‘০.০০১% গাফিলতিও ভয়ঙ্কর’! NEET নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে NTA
NEET Row: গত ৫ মে দেশ জুড়ে মেডিক্যাল এনট্র্যান্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অন্তত ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নিয়েছিল। সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় গত ৪ জুন। তবে সেই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
গোটা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের ভার যাদের হাতে থাকবে, সেই ভবিষ্যতের ডাক্তারদের নির্বাচনের প্রক্রিয়াতে গাফিলতি ও কারচুপির অভিযোগ। NEET (নীট) পরীক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে, সেই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় তোলপাড় দেশ। ইতিমধ্যেই মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
সম্প্রতি ওই মামলায় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)-কেই বিঁধেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে,কোনও পক্ষের তরফেই যদি ০.০০১ শতাংশ অবহেলাও থাকে, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা হিসেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)-র স্বচ্ছ থাকাটা জরুরি। যদি তাদের তরফে কোনও ভুল থেকে থাকে, তা স্বীকার করে নেওয়া প্রয়োজন। তাতে অন্তত সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুন: NEET পরীক্ষার রেজাল্ট বাতিল! নতুন সংকটের মুখে ১,৫৬৩ জনের ভবিষ্যৎ
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায় ২০২৪ নীট পরীক্ষায় ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী। তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিএ-র বিশেষ কমিটি। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রশ্ন উঠে যায় নীট পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েও। সর্বভারতীয় নীট পরীক্ষার মাধ্যমেই দেশের স্নাতর স্তরের হবু চিকিৎসকদের নির্বাচন করা হয়। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই পরবর্তীকালে কাউন্সিলিং হয় এবং দেশেরে বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পান পড়ুয়ারা।
গ্রেস নম্বর দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ এবং মামলা দায়ের হতেই এনটিএ সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, ওই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল। তার পরিবর্তে ওই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ২৩ জুন সেই পরীক্ষা। যাঁরা সেই পরীক্ষা দিতে চাইবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নম্বর বাদ দিয়ে আসল নম্বরটিই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। নতুন পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে আগামী ৩০ জুন। গত ৫ মে দেশ জুড়ে মেডিক্যাল এনট্র্যান্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অন্তত ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নিয়েছিল। সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় গত ৪ জুন।
আরও পড়ুন:উপাচার্য কে হবেন, সেই নিয়েও রাজনীতি! রাজ্যপাল-সরকারের দ্বন্দ্বে গোল্লায় যাচ্ছে উচ্চশিক্ষা
তবে সেই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ রয়েছে, কোথাও ভুল প্রশ্নপত্র বিলির অভিযোগ। এমনকী ওএমআর শিট ছিঁড়ে যাওয়া, সেই কাগজ বিলিতে দেরির মতো অভিযোগও রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)-র দক্ষতা নিয়েও। এই পরীক্ষায় অন্তত ৬৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন, যারা ৭২০ নম্বরে ৭২০ পেয়েছেন। যাঁরা দিবারাত্র খেটে পরিশ্রম করে মেধার জোরে ওই নম্বর পেয়েছেন, নীট পরীক্ষায় গাফিলতির জেরে তাদের যোগ্যতাও প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। দেশের এত জরুরি একটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় এ হেন গাফিলতি ও অনিয়মের অভিযোগ স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোকেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে প্রশ্নের মুখে।