বারণ এবার পোষ্যেও! যে কারণে নিষিদ্ধ হল ২৩ প্রজাতির কুকুর
Govt Bans Dog Breeds: একাধিক প্রজাতির কুকুর বিক্রি, পোষা ও ব্রিডিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে নির্দেশিকা। কোন কোন প্রজাতি রয়েছে সেই তালিকায়?...
পোষ্য হিসেবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে থাকে সারমেয়রা। আদুরে, প্রভুভক্ত এই প্রাণীটিকে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ নেহাত হাতে গোনা। এই সারমেয় সমাজের হাজার গোত্র, হাজার প্রজাতি। কেউ ভালোবাসেন ল্যাব্রাডর, তো কেউ পাগ, কেউ অ্যালসেশিয়ান, তো কেউ ডোবারম্যান। তবে এবার কুকুর পোষার উপরে জারি হল সরকারি নিষেধাজ্ঞা।
একাধিক প্রজাতির কুকুর বিক্রি, পোষা ও ব্রিডিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে নির্দেশিকা। সেখানে কেন্দ্রের তরফে অন্তত ২৩টি প্রজাতির কুকুর পোষা, বিক্রি ও ব্রিডিংয়ের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সেই তালিকায় রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় কুকুরের প্রজাতি। রয়েছে পিটবুল টেরিয়ার, টোসা ইনু, আমেরিকান স্ট্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার, ফিলা ব্রাসিলেইরো, ডোগো আর্জেন্টিনো, আমেরিকান বুলডগ, বোয়েরবোয়েল কঙ্গল, সেন্ট্রাল এশিয়ান শেফার্ড ডগ এবং ককেশিয়ান শেফার্ড ডগের মতো বেশ কিছু প্রজাতির কুকুর। এই ধরনের কুকুরগুলি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু এরাই নয়, তালিকায় রয়েছে, সাউথ রাশিয়ান শেফার্ড ডগ, টর্নজ্যাক, সারপ্ল্যানিয়াক, জাপানিজ টোসা, আকিতা, মাসটিফস, টেরিয়ারস , রোডেশিয়ান রিজব্যাক, উলফ ডগস, ক্যানারিওস, অ্যাকবাশ ডগ, মস্কো গার্ড ডগ, কেন কর্সো ও ব্যানডগের মতো কুকুরগুলোও। এমনকী সেইসব কুকুরগুলির বংশবৃদ্ধিও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুকুরের কামড় লুকিয়ে রেখে মৃত্যু, জলাতঙ্ক কতটা ভয়ঙ্কর?
কেন হঠাৎ করে এই সব প্রজাতির কুকুরগুলোর উপর এ হেন কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র? আদতে এই সব কুকুরের প্রজাতিগুলি তুলনামূলক ভাবে অনেকটা হিংস্র হয় বলে দাবি। গত কয়েক মাসে একাধিক কুকুরের হামলার ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। গত নভেম্বর মাসে দিল্লিতে প্রতিবেশীর দিকে পোষ্য পিটবুলটিকে লেলিয়ে দেন। দিল্লির বুরারি এলাকায় একটি শিশুর পা ভেঙে গিয়েছিল পোষ্য পিটবুলের কামড়ে। বিদেশে তো এমন কুকুর আক্রমণের ঘটনা আখছার ঘটে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ভারতে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা অন্তত ২৬.৫ শতাংশ বেড়েছে ২০২৩ সালে।
বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পশুপালন ও ডেয়ারি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে তারা ইতিমধ্যেই সিটিজেন ফোরাম, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও দেশের নাগরি- প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছে। এবং তার পরেই এই সিদ্ধান্তে এসেছে কেন্দ্র সরকার। আর তার পরেই এই তেইশ প্রজাতির কুকুর কেনা-বেচা এবং উৎপাদন বন্ধ করার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: পোষ্য বিড়াল থাকলে স্কিজোফ্রেনিয়া হতে পারে আপনার! ভয়াবহ তথ্য গবেষণায়…
কিন্তু যাদের বাড়িতে ইতিমধ্যেই পোষ্য হিসেবে ওই সব প্রজাতির কুকুরগুলি রয়েছে, তাদের কী হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সেই সব কুকুরগুলি যাতে কোনওমতেই বংশবৃদ্ধি না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে পোষ্যের মালিককে। সে জন্য ওই প্রজাতির পোষ্য কুকুরদের সত্ত্বর নির্বিজকরণ করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু মৌলিক প্রজাতিগুলিই নয়, ওই ধরনের কুকুরদের ক্রসব্রিডিংও নিষিদ্ধ বলে জানিয়ে জেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। পোষ্য হিসেবে তো বটেই, অন্য কোনও কারণেও কেনাবেচা করা যাবে না ওই ধরনের কুকুরগুলিকে। সাফ জানিয়ে দিয়েছে সরকার।