চাঁদে পা রাখা দ্বিতীয় ব্যক্তি! ৯৩ বছর বয়সের জন্মদিনেই বিয়ে করলেন এডুইন বাজ অলড্রিন!
Edwin Buzz Aldrin: চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, তাঁর পরেই নামেন এডুইন এলড্রিন। তিনিই অ্যাপোলো ১১ মিশনের একমাত্র জীবিত সদস্য।
চাঁদে পা রেখেছিলেন তিনি। নীল আর্মস্ট্রং আর এডুইন অলড্রিন। সেটা সাল ১৯৬৯। জীবনের প্রায় সায়াহ্নে এসে আরেক রেকর্ডই গড়লেন চাঁদ ছুঁয়ে আসা মানুষ এডুইন অলড্রিন, যাঁকে বিশ্ব চেনে বাজ অলড্রিন নামেই। ৯৩ বছর বয়সে পা দিয়েছেন তিনি। আর এই ৯৩ বছর বয়সে এসে বিয়েও করলেন তিনি। ১৯৬৯ সালের অ্যাপোলো ১১ মিশনে চাঁদে পা রাখা তিনজন আমেরিকান মহাকাশচারীর অন্যতম বাজ অলড্রিন ২০ জানুয়ারি, নিজের ৯৩তম জন্মদিনেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই সেরেছেন জীবনের চতুর্থ বিয়েটি। ডঃ আঙ্কা ফাউরের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে বিয়ে করেছেন বাজ।
"আমার ৯৩ তম জন্মদিনে এবং যেদিন আমি লিভিং লেজেন্ডস অব এভিয়েশন দ্বারাও সম্মানিত হব, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম ডাঃ আঙ্কা ফাউর এবং আমি গাঁটছড়া বেঁধেছি,” বাজ লিখেছেন টুইটে। বন্ধু, সহকর্মী এবং অনুগামীদের অভিনন্দন বার্তায় ভেসে গিয়েছেন বাজ। আঙ্কা ফাউরের সঙ্গে বিয়ের আগে বাজ অলড্রিন তিনবার বিয়ে করেছেন এবং তিনবারই বিচ্ছেদও হয়েছে।
চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, তাঁর পরেই নামেন এডুইন এলড্রিন। তিনিই অ্যাপোলো ১১ মিশনের তিন সদস্যদের মধ্যে একমাত্র জীবিত সদস্য। Buzz Aldrin এবং Anca faur-এর কর্মজীবন সম্পূর্ণ পৃথক। অ্যারোস্পেস রিসার্চ পাইলট স্কুলের কমান্ড্যান্ট হিসেবে কাজ করার আগে বাজ অলড্রিন ১৯৭১ সালে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা থেকে অবসর নেন। কিন্তু আঙ্কা ফাউর কে?
On my 93rd birthday & the day I will also be honored by Living Legends of Aviation I am pleased to announce that my longtime love Dr. Anca Faur & I have tied the knot.We were joined in holy matrimony in a small private ceremony in Los Angeles & are as excited as eloping teenagers pic.twitter.com/VwMP4W30Tn
— Dr. Buzz Aldrin (@TheRealBuzz) January 21, 2023
আরও পড়ুন-ঘরে ২০ জন স্ত্রী, বিয়ে করেছেন নিজের মেয়েকেও, স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কাণ্ড দেখে মাথায় হাত পুলিসের
আঙ্কা ফাউরের জন্ম ১৯৫৯ সালের ১৪ মে। আঙ্কা একজন চিকিৎসক এবং বর্তমানে বাজ অলড্রিনের কোম্পানি, বাজ অলড্রিন ভেঞ্চারসের কার্যনির্বাহী সহ সভাপতিও। ১৯৯৬ সালে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন আঙ্কা। ৬৩ বছর বয়সী এই চিকিৎসক ইউনিয়ন কার্বাইডের একটি প্রজেক্টের নেতৃত্ব দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে জনসন ম্যাথি ফুয়েল সেলের জন্যও কাজ করেন তিনি।
এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া হাইড্রোজেন বিজনেস কাউন্সিলের বোর্ড সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন আঙ্কা। তবে সংবাদ মাধ্যমে খুব একটা পরিচিত মুখ ছিলেন না তিনি। প্রাক্তন প্রবীণ মহাকাশচারী বাজ অলড্রিনের সঙ্গে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় চর্চা।
১৯৫৪ সালে জোয়ান আর্চারের সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয়েছিল বাজ অলড্রিনের, যদিও ১৯৭৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বেভারলি ভ্যান জিলের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন তিনি। বেভারলির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর ১৯৮৮ সালে লোইস ড্রিগস ক্যাননকে বিয়ে করেন বাজ। ২০১২ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বাজের তিন সন্তান- জেনিস, অ্যান্ড্রু এবং জেমস অলড্রিন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বাজ অলড্রিনের আনুমানিক মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার।