চাঁদে যেতে গিয়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেছিলেন ওঁরা

Chandrayaan 3 and Moon Mission: দু'বছর পরই খুন হয়ে যাওয়ায় তিনি আর দেখে যেতে পারেননি তাঁরই নামাঙ্কিত কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে আরোহী সমেত উড়ে যাচ্ছে অ্যাপোলো-১১।

কেবল যে পূর্ণিমার রাতেই, আকাশের গায়ে প্রজ্জ্বল টিপের মতো লেগে থাকা উপগ্রহটিকে মানুষ কামনা করে এসেছে তা তো নয়। কাব্য করতে বসে চাঁদের কথা ভাবেননি, বা চাঁদকে নিয়ে একফোঁটা কালিও খসাননি এমন কবি পাওয়া কিঞ্চিৎ ভার। স্রেফ কাব্য নয়, ধরণীর একমাত্র উপগ্রহটির সঙ্গে আত্মীয়তাও পাতিয়েছে পৃথিবীর কল্পনামুখর মানুষ, চাঁদ মামা হয়েছেন, চাঁদ বুড়ি দিদিমা হয়েছেন। চাঁদের প্রতি মানুষের আজন্ম লালিত টান, কৌতূহল। সেই কৌতূহলমাখা রহস্য একদিন মানুষ ছুঁয়েও ফেলল। চাঁদে কী আছে, চাঁদে সত্যিই বুড়ি আছে? চাঁদের গায়ে কীসের দাগ? চাঁদে কারা থাকে? কাদের পাড়া ওইখানে? অক্সিজেন মেলে? এমন অনেক প্রশ্ন, যারা যুগ যুগ ধরে হাজারো কৌতূহলী মস্তিষ্কের পোকাদের নাড়া দিয়েছে, ধীরে ধীরে সেই ব্যক্তিকেন্দ্রিক আগ্রহ সঞ্চারিত হয়েছে সমষ্টিতে- অর্থাৎ রাষ্ট্রের মগজে। পৃথিবীর বিভিন্ন শক্তিশালী উন্নত দেশ সংকল্পবদ্ধ হয়ে চাঁদ ছুঁতে চেয়েছে। বাড়ির ছাদে টেলিস্কোপ দিয়ে আর নয়, চাঁদের মাটিতে বসেই দেখবে পৃথিবীর এই নিকট আত্মীয়কে।

সর্বপ্রথম মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা, ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসার অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানে চেপে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের মাটিতে পা দিয়েছিলেন নীল আমস্ট্রং। তারপর পা রাখলেন এডুইন অল্ড্রিন। তাঁদের পরনে বিরাট স্পেসশুট, হাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার। মাইকেল কলিন্স চাঁদে না নেমে কক্ষপথে নভোযানের ভেতরেই রয়ে যান। চার দিন আগে, ১৬ জুলাই কেনেডি স্পেস সেন্টারের পাশে থমথমে অবস্থা। মানুষ অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে, কারও হাতে শুভেছা বার্তা মহাকাশচারীদের জন্য, আবার কেউ রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া মার্কিন সরকারের এহেন নীতির বিরুদ্ধে মিছিল বের করছেন রাজপথে। অদ্ভুত পরিস্থিতি! অথচ মার্কিন সরকার অনড়। চাঁদ জয় করবেই তারা এ যাত্রায়।

সকাল তখন ৯টা ৩২। কেনেডি স্পেস সেন্টারে ঊর্ধ্বমুখী রাখা এক রকেট, ততোধিক ঊর্ধ্বমুখী একটা গোটা জাতির ইচ্ছা। রকেটের জ্বালানিতে ইন্ধন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ।আমেরিকার মাটি ছেড়ে দ্রুত গতিতে নভোচারীদের নিয়ে ৩৬৩ ফুট দীর্ঘ স্যাটার্ন ফাইভ রকেট অভিকর্ষের মায়া কাটিয়ে ধেয়ে যায় আকাশপানে। রকেটটির একদম মাথার দিকে হিসেব করে বসানো হয়েছে কমান্ড মডিউল ও লুনার মডিউল দু'টি। তার মধ্যেই বসে আছেন তিন মহাকাশচারী। এই অ্যাপোলো-১১ মিশনের আগে অনেকগুলো মহড়া মিশনের ব্যবস্থা করেছিল নাসা। এক মহড়ায় তো তিন নভোচারী (ভার্জিল গ্রিসম, এডওয়ার্ড হোয়াইট আর রজার শ্যাফি) পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরও সাবধান হয়ে যায় নাসা। এরপর ধাপে ধাপে মহড়া অভিযান পরিচালনা করে তারা। চূড়ান্ত মিশনের আগের ধাপে ১৯৬৯ সালের ৮ মে নাসা চাঁদের কক্ষপথে পাঠায় অ্যাপোলো-১০। হুবহু অ্যাপোলো-১১ যেন! এতে সাফল্য মেলায় অ্যাপোলো-১১ অভিযান নিশ্চিত করে নাসা। সফল হয় অভিযান।

আগের দশকে, ১৯৫৭-তে রাশিয়া প্রথম স্পুটনিক-১ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষবিহীন মহাকাশযানের সফল অবতরণে সক্ষম হয় রাশিয়া ১৯৫৯ সালে। 'লুনা-২' নামক সোভিয়েতযান চাঁদের মাটিতে নামে। এর বছর দুয়েক পরে, ১৯৬১ সালে রাশিয়া সর্বপ্রথম মহাকাশে মানুষবাহী নভোযান পাঠায়। একমাত্র যাত্রী ইউরি গ্যাগারিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মাঝে রেষারেষি অনেক আগে থেকেই। ধনতন্ত্রের সঙ্গে সমাজতন্ত্রের লড়াই। সেই সঙ্গে যোগ হয় মহাকাশ দখলের ঠান্ডা যুদ্ধও। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে বাম মনোভাবাপন্ন সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন বলে বলে গোল দিচ্ছে পুঁজিবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। স্পুটনিক-১ থেকে শুরু করে মহাকাশে পাঠানো প্রথম প্রাণী, লাইকা নামের কুকুরটিকে পাঠানো, এমনকী প্রথম নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন, সব কৃতিত্বই রুশদের ঝুলিতে। রেষারেষির ক্ষোভ মার্কিন জনসমাজ আঁচ বাড়ায়। আসন্ন নির্বাচনে 'রুশদের মহাকাশ বিজয়ে হারাবই' প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে বাজিমাত করলেন কেনেডি। ক্ষমতায় এসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দিলেন, নাসা আগামী ১০ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে। সেই মতো মহাকাশ খাতে ব্যাপক বাজেট বৃদ্ধি। ফলস্বরূপ, অ্যাপোলো-১১ এর প্রথম সফল চন্দ্র অভিযান। তবে নিয়তির পরিহাস! দু'বছর পরই খুন হয়ে যাওয়ায় তিনি আর দেখে যেতে পারেননি তাঁরই নামাঙ্কিত কেনেডি স্পেস স্টেশন থেকে আরোহী সমেত উড়ে যাচ্ছে অ্যাপোলো-১১। সেই হলো শুরু, তারপর একে একে রাশিয়া, চিন, জাপান চাঁদে যান পাঠাতে শুরু করে। যাত্রায় সামিল হয় ভারত। চলতি বছরের ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ পাঠিয়েছে ইসরো। নির্বিঘ্নে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারলেই কেল্লা ফতে! চন্দ্র বিজয়ী প্রথম চারে ঢুকে পড়বে দেশ।

এই যাত্রা একদিনে সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশের চন্দ্র যান পাঠানোর গুরুদায়িত্বে রয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বাইসরো। গোড়ার দিকে সাইকেলে করে রকেটের কোণ বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে- বিক্রম সারাভাইয়ের আমলে। সেখান থেকে ইসরো এখন বিশ্বের প্রথমে সারির স্পেস সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। রকেট তৈরিতে ইসরোর খ্যাতি জগৎজোড়া। ভারত প্রথম চন্দ্রযান পাঠিয়েছে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর। সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি রকেট, 'পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল-১১' (পিএসএলভি-১১) সহযোগে উৎক্ষেপণ করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে। এই চন্দ্রযান ১-এ কোনও ল্যান্ডার (যেটি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে) বা রোভার (যেটি চাঁদের বুকে হেঁটে বেড়ায়) ছিল না। এতে ছিল কেবল একটি অরবিটার। চন্দ্রযান-১ চাঁদের মাটি ছোঁয়নি। এই মিশনের সব চেয়ে বড় সাফল্য, চাঁদে জলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া। জলের অস্তিত্বর প্রমানের জন্যে নাসা দুটো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র সরবরাহ করে। একটি ছিল 'মিনিয়েচার সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার' এবং অন্যটি 'মুন মিনারলজিক্যাল ম্যাপার'। এই যন্ত্র দু'টিই চাঁদের পৃষ্ঠে বরফের অস্তিত্বের কথা জানায়। চন্দ্রযান ১-এর জন্য বরাদ্দ সময়সীমা ছিল দুই বছর। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুদিন আগেই ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। যদিও সেই সময়ের ইসরোর চেয়ারপার্সন, ড. কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন জানিয়েছিলেন তাঁদের মিশন শতকরা ৯৫% সফল।

চাঁদের মাটি ছোঁয়ার লক্ষ্যে ভারত চন্দ্রযান-২ পাঠায় ২০১৯ সালের ২২ জুলাই। সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই রকেট, জিএসএলভি মার্ক-৩ সহযোগে এবারও উৎক্ষেপণ করা হয় শ্রীহরিকোটা থেকে। ইসরোর পরিকল্পনা মাফিক ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদে অবতরণ করার কথা। প্রথমে সব ঠিকঠাকই চলছিল। অরবিটারটিও সফলভাবে চন্দ্রকক্ষে ঢুকে পড়ে। কিন্তু গণ্ডগোল বাঁধে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ে এবং ইসরোর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অবতরণযানটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গতিতে নামার জন্যই হয়তো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আসলে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয় চন্দ্রযানের বেগ। অভিজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, সেই অপর্যাপ্ত থ্রোটলিংই ছিলো চন্দ্রযান ২-এর ব্যর্থতার কারণ। যদিও ইসরো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও কারণ উল্লেখ করেনি। 

সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইসরো, নতুন উদ্যমে। ১৪ জুলাই আবার চন্দ্রজয়ের উদ্দেশ্যে ইসরো মহাশূন্যে পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩। কী আছে এই চন্দ্রযান ৩-এ? মূলত এর তিনটি অংশ- প্রপালশন, বিক্রম নামক ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান নামক রোভার। প্রপালশন ইউনিট মূলত একটি রকেট যা চন্দ্রযান ৩-কে উৎক্ষেপন করবে। বিক্রমের কাজ হচ্ছে চাঁদের কক্ষপথ থেকে প্রজ্ঞানকে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঠিকঠাক নামিয়ে আনা। গতবার বিক্রমে ছিল পাঁচটি রকেট, সেখানে এবার চারটি রাখা হয়েছে, যেটি কিনা পৃথিবী থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। প্রজ্ঞান একটি ছয় চাকা বিশিষ্ট যান, যেটি চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে ও তথ্য সংগ্রহ করবে। এতে লাগানো আছে শক্তিশালী সেন্সর, নামার সময় যদি দেখা যায় জায়গাটি অতীব বন্ধুর তাহলে সে নিজে নিজেই সরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

চন্দ্রযান ২-এর মতো এতেও কোনও অরবিটার নেই। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের অ্যান্টেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে প্রপালশন ইউনিট। পৃথিবী থেকে এর মাধ্যমেই সঙ্কেত পাঠানো হবে। আবার বিক্রম ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক, প্রপালশন মডেল বা যে চন্দ্রযান-২ এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। প্রপালশন ইউনিটের ওজন ২১৪৮ কেজি, বিক্রমের ওজন ১৭৫২ কেজি ও প্রজ্ঞানের ওজন মাত্র ২৬ কেজি। অর্থাৎ প্রায় ৩৯০০ কেজি পেলোড (যে ভর নিয়ে রকেটে চেপে মহাশূন্যে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান) নিয়ে ইসরোর তৈরি শক্তিশালী রকেট, 'লঞ্চ ভেহিকেল মডিউল-৩' (এলভিএম-৩) মহাশূন্যে পাড়ি দেয়। প্রত্যেকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সোলার প্যানেল। যার দরুন বিক্রম ৭৩৮ ওয়াট এবং প্রজ্ঞান ৫০ ওয়াট শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। কতদিন কাজ করবে এই যন্ত্র? বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ১৪ দিন। কারণ, চাঁদের এক দিন মানে পৃথিবীর ১৪ দিন। চাঁদের দিনের বেলায় সূর্যের আলো পড়বে যানের সোলার প্যানেলে। সেই সময়েই কাজ করবে যন্ত্র।

বিক্রমে রয়েছে মোট চারটি যন্ত্র। মূলত এরা চাঁদের পৃষ্ঠদেশ এবং আবহাওয়ামণ্ডলীর রাসায়নিক গঠন, তড়িৎচুম্বকীয় ধর্ম, সম্পর্কে ধারণা দেবে, এমনকী চাঁদের পৃষ্ঠে কম্পনও মাপবে। এতে আছে নাসার তৈরি লেসার রেট্রো রিফ্লেক্টরও। পৃথিবী থেকে পাঠানো সঙ্কেত প্রতিফলনের মাধ্যমে চাঁদের গতি পরিবর্তন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন। রোভার বা প্রজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে দু'টি বর্ণালী বিশ্লেষক যন্ত্র, একটি কাজ করে এক্স-রেতে, যা দিয়ে চাঁদের পৃষ্ঠদেশে খনিজের হাল হকিকত জানা যাবে। আর একটি যন্ত্র দিয়ে শক্তিশালী লেজার আলো পাথরের উপর ফেললে যে বাষ্প হবে, সেগুলির পর্যালোচনা করেও বোঝা যাবে খনিজের প্রকৃতি।

বিজ্ঞানীদের গণনা অনুসারে ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে চন্দ্রযান-৩, এর আরও দশ দিন পর চাঁদ থেকে শত কিমি দূরের কক্ষপথে ঘুরবে সে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটি ছোঁবে। ইসরোর লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু- যেখানে গতবার বিক্রম নামতে গিয়ে একটুর জন্য ব্যর্থ হয়েছিল।  চাঁদের উত্তর মেরু নিয়ে অনেক তথ্যই এতদিনে হাতে এসেছে বিজ্ঞানীদের, কিন্তু ছায়ায় ঘেরা দক্ষিণ মেরু এখনও রহস্যে মোড়া। এই অঞ্চলের অজানা তথ্য আবিষ্কার করবে চন্দ্রযান-৩। এই আবিষ্কারেরই প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিদেশ নীতিতে। টেলি- যোগাযোগ ব্যবস্থা, আন্তর্জাল-যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অন্য দিক খুলে যেতেও পারে। কৃষিপ্রধান দেশের চাষিরা জানতেও পারেন আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস। চাঁদের সঙ্গে এককালে স্রেফ আবেগ জড়িয়েছিল, ধীরেধীরে জড়ায় কৌতূহল, দখলের লোভ, এখন জড়িয়ে আছে অর্থনীতি। পুরো দেশের, গোটা বিশ্বের বড় বড় সিদ্ধান্তই বদলে দিতে পারে চাঁদ।

 


ঋণস্বীকার :
১. মহাকাশে মানুষ -প্রদীপ চন্দ্র বসু (আনন্দ পাবলিশার্স ২০১৫)
২. ইসরো অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

More Articles