ঞানবাপী আসলে ব্যর্থতা লুকনোর গোদি-মিডিয়া পালা

প্রশ্ন ওঠে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে। প্রেস কাউন্সিলের নির্দেশ মানলে মিডিয়ার উচিত ছিল, এই বিষয়টিকে সংবেদনশীল না করে তোলা, কারণ এর মধ্যে প্রত্যক্ষ সাম্প্রদায়িক ইন্ধন রয়েছে।

এই মুহূর্তে দেশজুড়ে জ্ঞানবাপী নিয়ে কথা চলছে। কিন্তু সমস্যার শিকড় কিন্তু জ্ঞানবাপী ছাড়িয়েও কিছুটা গভীরে। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদের সময় থেকেই সংঘ-ঘনিষ্ঠরা বলেছিল, ‘ইয়ে তো স্রিফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী­-মথুরা বাকি হ্যায়’। অনেকেই বলছেন, ওটা আসলে ট্রেলার ছিল, সিনেমার শুভমুক্তি আসন্ন। সেই সিনেমার পর্দাই যেন উদ্ভাসিত হচ্ছে। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে তাজমহলে গেরুয়াধারীরা পুজো করতে চাইছে। সপ্তম আশ্চর্য নিয়ে জমে উঠছে সাম্প্রদায়িক তরজা। এখানে মনে রাখা দরকার, ১৯৯১ সালের একটি আইন -দ্য প্লেসেস অফ ওরশিপ অ্যাক্ট, ১৯৯৬ সালে প্রযুক্ত হয়েছিল, যা বলছে, ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িয়ে আছে, এমন কোনও স্থাপত্যকে হস্তান্তর করা কার্যত সম্ভব নয়। বারাণসী আদালত থেকে যখন সুপ্রিম কোর্টে জ্ঞানবাপীর মামলা এল, তখন সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সেই আইনের কথা মনে করাল না, উল্টে মামলা আবার ফেরত পাঠাল নিম্ন আদালতে। ফলে মামলা চলতেই থাকল, বিষয়টা জিইয়ে থাকল।

এখানেই প্রশ্ন ওঠে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে। প্রেস কাউন্সিলের নির্দেশ মানলে মিডিয়ার উচিত ছিল, এই বিষয়টিকে সংবেদনশীল না করে তোলা, কারণ এর মধ্যে প্রত্যক্ষ সাম্প্রদায়িক ইন্ধন রয়েছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম, যাদের আমরা গোদি মিডিয়া বা ল্যাপডগ মিডিয়া বলে চিনি, তারা কী করল? তারা এই ঘটনার দীর্ঘসূত্রিতার সুযোগ নিল। একদিক থেকে ধর্মান্ধদের কাছে টানা, অন্যদিকে দক্ষিণপন্থীরা, যারা দেশ চালায়, এবং ক্রোনি ক্যাপিটাল বা ভাই­­-বেরাদরির পুঁজিবাদী গোষ্ঠীর সুনজরে থাকার জন্য ঘটনাটি নিয়ে বাজার গরম করতে থাকল তারা। সন্ধেবেলা নিয়ম করে প্যানেল বসাল। বিতর্কের বিষয় তাজমহলের অন্দরে কী রয়েছে, যারা তাজমহলে পুজো করতে চাইছেন তাদের দাবি কতটা যথাযথ। এর ফলে আড়ালে কী চলে গেল? দেখা যাক।

কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদি নিজে বাইডেনকে প্রতিশ্রুতি দিলেন, ইউক্রেন তো পৃথিবীর গমের ভান্ডার, তাদের কাছে গম না পাওয়া গেলেও অসুবিধে নেই। ভারত তার বিপুল গমের জোগান থেকে সরবরাহ দেবে বিশ্বকে। এভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে আশা জাগানো একটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশের সরকার কী করল? এর কিছুদিন পরেই রপ্তানি নীতি পাল্টাল ভারত। কেন? কারণ, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানায় ১২২ বছরে এই তাপমাত্রা হয়নি। ফলে, আগে যেখানে ১ কিলো গম থেকে ৭৭০ গ্রাম আটা পাওয়া যেত, সেখানে এখন ১ কিলো গম থেকে ৭২০ গ্রাম আটা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গম নিয়ে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে, যতদিন না গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষা আসছে। রপ্তানি নীতির ক্ষেত্রে সিমেন্ট, চিনির ক্ষেত্রেও ভারত অবস্থান বদলেছে। এর ফলে ভারতের মুখ পুড়ছে বিশ্বের বাজারে। মিডিয়ার উচিত ছিল সেই সত্য তুলে ধরা। পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে করোনায় অনাথ হওয়া শিশুদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। তার মানে করোনায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরির নির্ধারিত অর্থ ব্যবহার হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ মেকিংয়ে। জ্ঞানবাপীতে শিবলিঙ্গ আছে কি না, তার চেয়ে জরুরি ছিল এই প্রশ্ন তোলার জায়গাটা। কিন্তু তথাকথিত গোদি মিডিয়া, যারা সরকারকে ভয় পায়, তুষ্ট করে চলে, তারা সেই ভূমিকা পালন করল না।

আরও পড়ুন: গদ্দার কে, যারা ভোট দিয়েছিল, তারাই বিচার করুক

এবার একটা অন্য দিকে আলো ফেলা যাক। জ্ঞানবাপীকে কারা, কোন লাভের আশায় তুলে ধরছে? যারা জ্ঞানবাপী নিয়ে আওয়াজ তুলছে, সে অর্থে তারা কেউই সরাসরি বিজেপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। জেপি নাড্ডা সম্প্রতি বলেছেন, এটা সাংবিধানিক বিষয়। আদালত এবং সংবিধান অনুযায়ী এটা নির্ধারিত হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার কথা যদি আমরা ধরি, তাহলে বুঝে নিতে হবে, এটাই বিজেপির আনুষ্ঠানিক অবস্থান। আরএসএস-ও কিন্তু এই নিয়ে সরাসরি কিছু বলছে না। কেন? একটু ইতিহাসের দিকে চোখ রাখা যাক।

কাশী, মথুরা এবং অযোধ্যা নিয়ে পাঁচের দশক থেকেই কথা চলছে। তিনবার, ১৯৬৯, ১৯৮৭, ২০০৩ সালে, আরএসএস-­এর তিনটি রেজোলিউশন পাস হয়েছে। ১৯৬৯ সালের প্রস্তাবনার নাম ছিল 'যেসব মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে প্রস্তাবনা'। অর্থাৎ, বারবার এই নিয়ে চর্চা হয়েছে আরএসএস-এর অন্দরে। কিন্তু সংগঠিত কোনও আন্দোলন হয়নি। হিন্দুত্বের  মশাল বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার যে সক্রিয়তা, তা শুরু হয় ১৯৮১ সালে। সামগ্রিকভাবে হিন্দুত্ববাদীরা সেসময় বর্ণবৈষম্য সরিয়ে রেখে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিংঘলের নেতৃত্বে এই আন্দোলন গতি পায়। এরপর ১৯৮৪ সালে ধর্ম সংসদ হয়, সেখানেও কথা হয় কাশী-মথুরা-অযোধ্যা-অযোধ্যা নিয়ে। কিন্তু আরএসএস সেই সময় পাখির চোখ ক‍রেছিল কেবল অযোধ্যাকে।

২০০৩ সাল থেকে আরএসএস ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে। ২০১৪-তে মোদি জমানা শুরু হয় যখন, তখন অশোক সিংঘল দাবি করে বসেন, ভারতে এমন ৩০,০০০ ধর্মস্থান রয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে হিন্দুদের, তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। এর সূত্র ধরেই ২০১৯-এর নভেম্বরে আমরা দেখলাম, রামমন্দির নিয়ে রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, এবার আরএসএস-এর লক্ষ্য হচ্ছে, চরিত্র নির্মাণ। অর্থাৎ, দৃষ্টান্ত নির্মাণ হয়ে গেছে, সরাসরি আর কোনও সক্রিয়তা নয়, তারা নেপথ্যে থেকে সমর্থন জোগাবে বাকি হিন্দুত্ববাদীদের। আরএসএস চেয়েছিল, ভারতে হিন্দুত্বের একটা মানসলোক তৈরি হোক। ২০১৯-­এ সর্বোচ্চ আদালত যখন শতাব্দীপ্রাচীন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিল, এবং তাও সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্পের ওপর ভিত্তি করে। দেশে হিন্দুত্ববাদী মানসপট তৈরি হয়েই গেছে। বিরোধী দলগুলিও তো হিন্দুত্বকে প্রচ্ছন্নভাবে সামনে রেখেই এগোচ্ছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল শপথ নেন হনুমান চালিশা হাতে নিয়ে। রাহুল গান্ধী শিবপুজো করেন। আমাদের দেশের প্রধান পরিচিতি, দেশের মননের প্রধান সুর এখন বিজেপি নির্মিত হিন্দুত্ব-ঘেঁষা। দেশের মানসকল্প হিন্দুত্বের রঙে রাঙানো হয়ে গেছে। আরএসএস-এর এই ধর্মীয় আফিম খাওয়ানোর নেশা ধরিয়ে সরে যাওয়ার নেপথ্যে এই ভাবনাই রয়েছে যে, যুদ্ধ তো তুমি করবেই, হিন্দুত্বের ডিএনএ-কে স্রেফ উসকে দিয়েছে তারা। আরএসএস­-এর এই নির্লিপ্তিটাই এখন তাদের পুঁজি। তাদের আর উসকানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষই তো হিন্দুত্ববাদের ধ্বজাধারী, তারা সংখ্যালঘুকে দ্বিতীয় শ্রেণির ভাবেন, ভাবেন এটাই স্বাভাবিক।

আরএসএস আরও যে কারণে চুপ, তা হলো মোদি-শাহ সরকারের সঙ্গে দূরত্ব। মুরলী মনোহর যোশী বা লালকৃষ্ণ আদবানির মতো নৈকট্য মোদি-শাহর সঙ্গে আরএসএস-এর এই মুহূর্তে নেই। আরএসএস মোদি সরকারের প্রত্যক্ষ সমালোচনাও করেছে সাম্প্রতিক অতীতে। ২০২৪-এ মোদিকেই মুখ হিসেবে আরএসএস দেখতে চায় কি? সংশয় রয়েছে তা নিয়েও। মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের নাম বারবার উঠে আসছে, কারণ আদিত্যনাথ অনেক বেশি সংঘ-ঘনিষ্ঠ। তাই আরএসএস এজাতীয় কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলে মোদি সরকারকে পাইয়ে দিতে চায় না, নীরবতার রাজনীতিটাই পালন করতে চায় তারা।

২০১৪-তে জনবিচ্ছিন্ন ইউপিএ সরকারকে সরিয়ে বিজেপি এল। প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি, যিনি প্রেস কনফারেন্স করেন না, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন না। 'মন কি বাত' বা ট‍্যুইটারের সূত্রে মোদির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ মানুষের। এর ফলে পোস্ট ট্রুথ নির্মাণের এক নতুন প্রক্রিয়া শুরু হল। পুলওয়ামা, বালাকোট বা বিমুদ্রাকরণ- সব ক্ষেত্রেই এই পোস্ট ট্রুথ আখ্যানের খেলা। অর্থাৎ, এমন একটা আপাত সমাধান তুলে ধরা, যাতে বিপর্যয়গুলি ঢাকা পড়ে যাবে। জলের উপরিতলে কাশী-মথুরা থাকলে সমর্থন আদায় আরও সহজ হয়। চাপা পড়ে যায় অনেক সত্যিই। তার প্রয়োজন আছে, কারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এই বছরের এপ্রিল মাসে দেশের হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স ছিল ১৫-র ওপর, রিটেল প্রাইস ইনডেক্স ছিল ৮। দেশে মূল্যবৃদ্ধি চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ভয়ংকর বেড়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই। অতিমারী-পরবর্তী অবস্থায় চাকরি তৈরি হচ্ছে না। পেট্রোলের দাম বাড়ার সময় শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া হল পেট্রোল। গম রপ্তানির ক্ষেত্রে মুখ পুড়ল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বারবার মুখ পুড়ছে দেশের। বৈষম‍্যে ভারত বিশ্বের অনেককে পিছনে ফেলে দিয়েছে। অসংগঠিত অংশের দিকে কোনওরকম নজর নেই সরকারের। উজ্জ্বলা যোজনায় যারা গ্যাস নিয়েছে, তাদেরও নাভিশ্বাস উঠছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত ক্রমাবনতি ঘটে চলেছে। সম্প্রতি লখিমপুরের আট বছরের এক নাবালিকার ধর্ষণই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। এই অবস্থায় সুশাসনের প্রতিশ্রুতির বদলে জ্ঞানবাপীই হতে পারে আসল দাওয়াই। এই মুহূর্তে কোনও ভোট নেই। ফলে বিজেপির এই নিয়ে সক্রিয় হওয়ার কোনও কারণ নেই। বিজেপির বদলে জনগণ, সংবাদমাধ্যমই তো এই উদ্দেশ্য পূরণ করে দিচ্ছে। ভুখা ভারতের পেটে ভাত নেই, কিন্তু ধর্মের আফিমে সে বুঁদ‌।

এর ফলে সহজেই চাপা পড়ে যাচ্ছে সরকারের সব ব্যর্থতা‌। পিএম কেয়ার ফান্ডের মতো দুর্নীতি ঢাকা পড়ে যাবে, রাফাল নিয়ে কোনও কথা হবে না। তলে তলে সাংগঠনিক রদবদল ঘটিয়ে নিজেদের বাস্তুতন্ত্র ২০২৪­-এর আগে ঠিক করবে বিজেপি। তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেবের অপসারণ, দিলীপ ঘোষকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তর। এর সঙ্গেই রয়েছে অন্তর্ভুক্তিকরণ। পাঞ্জাবের কংগ্রেসের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভাবা হচ্ছিল যাকে, সেই সুনীল জাখর বিজেপিতে যোগ দিলেন।  বিজেপিতে যোগ দিলেন হার্দিক প্যাটেল। এই সবই ২০২৪ মাথায় রেখে করা।

এর মাঝে সম্প্রতি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে ইডি গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গে টানা আসছে সিবিআই। দুর্নীতি হলে দুর্নীতি দমন হবে, তাই কাম্য। কিন্তু এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম যদি সব বিজেপি-বিরোধী রাজ্যে এক হয়, তাহলে তো বলতে হয়, ক্ষমতাকেন্দ্র তার হাতিয়ার ব্যবহার করছে। দুর্নীতি দমন নয়, বিরোধীদের চাপে রাখা, বিজেপি­-বিরোধী রাজ‍্যে সাঁড়াশি আক্রমণই উদ্দেশ্য।

এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, দেশের সাপেক্ষে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই। শত্রুপক্ষই যদি না থাকে তবে কেন শ্রম! যখন জ্ঞানবাপী বা কাশী-মথুরাকে সামনে রাখা হচ্ছে, তখন কেউ চিৎকার করে অক্সফ্যামের রিপোর্ট তলব করবে না। এখানেই বিজেপির সুবিধে। হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় মানসলোক তাদের কাছে আসলে সমর্পিত। আরএসএস-এর ১০০ বছর আসছে। বিজেপির পাখির চোখ ২০২৪। আর এই সামগ্রিক ব্যবস্থায় কোনও উদয়ন পন্ডিত এলেই তার জন্য রয়েছে ইউএপিএ। রাজ্যের পাশাপাশি ব্যক্তিকেও চাপ দেওয়ার সাঁড়াশি আছে। রাষ্ট্র উমর খালিদ, শার্জিল ইমাম, গৌতম নওলাখা বা স্ট্যান স্বামীকে সামনে রেখে ভয় দেখিয়েছে, দেখিয়েছে, রাষ্ট্রের বিরোধিতা করলে কী ঘটতে পারে। সাংবিধানিকভাবেই তা করা হয়েছে। সংবিধানকেও করায়ত্ত করেছে এই সরকার। 'সেকুলার' শব্দের মতো সোনার পাথরবাটি কবে সংবিধান থেকে উঠে যায়, তার জন্যই যেন এখন অপেক্ষা। 

More Articles