নারী-পুরুষের অবদমিত কামনার না-দেখা ছবি! পাকিস্তানের 'জয়ল্যান্ড' যে কারণে দেখতেই হবে
Film Review: পাকিস্তানে বসে এরকম সুসংগত ছবি বানানো খুব একটা সহজ কাজ নয়।
সাঈম সাদিকের 'জয়ল্যান্ড' (২০২২) ছবিটা দক্ষিণ এশিয়ার চলচ্চিত্রের আঙিনায় সাম্প্রতিক সংযোজন। পাকিস্তানে বসে এরকম সুসংগত ছবি বানানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। সাঈম ও তাঁর গোটা টিমের চমৎকার তালমিল ও ক্রাফ্টের প্রতি নিবিড় মনোযোগের কারণেই ছবিটা সার্থক হতে পেরেছে। যেভাবে লাহোরের মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, অবদমিত কামনা-বাসনা, পিতৃতান্ত্রিক কাঁটাতার ও অনন্ত বিষাদকে ধরা হয়েছে এবং এর জন্য সাঈম যে আঙ্গিকের আশ্রয় নিয়েছেন, তা সুপরিকল্পিত অনুশীলনের ফসল। শুরু থেকে শেষ অবধি লাইট, সাউন্ডস্কেপ, ফ্রেমিং, কম্পোজিশন, লেন্সের বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগ, মিজ-অন-সিন ও ভিজ্যুয়াল মন্তাজের অপূর্ব মেলবন্ধন দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্গত কোনও দেশের কোনও ছবিতেই সম্প্রতি এইভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। অথচ এতকিছুর আয়োজন দর্শকের ওপরে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি, পরিবর্তে প্রয়োজনীয় ন্যারেটিভ বুনতে সাহায্য করেছে।
ছবির মুখ্য চরিত্র হায়দার নামের এক স্বল্পভাষী ছেলে। লাহোরের ঘিঞ্জি এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। শুরুতে দেখা যায়, হায়দারের গোটা দেহ সাদা রঙের বেডশিটে ঢাকা― সে তার ভাইঝিদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলায় ব্যস্ত। প্রথম ফ্রেম থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে, এই চরিত্রটি অবদমিত। আমাদের ঘিরে থাকা কঠোর পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অবদমনে সে যেন প্রায় অর্ধমৃত কোনও অস্তিত্ব। ক্রমশ এই পরিবারের আরও সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য মেলে। বড় বউদি নুচ্চি সন্তানসম্ভবা, তিন মেয়ে থাকা সত্ত্বেও চতুর্থ সন্তান আসতে চলেছে, কেন না গৃহকর্তা চায়, এই পরিবারে পুত্রসন্তানের জন্ম হোক। গৃহকর্তা সমীর ও হায়দারের সত্তর বছর বয়সি আব্বা; হুইলচেয়ারে বন্দি থাকলেও, যার কথাই শেষ কথা এখনও। হায়দারের কোনও রোজগার নেই, সারাদিন বাড়িতেই থাকে, নুচ্চিকে ঘরোয়া কাজে সাহায্য করে ও ভাইঝিদের দেখভাল করে। হায়দারের স্ত্রী মুমতাজ খুবই স্বাধীনচেতা ও ছকভাঙা। পার্লারে বিউটিশিয়ানের কাজ করে। চোখে হাজারও স্বপ্ন। হায়দার ও মুমতাজের কোনও সন্তান নেই। ক্রমশ আমরা জানতে পারি এই দু'জনে একই ছাদের তলায় স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকলেও, তারা স্বামী-স্ত্রী কম, বরং বন্ধু বেশি। চিরাচরিত পুরুষ বলতে আমাদের ছোট থেকে যা শেখানো হয়, হায়দার তার সম্পূর্ণ বিপরীত। কুরবানির ছাগলকে কোপ দিতে সে দ্বিধায় ভোগে। আব্বার আদেশ অমান্য করার সাহস পায় না। স্বতস্ফূর্তভাবে বাঁচতে পারে না। কোনও বিষয়েই তার কোনও বক্তব্য নেই, যেন অচ্ছুত কেউ, অনেকটা ছবির শুরুতে সেই চাদরে ঢাকা ভূতের মতো।
এমন আবদ্ধ রোজনামচায় ঢেউ এসে লাগে হঠাৎ। হায়দার তার বন্ধুর দৌলতে এক ইরোটিক ডান্স থিয়েটারে ট্রান্সপার্সন বিবা-র নাচের ট্রুপে ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সারের চাকরি পায়। বিবা স্বয়ংসম্পূর্ণ মহিলা নয়, এই নিয়ে বিভিন্নভাবে তাকে হেনস্থা হতে হয়, তা সত্ত্বেও তার মধ্যে তেজ ও স্পর্ধা ভরপুর। বিবা-র এই প্রাণচাঞ্চল্যের প্রতি হায়দার আকৃষ্ট হয়। ক্রমশ তাদের মধ্যে নতুন এক সম্পর্ক ডানা মেলতে থাকে। হায়দার বাড়িতে চাকরির ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানায় না, কেবল বলে থিয়েটার ম্যানেজারের কাজ পেয়েছে, ভালো মাইনে। সারাদিনে হায়দারের সহযোগিতা কমে যাওয়ায় আব্বা ঠিক করেন, এখন থেকে আর মুমতাজকে কাজে যেতে হবে না, সে বাড়িতে থেকে বড় বউ নুচ্চিকে কাজকর্মে সাহায্য করবে। মুমতাজের প্রতিবাদ বা দমবন্ধ অবস্থা কেউ টের পায় না। হায়দার বুঝেও কিছু বলে উঠতে পারে না। একে-একে পরত উন্মোচিত হতে থাকে, চরিত্রগুলোর অবদমিত আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছে, হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে, যার দরুন প্রত্যেকের জীবনে ঢেউয়ের মাত্রা বাড়ে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধ মেষপালক, বিষণ্ণ গুহা ও একটি নিশ্চুপ সিনেমা; কেন দেখব ‘দ্য হোল’?
ন্যারেটিভ সরলরৈখিক চালে এগোলেও, সূক্ষ্মতার সংমিশ্রণে এই ছবি নিখুঁত হতে পেরেছে। ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে এমন কিছু অনুচ্চারিত কথা বলা হয়, যা দর্শকদের ভাবতে বাধ্য করে। ছবির শুরুতে চাদরে ঢাকা হায়দার যেন মজ্জাগত টক্সিক ম্যাসকুলিনিটির চাপে আড়াল হয়ে যাওয়া সত্তা। আধুনিক প্রজন্মের এসি-র চাহিদাকে নাকচ করে ফ্যানের প্রতি আব্বাজানের নির্ভরশীলতার দ্যোতনা পরে অন্য রূপ পায়, যখন বিশেষ কয়েকটি দৃশ্যে মুমতাজ ও হায়দারকে পুরনো দিনের ফ্যানের সঙ্গে একই ফ্রেমে ধরা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্টেশনে দ্বিধাবিভক্ত মুমতাজ ও চলন্ত ফ্যান এবং ছবির শেষে প্ল্যাটফর্মে হায়দার যখন বোর্ডের দিকে তাকিয়ে, তখনও তার মাথার ওপর ফ্যান ঘোরে। যতই আমরা মুক্তি পেতে চাই না কেন, 'প্যাট্রিয়ার্কি' থেকে পার পাওয়া যায় না কোনওভাবেই। অথবা চরিত্রগুলোর অস্থিরতাকে বোঝাতে এটিই 'স্পেস'-এর সুচিন্তিত ব্যবহার। যেমন, মুমতাজ যখন নার্সিংহোমের বেডে শুয়ে থাকাকালীন তার সন্তান-জন্মের কথা জানতে পারে, তখন টপ অ্যাঙ্গেল থেকে ক্যামেরা মুমতাজকে এমনভাবে ধরে, যাতে ওর আশপাশটা 'ক্লস্ট্রোফোবিক' হয়ে ওঠে, ফলে ওর মধ্যে চলা উত্থান-পতনের আঁচ দর্শকদের মধ্যেও এসে লাগে। এরকমই ক্ষেত্রবিশেষে কয়েকটি চরিত্রের দিকশূন্যতা বোঝাতে গোটা ফ্রেমের অনেকটা 'স্পেস' ফাঁকা রেখে চরিত্রদের দেহাংশের সামান্য অংশের প্রান্তটুকুকে ধরার আয়োজনও ভাবনার পরিসরকে বিস্তৃত করে। থিয়েটারে আগ্রাসী গানের তালে বিবা ও হায়দারের নাচ শুরু হয় আর সেই দৃশ্যের সঙ্গে ইন্টারকাট করে একই ধ্বনিতে মুমতাজ ও নুচ্চির নাগরদোলা চড়াকে দেখানো হয়, যা বিপরীতমুখী দুই ব্যঞ্জনাকে প্রকাশ করে। এই ব্যঞ্জনা প্রকাশের ভঙ্গিটিও চমৎকার। ছবির শুরুতে হায়দার ও মৃত ছাগলের ফ্রেমের ঠিক পরের শটে একটি বাচ্চাকে কাঁদতে দেখা যায়। ভয়াবহ ভায়োলেন্সের বিপক্ষে দেখানো হয় সদ্যোজাতর নির্মলতাকে, যা সিনেমার ভাষাকেই প্রকাশ করে আপন ছন্দে।
'জয়ল্যান্ড' ছবিটায় 'অ্যাকাডেমি অ্যাসপেক্ট রেশিও' (১.৩৩:১ বা ৪:৩) ব্যবহার করা হয়েছে। এতে চরিত্রগুলোর জটিলতা, বদ্ধদশা ইত্যাদি খুব সহজে বোঝানো সম্ভব হয়েছে। 'ডলি ইন' ও 'ডলি আউট'-এর তাৎপর্যময় প্রয়োগও বড় পাওনা। চরিত্রগুলো যে ঘুণধরা পরিবেশের শিকার, সেই পরিবেশটাকে প্রকাশ করতে বেশ কিছু দৃশ্যে ক্যামেরাকে 'ডলি ইন' করানো হয়, অর্থাৎ ক্যামেরাকে দূর থেকে চরিত্রগুলোর অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হয়, যার ফলে 'ওয়াইড অ্যাঙ্গেল' বদলে যায় 'ন্যারো অ্যাঙ্গেল'-এ। বেশ কিছু দৃশ্যে 'ডলি ইন'-এর ব্যবহার থাকলেও, শেষের দিকে মুমতাজের আত্মহত্যার আগের দৃশ্যটিতে এর ঠিক বিপরীত প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। 'ডলি আউট' করার মাধ্যমে ক্যামেরা মুমতাজের 'ক্লোজ আপ'-এ পরিবর্তন ঘটিয়ে বর্ধিত পরিসরে চরিত্রটিকে ধরে। মুমতাজের জীবনে তখন আর আশা নেই কোনও, এই পরিবারে ওর আপাত ঠুনকো গুরুত্বর মর্ম সে উপলব্ধি করতে পেরেছে ততদিনে। কেবল পুত্রসন্তানেরই গুরুত্ব আছে, সেই কারণে এখন সবাই মুমতাজের যত্নআত্তিতে ব্যস্ত। সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে গেলেই তার আবার সেই দমবন্ধ যাপন ফেরত আসবে এবং এই পরাধীনতার জালে সে আজীবনের জন্য আটকা পড়ে যাবে। তাই সে নিজেকে শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই কারণেই বাথরুমে বসে থাকাকালীন মুমতাজের 'ক্লোজ আপ' থেকে ক্যামেরা ক্রমশ 'ওয়াইড' হতে থাকে। চরিত্রটির আর কিছুই করার নেই, সব বন্ধন আলগা হয়ে গেছে, কোথাও যাওয়ার নেই তার। 'ওয়াইড স্পেস' বাড়ানোর মাধ্যমে মুমতাজকে আরও অসহায় করে তোলা হয়। দর্শকরাও আচমকা 'ডলি আউট'-এর জন্য (ছবিতে কেবল এই একবারই 'ডলি আউট' ব্যবহার করা হয়েছে। ক্লাইম্যাক্সে সমুদ্রের দৃশ্যটিতে 'জুম আউট' প্রয়োগ করা হয়েছে।) এই দৃশ্য ও পরবর্তী ঘটনাক্রমের গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হয়।
যে ধরনের লেন্স দিয়ে এই ছবি শ্যুট হয়েছে ও যে 'অপটিক্স মেকানিজম' ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে ছবিটা আরও ভাইব্র্যান্ট, এনার্জেটিক ও পাশাপাশি বিষণ্ণ হতে পেরেছে।
যদিও 'জয়ল্যান্ড' তৈরির যাত্রাপথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। এই ছবির প্রোডিউসরদের অন্যতম শরমদ খুসাট সেই ২০১৮-'১৯ নাগাদ 'জিন্দেগি তামাশা' নামে একটি ছবি ডিরেক্ট করেছিলেন। ছবিটার মাধ্যমে তিনি চেনা ছকের বাইরে বের হতে চেয়েছিলেন। 'জিন্দেগি তামাশা'-র মুখ্য চরিত্র মহম্মদ রাহাত খাজা অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে সমাজে পরিচিত। নবীর প্রশংসাসূচক গান বাঁধেন, রেকর্ড করেন, লোকজন শোনে, খুবই সম্মান পান এইভাবে। অথচ, একদিন একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে তিনি অসাবধানতাবশত সবার সামনে আবেগের বশে মনের আনন্দে নেচে ফেলেন। সেই নাচের ভিডিও কেউ রেকর্ড করে ফেলে আর তৎক্ষণাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির এই নৃত্য প্রদর্শনকে সমাজ অশ্লীল ও অপরাধ বলে ঘোষণা করে। সেই ভিডিও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়, মহল্লার সবাই ছি ছি করতে থাকে। এতদিনের চিরচেনা মানুষগুলো চোখের পলকে বদলে যায় যেন। তার পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীরা সমালোচনা করা শুরু করে, বন্ধুরা দেখতে পেলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। অবশেষে একদল কট্টরপন্থী তার এই 'অনৈতিক' আচরণকে ধর্মদ্রোহ বলে দেগে দেয়।
অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে শরমদ এই ছবিতে খুঁটিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন কঠোর নিয়মে বাঁধা সমাজে মানুষের ভূমিকা কতটুকু, স্বাধীনতার মূল্যই বা কীরকম, প্রান্তিকতাই বা কোন নিক্তিতে মাপা হয়ে থাকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন সংকটের ছবি দেখাতে গিয়ে শরমদকেও অনেক সংকট পোহাতে হয়েছিল। সাময়িক সময়ের জন্য ব্যান করা হয়, থ্রেট কল থেকে শুরু করে যাবতীয় জটিলতায় তাকে পড়তে হয়। কিন্তু সেই সময় নাগাদ পাকিস্তানের ছবির ভাষাকে এমনভাবে বদলে দিয়েছিলেন তিনি যে, ২০২১-'২২-এ এসে সাঈম সাদিক 'জয়ল্যান্ড' বানানোর সাহস দেখাতে পারলেন। ছবিতে 'ট্রান্স আইডেন্টিটি'-কে স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে বলে একদল মৌলবাদী তাণ্ডব চালায়, যার দরুন সেন্সরে পাশ হওয়ার পরেও সাময়িক সময়ের জন্য ছবিটায় ব্যান বসিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কয়েকদিন পরে ব্যান তুলে নিতে বাধ্য হয় পাক সরকার। ১৮ নভেম্বর সেই দেশের থিয়েটারে কমার্শিয়ালি রিলিজ করেছে।
ভেবে খুবই অবাক লাগছে যে, বিগত চার-পাঁচ বছরে পাকিস্তানের একদম ভিত্তিমূলের অদেখা-না শোনা বেশ কিছু গল্প আমরা দেখতে পাচ্ছি-শুনতে পাচ্ছি, যার সন্ধান আগে কেউ দিতে পারেনি। ২০১৫-'১৬ নাগাদ অসীম আব্বাসি 'কেক' বানান। করাচির এক উচ্চবিত্ত সিন্ধি পরিবারের ক্রাইসিসের গল্প। সেই ছবির মূল বক্তব্য ছিমছাম হলেও, এই আব্বাসি-ই ২০২০ সালে 'চুরেইল' নামের একটি ওয়েব সিরিজ আনেন, যেখানে নারী-পুরুষ-ধর্ম-সংস্কার নিয়ে যাবতীয় ছুঁতমার্গকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন তিনি। এই ওয়েব সিরিজটি পাকিস্তানে নয়, ভারতে রিলিজ করানো হয়েছিল, 'জিফাইভ' ও 'জিন্দেজি' চ্যানেলের যৌথ উদ্যোগে। অন্যদিকে শরমদ খুসাটের 'জিন্দেগি তামাশা'। তারপর খুসাটের দ্বিতীয় ছবি 'কমলি', যেখানে তিনজন নারী ও তাদের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অবশেষে সাঈম সাদিকের 'জয়ল্যান্ড'। সম্প্রতি 'কমলি' ও 'জয়ল্যান্ড'-এর মতো ভালো মানের ছবি কমার্শিয়াল রিলিজ হচ্ছে এবং সব বয়সি দর্শকের মাঝে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে― বিষয়টি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
এগুলো তাই 'সিঙ্গুলার ফিল্ম'-এর তকমার বাইরে বেরিয়ে অনেক বড় প্রেক্ষিত পেয়ে যায়। এই উপমহাদেশের কাছে পাকিস্তান নামের দেশটি যতই ক্ষতিকারক হোক না কেন, দেশের ভেতরে বসে অনেকেই অনেক সমস্যায় ভুক্তভোগী। সেইসব সমস্যা তথা ক্রাইসিসের কথা ভুক্তভোগীরাই কেবল বলতে পারবেন ভালোভাবে। এইসব ছবি তাই ধারাবাহিক ব্যথামালার নামান্তর।