'কালো'দের ফ্রান্স! সাদা চামড়ার দেশে অন্য এক লড়াই জিতলেন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলাররা
France Football Team World Cup Players: বিশ্বকাপে কালোর দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ফ্রান্সের ফুটবল দল। এই দলে কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক।
কালো মানিক! এই ছেলেটা তোর বয়স কত! ৯ কিংবা ১০ হয়তো! যে সময়ে ওঁর খেলার কথা ছিল, বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল রোজ। ঠিক সেই সময়েই সব কিছুকে ছাপিয়ে যেত ভয়! আতঙ্ক আর উত্তেজনার দাবানলে প্রত্যেক মুহূর্তে রচিত হত দাঙ্গা-অশান্তির আগুনের সূত্রপাত। তবুও তিনি পেরেছেন। প্রতি মুহূর্তের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শত 'ফর্সা'র দেশেও প্রোথিত করে দিয়েছেন কালো হিরে। তীক্ষ্ণ-তীব্র অনুভূতি আর প্রতিবাদের কথা লিখে রেখেছেন নয়া ইতিহাসের পাতায়।
কিলিয়ান এমবাপে। মেসি ম্যাজিকে মার্টিনেজ, মারিয়াদের বিশ্বকাপ জয়ের মাঝেও বঞ্চিত রাজপুত্র হিসেবে উঠে আসছে এই কৃষ্ণাঙ্গ সম্রাটের নামও। শুধুই ইতিহাস বা রেকর্ড সৃষ্টি নয়, এক ম্যাচে, বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলের হ্যাট্রিক, আবার টাইব্রেকারে গোলের রেকর্ড দিয়েও ইতিহাস গড়েছেন তিনি। আর সেই আবহেই একাধিক প্রশ্নও বিবর্তিত হয়েছে। কয়েক যুগ, একটি প্রতিবাদ এবং একাধিক বঞ্চনার বিরুদ্ধ-তিরের সূচনায় জুড়ে দিয়েছে অনেক কিছু। এই কালো ছেলের সঙ্গেই অনুরণিত হয়েছেন সকল কৃষ্ণাঙ্গ।
যাঁদের গায়ের রঙেই আটকে যেত প্রতিভার বিচ্ছুরণ, যাঁদের রোজ অবসাদ বাড়াত বর্ণবৈষম্যের দাবানল- তাঁরা আজ আনন্দিত। গর্বিত দেশ শুধু নয়, একটি জাতিসত্তার জয়ের ফলে, ফাইনাল ম্যাচে হেরে, শিরোপা হারালেও আদতে জয় হয়েছে ওঁদেরও। বালির দেশ কাতারের এই জাঁকজমকের বিশ্বকাপে কালোর দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ফ্রান্সের ফুটবল দল। এই দলে কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ২৬ জনের দলে ১৬ জন খেলোয়াড়ই ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। যদিও ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় ফ্রান্স দলেও প্রায় ১৫ জন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় রেখেছিল ফ্রান্স। দলটি চ্যাম্পিয়ন হয় সেবার।
আরও পড়ুন-“আমাকে খুন না করলে ওরা গোল পেতে পারবে না,” যে ভাবে অঙ্ক মিলিয়ে দিলেন মার্টিনেজ
৩-৩ ফলাফলে ২০২২-র বিশ্বকাপ ফাইনালে, আর্জেন্টিনার সঙ্গে ম্যাচ ড্র এবং টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার কঠিন লড়াইয়ের সম্পূর্ণ পথের নেপথ্যে উঠে আসছে এই ১৬ নাম! অনেকেই বলছেন, কিলিয়ান এমবাপে প্রতীক মাত্র। আসলে উপনিবেশবাদ এবং অত্যাচারে ঘরছাড়া কৃষ্ণাঙ্গদের লড়াইয়ের মুখ হয়েছেন তিনি, যা এই দলেরই একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যে সুসজ্জিত করেছেন এই কালো-সোনা।
কালো চামড়ার কিংসলে কোমান, বছর ২৬ এর এই খেলোয়াড়ের প্যারিসে জন্ম হলেও তিনি কালোবর্ণের। রণ্ডল কোলোমুয়ানি, একদা দাঙ্গা বিধ্বস্ত এই এলাকা থেকে উঠে আসেন এই খেলোয়াড়। উসমান দেম্বেলে, ২৫ বছর বয়সী উসমানের জন্ম হয় কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত ভার্ননে। ওরেলিয়াঁ চুয়ামেনি, রয়েনের অশান্ত পরিবেশেই বেড়ে ওঠেন এই কৃষ্ণাঙ্গ তারকা ফুটবলার। ছিল বর্ণবৈষম্যের তীব্র টানাপোড়েনও। ইউসুফ ফোফানা, ২৩ বছরের এই যুবকের জন্ম প্যারিসে। তিনি ফ্রান্স ফুটবলের স্তম্ভ হয়ে ওঠেন নিজের লড়াইয়ের ফলে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল বর্ণভেদের হিংসার বিরুদ্ধেও। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, অ্যাঙ্গোলার এই কালো যুবকের পায়ের জাদু বারবার মুগ্ধ করেছে বিশ্বকে। উইলিয়াম সালিবা, কিলিয়ান এমবাপের একই শহর বন্দির ছেলে সালিবা। ইব্রাহিমা কোনাটে, ২৩ বছরের এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক প্যারিসে জন্ম নিলেও ছোট থেকে তাঁর জীবনেও ঘটেছে কালো-বিড়ম্বনা। ডায়োট উপামেকানো, এভারক্স এলাকার বাসিন্দা। এই কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় অন্যতম হয়ে উঠেছেন ফ্রান্সের ফুটবল জাতীয় দলে। ফারল্যান্ড মঁদি। বেনওয়া বাদিয়াশিলে, ২৯ বছরের রাফায়েল ভারানে, ২৪ বছরের জুলস কোঁদে-র মতো কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ের অবদানে ফ্রান্সের ফুটবল এগিয়েছে তরতরিয়ে। স্টিভ মন্দাদান্ডা, ৩৭ বছরের এই কৃষ্ণাঙ্গ গোলকিপারের অবদান ফ্রান্স প্রচার করেছে বারবার। কালো চামড়ার আলফাঁসো আরোলাও এই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছেন অচিরেই।
আর এই সমস্ত লড়াইয়ে সমগ্র মানুষের জয়ধ্বনি সূচিত করেছেন এমবাপে। অনেকেই বলেন, বর্ণবৈষম্যের শিকার এবং অত্যাচার থেকে বাঁচতে ফ্রান্সের মতো দেশে কালো চামড়ার বিস্তার ঘটেছে দ্রুত। দাবি, সমস্ত ফরাসি এবং তাঁদের আভিজাত্য বজায় রাখার তাগিদে খেলার মঞ্চে, দেশের সম্মানের মঞ্চে সেরা হয়েছেন কঠোর পরিশ্রমের এই মালিকরা। দেশের নাম উজ্জ্বল করতে এক-একটি উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তানের অবদান দেশের জন্য থেকেছে মৌলিক, যা ফ্রান্স প্রশাসনকে ভাবিয়েছে বারবার। আর এখানেই সামগ্রিকভাবে কালোদের ফুটবল দল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। আর্জেন্টিনা এবং কৃষ্ণাঙ্গ বিতর্কের মধ্যেও এমবাপেরা জিতেছেন অন্যভাবে।
আর এর মধ্যেই পুরোধা হিসেবে উঠে এসেছে কিলিয়ান এমবাপের নাম। তাঁর সঙ্গেই যোগ্য সঙ্গত করেছেন বাকিরাও। ২০১৮-র মতো প্রশ্ন উঠেছে, এবারও কি বিশ্বজয় কালো ছেলেদের ! এই কথার মর্যাদা দিয়েই একের পর এক ম্যাচে বিপক্ষকে মুছে দিয়েছেন এমবাপে। বছর ২৩-র এই খেলোয়াড় বিশ্বমানচিত্রে নয়া ইতিহাস রচনা করেছেন বারবার। ফর্সা-দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই কালো-ছেলে। তিনি পেরেছেন, বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখেছে এই রাজাকে। একা কুম্ভের মতো পথ আগলে রেখেছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনাল ম্যাচে গড়েছেন রেকর্ড। ইতিহাস রচিত হয়েছে তাঁদের ঘিরেই। একদিকে লাতিন আমেরিকার দেশের রুদ্ধশ্বাস জয়ের আনন্দ যেমন উঠে এসেছে, অন্যদিকে মাথাচাড়া দিয়েছে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথাও। যেখানে এক-একটি গোল আর ভয়ঙ্কর মেসিকে ঠেকিয়ে রাখার লড়াইয়েও জিতে গিয়েছেন এই চ্যাম্পরা।
কিন্তু কে এই কিলিয়ান এমবাপে? কী তাঁর পরিচয়?
শুরুর দিনে এমবাপে
১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্যারিসের অ্যারডিসিমেন্ট পুরএলাকার বন্দি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এমবাপে (Kylian Mbappe)। বাবা উইলফ্রেড, আদতে ছিলেন ক্যামেরুনের বাসিন্দা। মা ফাইজা লামারি ছিলেন আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত। এমবাপের পরিবারের সকল সদস্যই ছিলেন খেলার সঙ্গে জড়িত। এক ভাই ইথান ফুটবল খেলার সঙ্গেই যুক্ত। বর্তমানে পিএসজি-র (PSG) সঙ্গে যুক্ত। আর এক দত্তক ভাই কেম্বো ইকোকো নিজেও খেলার সঙ্গেই যুক্ত। এমবাপের মা ছিলেন হ্যান্ডবল খেলোয়াড়। বাবাও যুক্ত ফুটবলের সঙ্গেই। তাই জ্ঞান হতেই এমবাপের ঝোঁক গিয়ে পৌঁছয় খেলার দিকেই।
ক্লাব-ফুটবলে প্রবেশ
জন্মের শহরের ক্লাব 'এএস বন্দি' দিয়ে খুব কম বয়সে তাঁর খেলার শুরু। বাবাকে কোচ হিসেবে পাওয়া সেখানে। বাবার প্রশিক্ষণে ক্রমশ পায়ের কেরামতি বাড়াতে থাকেন এই ফুটবলার। এরপর অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ওই শিশুর ডাক পড়ে 'ক্লেইরফন্টটেইন অ্যাকাডেমি'তে। সেখান থেকে মাত্র ১১ বছর বয়সেই এমবাপের প্রশিক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ। তারপর লন্ডন। মাত্র ১৪ বছরেই চেলসি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ১৬ বছর বয়সেই পাকাপাকি জায়গা করে নেন 'মোনাকো' ক্লাবে। ২০১৫ থেকে ২০১৬। এই একবছর চুটিয়ে ফুটবল খেলেন এমবাপে। থিয়েরি হেনরির রেকর্ড ভাঙেন ১৬ বছরেই। এর পরের বছর থেকে এমবাপে প্রবেশ করেন লিগ খেলার জন্য। রেনেস, মেটজের মতো একাধিক দলের সঙ্গে খেলতে থাকেন তিনি। ক্রমশ নাম ছড়িয়ে পড়ে তাঁর। এদিকে জাতীয় দলেও ডাক পান এই ফুটবলার। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একাধিক ম্যাচে চুটিয়ে খেলতে শুরু করেন এমবাপে।
আরও পড়ুন- এমবাপেকে ‘মৃত’ ঘোষণা মার্টিনেজের, বিশ্বকাপ শেষেও তুলকালাম যে বিতর্কে
'প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে' প্রবেশ
২০১৭-২০১৮। বিশ্বের অন্যতম ফুটবল ক্লাব পিএসজি-তে পা দেন এমবাপে। ততদিনে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, করিম বেঞ্জেমাদের সঙ্গে তখন টক্কর দিচ্ছেন এমবাপে। প্রত্যেক মুহূর্তেই জায়গা পাকা করছেন নিজের। ঠিক এই অবস্থাতেই মেটজের বিপক্ষে বিপুল জয়ের নায়ক থেকে শুরু করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে 'লে প্যারিসিয়া'র বিরুদ্ধে জয়ের কারিগর হিসেবে বারবার উঠে আসে তাঁর নাম। ২০১৮-র জুলাইয়ে পিএসজি-র ৭ নম্বর জার্সি জোটে এমবাপের। এই বছরেই লিগ এক-এর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৯-র ১৯ জানুয়ারির একটি ম্যাচে গোলের হ্যাট্রিক করেও রেকর্ড গড়েন এই ফুটবলার। ২০২০ পর্যন্ত ক্লাব ফুটবল এবং লিগের ক্ষেত্রেই সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলের মালিক হিসেবেই রেকর্ড করতে থাকেন তিনি। ২০২১ সাল নাগাদ আবার। সেরা খেলোয়াড়ের তকমা জোটে এই কৃষ্ণাঙ্গ-তাড়নায় থাকা ফুটবলারের। ফের পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।
জাতীয় দলে এমবাপে-রাজ
২০১৬ সাল থেকে ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে পাকাপাকি খেলতে শুরু করেন এমবাপে। একদিকে ক্লাব ফুটবল, অন্যদিকে দেশের হয়ে খেলা। দুই দিকেই নজির স্থাপন করতে থাকেন এমবাপে। যদিও এর আগেই ২০১৬ নাগাদ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফ্রান্সের হয়ে খেলেন। পর্তুগালের বিরুদ্ধে জয় পান সেমিফাইনালে। ২০১৭ সালে তিনি ডাক পান প্রধান দলের হয়ে খেলার। অবশেষে ২০১৮ এর মার্চে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে খেলেন এমবাপে। বিপক্ষের নেদারল্যান্ডসকে প্রথম অভিষেক ম্যাচেই নাস্তানাবুদ করেন। ওই সময়েই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ভালো খেলেন এই ফুটবলার।
২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব ১৭, ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ ফ্রান্স দলের হয়ে খেলেছেন একাধিক ম্যাচ। ২০১৭ থেকে জাতীয় দলের হয়ে প্রায় ৬৩ ম্যাচে ৩৩ গোলের মালিক হিসেবে খোদাই হয়েছে এমবাপের নাম। অন্যদিকে ২০১৮ থেকে পিএসজি ক্লাবের হয়ে ১২৯ ম্যাচে প্রায় ১১৮ গোল করে ফেলেছেন এমবাপে। তার আগের বছর ২৭ ম্যাচে ১৩ গোল করেন এই ফুটবলার। ২০২১-র উয়েফা ন্যাশনাল লিগ, উয়েফা ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়শিপেও জয়ী হয় তাঁর দল। একের পর এক রেকর্ড গড়েন এমবাপে।
বিশ্বকাপে এমবাপে জাদু
২০১৮, ১৭ মে। বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই পেরুর বিরুদ্ধে জয়সূচক গোল করেন এমবাপে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, যিনি বিশ্বকাপে গোল করেছেন, এই রেকর্ড অর্জন করেন এমবাপ্পে। ৩০ জুন, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বিপুল জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন এই কীর্তিমান। হন ম্যাচের সেরা। ১৫ জুলাই, বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচেও জাদু ছড়ান এমবাপে। গড়েন রেকর্ড। হয়ে ওঠেন পেলের পরে কোনও কনিষ্ঠ ফুটবলার, যিনি বিশ্বকাপ ফাইনালেও গোল করেছেন। শুভেচ্ছা পান ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার পেলের তরফেও। ২০২২-র কাতার বিশ্বকাপেও তার অন্যথা হয়নি। একের পর এক ম্যাচে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর ম্যাজিক। হয়ে উঠেছেন সেরার সেরা। ফাইনাল ম্যাচেও তিন গোলের হ্যাট্রিক করেছেন এই খেলোয়াড়।
২০২০ সাল জুড়ে ইউরো কাপ দাপিয়ে বেড়ান এই ফুটবলার। ফ্রান্সের তারকার খ্যাতি ছড়িয়ে যায় ২০২১ এর একাধিক টুর্নামেন্টেও। ২০২২ এর বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এমবাপে।
বিজ্ঞাপনে এমবাপে
২০১৭ সালেই মাত্র ১৯ বছর বয়সেই 'নাইকি'র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তারকা এমবাপে। খেলার পোশাক থেকে নিজস্ব জুতো, সব ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। ২০১৮ নাগাদ সুইজারল্যান্ডের ঘড়ির কোম্পানি 'হাবলটে'র সঙ্গেই বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করেন তিনি। ফিফার ভিডিও গেম সিরিজের একাধিক পর্বের বাণিজ্যিক ভিডিওয় বারবার দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আর অবশেষে বিশ্বজয়। হাতে কাপ না উঠলেও এ যে ফের কালো মানুষের অসাধ্যসাধনই। তাই আজ শুধু নীল-সাদার দিন নয়, এই লগন যেন লড়াকু কালোদেরও!