কতজন ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন সিএএ-তে? যে জবাব দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

Citizenship (Amendment) Act, 2019: যদি লক্ষ লক্ষ মানুষ নাগরিকত্ব না পেয়ে থাকতেন, অন্য দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে আসতেন তাহলে লম্বা লাইন পড়ার কথা আবেদন করার জন্য!

এই দেশ ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে উত্তাল হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে। টানা চলে আন্দোলন, বাধা পড়ে কোভিড মহামারীতে। তারপর বিষয়টি ধামাচাপাই ছিল। চলতি বছরের গোড়ার দিকে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দেশে সিএএ কার্যকরী হয়ে যায়। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, পড়শি মূল তিনটি দেশের সংখ্যালঘু মানুষ, যারা ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে পালিয়ে এসেছেন তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেই সময় মতুয়া ভোট কোন খাতে বইবে এই নিয়ে এ রাজ্যেও ব্যাপক ডামাডোল চলে। আইন পাশ হওয়ার পর থেকে এই এতকাল অবধি গঙ্গা, তিস্তা, কাবেরী দিয়ে প্রচুর জল বয়ে গিয়েছে। দেশের নতুন নাগরিক হলেন কতজন? নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের মতো পড়শি দেশ থেকে আসা কতজন পাকাপাকি এদেশের নাগরিকত্ব চাইলেন? হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কত নতুন ভোটার পেলেন বিজেপির মাথারা? সিএএ-তে আবেদন জমা পড়ল কত?

সিএএ যে আসলে বিশুদ্ধ একটি ভাঁওতাবাজি তা ক্রমেই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে গত ২ নভেম্বর মহম্মদ জিম নওয়াজ বলে এক ব্যক্তি একটি চিঠি লেখেন তথ্য জানার অধিকার আইনে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ২০১৯ সম্পর্কিত নিম্নলিখিত কিছু তথ্য চেয়েছিলেন তিনি:

১. গত ১১ মার্চ, ২০২৪-এ নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে কতজন মানুষ CAA-২০১৯-এর অধীনে indiancitizenshiponline.nic.in পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন?

২. আবেদনকারীদের মধ্যে কতজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কতজনকে বাতিল করা হয়েছে?

৩. ২০২৪ সালের ১১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত CAA-২০১৯-এর অধীনে indiancitizenshiponline.nic.in পোর্টালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কতজন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন?

৪. পশ্চিমবঙ্গের আবেদনকারীদের মধ্যে কতজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কতজনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে?

৫. CAA-২০১৯ অনুসারে, যারা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে কতজন লোক কোন কোন ধর্মের অন্তর্গত? প্রতিটি ধর্মের কতজন নাগরিককে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কতজনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে? (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমগ্র ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা করে তথ্য চেয়েছিলেন তিনি)

৬. যারা ভারতে ভোটার, অর্থাৎ যাদের EPIC কার্ড আছে তারা কি CAA-২০১৯-এর অধীনে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য?

আরও পড়ুন- মোদি জামানায় তুঙ্গে ধর্মের বিদ্বেষ! যেভাবে বেড়েছে হাড়হিম করা অপরাধ

১২ নভেম্বর জিম নওয়াজের এই আরটিআইয়ের জবাব পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোনও প্রশ্নেরই নির্দিষ্ট তথ্য সেখানে দেওয়া হয়নি। চিঠির উত্তরে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সহজলভ্য তথ্যই মন্ত্রক সরবরাহ করতে পারে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে CPIO-এর আরটিআই আইন, ২০০৫-এর অধীনে আবেদনকারীকে সরবরাহ করার জন্য তথ্য তৈরি বা সংকলন করার প্রয়োজন নেই।

যদি আবেদনকারী আরটিআই আইন, ২০০৫-এর ধারা ১৯ অনুসারে আপিল করতে চান, তাহলে আরটিআই আইন, ২০০৫-এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে তাঁকে তা করতে হবে প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (ফরেনার্স-১) প্রশান্ত লোখান্ডে)।

এবছরই মে মাসে দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ), ২০১৯-এর অধীনে আবেদনকারী ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিয়েছে। তবে এই আবেদনকারীদের মূল দেশ সরকার তখনও প্রকাশ করেনি। সরকারি এক সূত্র জানিয়েছিল, বেশিরভাগ আবেদনকারীই ছিলেন পাকিস্তানি হিন্দু। শুধু দিল্লিতেই যে ১৪ জন এই শংসাপত্র পেয়েছেন তারা ২০১৩ সালে পাকিস্তান থেকে এদেশে এসেছেন।

সরকারি সেই সূত্র দাবি করেছিল, দেশের অন্যান্য অংশে আবেদনকারীদের কাছে ডাকযোগে শংসাপত্র পাঠানো হচ্ছে। বেশিরভাগ পাকিস্তানি হিন্দু যারা বৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা গুজরাত, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং দিল্লিতেই বসবাস করছেন। মতুয়া এবং নমশূদ্র সহ পশ্চিমবঙ্গের কতজন মানুষ এবং অসমের ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) থেকে বাদ পড়ারা CAA-এর অধীনে আবেদন করেছিলেন কিনা তা তখনও জানা যায়নি। নাগরিকত্ব পোর্টালে আবেদনকারীদের মূল দেশ ঘোষণা করতে হবে এবং কমপক্ষে একটি নথি জমা দিতেই হবে যাতে প্রমাণ হবে যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে তাদের শিকড় রয়েছে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের এই মানুষরা কোনও নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাই তারা CAA-এর অধীনে আবেদন করতে অক্ষম।

দ্য হিন্দু বলেছিল, দিল্লিতে নাগরিকত্ব পাওয়া পরিবারগুলি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে আসার পর এই প্রথম তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিল। উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলার বাসিন্দা ঝুলা রাম, ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিকটবর্তী একটি মন্দিরের একজন পুরোহিত তাঁর ধর্মকে বৈধতা দিতে যোগ্যতার শংসাপত্রে সই করেছিলেন। CAA-এর অধীনে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো কোনও 'স্থানীয় স্বনামধন্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠান' দ্বারা জারি করা একটি যোগ্যতার শংসাপত্র। আরেক আবেদনকারী শীতল দাস জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সঙ্গে কাজ করা একটি স্থানীয় এনজিও তাঁর যোগ্যতার শংসাপত্রে সই করেছে।

গত ১১ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার ঠিক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে আইন পাশের চার বছরেরও বেশি সময় পর সিএএ বাস্তবায়ন করে। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-কে সংশোধিত করা হয় নাগরিকত্বের সুবিধার্থে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে ছয়টি অমুসলিম সম্প্রদায়ের - হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান, যারা সংখ্যালঘু হিসেবে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাদের জন্য CAA চালু হয়। এই সম্প্রদায়ের মানুষ যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।

indiancitizenshiponline.nic.in পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয় এদেশের নাগরিকত্ব চেয়ে। দ্য হিন্দু বলছে, ২৫,০০০ এর বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। তাহলে এই তথ্যগুলি যখন সহজভাবেই উপলব্ধ, কেন তা জিম নওয়াজকে দেওয়া হলো না? এর আগে তথ্য জানার অধিকার আইনেই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর বাসিন্দা অজয় বসু নাগরিকত্বের জন্য মোট কতজন আবেদন করেছেন সেই সংখ্যাটি জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল আরটিআই আবেদনের উত্তরে মন্ত্রক জানিয়েছিল, “নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এবং নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ এবং সেখানে প্রণীত নিয়মগুলিতে নাগরিকত্ব চেয়ে জমা পড়া আবেদনের রেকর্ড রাখার কোনও বিধান নেই। পাশাপাশি, আরটিআই আইন, ২০০৫ অনুসারে, CPIO [কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক] তথ্য তৈরি করার জন্য অনুমোদিত নন।”

তাহলে CAA যে হলো, তাতে দেশে নতুন কতজন নাগরিক হলেন সেই তথ্যই জানা যাচ্ছে না। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর যখন রাজ্যসভায় আইনটি পাস হয়েছিল, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি' মানুষ এতে উপকৃত হবেন। অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও'ব্রায়েন উল্লেখ করেছিলেন, গোয়েন্দা ব্যুরোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মোটামুটি ৩১,০০০ মানুষ এই আইনের সুবিধা পাবেন। অন্যদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছিলেন, সে রাজ্যে প্রায় তিন-ছয় লাখ মানুষ সিএএ-এর অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন এবং এই আবেদনকারীদের মধ্যে কেবল তারাই থাকবেন যারা সংশোধিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন। তিনি বলেছিলেন, প্রায় ৭ লক্ষ মুসলিম এবং ৫ লক্ষ হিন্দু-বাঙালি এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। সেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই এবছর এপ্রিলে জানান, অসমে CAA-এর অধীনে নাগরিকত্ব চেয়ে তখনও পর্যন্ত মাত্র একটিই আবেদন জমা পড়েছে।

আরও পড়ুন- মোদি জমানায় বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেল বন্দি! দেশের ১০ রাজনৈতিক বন্দি কারা?

জিম এই পুরো বিষয়টি নিয়ে দু'টি মূল প্রশ্ন তুলেছেন। এক, ২০১৯ সালে এই আইন পাশ হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ বছর কেন লেগে গেল নিয়ম তৈরি করতে? কেন ২০২৪ সালে ভোটের ঠিক আগেই সিএএ চালু হলো? দ্বিতীয়ত, যে মানুষরা ইতিমধ্যেই ভারতের নাগরিক, যারা এই দেশেই ভোট দেন তারা আবার কেনই বা এই দেশের নাগরিকত্ব পেতে যাবেন? বিষয়টা যে গোলমেলে তা খুব সহজেই বোঝা যায়, তাহলে বিরোধীরা কেন সাধারণ মানুষকে এই সহজ সত্যটা বোঝাতে অপারগ হলেন? জিমের দাবি, বিজেপির সরকার প্রতারণা করেছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে আর এমন কোনও আইন নেই, যা পাশ হয়ে যাওয়ার পরে পাঁচ বছর সময় লেগে যায় নীতি নির্ধারণ করতে। জিম বলছেন, "জরুরি ভিত্তিতে যখন কোনও দেশে কোনও আইন পাশ করা হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে দেশে বিশাল বড় কোনও সঙ্কট চলছে। বড় সংখ্যক মানুষ ভুক্তভোগী, সরকার অত্যন্ত সহৃদয় এই নাগরিকদের মুক্তি দেবার জন্য। তাঁদের সুবিধার জন্যই সরকার রাতারাতি বিল পাশ করেছে। তীব্র প্রতিবাদ, গণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিন্তু এই বিল পাশ করেছে বর্তমান বিজেপি সরকার। তড়িঘড়ি বিল পাশ হওয়ার নীতি নির্ধারণ করতে চার বছর লেগে গেল, দিল্লিতে গণহত্যা চালানো হলো, বুলডোজার দিয়ে আন্দোলনকারীদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হলো, ‘গোলি মারো সালো কো' বলা হলো অথচ এই নীতি নির্ধারণ না হওয়া নিয়ে আমাদের বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন করল না।"

বাংলায় বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে, যখন সিএএ চালু হয়নি, তখন এই নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়েই ভোট চাইছিলেন মতুয়াদের, যারা ওপার বাংলা থেকে এসেছিলেন এই বঙ্গে। জিম বলছেন, শান্তনু নিজেও বলেছিলেন তিনি নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করবেন। করেননি। কারণ তাহলে এই দেশের নাগরিক তিনি নন তা প্রমাণ করতে হতো। তাহলে তাঁর সাংসদ পদটি রইত না। জিম বলছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তথ্য চেপে দিতে চাইছে। মানুষকে সত্য জানতে দিতে চাইছে না। আসলে তো সিএএ অন্য পড়শি দেশ থেকে আসা হিন্দু, বা বৌদ্ধ বা শিখ, বা জৈনদের সাহায্য করতে তৈরি হয়নি। এটা রাজনৈতিক কারণে হয়েছে এবং মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে নিজেদের আখের গোছানোই ছিল লক্ষ্য। সরকারি কোনও প্রকল্প ঘোষণা হলেই, সাইবার ক্যাফে বা অন্য নানা শিবিরে লম্বা লাইন পড়ে যায় সেই আবেদন করতে। যদি লক্ষ লক্ষ মানুষ নাগরিকত্ব না পেয়ে থাকতেন, অন্য দেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে আসতেন তাহলে লম্বা লাইন পড়ার কথা আবেদন করার জন্য। কোথাও তো তা ঘটেনি!”

জিম আরও জানান, অনলাইনে আবেদন চাওয়া হয়েছে। তাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠিতে জানিয়েছে তথ্য উপলব্ধ নয়! এটাই বা কীভাবে সম্ভব? তাহলে যে সিএএ নিয়ে এত ডামাডোল, এত আন্দোলন- সবই ঢক্কানিনাদ? লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি নিপীড়িত হিন্দু-শিখ-ক্রিশ্চান-জৈনরা কোথায় গেলেন যারা এদেশের নাগরিকত্ব চাইছেন বলে দাবি করেছিলেন অমিত শাহ! সিএএ বিজেপি সরকারের আরও একটি ভণ্ডামিই নয় কি? জিম বলছেন, মতুয়ারা বা হিন্দুরা, বিজেপির এই ফাঁদ বোঝেনি। তাঁদের কেউ সহজ করে বোঝানোর চেষ্টামাত্রও করেনি। আসলে মুসলমানদের নয়, হিন্দুদেরই বোকা বানানো হয়েছে সিএএ দিয়ে।

More Articles